মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৭৪- নিজেকে মুরগি মনে হয়

মানসিক হাসপাতালের এক রোগী একমনে কী যেন লিখছেন।
চুপি চুপি পেছনে এসে দাঁড়ালেন ডাক্তার। বললেন, কী হে, চিঠি লিখছেন নাকি?
রোগী: হু।
ডাক্তার: কাকে লিখছেন?
রোগী: নিজেকে।
ডাক্তার: বাহ্! ভালো তো। তা কী লিখলেন?
রোগী: আপনি কি পাগল নাকি মশাই? সবে তো চিঠিটা লিখছি। চিঠি পাঠাব, দুদিন বাদে চিঠিটা পাব, খুলে পড়ব। তারপর তো বলতে পারব কী লিখেছি!
--------------------------

মানসিক ডাক্তারের কাছে গেছেন এক রোগী।
ডাক্তার: কী সমস্যা আপনার?
রোগী: আমার নিজেকে একটা মুরগি মনে হয়।
ডাক্তার: কবে থেকে আপনার এ সমস্যা?
রোগী: যখন আমি ডিম ছিলাম, তখন থেকেই!
---------------------------

পদা: কিরে গদা, ডাক্তার দেখাইতে গেলি, ডাক্তার কি পরামর্শ দিল?
গদা: ডাক্তার আমারে বলছে মানুষ খুন করা শুরু করতে।
পদা: মানে?!
গদা: না, মানে সরাসরি খুনের কথা বলে নাই। বলছে যে, যেসব ব্যাপার নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা হয়, সেগুলোকে ঝেড়ে ফেলতে। একই তো কথা, নাকি?
--------------------------

শফিক: হ্যালো, হ্যালো! হাসপাতাল? এক্ষুনি আমার একটা অ্যাম্বুলেন্স দরকার। আমার স্ত্রী একটা বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে ফেলেছে।
হাসপাতাল থেকে লোকজন ছুটে গেল শফিকের বাসায়।
হাসপাতালের কর্মী: একি! আপনার কপাল অমন ফোলা কেন? ঠোঁটও দেখছি কেটে গেছে। ঘরটাই বা এমন লন্ডভন্ড কেন?
শফিক: কারণ, আমার স্ত্রী কিছুতেই মাশরুমটা খেতে চাচ্ছিল না!
------------------------

এক ভদ্রমহিলা গেছেন ডাক্তারের কাছে—
ভদ্রমহিলা: ডাক্তার সাহেব, আমার দুটো কান পুড়ে গেছে।
ডাক্তার: হুম্, দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কীভাবে পুড়ল?
ভদ্রমহিলা: আমি আমার স্বামীর শার্ট ইস্ত্রি করছিলাম। হঠা ৎ ফোন এল। আমি ফোন না তুলে ভুল করে ইস্ত্রিটা তুলে কানে লাগিয়ে ফেলেছিলাম।
ডাক্তার: বুঝলাম, কিন্তু অন্য কানটা পুড়ল কীভাবে?
ভদ্রমহিলা: লোকটা যে আবারও ফোন করেছিল!
----------------------------

এক রোগী ডাক্তারের কাছে গেল ইনজেকশন নেওয়ার জন্য। ইনজেকশনের কথা শুনে রোগী যতটা না ব্যথার কথা চিন্তা করল, তার চেয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ল গায়ে ইনজেকশনের যদি কোনো দাগটাগ পড়ে এই ভেবে! তাই সে ডাক্তারকে বলল, ‘ডাক্তার সাহেব, ইনজেকশন দিলে তো গুটি হয়ে থাকতে হতে পারে। আবার জায়গাটা কালোও হয়ে যেতে পারে। আপনি এক কাজ করেন, ইনজেকশনটা এমন জায়গায় দিন, যেন কেউ দেখতে না পায়।’
ডাক্তার বলল, ‘তাহলে আপনার জিহ্বাটা বের করুন।’
---------------------------

বাবা তার ছোট সন্তানকে: আমার লক্ষ্মী বাবা! সোনা বাবা!!
পিচ্চি: আমি তোমার বাবা হব কী করে? আমি তো বিয়েই করিনি, তাই না, মা?

---------------------------

রোগী: সকাল থেকে এসে বসে আছি। ব্লাড ক্যানসার নিয়ে এতক্ষণ কি বসা যায়? বাবারে কও না দুইটা ঝাড়ফুঁক দিয়া আমারে ভালা কইরা দিতে। ট্যাকা-পয়সা কম দিমু না।
ওঝাবাবার সহকারী: বললাম তো আজকে সম্ভব না। ওনার পেটের পীড়া হইছে। দৌড়ের ওপর আছেন। একটু পরে ডাক্তারের কাছে যাইতে হইব। যান, দুই দিন পরে আসেন।
--------------------------

এক লোক অনেক দিন ধরে চুলকানির সমস্যায় ভুগছে। একদিন সে গেল এলাকার এক ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার রোগীর রোগের ইতিহাস শুনে অনেকক্ষণ চিন্তাভাবনা করে এক ডোজ ওষুধ দিলেন।
রোগী খুশি হয়ে বলল, ‘এবার আমার চুলকানি চিরতরে সারবে তো?’
ডাক্তার বেশ গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘এটা চুলকানি সারার ওষুধ না।’
রোগী অবাক হয়ে বলল, ‘এটা চুলকানি সারার ওষুধ না তো কিসের ওষুধ?’
ডাক্তার আগের মতোই বললেন, ‘এই ওষুধটা আমি দিয়েছি আপনার নখ বড় হওয়ার জন্য, যাতে চুলকিয়ে আরাম পান।’
--------------------------

দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর তিন পাগলকে নিয়ে বসেছেন চিকিৎসক।
চিকিৎসক: বলো তো, ৩ কে ৩ দিয়ে গুণ করলে কত হয়?
প্রথম পাগল: ৩৯৮
হতাশ চিকিৎসক দ্বিতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।
দ্বিতীয় পাগল: মঙ্গলবার
হতাশ হয়ে চিকিৎসক তৃতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।
তৃতীয় পাগল: ৯
‘ভেরি গুড! এবার বলো তো, তুমি এটা কীভাবে বের করলে।’ খুশি হয়ে বললেন চিকিৎসক।
তৃতীয় পাগল: খুবই সহজ! ৩৯৮ থেকে মঙ্গলবার বিয়োগ করেছি!