লেখকঃ Heart'rider Arif (স্বপ্ন)
আজ মিষ্টির জন্মদিন।
প্রতিবার জন্মদিন ওর কাছে খুব ভালো গেছে,
তবে আজকের টা অনেক বিষাদময়।
কারণ প্রতিবারের মতো এবার ওর জন্মদিনে
ধুমধাম নেই, নেই ভালো জামা।
আর সবচাইতে দুঃখের বিষয় আজ তার
পাশে তার ভাই নেই, ওকে আর দুষ্টু আপুণি বলার
মত ভাইয়াটা আজ কোথায় গেল???
সত্যিই কি তাহলে ভাইয়াটা অভিমান করলো?
.
ভালো জামা জন্মদিনে ধুমধাম এসব কিছুই চায়না সে
কেবল চায় তার ভাইয়াটা তার পাশে থাকুক।
.
মিষ্টির ভাইয়াটা ওকে ছেড়ে চিরতরের জন্য
চলে গেছে না ফেরার দেশে।একথা ও মেনে নিতেই
পারেনা।
.
মিষ্টির মায়ের কথা ভাবলেই কান্না আসে!!!
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজ নির্বাক হয়ে গেছে!!
নাওয়াখাওয়া ছেড়ে দিয়ে পাগলপ্রায়।
.
ভাবলে খুবই কষ্ট হয়। বন্ধুদের কাছে
অতি প্রিয় ছিল আবিদ!!
কারণ খুব সুন্দর কবিতা লিখতে পারতো ও।
এখন ওকে ছাড়া বন্ধুদের মাঝে কেমন বিমর্ষতা
দেখা দিয়েছে। কারও মন ভালো নেই আজ।
কারণ ওদেরকে সবসময় কবিতার ঝুরি কে
উপহার দেবে? কে বলবে আজ "চল ভালো কিছু করি"
.
আর হেমা? তার কি অবস্থা!!!
কে আর ওকে নিয়ে কবিতা লিখবে?
কে গুজে দেবে খোপায় ফুল?
কে ওকে ডাকবে "ডাইনি" বলে?
কে ভাঙ্গাবে ওর রাগ?
কার উপর বা রাগ করবে ও?
আবিদ বলেছিলো কখনো ছেড়ে যাবেনা ওকে।
আবিদ তার কথা রাখতে পারলো না।
রাখতে চেষ্টা করেনি তা নয়।
একটা সড়ক দূর্ঘণায় সব কেমন এলোমেলো
হয়ে গেল!!!
.
মিষ্টি হারালো তার ভাইয়াকে, মা হারালো ছেলেকে।
বন্ধুরা হারালো তাদের মধ্যমনিকে। আর
হেমা হারালো তার গোটা পৃথিবীকে।
.
.
মাত্র একটু অসাবধানতা কেড়ে নিল
আবিদ এর জীবন।
.
মৃত্যুটা অনেক ভয়াবহ ভাবেই ঘটে গেছে
আবিদ এর।
.
সেদিন কলেজ থেকে কেবল বের হয়ে দর্শনার রোড
ধরে হাটছিলো ও।
কিন্তু একটা মাইক্রোবাসের সামনে চাপা পড়ে কোমায়
চলে যায় আবিদ।
তারপর ৫ দিন ঐ অবস্থায় ছিলো ও।
তারপর আর জাগেনি আবিদ।
কোমায় থাকা অবস্থায় চলে গেছে পরপারে।
.
আবিদ এর মৃত্যুর কিছুদিন আগেই ক্যান্সারে অক্রান্ত
হয়ে মারা গেছে আবিদ এর বাবা,
আবিদ এর মা সেই ধাক্কাই কাটাতে পারেনি।
একমাত্র ছেলের মৃত্যুর পর কোন মা আর
কি ঠিক থাকতে পারে?
.
এভাবেই প্রতিনিয়ত সামান্য অসাবধানতায়
বাংলাদেশে অনেক ছেলেকে হারাচ্ছে
তাদের মায়েরা।
.
আবিদ,কিংবা মাইক্রোবাস চালক একটু সাবধান হলে
এমনটি ঘটতো না।
.
(সাবধানতা অবলম্বন করুন, যেকোনো দূর্ঘটনা থেকে
বাচুন)