প্রচুর মেসেজের কারণে ইনবক্সটা ফোল হয়ে গেছে।
কিছু ডিলিট করতে হবে অনেকের মেসেজ পড়ে হাসতে হাসতে পেটে বেথা ধরে যাচ্ছিল।
আবার খুব কষ্ট লাগছিল এই ভেবে, এই মেসেজের মালিকগুলা আজ কেউ ই
কাছাকাছি নেই। মেয়ে ক্লাসমেট গুলার অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে,
ছেলে গুলা অনেকেই দেশের বাহিরে আছে, অনেকেই
পড়াশুনা ছেড়ে দিসে। আবার অনেকেই এখনো আছে আমরা যারা পড়াশুনা করছি।
সবার থেকে ভাল ভাল মেসেজগুলা রেখে বাকি গুলা ডিলিট
করে দিচ্ছিলাম। হঠাৎ তিন শব্দের একটা মেসেজে চোখ আটকে গেল- I U.
(২বছর আগে)
শুক্রবার, মাঠে বসে ক্রিকেট বেট কিনার জন্য টাকা তুলছিলাম।এমন সময়
একটা মেসেজ,পকেট থেকে মুবাইলটা বের করে দেখি কেয়ার নাম্বার থেকে I U
-ইয়া হু... হু......
-কিরে কি হইছে?
-কেয়া আমার ভালবাসা এক্সেপ্ট করছে।
হা হা হু হু হুররররে
ছয় মাস পিছন গুরার পর এমন ভাবে উত্তরটা পেয়ে সেদিন খুব খুশি ই
হয়েছিলাম। দৌড় দিলাম মসজিদ পানে,মানত করা দুইরাকাত নামাজ আদায়
করলাম।মুবাইলটা বুকে নিয়ে কখন যে মসজিদে ঘুমিয়ে পরেছিলাম টের ই
পাইনি। কেয়ার ফোনে সারা মেলে আমার।কল ধরতে এক নিশ্বাসে বলে গেল কেয়া
-জানি মেসেজ টা পেয়ে খুব খুশি হয়েছ,
সেই খুশিটা যদি ধরে রাখতে চাও আজকেই কিছু একটা কর।আজ
ঘরোয়া ভাবে আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে আব্বু।কিন্তু
আমি তোমাকে চাই, প্লিজ কিছু একটা ক... অমনি লাইনটা কেটে যাই।
বেশি সুখ আর তার ছেয়ে বেশি কস্টে মাথায় সেই
পুরোনো বেথাটা জেগে উঠে।কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না।
তখনি আমি জ্ঞান হারাই। রাত ১১ টায় আমি নিজেকে বিছানায়
আবিষ্কার করি,মাথায় আম্মু পানি দিচ্ছিল। বন্ধুদের কাছে জানতে পারি আজ দুপুরেই
কেয়ার .... না আমি আর ভাবতে পারছিনা। Bettery low টুন টুন
চেতনা হই আমার। মুবাইল হাতে বসা আমি।একি মুবাইল
পানিতে ভেজা, স্পিকার মনে হয় গেছে, রুমে এত অন্ধকার কেন?
জানালা দিয়ে চেয়ে দেখি সন্ধা হয়ে গেছে। সেই বিকালে বসেছিলাম মেসেজ
ডিলিট করতে । এতক্ষণ মনে হই ভাবনার সাগরে ছিলাম।
মাগরিবের আযান হচ্ছে। নামাজে যেতে হবে।
চোখ মুছতে মুছতে মেসেজটা ডিলেট করে দিলাম।
পরে যাতে কখনো কাঁদতে না হই।