লেখাঃ অনিক আহসান
_এইতো বার্ড
আসছি জ্যামে আটকা পড়ে আছি ,কিছুক্ষন
এর ভিতরেই চলে আসবো ।তুমি একটু
বসে থাকো ? _জলদি আসো আমি কখন
থেকে বসে আছি তোমার অপেক্ষায় ।
_এইতো বার্ড আসছি ।
আসতে অনেক
দেরি হয়ে গেলো ,গিয়ে দেখি নাবিলা মন
খারাপ করে বসে আছে ।
আমাকে দেখে অন্য দিকে মুখ
ঘুরে নিলো ।এই মেরেছে এইবার তোর
বার্ড রেগে গেছে ।সরি বার্ড আর লেট
হবে নাহ ,রাস্তায় অনেক জ্যাম
ছিলো এইজন্য আসতে অনেক লেট
হয়ে গেলো প্লিজ রাগ করে না আমার
বার্ড ।এই দেখো আমি কান ধরছি আর
লেট হবে (মেয়েটি অনেকে জেদি)
ওওও বার্ড
কি হলো কথা বলবা নাহ ,কথা না বললে আমি কিন্তু
চলে যাবো । চলেই যাচ্ছিলাম পিছন
থেকে আমাকে হাত টা টেনে ধরলো ?
_কি হলো আমাকে একা রেখে চলে যাচ্ছো কেনো ।
_তুমি আমার
সাথে কথা বলো না কেনো ,সত্যি রাস্তায়
অনেক জ্যাম ছিলো সরি । _ ইটস ওকে ,আই
লাভ ইউ বেবি । _আই লাভ ইউ টু বার্ড
(নাবিলা আমাকে বেবি বলে ডাকে আর
আমি ওকে বার্ড
বলে ডাকি )চলো ফুসকা খেয়ে আসি ।
_ওকে চলো ,ফুসকা আমার খুব প্রিয় ।
_তোমার প্রিয় জন্যই
তো তোমাকে খাওয়াতে চাচ্ছি । _ওহ
তাই
নাকি ,তুমি জানলা কেমনে ফুসকা আমার
প্রিয় । _কিছু কিছু মেয়েদের
ফুসকা প্রিয় সেটা আমি জানি । _কিছু
কিছু
মেয়ে মানে ,তুমি জানলা কেমনে মেয়েদের
ফুসকা প্রিয় । _হুম
জানি ,এতো কথা না বলে চলো ফুসকা খেতে যাই
। _ওকে চলো ।
ফুসকা খেতে খেতে আমরা অনেক কথাই
বলি ,আমাদের কথার যেনো শেষ নেই ।
আমাদের ভালোবাসার
পথে বাঁধা হওয়ার মত দুইজন লোক
আছে আর সেই দুইজন লোক হলো আমার
আব্বু আর নাবিলার আব্বু ।এরা খুব ঘনিষ্ঠ
বন্ধু ছিলো কেনো যে এদের বন্ধুত্ব নষ্ট
হলো তা আজ ও জানতে পারলাম না ।
বা বুঝতে পারলাম না ,হয়ত বা জানার
আগ্রহ ছিলো কিন্তু বলি বলি করে আর
বলা হয়ে ওঠে নাই । নাবিলাদের
বাসা আর আমাদের
বাসা পাশাপাশি । প্রথম দেখাতেই
নাবিলার ওপর ক্রাশ খেয়েছিলাম ।
মায়াময়ী চেহারা ,হাসলে যেনো আকাশের
তারা ঝরে ।আমি ওর
হাসিমাখা মুখটা দেখার জন্য ওদের
বাসার ছাদের
দিকে তাকিয়ে থাকতাম ,কারন
বিকালে ছাদে আসে নাবিলা ।
একদিন সাহস করে নাবিলাকে প্রপোজ
করে বসি কিন্তু সেইদিন আর
নাবিলা আমাকে কিছু
না বলে চলে যায় ।
একদিন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে বন্ধুদের
সাথে কথা বলছিলাম ,হঠাৎ লক্ষ্য করলাম
নাবিলা কোচিং এ যাচ্ছে ।
নাবিলার সামনে গিয়ে জিগাইলাম
কি হলো ,আমার কথার উত্তর
টা তো দিলা নাহ ।
কোনো কথা না বলে নাবিলা চলে গেলো ।
আমি মন খারাপ করে চলে এলাম বাসায়
।পরের দিন বন্ধুদের
সাথে শপিং করতে গিয়ে দেখি নাবিলাও
শপিং করতে এসেছে ,আমাকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি উপহার
দিলো ।আমি এই হাসি টা দেখার জন্য ই
তো আছি ।
_অবশেষে ওর
কাছে গিয়ে দাড়াইলাম ,কি হলো আমার
উত্তর দিলা নাহ । _কিসের উত্তর ।
_সেইটা তুমি খুব ভালো করেই
জানো কিসের উত্তর । _আমি আপনার
প্রস্তাবে রাজি । _ইয়াহু আমি অনেক
খুশি ______ঠিক এই ভাবে আমাদের প্রেম
হয় ।
_আচ্ছা বার্ড তোমার আর আমার আব্বুর
অভিমান টা কিভাবে ভাঙ্গানো যায়
। _ কি আর
বলবো বেবি ,কেনো যে তারা তাদের
ফ্রেন্ডশীপ টা নষ্ট করলো । _বার্ড
আমি একটা বুদ্ধি পেয়েছি । _
কি বুদ্ধি বেবি ।
_চলো আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি ,পরে তোমার
আর আমার ফ্যামিলি মেনে নিলেই
তাদের বন্ধুত্ব আবার ফিরে আনা সম্ভব
হবে । _যদি মেনে না নেয় কি হবে ।
_আরে মেনে না নেওয়ার
কি আছে মানতেই
হবে ,তুমি দেখে নিয়ো ।
আমার কিছু বন্ধুর সহায়তায় আর নাবিলার
কিছু বান্ধবির সহায়তায়
অবশেষে আমাদের বিবাহ সম্পুর্ন হলো ।
এবার
পালা বাসাতে নিয়ে আম্মুকে দেখানো আর
আব্বু কে বিয়ের কথা টা বলা ।সব সময়
আম্মুর সার্পোট পেয়েছি কিন্তু আব্বুর
পাই নাই ।
অবশেষে আব্বুকে ভয়ে ভয়ে বললাম
যে আমরা কাজী অফিসে বিয়ে করে আসছি এখন
আপনি কি বলেন । আব্বু
বললেনঃচিনি না জানি না যাকে তাকে বিয়ে করলেই
হয় ,এই মেয়ের পরিচয় কি থাকে কোথায়
।আমিঃআমাদের পাশের বাসার
আব্বাস আংকেলের মেয়ে (এখন শশুড়
মসাই ) । আব্বুঃ কি বললি তুই আমার শত্রুর
মেয়েকে তুই বিয়ে করিস ,আমি কখন ওই
মেনে নেবো নাহ ।আমিঃআব্বু দেখেন
আপনার আর আব্বাস আংকেলের
কি নিয়ে বিরোধীতা তা জানি নাহ
আর জানতেও চাই নাহ ,আর আমাদের
বিবাহ
না মেনে নিলে আমরা বাড়ি থেকে চলে গেলাম
। আব্বুঃ তুই আমার একটা মাত্র ছেলে আর
তুই এই কথা বলতে পারলি ,এই মেয়ের জন্য
তুই আমাদের ছেড়ে চলে যাবি ।
আমিঃহুম চলে যাবো ।
আব্বুঃওকে আমি রাজি এই মেয়ের আব্বুর
সাথে কথা বলে আমাকে জানা ।
এই আব্বু কে আর আম্মুকে সালাম করো ।
নাবিলার আব্বুকে ও এক ই
কথা বলতে বললাম নাবিলা কে ।
নাবিলার আব্বু ও
রাজি হয়ে গেলো ,তাদের বন্ধুত্ব আবার
নতুন করে শুরু হলো ।নতুন করে বিয়ের
আয়োজন করা হলো লোকজন কে দাওয়াত
দিয়ে ধুমধাম ভাবেই বিবাহ সম্পুর্ন
হলো ।আমাদের শুরু হলো নতুন সংসার ।
বিঃদ্রঃ গল্পটা সম্পূর্ন কাল্পনিক ।