-আরে ইউসুফ ভাইয়া কেমন আছেন ?
-এই সময়ে আবার কে ডাক দিলো।
এখনি একটা চর মারতে পারলে
মনটায় অনেক শান্তি পেতাম
কারন সিগারেট খাবার সময়
আমাকে কেউ বিরক্ত করলে
আমার মাথা গরম হইয়া যায়।কিন্তু
এগুলোর কিছুই বলাও হল না আর
করাও হল না।তাই
এক রকম বাধ্য হয়েই পিছে
ফিরলাম পিছে
ফিরে আমি একরকম চমকেই উঠলাম
কারন
আমার পিছে একটা পরি
দারিয়ে আছে। এই
মূহুর্তে নাটোরের বনলতা
সেনের কথা মনে
পরে । কিন্তু আমি কোন কবি
নইযে এর অপার সুন্দরর্যের বর্ননা
দিয়ে কবিতা লিখবো। তবুও কিছু
কথা থেকে যায় যা না বলাই
ভাল।
-ভাইয়া আপনি কি আমার কথা
শুনছেন?
-ও ও তুমি। কেমন আছ? বাসার সবাই
ভাল?
-আরে আপনি তোতলাচ্ছেন
কেন!! আর আপনি সবসময় এত গুলা
প্রশ্ন একসাথে করেন কেন?
-আরে ফাজিল মাইয়া তুমি জদি
বুঝতা তাইলে কি আমার এতদিন
একা থাকতে হয়। কিন্তু কিন্তু
কিছুই বলতে পারলাম না।আরে
না এমনি জিজ্ঞাস করলাম । তা
কোথায় যাচ্ছ?
-আপনাকে কি সব বলতে হবে?
-না না তা বলবা কেন বেয়াদব
মে কোথাকার।
আরে না কি জে বলো আমি তো
এমনি জিজ্ঞাস করলাম। এই
কথাটা বলে একটা ফিসলা
হাসি দিলাম।
-আপনি সব সময় হাসেন কেন?
আপনার হাসি দেকলে আমার গা
জ্বলে যায়।
-মনে মনে বলি ওই পিচ্চি আমার
হাসিতে কি পেট্রোল আছে
যে তোর গা জ্বলে যায়।
আসলে তুমিতো এখন ছোট তাই
জান না যে হাসলে হার্ট ভাল
থাকে আর তা ছারা আরো
অনেক উপোকার করে শরিরের।
-আপনি আবার আমাকে ছোট
বল্লেন । আপনি জানেন না আমি
এখন Inter 1st ইয়ারে পরি। আর
দাড়ান আজ আপনাদের
বাসায় গিয়ে আন্টির কাছে
বিচার দিবো যে
আপনি সিগারেট খান!!
-এইরে বাসায় জদি বলে
তাহলেই হইছে!! আরে কে
বলেছে তুমি পিচ্চি তুমি এখন বড়
হয়ে গেছ তাই না!!
-আপনিতো বললেন এইমাত্র
-ও মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে। আর
বের হবে না এখন থেকে
প্রতিদিন ডিটারজেন্ট দিয়ে
কুলি করবো।
-ওকে যান বলবো না এই বলে
একটা হাসি দিয়ে চলে গেল আর
আমার বুকেও আগুন দিয়ে চলে
গেল। ওর এই হাসি দেকলেই বুকের
বাম পাশে কেমন জানি করে।
কি রকম ফিলিংস সেইটা
নিজেও বুঝে উঠতে পারি না।
ওর নাম সামান্তা। ও আমাদের
এলাকায় থাকে
আর ওর বাসার সাথে আমাদের
বাসার অনেক ভাল সম্পর্ক প্রায়
যাওয়া আসা হয়।
আমি যখন Inter 1st ইয়ারে পরি তখন
থেকেই ওকে পচ্ছন্দ করি। আমার
মনের
এক কোনে একটু একটু করে এই
ভাললাগা ভালবাসায় পরিনত
হয়েছে। কিন্তু
এই পিচ্চি বোঝে না আমার
মনের ভাষা।
আর তাই আমিও জোর দেই না।
২.
ভার্সিটি থেকে ক্লাস করে
আসা ধরছিলাম।
যেহেতু বর্ষাকাল তাই যা হওয়ার
তাই হলো।
ঝুপঝুপ করে বৃষ্টি নামলো। আর
আমার এক কথায় বৃষ্টি ভাল লাগে
না কিন্তু জোর
করেই ভিজতে ভিজতে বাসায়
দিকে রওয়ানা দিলাম।
এলাকায় ঢুকবো ঠিক তখনি
দেকলাম কিছু দূরে আরেকটি মে
খুব আনন্দের সাথেই বৃষ্টিতে
ভিজতেছে।
একটু ভাল করে লক্ষ্য করলাম আর
ঠিকি
চিনতে পেরেছি এই পাগলীটা
সামান্তা।
আমি ওর কাছে গেলাম খুব কাছে
গিয়ে
ডাক দিলাম
-এই পিচ্চি বৃষ্টিতে ভিজতেছ
কেন?
আমার কথা শুনে একটু ভয় পেল
তারপর
পিছে ফিরে দেকলো আমি তবুও
পুরাপুরি ভয়টা গেল না চেহারা
থেকে!
-আপনি আবার আমাকে পিচ্চি
বললেন।
-তাইতো আমি আবার ভুল করলাম!!
-আপনাকে কিছু বলে লাভ নাই
আপনি একটা আপনি একটা,,,,
-আমি একটা কি?
-আপনি একটা মিচকে শয়তান।
(রাগের ইমু)
-ও তাই নাকি। তা মিচকে শয়তান
আমার মত
দেকতে নাকি?
-হুম। এই বলে আবার একটা হাসি
দিল
-এইরে আমি মনে হয় নতুন করেএই
পিচ্চির
প্রেমে পরলাম। কারন ওর এই
হাসিটা যতবার
দেখি ততবার ওর প্রেমে পরি।
-কি ভাবছেন?
-কিছু না। তোমার কি বৃষ্টি ভাল
লাগে?
-হিম। এই বৃষ্টির মধ্যে আলাদা
একটা শুর আছে আর এই সুরটা অনেক
সুন্দর যা অন্য
কিছু থেকে পাওয়া যায় না।
-বৃষ্টির আবার আলাদা শুর। এই বলে
আবার
ফিসলা হাসি।
-আপনার বিশ্বাষ হয় না। আপনি
চোখ বন্ধ করুন আর খুব কাছ থেকে
বৃষ্টিকে অনুভব
করুন তাইলেই শুনতে পারবেন।
-আমিও ওর কথা মত গভীর মনযোগে
বৃষ্টির
শুর শুনতে চেষ্টা করছি । আর এই
প্রথম আমার
কাছে বৃষ্টি ভাল লাগলো।
-কি শুনতে পারছেন?
-ওর কথায় আমি বাস্তবে ফিরে
এলাম। হুম পাচ্ছি।
-বলেছিলাম না।
-তোমাকে একটা কথা বলার
ছিলো। কিন্তু
কিভাবে বলি ভেবে পাচ্ছি
না।
-একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলুন এত
ভনিতা করার কিছু নাই।
-মানে আমি তোমাকে একটু আকটু
ভালবাসি।
-তার মানে আপনি বেসি
ভালবাসেন না।
-না না আমি তোমাকে অনেক
বেসি ভালবাসি।
-তাহলে আপনি খালি হাতে
এসেছেন কেন?
-ও তাই। কিন্তু এখন গোলাপ
পাবো কোথায়?
-আমি জানি না যেখান থেকে
ইচ্ছা সেইখান থেকে আনবেন।
-মনে মনে বলি তুমি আসলেই
পিচ্চি। তাহলে
চলো সামনে আগাই দেখি
পাওয়া যায় নাকি।
হাটতে হাটতে একটা পার্কে
ঢুকলাম। আর তখনও বৃষ্টি পরতেছে
অবিরামভাবে। গোলাপ
পেলাম না তাই আমার প্রিয় কদম
ফুল দিয়েই
প্রপজ করলাম।
-আপনি আসলেই একটা মিচকে
শয়তান।
-কেন আমিতো তোমাকে
প্রোপজ করলাম।
-হুম করছেন কিন্তু একবার বলেন
নাই ভালবাসি।
-ও। তারপর ওর হাতের থেকে কদম
ফুল গুলো নিয়ে আবার নতুন করে
বল্লাম ঃ-
-পিচ্চি মে, আমি তোমাকে
ভালবাসি
তুমিকি সারাজীবনের জন্য
আমার পিচ্চি হতে
রাজি আছো। যদি রাজি থাক
তাহলে তোমার ওই হাত দুটো
বাড়িয়ে দাও।
এই প্রথম ওর হাত ধরলাম। আর আমি
চাই এই হাত আর কোনদিন ছারবো
না।আর
একটি বর্ষনমুখর দিনে নতুন করে
একটি
ভালবাসার শুরু হলো। প্রায় ৩ বছর
প্রেম
করলাম কিন্তু এর ভিতরে কিছু
অপ্রিতী
ঘটনা ঘটে গেল। ওর বাবা মারা
যায় হঠাত করে কিছুদিন আগেই।
"
৩.
ওপরের কথা গুলো আজ সব সৃতি।
কাল
সামান্তার বিয়ে। এটাই বাস্তব
কারন ওর
বাবা মরে যাওয়ার সময় একটা
শেষ ইচ্ছা বলেগেছেন।
তার শেষ ইচ্ছাটা হলো তার মের
সাথে তার
বন্ধুর ছেলের বিবাহ দেয়া।
কিন্তু সামান্তা এসবের কিছুই
জানতো না। শুধু ওর মা জানতো।
তাই ওর বিয়ে ঠিক করেছে ওই
ছেলের সাথে।
"
আজকাল নিকোটিনের গন্ধ আর
কাজ করে
না। মনেহয় একসাথে ৪-৫
সিগারেট খাই। হঠাত
সামান্তার ফোন।
-হ্যালো
-তুমি কোথায়? (কাদতে কাঁদতে)
-কেন বাসায়।আর তোমার না
কাল বিয়ে এখন ফোন দিছো
কেন?
-চলনা আমরা পালিয়ে যাই।
-আমি ওর মুখ থেকে এরকম কিছুই
আশা করেছিলাম। না এখন
পালানো সম্ভব না।
-কিন্তু কেন? আর তুমি আমাকে
ভালবাস না।
-হুম ভালবাসি। আর ভালবাসি
বলেই তোমাকে নিয়ে
পালাতে পারবো না। তোমার
বাবার শেষ ইচ্চা তোমার সাথে
তার বন্ধুর ছেলের বিয়ে হোক
তারপর তোমার মার ওই হাসিমুখ
তোমার আত্মীয় স্বজনের মনে
দঃখ দিয়ে আমরা কখনও সুখী হতে
পারবো না।
-এটাই তোমার শেষ কথা।
-হুম।
-ভাল থেক।আর নিজের দিকে
খেয়াল রেখ।
"
এই মূহুর্তে আমার মনে যে ঝড়
হচ্ছে তা থামানো সম্ভব না আর
এই ঝড়ে সব কিছু তছনছ হয়ে যাবে।
কিন্তু এই কষ্টটা সাময়িকের
জন্য। আমি জানি ও এখন খুব।
কাঁদবে। কিন্তু
বাস্তবকে মেনে নিতেই হবে।
আমি পারতাম ওকে নিয়ে
পালিয়ে যেতে কিন্তু আমাদের
সুখের জন্য অন্য কার মনে দুঃখ
দেওয়ার অধিকার আমার নেই।
ভালবাসলেই পেতে হবে কোন
কোন ক্ষেত্রে
দিতেও হয়।
এটাই বাস্তব। সামান্তা চলে
গেছে কিছুক্ষন আগে ওর বরের
সাথে। কিন্তু আজ কেন
বৃষ্টি হচ্ছে। হয়ত বৃষ্টি চায় আমার
সব কান্নাকে
বৃষ্টির জলে ধুয়ে দিতে। এই সেই
বৃষ্টিমুখর দিন যে দিন আমার আর
সামান্তার পথ চলা শুরু
হয়েছিল আর আজকেই আবার সব
শেষ হলো।,,
"
(একাকি হাটছি বৃষ্টির মধ্যে
কেউ নেই চারপাশে শুধু হাতে
কয়েকটি কদম ফুল)
লেখক : Himur Dupur(Devil Himu
-এই সময়ে আবার কে ডাক দিলো।
এখনি একটা চর মারতে পারলে
মনটায় অনেক শান্তি পেতাম
কারন সিগারেট খাবার সময়
আমাকে কেউ বিরক্ত করলে
আমার মাথা গরম হইয়া যায়।কিন্তু
এগুলোর কিছুই বলাও হল না আর
করাও হল না।তাই
এক রকম বাধ্য হয়েই পিছে
ফিরলাম পিছে
ফিরে আমি একরকম চমকেই উঠলাম
কারন
আমার পিছে একটা পরি
দারিয়ে আছে। এই
মূহুর্তে নাটোরের বনলতা
সেনের কথা মনে
পরে । কিন্তু আমি কোন কবি
নইযে এর অপার সুন্দরর্যের বর্ননা
দিয়ে কবিতা লিখবো। তবুও কিছু
কথা থেকে যায় যা না বলাই
ভাল।
-ভাইয়া আপনি কি আমার কথা
শুনছেন?
-ও ও তুমি। কেমন আছ? বাসার সবাই
ভাল?
-আরে আপনি তোতলাচ্ছেন
কেন!! আর আপনি সবসময় এত গুলা
প্রশ্ন একসাথে করেন কেন?
-আরে ফাজিল মাইয়া তুমি জদি
বুঝতা তাইলে কি আমার এতদিন
একা থাকতে হয়। কিন্তু কিন্তু
কিছুই বলতে পারলাম না।আরে
না এমনি জিজ্ঞাস করলাম । তা
কোথায় যাচ্ছ?
-আপনাকে কি সব বলতে হবে?
-না না তা বলবা কেন বেয়াদব
মে কোথাকার।
আরে না কি জে বলো আমি তো
এমনি জিজ্ঞাস করলাম। এই
কথাটা বলে একটা ফিসলা
হাসি দিলাম।
-আপনি সব সময় হাসেন কেন?
আপনার হাসি দেকলে আমার গা
জ্বলে যায়।
-মনে মনে বলি ওই পিচ্চি আমার
হাসিতে কি পেট্রোল আছে
যে তোর গা জ্বলে যায়।
আসলে তুমিতো এখন ছোট তাই
জান না যে হাসলে হার্ট ভাল
থাকে আর তা ছারা আরো
অনেক উপোকার করে শরিরের।
-আপনি আবার আমাকে ছোট
বল্লেন । আপনি জানেন না আমি
এখন Inter 1st ইয়ারে পরি। আর
দাড়ান আজ আপনাদের
বাসায় গিয়ে আন্টির কাছে
বিচার দিবো যে
আপনি সিগারেট খান!!
-এইরে বাসায় জদি বলে
তাহলেই হইছে!! আরে কে
বলেছে তুমি পিচ্চি তুমি এখন বড়
হয়ে গেছ তাই না!!
-আপনিতো বললেন এইমাত্র
-ও মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে। আর
বের হবে না এখন থেকে
প্রতিদিন ডিটারজেন্ট দিয়ে
কুলি করবো।
-ওকে যান বলবো না এই বলে
একটা হাসি দিয়ে চলে গেল আর
আমার বুকেও আগুন দিয়ে চলে
গেল। ওর এই হাসি দেকলেই বুকের
বাম পাশে কেমন জানি করে।
কি রকম ফিলিংস সেইটা
নিজেও বুঝে উঠতে পারি না।
ওর নাম সামান্তা। ও আমাদের
এলাকায় থাকে
আর ওর বাসার সাথে আমাদের
বাসার অনেক ভাল সম্পর্ক প্রায়
যাওয়া আসা হয়।
আমি যখন Inter 1st ইয়ারে পরি তখন
থেকেই ওকে পচ্ছন্দ করি। আমার
মনের
এক কোনে একটু একটু করে এই
ভাললাগা ভালবাসায় পরিনত
হয়েছে। কিন্তু
এই পিচ্চি বোঝে না আমার
মনের ভাষা।
আর তাই আমিও জোর দেই না।
২.
ভার্সিটি থেকে ক্লাস করে
আসা ধরছিলাম।
যেহেতু বর্ষাকাল তাই যা হওয়ার
তাই হলো।
ঝুপঝুপ করে বৃষ্টি নামলো। আর
আমার এক কথায় বৃষ্টি ভাল লাগে
না কিন্তু জোর
করেই ভিজতে ভিজতে বাসায়
দিকে রওয়ানা দিলাম।
এলাকায় ঢুকবো ঠিক তখনি
দেকলাম কিছু দূরে আরেকটি মে
খুব আনন্দের সাথেই বৃষ্টিতে
ভিজতেছে।
একটু ভাল করে লক্ষ্য করলাম আর
ঠিকি
চিনতে পেরেছি এই পাগলীটা
সামান্তা।
আমি ওর কাছে গেলাম খুব কাছে
গিয়ে
ডাক দিলাম
-এই পিচ্চি বৃষ্টিতে ভিজতেছ
কেন?
আমার কথা শুনে একটু ভয় পেল
তারপর
পিছে ফিরে দেকলো আমি তবুও
পুরাপুরি ভয়টা গেল না চেহারা
থেকে!
-আপনি আবার আমাকে পিচ্চি
বললেন।
-তাইতো আমি আবার ভুল করলাম!!
-আপনাকে কিছু বলে লাভ নাই
আপনি একটা আপনি একটা,,,,
-আমি একটা কি?
-আপনি একটা মিচকে শয়তান।
(রাগের ইমু)
-ও তাই নাকি। তা মিচকে শয়তান
আমার মত
দেকতে নাকি?
-হুম। এই বলে আবার একটা হাসি
দিল
-এইরে আমি মনে হয় নতুন করেএই
পিচ্চির
প্রেমে পরলাম। কারন ওর এই
হাসিটা যতবার
দেখি ততবার ওর প্রেমে পরি।
-কি ভাবছেন?
-কিছু না। তোমার কি বৃষ্টি ভাল
লাগে?
-হিম। এই বৃষ্টির মধ্যে আলাদা
একটা শুর আছে আর এই সুরটা অনেক
সুন্দর যা অন্য
কিছু থেকে পাওয়া যায় না।
-বৃষ্টির আবার আলাদা শুর। এই বলে
আবার
ফিসলা হাসি।
-আপনার বিশ্বাষ হয় না। আপনি
চোখ বন্ধ করুন আর খুব কাছ থেকে
বৃষ্টিকে অনুভব
করুন তাইলেই শুনতে পারবেন।
-আমিও ওর কথা মত গভীর মনযোগে
বৃষ্টির
শুর শুনতে চেষ্টা করছি । আর এই
প্রথম আমার
কাছে বৃষ্টি ভাল লাগলো।
-কি শুনতে পারছেন?
-ওর কথায় আমি বাস্তবে ফিরে
এলাম। হুম পাচ্ছি।
-বলেছিলাম না।
-তোমাকে একটা কথা বলার
ছিলো। কিন্তু
কিভাবে বলি ভেবে পাচ্ছি
না।
-একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলুন এত
ভনিতা করার কিছু নাই।
-মানে আমি তোমাকে একটু আকটু
ভালবাসি।
-তার মানে আপনি বেসি
ভালবাসেন না।
-না না আমি তোমাকে অনেক
বেসি ভালবাসি।
-তাহলে আপনি খালি হাতে
এসেছেন কেন?
-ও তাই। কিন্তু এখন গোলাপ
পাবো কোথায়?
-আমি জানি না যেখান থেকে
ইচ্ছা সেইখান থেকে আনবেন।
-মনে মনে বলি তুমি আসলেই
পিচ্চি। তাহলে
চলো সামনে আগাই দেখি
পাওয়া যায় নাকি।
হাটতে হাটতে একটা পার্কে
ঢুকলাম। আর তখনও বৃষ্টি পরতেছে
অবিরামভাবে। গোলাপ
পেলাম না তাই আমার প্রিয় কদম
ফুল দিয়েই
প্রপজ করলাম।
-আপনি আসলেই একটা মিচকে
শয়তান।
-কেন আমিতো তোমাকে
প্রোপজ করলাম।
-হুম করছেন কিন্তু একবার বলেন
নাই ভালবাসি।
-ও। তারপর ওর হাতের থেকে কদম
ফুল গুলো নিয়ে আবার নতুন করে
বল্লাম ঃ-
-পিচ্চি মে, আমি তোমাকে
ভালবাসি
তুমিকি সারাজীবনের জন্য
আমার পিচ্চি হতে
রাজি আছো। যদি রাজি থাক
তাহলে তোমার ওই হাত দুটো
বাড়িয়ে দাও।
এই প্রথম ওর হাত ধরলাম। আর আমি
চাই এই হাত আর কোনদিন ছারবো
না।আর
একটি বর্ষনমুখর দিনে নতুন করে
একটি
ভালবাসার শুরু হলো। প্রায় ৩ বছর
প্রেম
করলাম কিন্তু এর ভিতরে কিছু
অপ্রিতী
ঘটনা ঘটে গেল। ওর বাবা মারা
যায় হঠাত করে কিছুদিন আগেই।
"
৩.
ওপরের কথা গুলো আজ সব সৃতি।
কাল
সামান্তার বিয়ে। এটাই বাস্তব
কারন ওর
বাবা মরে যাওয়ার সময় একটা
শেষ ইচ্ছা বলেগেছেন।
তার শেষ ইচ্ছাটা হলো তার মের
সাথে তার
বন্ধুর ছেলের বিবাহ দেয়া।
কিন্তু সামান্তা এসবের কিছুই
জানতো না। শুধু ওর মা জানতো।
তাই ওর বিয়ে ঠিক করেছে ওই
ছেলের সাথে।
"
আজকাল নিকোটিনের গন্ধ আর
কাজ করে
না। মনেহয় একসাথে ৪-৫
সিগারেট খাই। হঠাত
সামান্তার ফোন।
-হ্যালো
-তুমি কোথায়? (কাদতে কাঁদতে)
-কেন বাসায়।আর তোমার না
কাল বিয়ে এখন ফোন দিছো
কেন?
-চলনা আমরা পালিয়ে যাই।
-আমি ওর মুখ থেকে এরকম কিছুই
আশা করেছিলাম। না এখন
পালানো সম্ভব না।
-কিন্তু কেন? আর তুমি আমাকে
ভালবাস না।
-হুম ভালবাসি। আর ভালবাসি
বলেই তোমাকে নিয়ে
পালাতে পারবো না। তোমার
বাবার শেষ ইচ্চা তোমার সাথে
তার বন্ধুর ছেলের বিয়ে হোক
তারপর তোমার মার ওই হাসিমুখ
তোমার আত্মীয় স্বজনের মনে
দঃখ দিয়ে আমরা কখনও সুখী হতে
পারবো না।
-এটাই তোমার শেষ কথা।
-হুম।
-ভাল থেক।আর নিজের দিকে
খেয়াল রেখ।
"
এই মূহুর্তে আমার মনে যে ঝড়
হচ্ছে তা থামানো সম্ভব না আর
এই ঝড়ে সব কিছু তছনছ হয়ে যাবে।
কিন্তু এই কষ্টটা সাময়িকের
জন্য। আমি জানি ও এখন খুব।
কাঁদবে। কিন্তু
বাস্তবকে মেনে নিতেই হবে।
আমি পারতাম ওকে নিয়ে
পালিয়ে যেতে কিন্তু আমাদের
সুখের জন্য অন্য কার মনে দুঃখ
দেওয়ার অধিকার আমার নেই।
ভালবাসলেই পেতে হবে কোন
কোন ক্ষেত্রে
দিতেও হয়।
এটাই বাস্তব। সামান্তা চলে
গেছে কিছুক্ষন আগে ওর বরের
সাথে। কিন্তু আজ কেন
বৃষ্টি হচ্ছে। হয়ত বৃষ্টি চায় আমার
সব কান্নাকে
বৃষ্টির জলে ধুয়ে দিতে। এই সেই
বৃষ্টিমুখর দিন যে দিন আমার আর
সামান্তার পথ চলা শুরু
হয়েছিল আর আজকেই আবার সব
শেষ হলো।,,
"
(একাকি হাটছি বৃষ্টির মধ্যে
কেউ নেই চারপাশে শুধু হাতে
কয়েকটি কদম ফুল)
লেখক : Himur Dupur(Devil Himu