-দোস্ত,আমাকে একটা কাজ করে দিতে পারবি?
-এরকম করে বলছিস কেন? বন্ধু বন্ধুকে হেল্প করবে এখানে কাকুতি-মিনতির
কি হলও।
-না,আসলে তুই ব্যাপারটা কিভাবে নিবি, এজন্যই একটু কনফিউজড ফিলিং এ আছি।
-আরে,বেটা এইরকম মিন মিন না করে কি বলবি সোজাসাপ্টা বলে ফেল।
-কলেজের ঐ মেয়েটাকে না আমার ভীষন পছন্দ হয়েছে। তুই একটা ব্যবস্থা করে দে না,প্লিজ।
-এইসব কি বলছিস। ঐ মেয়েটার সাথে তো অলরেডি আমার রিলেশন
আছে রে দোস্ত।
-সত্যি বলছিস।(একটু আবেগ জড়িত কন্ঠে)
-হুম,কেন সন্দেহ আছে?
-না, তুই তো আমাকে কখনও ওর ব্যাপারে বলিস নি।
-বলি নি,তাতে কি হয়েছে। এখনতো জানা হইছে। আর কখনও ওর দিকে তাকাবি না।
-ঠিক আছে।বেস্ট অফ লাক। এইকথা বলে আদনান তার বাড়ির দিকে
পা বাড়াল।কিছুদূর যাওয়ার পরই পিছন থেকে আবির আদনানকে ডাক
দিয়ে থামিয়ে বললও,
-আরে দোস্ত কোথায় যাচ্ছিস?
-না,আজকে বাড়িতে একটু কাজ আছে। তাই চলে যাচ্ছি।
-মন খারাপ হইছে নাকি তোর।
-না তো।
-তাহলে মুখটা এরকম গুমড়া করে আছিস কেন?
-ফালতু কথা বলবি না।
-আমি কিন্তু তোর মন খারাপের কারন জানি।
-আমার মনই খারাপ হয় নি। আর তুই কোথা থেকে মন খারাপের কারন জেনে গেলি।
-আমার কাছে লুকাবি না। আসলে আদিবার সাথে আমার কোন রিলেশন নেই।তর সঙে মজা করার জন্য মিথ্যা বলছিলাম।
-তুই কিন্তু আমার সাথে ফাইজলামির চেষ্টা করছিস।আমি কিন্তু বোকা না।
-সেটা আমি ভাল করেই জানি। বিশ্বাস কর আদিবার সাথে আমার কোন রিলেশন নেই।
-তুই কি সত্যি বলছিস।
-হ সত্যিই বলছি। তুই কি আসলেই আদিবাকে ভালবাসিস!
-হুম ভালবাসিতো। কিন্তু কি করে ওর সাথে যোগাযোগ করবও সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।এজন্যই তোকে ওর কথা বলেছিলাম।
-অহ,এটা কোন ব্যাপার না। আমি আগামিকালই আদিবার নাম্বার তোকে এনে দিব।তুই এখন নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি যা।
-আচ্ছা,আমি বাড়ি যাচ্ছি। তুই কিন্তু নাম্বারটা অবশ্যই যোগাড় করে দিবি।
-
সেটা নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না। আগামিকাল কলেজে আসিস।
-ওকে বাই। পরেরদিনই আবির আদিবার নাম্বারটা সংগ্রহ
করে আদনানকে এনে দেয়। ঐ দিন রাতেই আদনান আদিবাকে ফোন
দেয়। প্রথম প্রথম আদিবা ফোনে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করলেও,কিছুদিন এভাবে কথা বলার পর আদনানের প্রতি তার মনে ভাললাগার জন্ম নেয়।আর তাই কোন এক পড়ন্ত
বিকেলে আদনান আদিবাকে তার মনের কথা খুলে বলে। আদিবাও আদনানের
প্রস্তাবে না করতে পারি নি। কারন প্রতিটি মেয়ে চায় কেউ না কেউ
তাকে ভালবাসুক।এভাবেই তাদের প্রেমের অধ্যায়ের শুরু। দুই বছর পর-
আজ আদনান এবং আদিবার প্রথম বিবাহ বাষিকী।অবশ্য পারিবারিকভাবেই
তাদের বিয়েটা হয়েছিল।এজন্য তাদের বাসায় একটা ছোটখাট
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটা ঘরোয়াভাবে করা হলেও
তারা আবিরকে দাওয়াত করতে ভুলে নি। কেননা আবিরের কারনেই তাদের
এতদূর আশা সম্ভব হয়েছে। অতঃপর অনেকটা আনন্দের সাথেই
অনুষ্ঠানটা সম্পন্ন হল। আশা করি আদনান এবং আদিবা বাকি জীবনটা সুখেই
কাটিয়ে দেবে।
-তাহলে মুখটা এরকম গুমড়া করে আছিস কেন?
-ফালতু কথা বলবি না।
-আমি কিন্তু তোর মন খারাপের কারন জানি।
-আমার মনই খারাপ হয় নি। আর তুই কোথা থেকে মন খারাপের কারন জেনে গেলি।
-আমার কাছে লুকাবি না। আসলে আদিবার সাথে আমার কোন রিলেশন নেই।তর সঙে মজা করার জন্য মিথ্যা বলছিলাম।
-তুই কিন্তু আমার সাথে ফাইজলামির চেষ্টা করছিস।আমি কিন্তু বোকা না।
-সেটা আমি ভাল করেই জানি। বিশ্বাস কর আদিবার সাথে আমার কোন রিলেশন নেই।
-তুই কি সত্যি বলছিস।
-হ সত্যিই বলছি। তুই কি আসলেই আদিবাকে ভালবাসিস!
-হুম ভালবাসিতো। কিন্তু কি করে ওর সাথে যোগাযোগ করবও সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।এজন্যই তোকে ওর কথা বলেছিলাম।
-অহ,এটা কোন ব্যাপার না। আমি আগামিকালই আদিবার নাম্বার তোকে এনে দিব।তুই এখন নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি যা।
-আচ্ছা,আমি বাড়ি যাচ্ছি। তুই কিন্তু নাম্বারটা অবশ্যই যোগাড় করে দিবি।
-
সেটা নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না। আগামিকাল কলেজে আসিস।
-ওকে বাই। পরেরদিনই আবির আদিবার নাম্বারটা সংগ্রহ
করে আদনানকে এনে দেয়। ঐ দিন রাতেই আদনান আদিবাকে ফোন
দেয়। প্রথম প্রথম আদিবা ফোনে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করলেও,কিছুদিন এভাবে কথা বলার পর আদনানের প্রতি তার মনে ভাললাগার জন্ম নেয়।আর তাই কোন এক পড়ন্ত
বিকেলে আদনান আদিবাকে তার মনের কথা খুলে বলে। আদিবাও আদনানের
প্রস্তাবে না করতে পারি নি। কারন প্রতিটি মেয়ে চায় কেউ না কেউ
তাকে ভালবাসুক।এভাবেই তাদের প্রেমের অধ্যায়ের শুরু। দুই বছর পর-
আজ আদনান এবং আদিবার প্রথম বিবাহ বাষিকী।অবশ্য পারিবারিকভাবেই
তাদের বিয়েটা হয়েছিল।এজন্য তাদের বাসায় একটা ছোটখাট
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটা ঘরোয়াভাবে করা হলেও
তারা আবিরকে দাওয়াত করতে ভুলে নি। কেননা আবিরের কারনেই তাদের
এতদূর আশা সম্ভব হয়েছে। অতঃপর অনেকটা আনন্দের সাথেই
অনুষ্ঠানটা সম্পন্ন হল। আশা করি আদনান এবং আদিবা বাকি জীবনটা সুখেই
কাটিয়ে দেবে।