মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ১০৮- বল্টুর কীর্তি (১৮+)


বল্টুর অফিসের কাজে মন বসে না। তার গা ম্যাজম্যাজ করে, মেজাজটাও খারাপ হয়ে থাকে।
বস একদিন ডাকলেন তাকে।
শোনো, এভাবে তো চলবে না। তোমাকে চাঙা হতে হবে।
আমারও এরকম হতো আগে। তখন কী করতাম জানো?
লাঞ্চ আওয়ারে বাড়ি চলে যেতাম। তোমার ভাবীর হাতের মজার রান্নাখেয়ে, ঘন্টাখানেক তাকে চুটিয়ে আদর সোহাগ করতাম !
হে হে, বুঝতেই পারছো,
কী বলতে চাইছি।
এরপর থেকে আমি একদম চাঙা, কোন সমস্যা হয় না।
তুমিও ওরকম একটা কিছু করে দেখো, ফল পাবে।
সপ্তাহ খানেক পর বস দেখলেন, অফিসে বল্টুর কাজ চলছে দারুণ। টেলিফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার নিয়ে দক্ষযজ্ঞ কান্ড একেবারে।
বস হাসলেন, কী মিয়া, পরামর্শ কাজে লাগলো?
বল্টু উৎফুল্ল গলায় বললো,
জ্বি স্যার, একেবারে হাতে হাতে। আর ভাবীর হাতের রান্না তো অপূর্ব!
-----------------------

বাবা: পল্টু, তুই আবার স্কুল পালিয়ে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলি?
পল্টু: না, বাবা। বিশ্বাস করো, আমি সত্যি বলছি।
বাবা: উঁহু, আমার বিশ্বাস হয় না।
পল্টু: আমি ফুটবল খেলতে যাইনি, বাবা, প্রমিজ! এই দেখো, প্রমাণ হিসেবে আমার ব্যাগে ক্রিকেট বল আছে!
------------------------

এক কৃষকের ছিল তরমুজের খেত। খেতে অনেক তরমুজের ফলন হতো। কিন্তু রাত হলেই কিছু দুষ্টু ছেলেপুলে এসে ওই কৃষকের তরমুজ খেয়ে যেত। একদিন কৃষক একটা বুদ্ধি আঁটলেন। তরমুজের খেতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিলেন।
রাতের বেলা ছেলেরা তরমুজ চুরি করতে এসে দেখে, তরমুজের খেতে সাইনবোর্ড লাগানো। তাতে লেখা আছে, ‘সাবধান! এই খেতের একটি তরমুজে বিষ মেশানো আছে!’
পরদিন কৃষক দেখলেন, তাঁর সব তরমুজই অক্ষত। খুশিমনে বাড়ি যাওয়ার পথ ধরবেন, হঠাৎ লক্ষ করলেন, খেতে আরও একটা সাইনবোর্ড লাগানো। তাতে লেখা, ‘সাবধান! এখন দুইটা তরমুজে বিষ মেশানো আছে!’
---------------------

বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেছেন শাকিল। গিয়ে দেখেন বন্ধুর স্ত্রী কাঁদছেন।
শাকিল: কিরে, তোর বউ কাঁদছে কেন?
বন্ধু: জানি না। জিজ্ঞেস করিনি।
শাকিল: ওমা! জিজ্ঞেস করিসনি কেন?
বন্ধু: আগে যতবার জিজ্ঞেস করিছি, প্রতিবারই আমাকে ফতুর হতে হয়েছে!
--------------------

বাড়িতে অতিথি এসেছেন। অতিথিদের নিয়ে খেতে বসেছেন বাড়ির কর্তা-কর্ত্রী। চলছে বেশ গল্পসল্প। অতিথিদের ছোট্ট ছেলেটার সঙ্গে আবার সে বাড়ির পিচ্চি ছেলেটার দারুণ ভাব। দুজন ভেতরের ঘরে খেলছিল।
হঠাৎ বড়দের সামনে এসে দাঁড়াল দুই পিচ্চি। আড়চোখে দুজনকে দেখে বাড়ির কর্তার চোখ তো ছানাবড়া! দুজনের গায়েই যে জন্মদিনের পোশাক! ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে গেলেন তিনি। এদিকে দুজনকে চোখে পড়েছে অতিথিদেরও। তাঁরাও ভীষণ বিব্রত! লজ্জা পেয়ে দুজনকে দেখেও না দেখার ভান করলেন তাঁরা।
খাবার টেবিল ঘিরে একবার চক্কর খেল দুই শিশু। ভেতরের ঘরে যেতে যেতে একজন আরেকজনকে বলল, ‘বলেছিলাম না? অদৃশ্য হওয়ার ক্রিমটা সত্যিই কাজের!’
-------------------------

দুই সর্দার গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক সর্দারের মনে হলো, গাড়ির ইন্ডিকেটর বাতিটা কাজ করছে না। তিনি অপর সর্দারকে বললেন, ‘দেখো তো, ইন্ডিকেটরটা কাজ করছে কি না।’
অপর সর্দার গাড়ি থেকে নামলেন। সামনে থেকে দেখে বললেন, ‘জ্বলেছে! না না, নিভে গেছে! আবার জ্বলেছে! যাহ নিভে গেল! জ্বলেছে! নিভে গেছে! আবার জ্বলল…….!’