মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৭৭- রিয়া

লিখা :- ইকাপ্সরীর মায়া নিদ্রিতা

একটু পরে রিয়ার কিডনী ট্রান্সপ্লানটেশন হবে । ওর একটা কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে।সব কিছু
রেডী।অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবে এমন সময় রিয়ার
বাবার কাছে কিডনী ডোনার ফোন দিয়ে বলে সে কিডনী ডোনেট
করতে পারবে না। রিয়ার বাবার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা।
কি করবেন উনি এখন ভেবে উঠতে পারছেন না।
হঠাৎ,রিয়ার বয়ফ্রেন্ড ইরফান এসে বলল-- আঙ্কেল অপারেশন কি শেষ?
রিয়া কি এখন দুইটা কিডনী নিয়ে ঘুমাচ্ছে আঙ্কেল?
অন্যসময় হলে রিয়ার বাবা ইরফান এর মাথা ফাটিয়ে দিতেন।এমনিতেও
তিনি বেশী একটা পছন্দ করেন না ইরফান কে। বাঁদর আর খুব দুষ্টু টাইপ মনে হয় তার
কাছে ইরফান কে।এই অবস্থায় অনেক কষ্টে নিজেকে ঠান্ডা রেখে বললেন--
ডোনার ফোন দিয়ে বলেছে কিডনী ডোনেট করতে পারবে না।
ইরফানঃ ইয়া আল্লাহ ! এখন কি হবে আঙ্কেল ?
রিয়ার বাবাঃ এই ছেলে তুমি এক মিনিটের জন্য চুপ করে থাকতে পারো না?
ইরফানঃ কিভাবে চুপ থাকবো শ্বশুর ফাদার? আমার রিয়ার জন্য
কিডনী পাওয়া যাচ্ছে না। 
রিয়ার বাবাঃ কি ব্যাপার? তুমি আমাকে শ্বশুর ফাদার ডাকছো কেনো?
ইরফানঃ না মানে,রিয়ার সাথে আমার বিয়ে হলে তো আপনাকে শ্বশুর ফাদার
ডাকতেই হবে।
রিয়ার বাবাঃ দ্যাখো ছেলে,তোমার এসব ন্যাকামি কথা শুনে কিন্তু আমার ব্লাড প্রেশার হাই হয়ে যাচ্ছে !!
ইরফানঃ আমি আপনাকে এক্ষুনি ডাক্তার রুমে নিয়ে যাচ্ছি শ্বশুর ফাদার।
রিয়ার বাবাঃ আর একবারো যদি শ্বশুর ফাদার ডেকেছো..............দূর হও চোখের
সামনে থেকে।
ইরফানঃ আমি এখন চলে গেলে রিয়াকে কিডনী দিবে কে? রিয়ার
বাবাঃ তুমি....তুমি রিয়াকে কিডনী দিবে? তুমি দিবে? তোমাকে সবসময় ভুল বুঝেছি বাবা।কিছু মনে করো না। বুঝিনি তুমি আমার মেয়েকে এত ভালোবাসো।রিয়া ঠিক হয়ে গেলেই
তোমাদের দুজনের বিয়ে দিবো বাবা---বলেই ইরফান কে তিনি আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন। ইরফান ও আনন্দে রিয়ার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কানে কানে বলল--
ইরফানঃ শ্বশুর ফাদার,ইয়ে মানে,কিডনী টা আমি দিচ্ছি না।
ডোনার সেজে আমিই আপনাকে ফোন টা করেছিলাম করেছিলাম।রিয়ার
অপারেশন অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে। এখন তো আপনি আমার আর রিয়ার
বিয়েতে রাজী,আর কোনো ভয় নেই আমার।বিয়েটা কবে হচ্ছে শ্বশুর ফাদার ?
কথা গুলো শুনে রিয়ার বাবা কিছুই বলতে পারলেন না।স্তব্ধ
হয়ে দাড়িয়ে রইলেন। কিছুক্ষন চুপ হয়ে থাকার পর বললেন-- কাজী অফিসেও কি কথা বলে সব ঠিক করে রেখেছো??! ইরফান আর কিছু বুঝতে বাকি থকলো না।
''থ্যাংক ইউ শ্বশুর ফাদার'' বলে রিয়ার বাবার গালে এটা চুমু দিয়ে,হুমড়ি খেয়ে পড়ে সালাম করে ওখান থেকে দৌড়ে হাওয়া হয়ে গেলো। রিয়ার বাবা থ হয়ে দাড়িয়ে শুধু বললেন-- এই বাঁদর টার সাথে থেকে থেকে আমার মেয়েটাও বাঁদর হয়েছে।আল্লাহ,তুমি এই দুই বাঁদর কে ভালো রেখো।