=আমাকে একটা বাচ্চা ভূত কিনে দাও
-- তোমার সাথে ঝুলে পড়ার মুহূর্ত থেকে আমি নিজেই ভূত হয়ে গেছি, আম্মা বলেন - কি রে সারাদিন তোকে দেখা যায় না কেন , ভূত হইয়া গেলি নাকি !
=কথা ঘোরাবা না , আমার একটা ভূত চাই।
-- চলো এক কাজ করি , গোরস্থান বা শ্মশানে গিয়ে বসে থাকি , রেস্টুরেন্টের বিল বেঁচে যাবে উপরি হিসেবে ভূত টুতের ঘাড় মটকানো খাওয়াও হবে।
=আচ্ছা , সত্যি কি গোরস্থানে ভূত আছে ?
--চান্স কম , ইদানীং নাকি লাশ চুরি হয়। ভূতেরা ভয়ে ভেগে যেতে পারে, তাদেরও জানের মায়া আছে
=তাহলে আমরা ভূত কোথাও পাবো ! আমার যে ভূত চাই চাই চাই
-- সমাধান একটা আছে। বাকিটা তোমার বিবেচনা
=কি?
--আমরাই একটা ভূত পয়দা করতে পারি , মাত্র তিন কবুলের মামলা। একেবারে স্থায়ী ভূত প্রোডাকশনে নামবো , তুমি চাইলে একের স্থলে দশ বারোটাও আসতে পারে। আমার আপত্তি নাই
=দূর ...
-------
আদিবা দূর বললেও মনে মনে সে খুব খুশি। হাসানের কাছ থেকে সে এই কথাই শুনতে চাচ্ছিলো। হাসান আর সে ছোট্ট একটা ভূত বানাবে। তাদের ডাকা হবে ভুতের বাবা মা। সেই বাচ্চা ভূত সারাদিনরাত হাসানের ঘাড়ে চড়ে বসে থাকবে। ছোট্ট ভুতের ঘুম পেলে আদিবা তাকে কোলে নিয়ে ভুতের গান শোনাবে। ভূতদের গানে শব্দদের অক্ষর উল্টোভাবে পড়তে হয় -
" কাখো লোমাঘু ড়াপা লোড়াজু র্গীব লোএ শেদে, তেলিবুলবু নধা ছেয়েখে নাজখা বোদে সেকি..."