মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ১৩১- ভালবাসার শুরু না শেষ

লিখা : Rahadul Hasan Tamim

নিলয় ফেসবুকে টুকটাক লেখা লিখি করে।
অবশ্য এটা তার পেশা না,একটু সখ। তার
লেখার মান ভাল হওয়াতে, তার লেখা এখন পেইজে পোস্ট হয়।
হঠাৎ একটি অচেনা ঘুম কুমারী নামক অাইডি থেকে মেসেজ অাসলো,
ভাইয়া রিকুয়েস্ট এসপেক্ট করেন না কেনো।
অাসলে নিলয়ের অনেক গুলো রিকুয়েস্ট অাসছে যার কারণে অার এসপেক্ট করা হয়
না। তখননিলয় ঐ অাইডিটা ঘুরে এসে এসপেক্ট
করলো।সেদিন বেশী রাত হওয়াই নিলয় অফ লাইনে গিয়ে, ঘুমিয়ে পরে।
পরের দিন ঘুমকুমারী-হ্যাই
নিলয়- হ্যালো।
ঘুমকুমারী- কেমন অাছেন নিলয়।
নিলয়- ভালো।
ঘুমকুমারী-কি করেন?
নিলয় - এইতো কিছুনা। বাই বলে অফ লাইনে চলে যাই।এই
দিকে ঘুমকুমারী একটু রাগ হয়। কারণ নিলয় একটু অহংকার করে।
পরের দিন অাবার নিলয় কে নক করলো, কেমন অাছেন নিলয় সাহেব।
নিলয়- ভালো …
তখন ঘুমকুমারী বললো- অাপনি এমন কেনো?
নিলয়-কেমন।
ঘুমকুমারী- অামি অাপনাকে মেসেজ করে অনেক কিছু জানতে চাই,ভালো না খারাপ
জানতে চাই।কিন্তু অাপনি অামাকে কোন প্রশ্নই করেন না।
অাচ্ছা ঠিক অাছে অাপনাকে অার বিরক্তি করবোনা। এই
বলে ঘুমকুমারী অফ লাইনে চলে যাই। নিলয় একটু ভাবে অাসলেই মেয়েটা খুজ
খবর নিতে চায়, দুষের কি একটু চ্যাটিং করলে।
পরের দিন নিলয়কে মেসেজ করলো ঘুমকুমারী।
নিলয় তার সব মেসেজের রিপ্লে দেই। ভালো মন্দ খুজ নেয়।
অাস্তে অাস্তে তারা ভালো বন্ধু হয়ে যাই। নিলয় ঘুমকুমারীর নামটাও
জানে সুপ্তি। তাদের ফেসবুক চ্যাটিং প্রায় সাত মাস,
ফোনেও কথা হয়। সুপ্তি নিলকে ভালবেসে ফেলে কিন্তু
বলেনা, যদি বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু
সুপ্তি অার পারছেনা মনের ভিতর লুকিয়ে রাখতে তার ভালবাসাকে।
অাজকে সে বলবেই। ফোনে বলতে পারবেনা, তাই
ফেসবুকেই বলবে। রাতে সুপ্তি নিলয়কে নক করলো।
নিলয় তকে একটি কথা বলবো (সুপ্তি) বল অামি শুনছি (নিলয়).কথা দে কথা গুলো বলার পর অামাদের বন্ধুত্ব ভাঙ্গতে পারবিনা(সুপ্তি)
অকে ঠিক অাছে (নিলয়). নিলয় অামি তকে ভালবাসি খুব বেশী,
তকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারিনা, একসাথে সবগুলো লিখে মেসেজ দেয়
নিলয়কে সুপ্তি। অার এদিকে সুপ্তি নিলয়ের মেসেজের উত্তরের অাশায় থাকে, যে নিলয়
তাকে ভালবাসবে নি। কিছুক্ষণ পর মেসেজ অাসলো, দেখ এটা হয় না।
অামি তকে দেখি নাই।সেটা বড় কথা না,হয়তো তুই অামাকে যেমনটা ভাবছিস
অামি তেমন না। অামি দেখতে অনেক খারাপ।
সুপ্তি অাবার মেসেজ করে, তুই ভালো না খারাপ অামার জানার
প্রয়োজন নেই।তুই যেমনেই হসনা কেন অামি তকে ভালবাসি।
তকে অামি পছন্দ করি এবং ভালবাসি না দেখেই। তুই কি পারবিনা ভালবাসতে অামাকে না দেখে? তখন নিলয় বলে এটা হয়না।
সুপ্তি বলে অাচ্ছা ঠিক অাছে, তর সাথে অামি অাগামি শুক্রবার তর
সাথে দেখা করবো পার্কে। যদি তুই অামাকে পছন্দ করিস
তাহলেই ভালবাসবি, না হলে নাই। অামি নীল শাড়ি পরে অাসবো, অার
তুই কালো শার্ট অার জিন্স পরে অাসবি। নিলয়ও কিছু না ভেবে হ্যা বলে দেই
যে নিলয় যাবে,, পরের দিন নিলয় পার্কে বসে অাছে একটু
অাগেই। পিছন থেকে কেও একজন চোখ
চেপে ধরলো।নিলয়ের বুঝতে বাকি রইলোনা এটা যে সুপ্তি।
তখন নিলয় বললো এই পেত্নী ছার অামাকে।
কি অামি পেত্নী নিলয়ের সামনে এসে।
নিলয় চোখর পলক ফেলছেনা অপলকে চেয়ে অাছে,
একটি মেয়ে যে এত সুন্দর হতে পারে সুপ্তিকে না দেখলে
বুঝতে পারতাম না। তখন সুপ্তির হাতের
তুরিতে বাস্তবে ফিরে নিলয়। এখন তো অার
অামাকে ভালবাসতে তর কোন অসুবিধে নেই(সুপ্তি)। তখন
নিলয় হ্যা সূচক মাথা নাড়লো। অাসলে নিলয়ও ভালবাসতো সুপ্তিকে, কিন্তু ভয়
হতো সুপ্তি যদি তাকে পছন্দ না করে।
অতঃপর তারা পার্কে বসে অনেক
কথা বললো। হঠাৎ সুপ্তি বায়না ধরলো অাইসক্রিম খাবে। কি অার
করা নিলয় সুপ্তির অাবদার রাখতে রাস্তার ঐ পারর
থেকে অাইসক্রিম অানতে গেলো। অাইসক্রিম নিয়ে যখন চলে অাসবে,
ঠিক সে সময় রাস্তা পার হতে না হতেই একটি ব্রেকফেল বাস
নিলয়কে ধাক্কা দেই।নিলয় সুপ্তি বলে একটি চিৎকার
দেই,যে সুপ্তি তর জন্য অামি অাইসক্রিম
অানতে পারলাম না। তখন সুপ্তি দৌড়ে মানুষের ভিরের
মাঝে গিয়ে দেখে নিলয়ের নিতর দেহটা মাটিতে পরে অাছে। হাতে দুইটা অাইসক্রিমও অাছে। সুপ্তি চিৎকার দিয়ে বলে নিলয় অামার অাইসক্রিম প্রয়োজন নেই তুই
কথা বল, তুই কথা বল নিলয়। নিলয় কি করে কথা বলবে, নিলয় য না ফেরার দেশে চলেগগেছে। সেদিন থেকে সুপ্তি বাকরুদ্ধ
হয়ে যায়। অার কথা বলতে পারেনা।
কি করে পারবে একটি ফুলের কলি ফুটার
অাগেই ঝরেগেল। তার ভালবাসা শুরু হওয়ার অাগেই ভেঙ্গেগেল।
হঠাৎ করেই এক অচেনা কষ্ট সুপ্তির মনকে গ্রাস করে ফেলে। অার
সুপ্তি এই কষ্ট না সইতে পেরে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়,অাজও কারো সাথে কথা বলতে পারেনা,,,!