"স্যার,,,আপনি কি অভিশাপ বিশ্বাস করেন???? "
অবাক হয়ে তাকালাম আমার চেম্বারে বসা রোগীটার
দিকে,,, এখন রাত ১২ টা,,, বাসায় যাব বলে ঠিক
করেছিলাম,,, হঠাৎ এই লোকটা ভিতরে আসল,,, আমার পি
এস তৃণা হয়ত ওয়াশরুমে গিয়েছিল,,,বিনাবাধায়ই এই
লোক ভিতরে আসল,,,,কারণ আমি পরে শুনলাম,, তৃণা হয়ত
ওর চেয়ারে এসে বসল,,,,
"বলুন না স্যার,,,আপনি কি অভিশাপ বিশ্বাস
করেন/???,,,"
আমি অবাক হয়ে দেখছি লোকটাকে,,, লোক না বলে
ছেলেই বলা ভাল,,, বয়স হয়ত ২২/২৩,,, চেহারা রাজপুত্রের
মত,,,এরকম হ্যান্ডসাম ছেলে সচরাচর দেখা যায়
না,,,চোখদুটো মায়া মায়া,,,,চেহারায় পাগলামির
ছিটেফোঁটা নেই,,,কিন্তু সে সিরিয়াসলি এই প্রশ্নটি
করেছে।
আমি বললাম,,, "একটু ক্লিয়ার করে বলবেন প্লিজ?"
ছেলেটি বলল,,, অফ কোর্স স্যার,,,ক্লিয়ার করার জন্যই
তো এসেছি,,, আপনি কি শুনবেন স্যার??? সময় হবে
আপনার???
ঘড়ির দিক চেয়ে ভাবলাম,,,বাসায় তো কেউ নেই,,,দেরি
করে গেলে প্রবলেম হবে না,,, শুনেই যাই,,,ইন্টারেস্টিং
লাগছে,,,,
অনুমতি পেয়ে ছেলেটা বলা শুরু করল,,,
" স্যার,,, আমি এক মফস্বলের ছেলে,,,আমার বাবা এক
সরকারি চাকরিজীবী,,, আমি ছোটবেলা থেকে অনেক
মেধাবী ছিলাম,,,কিন্তু যতটা মেধাবী ছিলাম,,ঠিক
ততটাই ভীতু ছিলাম,,,,
স্কুল লাইফ থেকেই অনেক যন্ত্রণার মাঝে
ছিলাম,,ক্লাসে ছেলেরা বিরক্ত করত,,মারত,,,টিফিন
কেড়ে খেত,,,,উদ্ভট উদ্ভট নামে ডাকত,,,,,
কিছু বলতাম না,,বলতে গেলে মার খেতাম,,,রক্তাক্ত
মুখে বাসায় ফিরলে,, মাকে বলতাম,,সিড়ি থেকে পড়ে
গেছি,,,,
এধরণের সিড়ি থেকে পড়ে যাওয়া আমার
নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেল,,, ভয়ে বাবা মার
কাছে বিচার চাইতাম না,,,কারণ ওরা বলত,,,বাবা মার
কাছে বললে আরো মারবে,,,, একজন পুলিশের ছেলে
ছিল,,,সে বলত,,"ডিম দেবে",,, সেটা কি জানতাম
না,,,কিন্তু ওরা যেহেতু বলছে,,তো ভয়ংকর কিছুই হবে,,,,
এভাবে স্কুলজীবন শেষ করলাম,,,,হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম,,,
অবশেষে শান্তি,,,,
কিন্তু সেই শান্তি বেশিদিন টিকল না,,, একবার
পরীক্ষার সময় এক কদাকার ছেলের পাশে সিট পড়ল,,,
ছেলেটা পুরো পরীক্ষাটাই আমারটা দেখে লিখতে
চাইল,,,, অর্ধেকের মত দেখিয়ে বললাম,,ভাই আমার তো
লিখতে হবে,,নইলে শেষ হবে না,,,, এই বলে বাকিটুকু আর
দেখাতে পারলাম না,,,,,
ছেলেটা তাতেই ক্ষেপে গেল,,, আমাকে বলল,,,দেখে
নিবে,,,,
এরপর থেকে কলেজের সব পরীক্ষায় দেখলাম,,,পরীক্ষার
হলে ওপেনলি সবাই বই দেখে লিখছে,,,স্যাররাও কিছু
বলছে না,,,,
কিন্তু এতকিছুর পরেও ওরা পরীক্ষায় আমাকে হারাতে
পারত না,,, আমাদের কলেজের একটা নিয়ম ছিল,,,ফার্স্ট
হলে কলেজের ফান্ড থেকে বৃত্তি দিত,,,প্রত্যেকবার
আমিই সেটা পেতাম,,,কিন্তু রাখতে পারতাম না,,,টাকা
নিয়ে বাইরে বের হবার সাথে সাথে সেই কদাকার
ছেলের দল টাকাগুলো নিয়ে যেত ছিনিয়ে,,,, ওরা এক
রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল,,,সবার সামনে টাকা
ছিনিয়ে নিলেও জনসাধারণ রায় দিত,,ওদের পাওনা
টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে শান্তিপূর্ণ
উপায়ে,,,,
কলেজ ছেড়েও বের হলাম,,, চান্স পেলাম ঢাকার এক
নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,,,,এই প্রথম বাবা মা থেকে
দূরে কোথাও গেলাম,,, মন আমার ভেঙে যাচ্ছিল,,,কিন্তু
বাবা মাকে ভাল রাখতে,,বড় আমার হতেই হবে,,,
ভার্সিটির হলে আমার জায়গা হল,,,জায়গা হল কিছু
সিনিয়র পলিটিকাল ভাইদের সাথে,,,যারা কবে থেকে
এই ভার্সিটিতে পড়ে নিজেরাই জানে না,,,,ভুলে
গেছে,,,
আমার সারাজীবনের সব যন্ত্রণা,অশান্তি সীমারেখা
অতিক্রম করল,,,,এখানে আমি পড়াশুনার টাইম পেতাম
না,,, আমার দায়িত্ব ছিল,,,বড়ভাইদের জন্য সিগারেট
আনা,,,তাদের এসাইনমেন্ট লিখে দেওয়া,,তাদের কাপড়
ধুয়ে দেওয়া,,ঘর ঝাড়ু দেওয়া,,,আর আমার বাবার দেওয়া
মাসিক ৬০০০ টাকার ৫০০০ তাদেরকে দিয়ে দেওয়া,,,,,
প্রতিমাসে শেষ ৬-৭ দিন আমার শুধু পানি খেয়ে থাকা
লাগত,,, ঈদে বাসায় এসে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতাম,,,
কিন্তু মাকে বুঝাতাম,,কত দিন দেখি নি বলে এই
কান্না,,,আসল কথা আমি আর সাত আসমানের উপর বসে
থাকা একজন ছাড়া কেউই জানত না,,,,
তারপর একদিন আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের একটা
ঘটনা ঘটল,,,, এটা এস এস সি বা এইচ এস সি এর বোর্ডে
প্লেসের আনন্দ না,,, এই আনন্দের নাম কি জানেন
স্যার??? এই আনন্দের নাম "তিশা"
নতুন ব্যাচের সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ে,,,দেখলে যেকোন
ছেলের বুক ধড়ফড় করতে বাধ্য,,,,পরীর মত এক মেয়ে,,,,, ওর
সাথে প্রথম কথা বলার ভঙ্গিটাও ইন্টারেস্টিং,,, কারণ
ওই প্রথম আমি ভয়ে না,,,,ব্যাখ্যার অতীত এক
ভালোলাগার কারণে তোতলানো শুরু করেছিলাম।
আমাকে দেখে সে নিজেই এসে বলেছিল,,, "হাই,,আমি
তিশা,,,এবারের নিউ ফার্স্ট ইয়ার,,,, আপনি তো থার্ড
ইয়ারের স্টুডেন্ট,না? আপনার কথা অনেক শুনেছি,,,
শুনলাম আপনি কলেজে আসার পর নাকি,,,জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রথম প্লেসটা কেউ নিতে পারেনি?"
আমি কি বললাম জানেন স্যার,,, হ-হ-হবে হ-হ-হয়ত,,, আ-
আমি জা-জানি না,,,,
হা হা হা,,,, আমি কি গাধা,তাই না স্যার,,,,,
ওই থেকে শুরু,,, মেয়েটা সেধে সেধেই কথা বলত,,কি
ক্যান্টিন,,কি মাঠ,,,আমাকে আর কখনওই একা দেখা যায়
নি,,,,আমার কষ্টের জীবনের শান্তির স্পর্শ,,,, তিশা,,,,
স্যার,,,, আমার কপালে এত সুখ কেন সইবে বলুন,,,, আমার
রুমমেট,, রাজনৈতিক দলের নেতা দেখে ফেলল
তিশাকে,,,এও জেনে ফেলল,,, ওর আমার প্রতি দুর্বলতা
আছে,,,,,
আমাকে একদিন ডেকে নিয়ে বলল,,, "*****,,, ওই মালের
সাথে তোরে যদি কখনো আর দেখছি,,,,ছাল তুলে নিব,,,,
এ জিনিস আমার,,বুঝছিস???
আমার ভয় আবার ফিরে এল,,,জানেন স্যার,,,আমার সারা
জীবনের মাত্র ওই তিনমাস বুকের মধ্যে ভয় জিনিসটা
ছিল না,,, শুধু শান্তি ছিল,,,আজ সেটা আবার ফিরে এল,,,
ওইদিন থেকে তিশাকে ইগনোর করতে লাগলাম,,, ফোন
ধরলাম না,,,,মেসেজের রিপ্লাই দিতাম না,,,দূর থেকে
ওকে দেখলেই পালিয়ে যেতাম,,,,
একটা কথা কি জানেন স্যার??? আমি কিন্তু কখনওই
ওকে ভালবাসি কথাটা বলি নি,,,ও ও বলেনি,,,মনে মনে
হয়ত বলতাম,,,মুখে কেউ কাউকে বলতাম না,,,,
একদিন লাইব্রেরিতে বসে পড়ছিলাম,,,কখন ও আমার
পাশে আসল বুঝলাম না,,,, আমাকে বলল,,, "তুমি আমাকে
এভয়েড করছ কেন বল তো,,,তোমার সাথে এক মুহুর্ত কথা
না বললে আমার বুকে যেন পাথর চেপে বসে,,সেটা তুমি
বুঝ না??? তোমাকে একমুহুর্ত না দেখলে চোখ ফেটে
পানি আসে তুমি তা বুঝ না???
ও যথেষ্ট জোরে কথা বলছিল,,,লাইব্রেরির সবাই ওর
দিকে তাকিয়েছিল,,,, আমি বললাম,,, "তিশা,,,তুমি চলে
যাও,,, আমার সাথে তোমাকে দেখলে আমাকে মেরে
ফেলবে,,,প্লিজ তিশা,,,চলে যাও,,,
ওকে পুরো কাহিনী খুলে বললাম,,,,ও শুনে বলল,,,,"শোন,,,জ
ীবনে প্রথমবার যদি কাউকে ভালবেসে থাকি,,সে
তুমি,,,শেষবারের মত কাউকে ভালবেসে থাকলেও সে শুধু
তুমি,,,, অন্য কেউ কিছু বললে বলুক,,,আই ডোন্ট কেয়ার,,,,"
আমাকে অবাক করে দিয়ে ও আমার সামনে হাটু গেড়ে
বসল,,,, "তুমি আমার স্বপ্নের রাজপুত্র,,,যেদিন তোমাকে
প্রথম দেখেছি,,তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছি,,,তুমি
আমার সেই রাজকুমার যে প্রতি রাতে পক্ষীরাজে করে
আমার স্বপ্নে আসত,,,আমাকে নিয়ে যেতে,,,, তোমাকে
আমি বাস্তবে খুজে পেয়েছি,,,,তোমাকে আমি ছাড়তে
পারব না,,,তাই মেয়ে হয়ে আজ সব লজ্জা চুলোয় ফেলে
তোমাকে বলছি,,, "আই লাভ ইউ,রাজপুত্র,,,আই লাভ ইউ"
পুরো লাইব্রেরি হতবাক হয়ে আমাদের দেখছে,,,আর
আমি দেখছি ওই হরিণের মত টানাটানা দুইচোখের টলটল
করা পানি,,,ওকে তুলে জড়িয়ে ধরলাম,,,,বললাম,,, "আই
লাভ ইউ, রাজকন্যা"
ওই খবর দাবানলের মত সারা ভার্সিটিতে ছড়িয়ে
পড়ল,,,,পরিণাম হিসেবে,,,সারা রাত আমাকে পচা পুকুরে
গলাপর্যন্ত ডুবিয়ে রাখা হল,,, কোন কারণেউঠতে গেলে
রড দিয়ে আমার পিঠে পিটানো হল,,,,
আমার রক্তাক্ত মুখ দেখে তিশা পরেরদিন আমাকে
বলল,,, "চল,,,আমরা বিয়ে করে ফেলি,,,তাহলে ওই শয়তান
আর আমার জন্য তোমাকে কষ্ট দিতে পারবে না,,,"
আমি বললাম,,, "আচ্ছা,,,তাই হবে"
দুর্ভাগ্যের ব্যাপার,, তিশা আর আমি যখন এই ব্যাপার
নিয়ে আলোচনা করছিলাম,,,সেই ছাত্র নেতার এক
চামচা,,,আমাদের সবকথা শুনে ফেলে,,,,,
আমি রুমে ফেরার পর,,আমাকে বলে,,, "কিরে তুই নাকি
আজ বিয়ে করবি??? চল আমরা সাক্ষী দিই,,,"
ওই শয়তানটার চেহারা দেখে সেদিন বুঝেছিলাম,,,পিশ
াচ বলতে সত্যিই কিছু আছে,,,,
ওরা আমাকে পাঞ্জাবি দিল,,,একজন বর যেভাবে
সাজে সেভাবেই আমাকে সাজালো,,,তারপর আমাকে
তিশাকে ফোন দিয়ে বলতে বাধ্য করাল,,,রাত ১১ টায় এক
নির্জন জায়গায় যেতে,,, যেখানে কাজি অফিস আছে,,,
তিশা ভাবল,,হয়ত আমি লুকিয়ে শয়তানদের চোখ ফাঁকি
দিতে এইভাবে ওকে আসতে বলেছি,,,ও ঠিক সেভাবেই
ওখানে গেল,,,,
স্যার,,, আপনি বিশ্বাস করবেন না,,, ওই রাতে লাল শাড়ি
পরে তিশাকে দেখতে মানুষের মত লাগছিল না,,,
লাগছিল হুরপরীর মত,,,
ও আমাকে বলল,,,এখানে কাজি অফিস কোথায়,,,আর
বিয়ে করব,সাক্ষী লাগবে না???
আমার পিছনের অন্ধকার থেকে ৪ টা পলিটিকাল কুত্তা
বের হল,,,, বড় কুত্তাটা বলল,,,"সাক্ষী একজন,ডার্লিং,,,,
তোমার বর আজ ৪ জন"
বলেই ওরা হাসতে লাগল,,,, তিশা আতংকে আমার দিক
তাকাল,,, আমি ভয়ে আধমরা হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম,
,,,তিশার দিক তাকালাম না,,,
চার কুত্তা ওকে তুলে পাশের ঝোপে নিয়ে গেল,,, ও
কাতরস্বরে আমাকে শেষবারের মত বলেছিল,,,, "বাঁচাও,,,"
আমি ডাক শুনে গেলাম,,,কিন্তু একটা চকচকে ছুরি দেখে
ভয়ে মূর্তি হয়ে গেলাম,,,তিশার আর্তনাদ আস্তে আস্তে
ম্রিয়মাণ হয়ে গেল,,,,
কুত্তাগুলো বলতে থাকল,,, "আমার ৭৮ তম,,,আমার ৮৬ তম,,,
আমার ৫৬ তম,,,,"
বড়কুত্তা বলল,,, "আমার ১১৫ তম,,,"
বলে খ্যাক খ্যাক করে হেসে দিল,,,একজন বলল,,,
ভাই,,মনে হয় মইরা গেছে,,, কি করব? ফরেনসিক করলেই
তো ধরা খামু"
বড়কুত্তা বলল,,, পথ আছে,,,
বলে ওরা ছুরিটা দিয়ে তিশার শরীর কয়েক টুকরা
করল,,,তারপর একটা স্যুটকেসে ভরে,,আমার হাতে দিয়ে
বলল,,, "নে তোর বউরে নে,,,, বুড়িগঙ্গায় ফেলবি,,,,আর
তারপর সিগারেট কিনে রুমে আসবি,,,অনেক
খাটাখাটনির পর,,সিগারেটের মজাই আলাদা"
আবার খ্যাক খ্যাক করে হেসে চলে গেল,,,,
অন্ধকার,,, ফাঁকা চারিদিক,,,
একা রাজপথ,,,তার উপর আমি আর তিশা,,, তিশা আমার
কোলে,,,স্যুটকেসের ভিতরে,,,, একটা আজব অনুভূতি
আমার বুকে,,,,
আমার তিশা,,,আমার সামনে আজ চলে গেল,,,আমিই
তিশার খুনি,,,,
ওকে বুড়িগঙ্গা ব্রিজের উপর থেকে ফেলে দিলাম,,,
এখন সিগারেট আনতে যেতে হবে,,,,
আকাশ পাতাল,,,নদী থেকে যেন তীব্র আলোড়ন শুরু
হল,,,সারা দুনিয়া যেন কাঁদছে,,, কোথা থেকে যেন
তিশা বলল,,, " মেরুদণ্ডহীন,,, তোর রূপের প্রেমে পড়ে আজ
আমার এই অবস্থা,,,তোকে অভিশাপ দিলাম,,, তোর দিকে
আজ থেকে যেই মেয়ে তাকাবে,,,ভয়ে আঁতকে উঠবে,,"
জানেন স্যার,,তারপর থেকে মেয়েরা আমার দিক
তাকালে কি দেখে????"
আমি ভয়ে কাঠ হয়ে আছি,, গলা থেকে স্বর বেরুচ্ছে না,,,,
ছেলেটা বল,,, "ওরা দেখে,,,এক বীভৎস পঁচা গলা
অমেরুদণ্ডী, যে কিলবিল করে ওদের দিক যাচ্ছে"
এখন উঠি স্যার,,,ভাল থাকবেন,,,
দরজার কাছে গিয়ে সে ফিরে তাকাল,,,বলল,,, "পুরুষ
মানুষ হয়ে জন্মালে, মেরুদন্ডটাকে শক্ত করতে
হয়,,বুঝলেন স্যার?"
ও বের হয়ে গেল,,, হঠাৎ,,,বাইরে থেকে আমার পি এস
তৃণার কণ্ঠ শোনা গেল,,, ভয়ার্ত কণ্ঠ,,, "ও আল্লাহ,,,এটা
কি!!""
তারপর শোনা গেল তৃণার এক বিকট চিৎকার,,, যা শুনে
আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল
লেখা : ফ্রাংকেনস্টাইনের কুৎসিত দানব