মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৮৭- রনির ভালবাসা

-শুন রনি , তোর দ্বারা না কিছু হবে না।
-আমি তো অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। কি করব বল, অভ্যাষ নেই তো।
-তাই কি। তারাতারি না বলতে পারলে তো ওকে অন্য কেউ প্রোপজ করতে পারে?
-তাতে কি হইছে? তখন তোকে প্রোপজ করব। কি রাজি হবি না?
-দেখ ফাইজলামো হয়ে যাচ্ছে।
আজ আমি উঠিরে দেরি হয়ে যাচ্ছে। কাল কিন্তু তোকে বলতেই হবে। রেডি হয়ে থাকিস।
কথাটা বলেই চলে গেল নিলা। রনি আর নিলা খুব ভাল বন্ধু। ওরা একে অপরকে অনেক দিন থেকে চেনে। হয়ত দুজন দুজনকে অনেক ভালও বাসে। কিন্তু কেউ প্রকাশ করে না। রনি অনেক বার বলতে চেষ্টা করলেও নিলা সেটা মজা ভেবে নিয়েছে।
কিন্তু হুমায়ুন স্যারতো বলেই গেছেন "কোন ছেলে আর মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হলে সেটা প্রেমের রুপ নিবেই, সেটা একদিনের জন্য হোক আর সারা জীবনের জন্যই হোক।"
কিন্তু তাদের মনে প্রচন্ড ভয়। যদি আবার বন্ধুত্বটাই না নষ্ট হয়ে যায়? তাই কেউ কাউকে সিরিয়াস ভাবে বলে না যে ওকে ভালবাসে। তাই রনি একটা বুদ্ধি বের করেছিল--
-এই শোন না?
-হ্যা বল।
-আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করে ফেলেছি। আমাদের জুনিয়র ব্যাসের।
-নাম কি ওর?
-সুমি।
-খুব সুন্দর দেখতে তাই না?
-হ্যা সুন্দর। ভাল কথা, আমি যেহেতু ওকে পছন্দ করি তাই ভাবছি ওকে আমি প্রোপজ করে ফেলব। কিন্তু তার আগেতো ওর সাথে কথা বলতে হবে। আমি বলছিলাম কি, কিভাবে শুরু করব একটু বল না?
-আমি কি জানি, ওর সাথে দেখা করে সব বলে দে। আমি এখন রাখছি হ্যা?
ফোনটা রেখে দেয় নিলা। বুঝতে পারছে না রনি এটা সত্য বলছে নাকি মিথ্যা। যদি সত্য হয়, তাইলে তার এতদিনের লালিত-পালিত করা সব স্বপ্ন ধুলায় মিশে যাবে? কিছুই বুঝতে পারে না সে। তার চোঁখ দিয়ে অঝর ধারায় বন্যা বইতে থাকে।
তুবুও নিজেকে সামলে নেয় সে।
যাইহোক, পরেরদিন রনিকে সব পদ্ধতি শিখেয়ে দেয় নিলা। সময় মত গিয়ে সব কিছু করতে বলে ওকে। যদিও মনের ভিতরে অনেক কষ্ট জমা হয়ে যায়।
--কিরে গিয়েছিলি?
--না রে।
--ক্যানো আবার কি হইলো?
--আচ্ছা একটা সত্য কথা বলবি?
--কি?
--আমি অন্য কারও সাথে রিলেশন করলে তুই মেনে নিতে পারবি?
--ক্যান পা পারব না ক্যান?(যদিও ভিতরে অনেক কষ্ট হচ্ছিল)
--না এমনি ভাবলাম।(এপাশ থেকে স্পষ্ট নিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে ও)
--তুই কি কাদঁছিস?
--না, কাদব কেন?
--আচ্ছা আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবি?
--কেন?
--আমি পার্কে যাচ্ছি। তুই আয়।
ওপাশের উত্তরের আশায় না থেকে ফোনটা রেখে দেয় রনি। দূত চলে যায় দোকানে। বেশি কিছু নয় শুধু কয়েকটা গোলাপ নিয়ে ছুটে যায় পার্কে।
হ্যা নিলা আসছে। -বল কি বলবি?
কিভাবে শুরু করবে রনি বুঝতেছে না। শেষ পর্যন্ত হাটু গেরে একনাগারে বলতে শুরু করল-
"দেখ আমি হয়তো তোকে খুব বেশি কিছু দিতে পারব না, হয়ত ওদের মত দৈনিক ডেটিং এ যাইতে পারব না। বড় বড় উপহার দিতে পারব না। কিন্তু একটা জিনিস খুব পারব আর সেটা হচ্ছে ভালবাসতে। তুই আমাকে একটু ভালবাসবি?"
বলেই ফুল গুলো এগিয়ে দেয় রনি।
-আর কোন মেয়ের দিকে তাকাবি না তো?
--এইযে কান ধরছি। জীবনেও না।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
--আই লাভ ইউ।
-আই লাভ লাভ ইউ টু।
--তাইলে একটু জরিয়ে ধরি?
-বেশি বাইরা যাচ্ছিস না? আচ্ছা আয়।(আরও কি কি করতেছে সেটাও কি বলে দিতে হবে নাকি?)