মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ১১৪- নীলা আর ফোন দেয় না

লেখা - নিস্তব্ধ আজহার

টিভি দেখছি, এমন সময় নিলার ফোন এলো।
আমি প্রথমবার ফোন কেটে দিলাম, কারন অযথা বকর বকর করে ফোন দিয়া।
এরপরে ফোন দিতেই থাকে, দিতেই থাকে।
আমি একটু অবহেলিত ভাবে আমি ফোন উঠালাম।
<হেলো,
>কি হলো? এতক্ষন ধরে ফোন করছি, ফোনটা তুলছো না কেন?
<না, একটু বিজি ছিলাম।
>ও আচ্ছা, কি করছো এখন?
<কিছু না,
>খাওয়া দাওয়া করছো?
<হুম হুম, তুমি করছো?
>না, একটু পরে করব।
<অকে এখন রাখি পরে কথা হবে।
>এই শুনো...
আমি ফোন কেটে দিলাম।
১৫ মিনিট পরে আমার ফোন দিল নিলা!
এই জ্বালা আমার আর সহ্য হয় না।
৩বার ফোন কেটে দিলাম!
কি আর করার ফোন তো উঠাতেই হবে একবার না একবার।
ফোন আবার উঠালাম,
<এই কি হইছে তোমার?
(অপার থেকে একটা পুরুষ এর গলা শুনতে পেলাম)
>ভাই, এই নাম্বার যার, তাকে কি আপনি চিনেন?
<জি, কেন কি হইছে?
>এই মহিলাটা রোড এক্সিডেন্ট করছেন।
[নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলাম না]
<কি বলছেন এই সব হে??
>ভাই, আমরা এই মহিলাকে স্থানিয় এক হাস্পাতালে নিয়ে এসেছি। আপনি যদি পারেন একটু তারাতারি চলে আসেন।
আমি কথা বলতে পারছিলাম না।
৫ মিনিটের জন্য আমি কোথায় যেন হারিয়ে গেছিলাম।
তারাতারি আমি বাইকে করে হাস্পাতালে চলে গেলাম।
রক্ত মাখা শরীর নিয়ে নিলা বেডে শুয়ে আছে। অসহায় ভাবে বাচার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
আমি নিলার কাছে গেলাম। নিলার হাতে আমার হাত রাখলাম। অদ্ভুত এক অনুভুতি জাগলো আমার মনে।
হঠাৎ, নিলা খুব অস্থির আচরন করছে দেখে আমি ডাক্তারকে ডাকতে গেলাম।
এসে আমি হকচকিয়ে গেলাম। নিলা একেবারে স্থির হয়ে গেছে।
আমি দরজায় হেলে বসে আছি, ডাক্তার নিলার পালস চেক করে আমার দিকে ব্যর্থ ভাবে তাকিয়ে আছেন। আমি যা বুঝার বুঝে গেছিলাম।
কিই বা করার ছিল আমার? মরন এর হাত থেকে নিলাকে ফিরিয়ে আনার সাধ্য আমার নেই।
এখন নিলার সাথে ফোনে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু নিলা এখন আর আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করে না...