সংকলন ১০৯- কৃপণের হাত
জয়নাল সাহেব বেজায় কৃপণ। একদিন তিনি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় হঠাৎ বিশাল একটা ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে গেল। গাড়িটা দুমড়েমুচড়ে গেলেও প্রাণে বাঁচলেন জয়নাল। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখল, জয়নাল সাহেব গাড়ির পাশে বসে হাউমাউ করে কাঁদছেন, আর বলছেন, ‘আমার এত দামি গাড়িটার কী হলো গো…’
পুলিশ: আপনি তো ভাই অদ্ভুত লোক! গাড়ি না হয় গেছে, কিন্তু আপনার হাতটা যে ভেঙেছে, সে খেয়াল আছে?
এতক্ষণে হাতের দিকে খেয়াল হলো জয়নাল সাহেবের। এবার আরও জোরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন, আর বললেন, ‘ও খোদা গো! আমার এত সাধের দামি রোলেক্স ঘড়িটা…’
-----------------------
শিক্ষক: বল্টু! আশা করছি, আগামী পরীক্ষায় আমি তোমাকে পাশেরজনেরটা দেখে লিখতে দেখব না।
বল্টু: আমিও তাই আশা করি স্যার, আপনি যেন না দেখেন!
---------------------
বিজ্ঞান ক্লাস চলছে।
শিক্ষক: পল্টু, দাঁড়াও। বলো দেখি, সমুদ্রের পানি লবণাক্ত কেন?
পল্টু: সে বহুকাল আগের কথা। বিশাল এক জাহাজভর্তি লবণ যাচ্ছিল সমুদ্র দিয়ে। এমন সময় প্রচণ্ড ঝড়ে জাহাজটা ডুবে গেল…
------------------
খোকন: জানেন স্যার, গতকাল আমার দাদিকে আপনার কথা বলছিলাম।
স্যার: তাই নাকি? তা তোমার দাদি কী বললেন?
খোকন: দাদি খুব আফসোস করলেন। বললেন, ‘আহা, আমার যদি এমন একজন শিক্ষক থাকত!’
স্যার: বাহ্! এ বয়সেও তোমার দাদির পড়ালেখায় এত আগ্রহ!
খোকন: না স্যার, তা না। দাদির অনেক দিন ভালো ঘুম হয় না কি না…
-------------------------
শিক্ষক: পল্টু, মনে করো, তুমি জাহাজে করে যাচ্ছ। এমন সময় প্রচণ্ড ঝড় আর বৃষ্টি। কী করবে তুমি?
পল্টু: স্যার, আমি দ্রুত নোঙর ফেলব।
শিক্ষক: ধরো, একটু পর আবারও ঝড়! বৃষ্টি! কী করবে তুমি?
পল্টু: স্যার, আমি আবারও নোঙর ফেলব।
শিক্ষক: আবারও ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে?
পল্টু: আবারও নোঙর ফেলব!
শিক্ষক: ওহ্! তুমি এত নোঙর পাও কই?
পল্টু: স্যার, আপনি এত ঝড়-বৃষ্টি পান কই?
------------------------------
শিক্ষক বললেন, ‘একটি ক্রিকেট ম্যাচের বর্ণনা দিয়ে রচনা লেখো।’
মতি দুই মিনিট পরই খাতা জমা দিল। সে লিখেছে, ‘বৃষ্টির জন্য খেলা পরিত্যক্ত!’
----------------------
ক্রেতা: তোমার দোকানে কি সবকিছু পাওয়া যায়?
বিক্রেতা: জি স্যার, সব পাবেন!
ক্রেতা: বিস্কুট আছে?
বিক্রেতা: ওহেহা, স্যরি স্যার, বিস্কুট একটু আগেই শেষ হয়ে গেছে।
ক্রেতা: চাল আছে?
বিক্রেতা: চাল স্যার এখনো এসে পৌঁছায়নি। আমি স্যার খুবই দুঃখিত।
ক্রেতা: সাবান আছে?
বিক্রেতা: স্যার, সাবান আজকে বিকেলে এলেই পাবেন, এখন নেই।
ক্রেতা: তালা আছে?
বিক্রেতা: জি জি স্যার! এটা আছে!
ক্রেতা: গুড। দোকানে তালা লাগাও, আর বাড়ি গিয়ে ঘুমাও।
-----------------------
পল্টু বেকারির দোকানে নতুন চাকরি পেয়েছে। অথচ চাকরির দুই দিনের মাথায় দোকানমালিক তাকে ছাঁটাই করে দিল। কী তার অপরাধ?
দোকানে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন। বলেছিলেন, খোকা, তোমাদের এখানে কি কুকুরকে খাওয়ানোর কেক পাওয়া যায়?
পল্টু গদগদ হয়ে বলেছিল, অবশ্যই স্যার! এখানে খাবেন, না বাড়ি গিয়ে খাবেন?
----------------------
ছোটবেলা গোপাল ভাঁড় কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে বুড়োরা তাকে ক্ষেপাত আর হাসত, ‘গোপাল, এর পর তোমার পালা।’
শুনে গোপালের খুব রাগ হত। বুড়োদের কিভাবে জব্দ করা যায়, সেই পথ খুঁজতে লাগল এবং এক সময় পেয়ে গেল।
শবদাহ আর শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়ে ঐসব বুড়োদের বলতে লাগল, ‘এর পর তোমার পালা!’
----------------
শিক্ষক: অংকের হোমওয়ার্ক কই?
ছাত্র: অনেক প্রবলেম ছিল তো তাই হোমওয়ার্ক সুইসাইড করছে, স্যার!
--------------
পরিচিত রেস্টুরেন্টে খাওয়া শেষে খদ্দের ওয়েটারকে ডেকে বলল, ‘তোমাদের আগের বাবুর্চিটা মারা গেছে, তাই না?’
ওয়েটার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কি করে জানলেন, স্যার? খাবার কি খারাপ হয়েছে?’
খদ্দের জবাব দেয়, ‘না…খাবার ঠিকই আছে…তবে আগে সাদা চুল পেতাম, ইদানীং কালো চুল পাচ্ছি।’