মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

স. ৩১- প্যারিসের হত্যাকান্ড অভিমত পর্ব - ০২

বক্তাঃ নোমান আলী খান


রাসূল (সঃ) এর রেখে যাওয়া গোটা শিক্ষাকে তুচ্ছ করা হয়েছে।আম্বিয়াদের (আঃ) তুচ্ছ করা হয়েছিল আগে।
যেখানে আল্লাহ বলেছেন - ঠাট্টা করা হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে এটা ছোট-খাটো ঠাট্টা নয়। বুঝা যাচ্ছে, আম্বিয়া (আঃ) দেরকে নিয়ে খুবই নোংরা কথা বলা হয়েছিল, মুসলিমদের আগেও ব্যঙ্গ করা হত। ‘তোমাদের মুখ কাল হয়ে যেত’ এই বাক্যটি দিয়ে বুঝা যাচ্ছে যে খুবই মারাত্মক ধরণের ব্যঙ্গ করা হয়েছে তাদেরকে। وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا أَذًى كَثِيرًا ۚ '' এবং অবশ্য তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের কাছে এবং মুশরেকদের কাছে বহু অশোভন উক্তি।'' ৩ ঃ ১৮৬ । আপনারা অনেক জঘন্য কথাবার্তা শুনবেন আহলে কিতাব আর মুশরিকদের থেকে । তারা খুব জঘন্য-বিশ্রী কথা বলবে মুখের সামনে। আর আল্লাহর প্রতিউত্তর কী? প্রসঙ্গক্রমে, এই আয়াত গুলো উহুদ যুদ্ধের পরে নাযিল হওয়া। তোমরা জঘন্য কথা শুনবে তাদের কাছ থেকে, তোমরা গভীর, ঘৃণায় পরিপূর্ণ, বিশ্রী, ন্যক্কারজনক কথাবার্তা শুনবে তাদের কাছ থেকে । কি করবে শুনার পর? হত্যা? না । وَإِن تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ ذَٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ ''আর যদি তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর এবং পরহেযগারী অবলম্বন কর, তবে তা হবে একান্ত সৎসাহসের ব্যাপার। ৩ ঃ ১৮৬ ।''

গোটা কুরআন, সকল নবীদের শিক্ষা উপেক্ষা করা হচ্ছে এমনকি আমাদের নবী (সাঃ) সহ। যিনি (সাঃ) বহুবার অপমানিত, লাঞ্ছিত হয়েছেন কিন্তু তাঁর মুখের হাসি হারিয়ে যায় নি। আচ্ছা এইসব ভুলে যাই, এইগুলো সব মানসুখ (বাতিল) কারণ আমি একজনকে খুন করতে চাই। এটা বোকামি আর ইসলামের অপমান ।আমি অমুসলিমদের উদ্দেশ্য করে বলছি না আমি মুসলিমদের বলছি। আপনার মনে যদি এখনও খুঁতখুঁত লাগে যে এই কাজটি হয়তো ইসলামিক হয়েছে। আমি অনুরোধ করব আপনি আপনার মাথা থেকে তা ঝেড়ে ফেলুন। আর কিছু সময় আল্লাহর বই পড়াতে সময় দিন।আর কিছু সময় রাসূল (সাঃ) এর জীবনী পড়াতে সময় দিন যাঁর (সঃ) এর পক্ষ থেকে আপনি কথা বলছেন। কারণ আপনি জানেনই না এই মানুষ এর ব্যাপারে যাকে (সাঃ) আপনি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। আর আপনি জানেনই না তাঁকে (সাঃ) রক্ষা করার মানে কী?

আমার প্রথম পয়েন্ট হল অপরাধীরা অপরাধীই, যেই হোকনা কেন । আর যদি তারা ধর্মীয় ব্যাপার-স্যাপারগুলো সামনে নিয়ে আসে তাদের কাজগুলোকে বৈধতা দেওয়ার জন্য তাতেও কোন লাভ নেই,কোন লাভ নেই। এই ব্যাপারে কোন বিতর্ক নেই দ্বীনের মধ্যে। এটা নিষ্পত্তিকৃত ব্যাপার, এই ব্যাপারে বিতর্ক নেই।

তৃতীয় যে পয়েন্টটি আমি বলতে চাই--জঘন্য বক্তৃতা, অপমানজনক কথা বার্তা নিয়ে । অপমানজনক কথা যা আমাদের রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে করা হয়েছে, কার্টুন, ভিডিও বানানো হয়েছে তাঁকে (সাঃ) নিয়ে, অথবা কুরআনকে নিয়ে যা বলা হয়,যেগুলো আক্রমণাত্মক। আর কোন মানুষ , যে কোন মানুষ মুসলিম বা অমুসলিম - যখন তাদেরকে অপমানিত করা হয়, যখন ঐসব জিনিস অপমানিত করা হয় যা তারা পবিত্র মনে করে, তখন তাদের অধিকার আছে ক্ষুব্ধ হওয়ার, তাদের অধিকার আছে অপমানিত বোধ হওয়ার এটা আমাদের আত্মসম্মানের অংশ। এটা যদি আমাদের অনুভূতিতে আঘাত না করে তাহলে আমাদের আত্মসম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই। যখন কেউ আমার মা কে নিয়ে কিছু বলে , আমার বাবা কে নিয়ে কিছু বলে অথবা আমার রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কিছু বলে তা কী আমাকে একদমই পীড়া দিবে না? অবশ্যই পীড়া দিবে, আমাকে তা ক্ষুব্ধ করবে, রাগান্বিত করবে আমার অধিকার আছে রাগান্বিত হওয়ার।এই দুটো আলাদা বিষয়। এখন যা ঘটছে মিডিয়াতে এই দু’টি আলাদা আলাদা বিষয় এখন এক করে ফেলা হয়েছে।

অন্য কথায় আমরা এই অবৈধ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে, তাই আমরা বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তাই সবখানে তা উৎযাপন করা উচিত। আমরা তাদের সাথে যাই হোক না কেন। না না না … মুসলিমদের জন্য ব্যাপারটা এত সোজা না । এই দু’টি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা এই অবৈধ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে, আর আমরা তাদেরও বিপক্ষে যারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আর এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই । কিন্তু একই সাথে আমাদের অধিকার আছে এবং অধিকার থাকবেই ঐসব অজ্ঞতা আর ঘৃণ্য বক্তব্যের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হওয়ার, আমরা রুখে দাঁড়াবো এবং কথা বলব এর বিরুদ্ধে। কিন্তু এই কাজ করার নিয়ম আছে।

আমরা ভান করব না যে সব বাক-স্বাধীনতা খুবই ভাল আর আমরা সবকিছুই মেনে নিব। না, আল্লাহ কি রাগান্বিত হন না মানুষের কথায় ? অবশ্যই। আমি আপনাদের এই মাত্র আয়াত বলেছি, যেখানে মুমিনরা আঘাতপ্রাপ্ত হবে অন্যদের কথায়।
ব্যাপারটা এইটা নিয়ে না যে আমাদের ক্ষুব্ধ হওয়ার অধিকার আছে কিনা নেই ? আমাদের অধিকার আছে।
ব্যাপারটি হচ্ছে আমরা কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাব? আমাদের প্রতিক্রিয়াই সবকিছু নির্ধারণ করবে, কারণ আমাদের সবকিছুই আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) যেভাবে চান সেভাবেই করতে হবে।ঐ অনুভূতি গুলো গ্রহণযোগ্য কিন্তু ঐ অনুভূতির পরে যে সব কাজ করা হয় তা আর গ্রহণযোগ্য নয় । এইখানেই সমস্যা ।

শেষ পয়েন্ট যেটার ব্যাপারে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আজকের খুৎবাতে।
যেটা আমি মনে করি এইসব ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট কথা বলি না। আমি মনে করি এটিই মুল সমস্যা, আর আসল পয়েন্ট।
এখন প্রথম কথা হল কেন মানুষ রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ করে? কেনই বা ওরা তাঁকে (সাঃ) কে নিয়ে মজা করে? কেন তারা তাঁকে (সাঃ) অপমান করে , কেন কার্টুন বানানো হয়? কেন মুসলিমদের উপর এত প্রোপাগান্ডা, এত জঘন্য কথাবার্তা যেগুলো এখন সাংবাদিকতার নামে চলছে সম্পাদকীয় কলামে ।
এই ব্যাপারটিকে দিনকে দিন আরও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। আগে তারা উগ্রপন্থীদের নিয়ে কথা বলতো তাই না? তারা কথা বলত কিছু উগ্রপন্থী আর জঙ্গি ইসলামের ভার্সন নিয়ে। যেখানে ওরা সবাইকেই খুন করতে চায়, আর নারীদের ডাস্টবিনে ফেলতে চায়। কিন্তু আস্তে আস্তে এই উগ্রপন্থীর সংজ্ঞা ঢিলা হতে হতে এমন পর্যায়ে এসেছে এখন আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়লেই আপনি উগ্রপন্থী। উগ্রপন্থী যা আগে উম্মাদদের বেলায় প্রযোজ্য ছিল এখন তারা বলে আপনি যদি একটুও ইসলাম প্রকাশ করেন বা আপনি দেখতে যদি মুসলিম হন, বা মহিলা যদি হিজাব পরেন , সে নিশ্চয় উগ্রপন্থী।

পুরুষদের বেলায় যদি দাঁড়ি থাকে তাহলে সে নিশ্চয় উগ্রপন্থী। আমেরিকায় এত খারাপ অবস্থা এখনও হয়নি কিন্তু ইউরোপে খুবই খারাপ অবস্থা। আমি ইউরোপে গিয়েছিলাম, আমি বলতে পারি অবস্থা সেখানে ভাল না । এটা উগ্রপন্থী হিসেবে দেখা হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেন? আমাদের এই মানসিকতা আছে, মুসলিমদের এই মানসিকতা তৈরি হয়েছে যে তারা (কাফিররা) আমাদের ধরতে আসবে। এই কুফফারগুলো, তারা আমাদের ঘৃণা করে, ওরা প্রতিনিয়তই কার্টুন আঁকছে, প্রোপাগান্ডা চালায় তারা ইসলামের সব ব্যাপারেই ঘৃণা করে। তারা এটার পিছনে ছুটছে, তারা.. তারা... তারা...।

আমরা নিজেদেরকে আয়নায় দেখার একটুও সময় পাই না। নবী (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম , সাহাবাদের কে নিয়েও হয়েছিল--
وَيَسْخَرُونَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا
আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। ২;২১২

এটা কুরআনে আছে যে, ওরা তাদেরকে নিয়ে মজা করে যারা বিশ্বাস করে । কুফফাররা তাদেরকে নিয়ে মজা করে যারা বিশ্বাস করে। এখন মৌলিক প্রশ্ন হল তারা কেন তাঁদেরকে (সাহাবা ও রাসূল ) ব্যঙ্গ করতো? আর এখন ওরা আমাদেরকে কেন ব্যঙ্গ করে? এই দু’টির কারণ কি একই? আমি বলবো, না একই কারণ নয়। ঐ সময় তারা ব্যঙ্গ করতো কারণ এটি একটি উপায় ছিল ইসলামকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। একটি উপায় ছিল ইসলামের প্রসার ঠেকানোর কারণ তারা জানত না আর কি করার আছে। ইসলাম ছিল এতটাই চিন্তা জাগ্রতকারী, ইসলাম ছিল এতটাই দৃষ্টি উন্মুক্তকারী, ইসলাম ন্যায়ের ডাক দিয়েছিল, এটি সব ধরনের অবিচারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছিল। মানুষ ইসলামের দিকে কেন্দ্রীভূত হচ্ছিল, যুবক, বৃদ্ধ সবধরনের মানুষকে ইসলাম টেনে আনছিল , আর ওরা জানতোনা কিভাবে তা বন্ধ করা যায়। ওরা একটা কৌশল করল যে রাসূল (সাঃ) কে মিথ্যাবাদী ডাকবে কিন্তু তাতেও কোন কাজ হল না। এতে হয়তো কাজ হবে তাদেরকে উপহাস করবো আর হেসে উড়িয়ে দিব , যাতে সবাই মনে করে তারা কিছুই না। এটা তাদের একটি কৌশল ছিল যখন সেটা কাজ করছে না তখন তারা আরেকটি কৌশলে আবিষ্কার করল। ঐ কৌশলগুলো ছিল ইসলামের প্রসার ঠেকানোর জন্য কারণ তা খুবই শক্তিশালী ছিল।

কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে একই জিনিস হচ্ছে তা আমি বলব না।আমি মনে করি ইসলাম নিয়ে যত ব্যঙ্গাত্তক কার্যক্রম হচ্ছে তার কারণ আমাদের বর্তমান মুসলিমদের আচরণ। মুসলিমদের অবস্থা কী হয়ে দাঁড়াল!! আমরা যেভাবে জীবন যাপন করি, আমাদের মুসলিম পাড়াগুলো কেমন দেখায় ? আমাদের পাড়ায় রাস্তাগুলো কেমন দেখায়? আমাদের বাসা কেমন দেখায়? আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের চর্চা কেমন? আমাদের সরকারগুলো কেমন? আপনি যদি দুর্নীতির উদাহরণ দেখতে চান ? আপনি যদি সভ্য দুনিয়ার ঠিক উল্টোটি দেখতে চান, মুসলিম-দেশ গুলো ভ্রমণ করুন। বেশিরভাগই এ রকম। এমনকি মসজিদের পার্কিং এর জায়গাতেও আমাদের সভ্য হতে খুব কষ্ট। একটা সময় আমরা সুশৃংখল থাকি যখন কাতার সোজা করে দাঁড়াতে হয় নামাযে সময়। এর বাইরে, ভুলে যান । নূন্যতম মানবিক শিষ্টাচারটুকুও নেই আমাদের মাঝে, আমাদের নেই ।

সভ্যতা কী? আমরা খুবই পছন্দ করি ইতিহাস থেকে উদ্ধৃতি দিতে যখন মুসলিমরা উদ্ভাবনী ও সৃজনশীলতায় অগ্রগামী ছিল,
যখন তারা পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল, পৃথিবীর সব জায়গা থেকে মানুষ আসত বাগদাদে পড়ালেখা করার জন্য ইউরোপিয়ানরা তাদের সাহিত্য হারিয়ে ফেলেছিল আর মুসলিমরা তা সংরক্ষণ করেছিল । তা শিখতে ওরা আমাদের কাছে এসেছিল , যখন স্পেন সারা বিশ্বের জন্য আদর্শ ছিল। আমরা খুব পছন্দ করি ঐসব উদ্ধৃত করতে । কিন্তু এখন আমরা কী উদ্ধৃত করব? আমরা কী করেছি? আমরা কী তৈরি করেছি মানুষ হিসেবে? পৃথিবীতে কী অবদান রেখেছি?
আমরা তখনই খবরে আসি যখন আমরা কিছু বোমা মেরে উড়িয়ে দিই। অথবা কোন ঝামেলা করি। এসব বাইরের দৃষ্টিকোণ থেকে একটু চিন্তা করুন। এই মানুষগুলো উন্মাদ।

আমি বাকি বিশ্বের মুসলিমদের কথা নাইবা বললাম। এখন শুধু পশ্চিমা মুসলিমদের কথা বলি কিছুক্ষণের জন্য। আমরা এই সমাজে এসেছি, এবং আমি ইউ এস এর মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে অনেক উঠাবসা করেছি অনেকদিন ধরে । ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে কথাবার্তা হয়েছে । আমি কিছু কথা বলি যা আপনি মুসলিম সমাজে দেখতে পারবে … সুবহানাল্লাহ। আমি জানি, ব্যবসায়ীরা মিথ্যা বলে যখন তারা ট্যাক্স দেয়। ''আমি কাফিরদেরকে টাকা দিতে চাই না। '' সত্যিই তাই? আপনি কাফিরদের ট্যাক্স দিতে চান না? আপনি মদ বিক্রি করেন তখন আপনার ইসলাম আসে না। এখন হঠাৎ করে আপনার ওয়ালা আল বারা উদয় হল যখন আপনি তাদেরকে ট্যাক্স দিতে যাচ্ছেন? এই মুসলিমরা , এই না, আমরা , আমরা , আমাদের নৈতিক অবস্থা এতটাই নিম্নমানের । আমাদের ব্যবসায়ী ভাই আছে যারা ঠিকভাবে বেতন দেয় না। তারা এমনকি তাদের স্ত্রীদের মাহরও দেয় না। তারা পৃথিবীর অবিচার নিয়ে কথা বলছে কিন্তু তাদের ঘরেই ন্যায়বিচার নেই। কেন কেউ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে? যে আয়াতটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই , এটি কুরআনের অন্যতম একটি ভয়ংকর আয়াত যখন উম্মার অবস্থা সামনে আসে। رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না।অন্য কথায় এই আয়াতের একটা অর্থ হলো- ইয়া আল্লাহ, আমাদেরকে এত অভাগা, মানুষের জন্য বিব্রতকর বানিয়ো না এবং ইসলামের সুন্দর শিক্ষা থেকে এত দূরে রেখ না যে যখন অমুসলিমরা আমাদেরকে দেখবে তারা যেন না বলে কেন আমি ইসলামের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে যাব? কেন আমি মুসলিম হব? আমি কী এই মানুষগুলোর মত হব? কেন আমি এই মানুষগুলোর মত হব? তারা ব্যঙ্গ করার ক্ষেত্রে বৈধতা পেতে পারে না কিন্তু আমরাও ন্যায়সঙ্গত নই যখন আমরা আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে অস্বীকার করি।