- মেঘা আপু, মেঘা আপু...
- হ্যা শ্রাবণ বলো, কেমন আছো?
- হ্যা আপু ভাল, তোমার একটু দরকার ছিলো
- কি
- একটা চ্যাপ্টার বুঝিয়ে নিতাম
- কোন চ্যাপ্টার?
- এস্ট্রোপেক্টেন
- আমার যে এখন একটা ক্লাস আছে ভাইয়া,
তোমাকে তাহলে একটু অপেক্ষা করতে হবে।
- নো প্রব্লেম আপু, তোমার জন্য আমি
সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারবো
- এই পাগল ছেলে, সারাজীবন মানে? এই
ক্লাসের সময় হয়ে গেলো আমি গেলাম।
.
আমি শ্রাবণ, আর আমি এতক্ষন যার সাথে কথা
বললাম উনি হলেন আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর
সিনিয়র আপু যাকে প্রথম দেখেই আমি টুপ করে
প্রেমে পরে গিয়েছিলাম। অনেক সাহস
করে কাঠখড় পুড়িয়ে মেঘা আপুর সাথে কথা
বলা শুরু করলাম। বুঝা জিনিস না বুঝা জিনিস
সব কিছু শুধু উনার কাছে বুঝিয়ে নেই। কিন্তু
বুঝাবুঝি যে এখানে কেবলমাত্র বাহ্যিক
বিষয় আর অভ্যন্তরীন বিষয় যে অনেক
সূদুরপ্রসারী এটা আমি বাদে সবারই অজানা।
.
সবকিছু খাওয়ারই কিছু নিয়ম নীতি আছে
কিন্তু আমি সব নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে সিনিয়র
আপুর উপরে ক্রাশ খেয়ে প্রেমের সাগরে
হাবুডুবু খাচ্ছি।
.
ক্লাস শেষে আপু আসলো,
- এই তুমি এতক্ষন এখানে দাঁড়ায় ছিলা?
- হ্যা আপু, কেবল তোমারই জন্য
- আচ্ছা চলো, ওখানটায় বসে চ্যাপ্টার টা
নিয়ে আলোচনা করা যাক
- হ্যা চলো
.
আপু পড়া বোঝাচ্ছে, আর তার দুটো ঠোট
অনবরত এক হচ্ছে, আলাদা হচ্ছে আর সেখান
থেকে সুমিষ্ট ভয়েস ভেসে আসছে আর আমি
তাকিয়ে আছি অবাক দৃষ্টিতে। কর্নকুহরে
বইয়ের পড়াগুলো প্রেমের অমিয় বাণীর মত
শুনতে পাচ্ছি। হালকা বাতাসে চুল গুলো
উড়ছে আর আমি মিষ্টি বড় আপুটির দিকে
চেয়ে আছি, চোখে আমার অনেক প্রেম
প্রকাশমান।
.
- এই ছেলে তোমার মনোযোগ কোথায়? কি
বললাম একটু আগে বলো তো,
- ওই যে হর্মিফরা না কি জানি
- গাধা, আমি এস্ট্রোপেক্টেন এর পানি
সংবহনতন্ত্র বুঝাইলাম, কি ভাবছিলা এতক্ষন
তুমি? আর এমন ভাবে চেয়েছিলা কেন?
- তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে তাই দেখছিলাম
- পড়ায় মনোযোগ না দিয়ে তুমি....
- তোমার মত যদি একটা বউ পাইতাম
- এই আমি তোমার বড় আপু
- তো কি হইছে আপু?
- আজব তো...
.
সুন্দর মূহুর্তটাকে নিজের হাতে না না
নিজের চোখে নষ্ট করে দিলাম। তবুও খুশি
যে আজ মন ভরে দেখতে পেয়েছি মেঘাকে
না মানে মেঘা আপুকে।
.
রাতের বেলা ফেসবুকে আপুর সাথে
চ্যাটিং হচ্ছে,
- আপু তুমি এত সুইট কেনো?
- কেন ডায়াবেটিস হইছে নাকি?
- হয়নাই, তবে হবেই নির্ঘাত, আপু একটা কথা
- কি?
- মেঘা আমি তোমাকে ভালবাসি
মেঘা আপু আমি তোমাকে ভালবাসি
- হি হি, এই ছোটবাবু তোমার ভাইয়া
জানতে পারলে তোমাকে কিমা বানায়
ফেলবে
- ভাইয়া আবার কে? তোমার বড় ভাইয়া
- ওই পোলা, আমার বিএফ এর কথা বলতেছি
.
আর মেসেজ করিনি, জুনিয়র আর সেইম এইজদের
বয়ফ্রেন্ড থাকে থাক, কিন্তু সিনিয়ির
আপুটারও বয়ফ্রেন্ড থাকতে হবে কেনো!
.
অনেকদিন মেঘার মানে মেঘা আপুর সাথে
কথা বলিনা। একদিন মুখোমুখি হয়ে গেলাম,
- এই শ্রাবণ, আপুর আর খোজ নাওনা ক্যান?
- আপু তোমার ব্রেকাপ হইছে?
- মানে?
- মানে কিছুনা? ব্রেকাপ হইছে কিনা
সেটা বলো
- না হয়নি আর হবেই বা কেনো! আর তুমিইবা
আমাকে এ প্রশ্ন করছো কেনো?
- তা তুমি বুঝবানা, ব্রেকাপ হইলে আমায়
বলবে প্লিজ
- আজব তো...
.
মেঘা আপুর সাথে এখন দেখা হলেই এখন একই
প্রশ্ন - এখনও ব্রেকাপ হয়নি আপু তোমাদের। আর
আপু উত্তর দেয়- আজব ছেলে নয়তো পাগল
ছেলে।
.
আজও অপেক্ষায় আছি মেঘার না মানে
মেঘা আপুর ব্রেকাপের অপেক্ষায়।
.
লিখাঃ আমিম এহসান...
- হ্যা শ্রাবণ বলো, কেমন আছো?
- হ্যা আপু ভাল, তোমার একটু দরকার ছিলো
- কি
- একটা চ্যাপ্টার বুঝিয়ে নিতাম
- কোন চ্যাপ্টার?
- এস্ট্রোপেক্টেন
- আমার যে এখন একটা ক্লাস আছে ভাইয়া,
তোমাকে তাহলে একটু অপেক্ষা করতে হবে।
- নো প্রব্লেম আপু, তোমার জন্য আমি
সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারবো
- এই পাগল ছেলে, সারাজীবন মানে? এই
ক্লাসের সময় হয়ে গেলো আমি গেলাম।
.
আমি শ্রাবণ, আর আমি এতক্ষন যার সাথে কথা
বললাম উনি হলেন আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর
সিনিয়র আপু যাকে প্রথম দেখেই আমি টুপ করে
প্রেমে পরে গিয়েছিলাম। অনেক সাহস
করে কাঠখড় পুড়িয়ে মেঘা আপুর সাথে কথা
বলা শুরু করলাম। বুঝা জিনিস না বুঝা জিনিস
সব কিছু শুধু উনার কাছে বুঝিয়ে নেই। কিন্তু
বুঝাবুঝি যে এখানে কেবলমাত্র বাহ্যিক
বিষয় আর অভ্যন্তরীন বিষয় যে অনেক
সূদুরপ্রসারী এটা আমি বাদে সবারই অজানা।
.
সবকিছু খাওয়ারই কিছু নিয়ম নীতি আছে
কিন্তু আমি সব নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে সিনিয়র
আপুর উপরে ক্রাশ খেয়ে প্রেমের সাগরে
হাবুডুবু খাচ্ছি।
.
ক্লাস শেষে আপু আসলো,
- এই তুমি এতক্ষন এখানে দাঁড়ায় ছিলা?
- হ্যা আপু, কেবল তোমারই জন্য
- আচ্ছা চলো, ওখানটায় বসে চ্যাপ্টার টা
নিয়ে আলোচনা করা যাক
- হ্যা চলো
.
আপু পড়া বোঝাচ্ছে, আর তার দুটো ঠোট
অনবরত এক হচ্ছে, আলাদা হচ্ছে আর সেখান
থেকে সুমিষ্ট ভয়েস ভেসে আসছে আর আমি
তাকিয়ে আছি অবাক দৃষ্টিতে। কর্নকুহরে
বইয়ের পড়াগুলো প্রেমের অমিয় বাণীর মত
শুনতে পাচ্ছি। হালকা বাতাসে চুল গুলো
উড়ছে আর আমি মিষ্টি বড় আপুটির দিকে
চেয়ে আছি, চোখে আমার অনেক প্রেম
প্রকাশমান।
.
- এই ছেলে তোমার মনোযোগ কোথায়? কি
বললাম একটু আগে বলো তো,
- ওই যে হর্মিফরা না কি জানি
- গাধা, আমি এস্ট্রোপেক্টেন এর পানি
সংবহনতন্ত্র বুঝাইলাম, কি ভাবছিলা এতক্ষন
তুমি? আর এমন ভাবে চেয়েছিলা কেন?
- তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে তাই দেখছিলাম
- পড়ায় মনোযোগ না দিয়ে তুমি....
- তোমার মত যদি একটা বউ পাইতাম
- এই আমি তোমার বড় আপু
- তো কি হইছে আপু?
- আজব তো...
.
সুন্দর মূহুর্তটাকে নিজের হাতে না না
নিজের চোখে নষ্ট করে দিলাম। তবুও খুশি
যে আজ মন ভরে দেখতে পেয়েছি মেঘাকে
না মানে মেঘা আপুকে।
.
রাতের বেলা ফেসবুকে আপুর সাথে
চ্যাটিং হচ্ছে,
- আপু তুমি এত সুইট কেনো?
- কেন ডায়াবেটিস হইছে নাকি?
- হয়নাই, তবে হবেই নির্ঘাত, আপু একটা কথা
- কি?
- মেঘা আমি তোমাকে ভালবাসি
মেঘা আপু আমি তোমাকে ভালবাসি
- হি হি, এই ছোটবাবু তোমার ভাইয়া
জানতে পারলে তোমাকে কিমা বানায়
ফেলবে
- ভাইয়া আবার কে? তোমার বড় ভাইয়া
- ওই পোলা, আমার বিএফ এর কথা বলতেছি
.
আর মেসেজ করিনি, জুনিয়র আর সেইম এইজদের
বয়ফ্রেন্ড থাকে থাক, কিন্তু সিনিয়ির
আপুটারও বয়ফ্রেন্ড থাকতে হবে কেনো!
.
অনেকদিন মেঘার মানে মেঘা আপুর সাথে
কথা বলিনা। একদিন মুখোমুখি হয়ে গেলাম,
- এই শ্রাবণ, আপুর আর খোজ নাওনা ক্যান?
- আপু তোমার ব্রেকাপ হইছে?
- মানে?
- মানে কিছুনা? ব্রেকাপ হইছে কিনা
সেটা বলো
- না হয়নি আর হবেই বা কেনো! আর তুমিইবা
আমাকে এ প্রশ্ন করছো কেনো?
- তা তুমি বুঝবানা, ব্রেকাপ হইলে আমায়
বলবে প্লিজ
- আজব তো...
.
মেঘা আপুর সাথে এখন দেখা হলেই এখন একই
প্রশ্ন - এখনও ব্রেকাপ হয়নি আপু তোমাদের। আর
আপু উত্তর দেয়- আজব ছেলে নয়তো পাগল
ছেলে।
.
আজও অপেক্ষায় আছি মেঘার না মানে
মেঘা আপুর ব্রেকাপের অপেক্ষায়।
.
লিখাঃ আমিম এহসান...