সংকলন ১০১- নাড়ি-ভুড়ি (১৮+)
এক লোক অতি বিকট শব্দে বায়ু ত্যাগ করে। তার যেমন বিকট আওয়াজ তেমনি উৎকট গন্ধ।তার বউ বিরক্ত।
-তুমি কি এটা ইচ্ছা করেই করো নাকি?
-ইচ্ছা করে আবার করা যায়?
-কি জানি। তবে তোমার জ্বালায় ত আর থাকতে পারছি না। দেখো কমাতে পারো কিনা।
এত কথা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। পরদিন সকালেই আবার বিকট শব্দে কাজ শুরু করেছে। বউ বিরক্ত হয়ে বলল
-তুমি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছো তাতে কদিন কিন্তু পাদ দিতে গিয়ে নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে যাবে।
-তুমি কি সব কথা বলো। নাড়ি-ভুড়ি বের হবে কেনো?
-বের হবে …একশবার হবে…তুমি জোর করে এমন বিকট আওয়াজ করো।
একদিন সকালে সে অভ্যাসগত ভাবেই বিকট শব্দে ত্যাগ করছে। তার বউ আর শুয়ে থাকতে পারল না। উঠে যেতে যেতে বউয়ের মাথায় এসেছে এক বুদ্ধি। নীচে নেমে ফ্রিজ থেকে মুরগি বের করল। এরপর মুরগির নাড়ি-ভুড়ি নিয়ে এসে স্বামীর পাজামার ভিতর দিয়েছে ঢুকিয়ে। চুপ করে নেমে এলো। রান্না করতে করতে দুই কান খাড়া করে রাখছে সে। কখন তার স্বামী চিৎকার করে ঊঠবে।
কিছুক্ষন পর যথারীতি এক চিৎকার। বউয়ের মুখটা আনন্দে ভরে গেছে। এইবার হইছে উচিত শিক্ষা।
আধা ঘন্টা পর নেমে এসেছে জামাই। এসেই বলে
-ও বউ ,তুমি ঠিকই বলেছিলে। এতো জোরে পাদ দেয়া ঠিক না । আজকে সকালেই পাদ দিয়ে ত নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল আমার।
-তাই নাকি?
-তবে বলছি কি আর। তবে খোদার রহমতে, একটু চেষ্টা করে সমস্তটা আবার ভিতরে ভরে ফেলতে পারছি।
------------------------------------------
প্রফেসর শেষ ক্লাসে ঘোষণা করলেন, ‘পরশু পরীক্ষা। কেউ কোনও অজুহাত দিয়ে পার পাবেন না। তবে নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু কিংবা মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতা হলে ভিন্ন কথা। ‘
পেছন থেকে এক ফাজিল ছোকরা বললো, ‘মাত্রাতিরিক্ত সেক্সজনিত ক্লান্তি হলে কি চলবে স্যার?’
ক্লাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে গেলো। শব্দ থামার পর প্রফেসর বললেন, ‘উহুঁ, সেক্ষেত্রে তুমি অন্য হাতে লিখবে।’
------------------------------------------