মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৫৪- এ রাম তুমি ন্যাংটো পুটো

নিম্ন মধ্যবিত্তের পাড়ায় হঠাৎ এক বিত্তশালী পরিবার বাড়ী পরিবার বাড়ী-ঘর বানিয়ে বাস করতে এল । প্রত্যোক কথায় কাজে টাকার গরম দেখিয়ে দেখিয়ে তারা প্রতিবেশীদের সকাল – সন্ধ্যা কেবলই অবাক করে দিতে লাগল । কোন এক দুপুর বেলায় মেয়েদের মজলিসের বড়লোক গিন্নি আসর জাকিয়ে বসে গল্প শুরু করেন–

– আমার স্বামীর ভাইয়ের কেবল পাইপ টানতে চার জন লোক লাগে ।
– সে কি শুধু পাইপ খাওয়াতেই চারজন মানূষ খাটে?
– হ্যাঁ , একজন পাইপটা পরিস্কার করে, একজন তামাক ভরে তাতে , আরেকজন পাইপটি ধরিয়ে দেয়।
– এত গেক তিন জন । আরেকজন কি করে
– আরেকজন পাইপটি টানে। ওর আবার পাইপ খাওয়া সহ্য হয় না কিনা। ও তাই বরাবরের মত কাঁচি সিগারেটই খায়।
-------------------------------

তিনজন লোক।
একজন আমেরিকার, একজন ইংল্যান্ডের আর একজন বাংলাদেশের। একসাথে ঘুরতে বেরিয়েছে। কে কাকে কিভাবে টেক্কা দেবে তা নিয়ে প্রত্যেকেই ব্যতিব্যস্ত।

হঠাত আমেরিকার লোকটা বলে উঠল- জানো, আমরা কী রকম বীর? কোন বাঘ যদি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে তার দিকে শুধু বন্দুকটা তাক করলেই কেল্লা ফতে! গুল্লি-র কোনো দরকার নাই!

এই কথা শুনে ব্রিটিশ লোকটা বলল, এ আর এমন কি? আমাদের এমন সাহস যে বন্দুক বেরই করতে হয় না….ঝোলার ভেতর থেকে বন্দুকের নলটা যদি কোনভাবে বাঘ ব্রাদারের নজরে পড়েছে বা কোনমতে টের পেইয়েচে তাইলে সেইখানেই তার হার্ট আ্যাটাক!!

এই দুইজনের কতা শুনে বাংলাদেশের লোকটা ভাবতেসে আমার তো প্রেস্টিজের ব্যাপার। তাই সে চট করে বলল-

আরে ধুরো মিয়ারা! তোমরা কোন জমানায় আছো? আমাদের তো বন্দুক-ফন্দুক কিসসু লাগে না! ওই সব আমাদের সাহসের কাছে ফালতু জিনিস, ফাও প্যাচাল!

কথা শুনে আমেরিকান আর ব্রিটিশ তো জব্বর টাসকি খায়া গেল। জিগাইল-তাইলে তোমরা বাঘরে মারো ক্যামনে?

বাংলাদেশের পাবলিক তখন কয়- আরে মিয়া এইডা কোনো ব্যাপার? কোনো বাঘ আমাদের সামনে আইলে তার সামনে গিয়া আমরা শুধু কই-

” এ রাআআ…..ম ! তুমি ন্যাংটো-পুটো? ”

বাঘটা তখন লজ্জাতেই মারা যায়!
-------------------------------

একবার এক সম্মেলনে, একজন বাংলাদেশী এবং একজন আমেরিকান প্রাচীনকালের প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বলছিল, তো কথোপকথনে তারা তাদের নিজ নিজ দেশের অবস্থান আলোচনায় নিয়ে আসেন,

দু’জনের মধ্যেই কথা কাটাকাটি চলছে-

বাংলাদেশী: আমরা প্রাচীন কালে প্রযুক্তি বিদ্যায় অনেক অগ্রসর ছিলাম। তোমাদের মতো সাদা চামড়ার মানুষই আমাদের বর্তমান দুর্গতির কারন।

আমেরিকান: তোমরা তখনও মাথামোটা ছিলে এখনও তাই, প্রযুক্তি ট্রযুক্তি কিছু না, তোমাদের স্থুল বুদ্ধিই তোমাদের দুর্গতির কারন। আর চিকন বুদ্ধির কারনেই আমরা তখন আর এখন দুই সময়েই প্রযুক্তিতে উন্নত।

তো যাই হোক, দু’জনেই তাদের নিজ নিজ যুক্তি পোক্ত করার উদ্দেশ্যে, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য তাদের স্বদেশে ফিরে গেলেন ।
কিছুদিন পরে, আমেরিকান লোকটি খনন কাজ শুরু করলো এবং খনন শেষে একটি পুরানো পেঁচানো তার উদ্ধার করলো।
তারপর সে সম্মেলনে ফিরে এসে বর্ণনা করলো- আমেরিকান সভ্যতা প্রাচীন কালেও অনেক অগ্রসর ছিলো কেন না এই তারটি প্রমান করে যে সেই সময়ে আমেরিকার মানুষ টেলিফোন ব্যবহার করতো।
এরপর বাংলাদেশী লোকটি দেশে ফিরে খনন কাজ শুরু করলো।
অনেক খোড়াখুড়ির পরেও লোকটি কিছুই উদ্ধার করতে পারলো না।
তো সম্মেলনে ফিরে লোকটি বর্ণনা করলো, বাংলাদেশের সভ্যতা প্রাচীন কালে বর্তমানের চেয়েও বেশী উন্নত ছিলো। তখন গ্রামে গ্রামে সবাই সেলফোন ব্যবহার করতো কেন না খনন কাজে আমরা কোন টেলিফোন তার পাই নি।।