শ্রাবণের সন্ধ্যা| বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে| অভি প্রাইভেট
পড়তে ছাতা নিয়ে বের হয়েছে| হঠাৎ তার চোখ আটকে গেল, একি!
তার সামনে এক মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে| মনে হচ্ছে অষ্টাদশীর এক
অপ্সরী তার দিকে এগিয়ে আসছে| মেয়েটি বৃষ্টিতে ভিজছে আর
আইসক্রীম খাচ্ছে| না আমি বোধহয় ভুল দেখছি|
অভি হাতে চিমটি কাটল, উহ! ব্যাথাও তো পেলাম|
না সে সত্যি দেখছে| অভি কল্পনার জগতে হারিয়ে যায়| হঠাৎ তার
মুখের উপর আইসক্রীমের ডাটি এসে পড়ে|
সে কিছুটা অবাক হয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করে,
-এক্সকিউজ মি,আপনি চোখে কম দেখেন নাকি?আইসক্রীম
কিভাবে ক্ষেতে হয় তাও জানেন না?এর সাথে খানিকটা লেগেই আছে?
-আমার ইচ্ছা হইছে আমি ফেলেছি,আপনার কোনো সমস্যা?
-তাই বলে আমার মুখের উপর আইসক্রীমের....
-এই যে মিষ্টার,আপনি হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আমার আইসক্রীম
খাওয়া দেখছিলেন| তাই ভাবলাম আপনাকে একটু দিই...
-ছাতা লাগবে?
-আপনার ছাতা আপনিই ব্যবহার করেন,আমার লাগবেনা বলেই ফিক
করে একটা মুচকি হাসি দিয়ে গেল| মেয়েটার ঠোঁটের কোণের
মিষ্টি হাসি মূহুর্তেই অভির মনে প্রশান্তির ঝড় বয়ে দিল|
সেদিনে মতো অভি প্রাইভেটে না গিয়ে বাসায় ফিরে|
অভি রাতে বিছানায় শুয়ে আছে আর ভাবথে ঐ মেয়েটার
কথা| মেয়েটার মুচকি হাসি অভির মনে বারবার দোল দিয়ে যাচ্ছে|
ঘুম আসছে না অভির,এর কিছু একটা সুরাহা করতেই হবে তাকে|
পরের দিন কলেজে তার ফ্রেন্ডসদের কাছ থেকে জানতে পারল
মেয়েটি তাদের কলেজের নতুন প্রিন্সিপাল স্যারের মেয়ে এবং সে এই কলেজেই পরে|
অভির মুখটা শুকিয়ে গেল|সে তার ফ্রেন্ডদের সবকিছু খুলে বলল|
তারা সবাই মিলে একটা প্লান খুঁজতেছে| হঠাৎ অভির ফ্রেন্ড শুভ বলে উঠল,
-দোস্ত,ওর জন্মদিনে আমরা সবাই তোর হয়ে ওকে একটা সারপ্রাইজ দিব
-কিন্তু কিভাবে?
-আনিকাকে বললে ও সব ব্যবস্থা করবে
-ওকে চল ওদের বাসায় যায়
-চল..(চল বলে সবাই আনিকাদের বাসায় গেল)
আনিকাদের বাসায় সবাই একখানে হয়ে তাদের প্লানটা আনিকাকে বলল| আনিকার কাছ থেকে মেয়েটির নাম জানতে পারে| মেয়েটির নাম সেতু| শুভ তার প্লানটা আনিকাকে বলল এবং সেও রাজি|এখন অপেক্ষায় সেই দিনটির| অভি তার বাসার সামনে বিকেল
বেলা চা খাচ্ছে| এমন সময় সেতু কোচিং করে বাসায় ফিরছে|
অভি চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে একদৃষ্টিতে সেতুর দিকে তাকিয়ে আছে|
-
হ্যালো,এভাবে হা করে তাকিয়ে কি দেখছেন? চা তো শরবত হয়ে গেল
তোমার হরিণীর মতো চোখদুটির মায়ার গোলক ধাঁধায়
আমি হারিয়ে গেছি,রুপার মতো কপালে কালো টিপটা না দিলেই
পারতে...
-আমার ইচ্ছা হইছে পড়ছি আর চা টা খেয়ে তাড়াতাড়ি বাসায়
ফিরেন,সন্ধ্যার পর বাইরে থাকাটা ঠিক হবে না....
-আচ্ছা
-চলি তাহলে বলে আবার একটা মুচকি হাসি দিল...
অভির স্বপ্নজুড়ে এখন শুধুই সেতু|অভির এখন ইচ্ছে করছে মুক্ত বিহঙ্গমের
মতো আকাশে উড়তে.... ভাবতে ভাবতে জানুয়ারির ২৫
তারিখ চলে আসল| আজ সেতুর জন্মদিন| আনিকাদের
পুরো বাড়িটা আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে| অভি,শুভসহ তার
ফ্রেন্ডরা ব্যস্ত ঘরসাজানো নিয়ে| আনিকা সেতুকে আনতে তাদের
বাসায় গেছে| আর কিছু সময়ের মধ্যেই আসবে| ওদিকে অভিকে তার
ফ্রেন্ডরা মিলে সেতুকে প্রোপজের ব্যাপারটি বুঝিয়ে দিচ্ছে|
১১টা ৫০ মিনিট| অভি কিছুটা নার্ভাস ফিল করছে| প্লান অনুযায়ী সেতুকে আনিকা এক
অন্ধকার রুমে নিয়ে আসল| হঠাৎ লাইটা জ্বলে উঠার সাথেই সবাই
সমস্বরে "হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ" বলে উঠল| সেতু কিছু বুঝে উঠার
আগেই অভি তার সামনে হাঁটু সংনমিত করে বলতে শুরু করল, এই
মহেন্দ্রক্ষণে আমি কিছু কথা বলব তোমায়, "ভরা জ্যোৎস্নাময়
রাতে প্রকৃতি যখন জেগে উঠে চাঁদের আলোয়
চারদিকে আলোকিত হয়ে যায়,প্রকৃতি তার অপরুপ
সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে তখন তোমাকে খুব
কাছে পেতে ইচ্ছে করে|আলত করে তোমার মাথাটা বুকের
মধ্যে নিতে ইচ্ছে হয়| তুমি কি রাখবে তোমার
মাথাটা এই ছোট্ট বুকের মাঝে?ঘন মেঘের মধ্যে তোমার
হাতটা ধরে ছাদে দাড়িয়ে থাকতে মন চায়|ঝুম বৃষ্টিতে তোমাকে সাথে নিয়ে ভিজতে বড়
ইচ্ছে হয়|ভিজবে কি আমার সাথে? নির্জন দুপুরে হাতে হাত
রেখে শেষ না হওয়া কোনো পথে হেঁটে যেতে ইচ্ছে হয়|
তুমি থাকবে তখন আমার সাথে? শীতের
রাতে তোমাকে জড়িয়ে উষ্ণ উষ্ণ গল্প করতে চাই| তোমার এলোমেলো চুলগুলো ঠিক
করে দিতে চাই,দেবে কি ঠিক করে দিতে?খুব কোলাহলের
মাঝে দাড়িয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে তোমার
কপালের বাঁকা টিপ সোজা করে দিতে চাই,দেবেনা ঠিক
করে দিতে?আমি সারাজীবন তোমার পাশে আমাকে রাখতে চাই,ঠাঁয়
দিবে কি তোমার পাশে আমাকে?" অশ্রুশিক্ত চোখে সেতু বলে উঠল,
না তোমার মতো পাগলকে আমি আমার পাশে ঠাঁয় কেমনে দেই বল,টাই
টাও ঠিক মতো পড়তে পারো না উল্টা করে পড়েছ,বলেই
অভিকে হাত ধরে টেনে তুলে নিজের বাহুডরে আবদ্ধ করে নিল|
আনিকা বলে উঠল,এই তোরা দুজন কি সারারাত
এভাবে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে থাকবি নাকি কেক কাটবি বলেই, ফিক
করে একটি হাসি দিল| ততক্ষণে সেতুর মুখ লজ্জায় লাল
হয়ে গেছে| সবাই আবার একসাথে বলে উঠল,"হ্যাপি বার্থ ডে টু সেতু"|
একে অন্য জড়িয়ে ধরে থাকুক না সারাজীবন....
ফিরেন,সন্ধ্যার পর বাইরে থাকাটা ঠিক হবে না....
-আচ্ছা
-চলি তাহলে বলে আবার একটা মুচকি হাসি দিল...
অভির স্বপ্নজুড়ে এখন শুধুই সেতু|অভির এখন ইচ্ছে করছে মুক্ত বিহঙ্গমের
মতো আকাশে উড়তে.... ভাবতে ভাবতে জানুয়ারির ২৫
তারিখ চলে আসল| আজ সেতুর জন্মদিন| আনিকাদের
পুরো বাড়িটা আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে| অভি,শুভসহ তার
ফ্রেন্ডরা ব্যস্ত ঘরসাজানো নিয়ে| আনিকা সেতুকে আনতে তাদের
বাসায় গেছে| আর কিছু সময়ের মধ্যেই আসবে| ওদিকে অভিকে তার
ফ্রেন্ডরা মিলে সেতুকে প্রোপজের ব্যাপারটি বুঝিয়ে দিচ্ছে|
১১টা ৫০ মিনিট| অভি কিছুটা নার্ভাস ফিল করছে| প্লান অনুযায়ী সেতুকে আনিকা এক
অন্ধকার রুমে নিয়ে আসল| হঠাৎ লাইটা জ্বলে উঠার সাথেই সবাই
সমস্বরে "হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ" বলে উঠল| সেতু কিছু বুঝে উঠার
আগেই অভি তার সামনে হাঁটু সংনমিত করে বলতে শুরু করল, এই
মহেন্দ্রক্ষণে আমি কিছু কথা বলব তোমায়, "ভরা জ্যোৎস্নাময়
রাতে প্রকৃতি যখন জেগে উঠে চাঁদের আলোয়
চারদিকে আলোকিত হয়ে যায়,প্রকৃতি তার অপরুপ
সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে তখন তোমাকে খুব
কাছে পেতে ইচ্ছে করে|আলত করে তোমার মাথাটা বুকের
মধ্যে নিতে ইচ্ছে হয়| তুমি কি রাখবে তোমার
মাথাটা এই ছোট্ট বুকের মাঝে?ঘন মেঘের মধ্যে তোমার
হাতটা ধরে ছাদে দাড়িয়ে থাকতে মন চায়|ঝুম বৃষ্টিতে তোমাকে সাথে নিয়ে ভিজতে বড়
ইচ্ছে হয়|ভিজবে কি আমার সাথে? নির্জন দুপুরে হাতে হাত
রেখে শেষ না হওয়া কোনো পথে হেঁটে যেতে ইচ্ছে হয়|
তুমি থাকবে তখন আমার সাথে? শীতের
রাতে তোমাকে জড়িয়ে উষ্ণ উষ্ণ গল্প করতে চাই| তোমার এলোমেলো চুলগুলো ঠিক
করে দিতে চাই,দেবে কি ঠিক করে দিতে?খুব কোলাহলের
মাঝে দাড়িয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে তোমার
কপালের বাঁকা টিপ সোজা করে দিতে চাই,দেবেনা ঠিক
করে দিতে?আমি সারাজীবন তোমার পাশে আমাকে রাখতে চাই,ঠাঁয়
দিবে কি তোমার পাশে আমাকে?" অশ্রুশিক্ত চোখে সেতু বলে উঠল,
না তোমার মতো পাগলকে আমি আমার পাশে ঠাঁয় কেমনে দেই বল,টাই
টাও ঠিক মতো পড়তে পারো না উল্টা করে পড়েছ,বলেই
অভিকে হাত ধরে টেনে তুলে নিজের বাহুডরে আবদ্ধ করে নিল|
আনিকা বলে উঠল,এই তোরা দুজন কি সারারাত
এভাবে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে থাকবি নাকি কেক কাটবি বলেই, ফিক
করে একটি হাসি দিল| ততক্ষণে সেতুর মুখ লজ্জায় লাল
হয়ে গেছে| সবাই আবার একসাথে বলে উঠল,"হ্যাপি বার্থ ডে টু সেতু"|
একে অন্য জড়িয়ে ধরে থাকুক না সারাজীবন....