লেখক - Abul Bashar Bhuiyan
আজ সকাল থেকে আমি অনুভূতি শূণ্য,
আমার আশে-পাশে কি হচ্ছে এর কোন
কিছুই আমি অনুভব করতে পারছিনা।
কারো প্রশ্নেরি সঠিক উত্তর দিতে
পারছিনা ।
মনে হচ্ছে মাথাটা অন্যকারো দখলে
চলে গেছে।
যেখানে আমার কোন কিছুই করার নেই,
শুধু চোখে দেখা ছাড়া। কি অদ্ভুত !
গত কালে সন্ধাটা ছিল এর প্রথম ধাপ,
প্রচন্ড মাথা ধরা আর অত্যাধিক ভারি
মনে হওয়া ছিল তার উপসর্গ।
সাথে ছিল কথায় কথায় অন্যমনস্ক হয়ে
যাওয়া।
আর আজ চলছে দ্বিতীয় ধাপ,
যে কোন জিনিস এক,দু মিনিট ভাল
লাগবে, হওক সেটা আগে থেকে তোমার
রুচির বাইরে ।
তার পর একেবারে সেটা হয়ে যাবে
বিষের চেয়েও নফরতময়।
শরীরে শক্তির শ'টাও নেই,
মনে হচ্ছে কারো সামান্য ফুঁ তে
ধুলোবালিরর মত উড়ে যাব,
হঠাৎ মাথার ভেতরটা একদম ফাকা মনে
হচ্ছে,
ভেতরের কন্ট্রোলার মনে হয় কাজ
সাড়তে গেছেন,
আর হঠাৎ করে মায়ের মুখটা ভেসে
উঠেছে মস্তিষ্কের ফাকা পর্দায়।
মায়ের মুখটা আজ অনেক আনন্দিত মনে
হচ্ছে,
হাসছেন আমায় দেখে, হাসিটা একটু
অন্যরকম,
আমি ভয় পেয়ে গেলাম, তাও মা
হাসছেন, যে হাসির কোন শেষ নেয় ।
পরক্ষনেই আবার আগের অনুভূতি ফিরে
এসেছে,
কন্ট্রোলার গাড়ির হুইলের মত আমার
মাথার হুইল চেপে ধরেছেন, মূহুর্তে
আমার মাথাটা ব্যাদনায় চেয়ে গেল,
চোখ দুটি অন্ধকারের অতল ডুবে গেল,
সেই অতল শীতল ছিলনা, ছিল ঊষ্ণতার
অতিমাত্রা।
সারা গতর বেয়ে টপটপ ঊষ্ণ জ্বলের বিন্দু
কণা গড়িয়ে পরছে।
তখন হঠাৎ করেই আমাকে আশ্চার্যান্বিত
করে একটা কন্ঠ ভেসে উঠল।
:- তুমি কে, তুমি জান?
:- কে, কে? ( ভীতু গলায় আমি বললাম )
:- আমি অবস্বাদ,
:-আমার কাছে কেন এসেছ?
:- তোকে বৃত্যে করে নিতে, তুই আজ
থেকে আমার কথায় চলবি, তোর নিজস্ব
কোন স্বাধ-আল্হাদ থাকবেন, আমিই
তোকে চালাব, আমার স্বপ্নই তোর স্বপ্ন,
আমার আশাই তোর আশা, হা হা হা, তোর
নিজের কোন কিছুই আর তোর না, হা হা
হা..........
একটা পাগল করা অট্টহাসি, এ যেন
থামবার নয়।
মূহুর্তেই কে যেন চেপে ধরেছে আমার
মস্তিষ্কের সব কটা শিরা-উপশিরা, আর
ঝাঁকাচ্ছে সর্বশক্তিতে হৃদপিন্ডের
অবিরাম নৃত্যের তালে তালে।
প্রচন্ড ব্যাথায় আমার শিরা গুলো ফুলে
যাচ্ছে, চোখ বারবার আলোক ঝলকানি
দিয়ে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে,
ব্যাদনাময় সব স্মৃতি উসকানি দিচ্ছে, আর
সুখস্মৃতি দূর থেকে অট্টহাসিতে ফেটে
পরছে,
এ যেন নরকের মধ্যস্থল।
জানিনা এর শেষ কোথায়................?