লেখকঃ আবির রায়হান
-আওয়াজ কিসের ?
সাহেদ কিছুক্ষন কি বলবে কিছু বুঝতে
পারলো না । চারিদিকে এতো
আওয়াজ
। তার উপর পাশের জন্যও ফোনে কার
সাথে যেন কথা বলছে । কিন্তু এতো
জোরে বলছে সাহেদের ইচ্ছে হল বলে
ভাই ফোন ব্যবহার করার কি দরকার
আপনি এতো জোরে বলছেন জানলা
দিয়ে মুখ বের করে বলেন ওপাশ থেকে
এমনিতেই শুনতে পাবে !
সাহেদ ফোনের কাছে একটা হাত
নিয়ে
যথা সম্ভব মুখ ঢেকে বলল
এই তো বাইরে আছি তো তাই !
-ও আচ্ছা অফিস থেকে বাসায় যাচ্ছেন
বুঝি !
-তুমিও তো যাচ্ছো, তাই না ? -
কিভাবে বুঝলেন ?
এই প্রশ্নের চট করে উত্তর সাহেদ
দিতে পারলো না ! কেবল বাসের
মহিলা
সিটের একেবারে কোনায় বসা ফোন
কানে মেয়েটার দিকে আরেকবার
তাকালো । সাহেদ এমন জায়গায়
বসেছে
যেখান থেকে মেয়েটাকে পরিস্কার
দেখা যায় কিন্তু মেয়েটা চট করেই
চাইলেই
তাকে দেখতে পারবে না !
সাহেদ তবুও একটু আমতা আমতা করে
বলল
-না মানে এখন তো তোমার অফিস
থেকে বাসায় যাওয়ার সময় তাই না ? -
হুম ! ঠিক ধরেছেন ! কোথায় আছে
এখন ?
-এখন .....উমমম ! এখন .......
-বুঝতে পারছেন না এখন কোথায়
আছেন ?
-এই কাটাবনের কাছে । -কাটাবন ?
আপনি না খিলগাওয়ের
দিকে থাকেন !
-ও হ্যা ! কাটাবন না ! কাকরাইল !
-তাই !!
সাহেদের নিজে কে একটা চড় মারতে
ইচ্ছে হল । ঠিক মত একটা মিথ্যা
কথাও বলতে পারে না !
সাহেদ আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো
তখনই বাস টা ব্রেক করলো ! ফোনের
ওপাশ থেকে মিমি বলল -আচ্ছা আমার
স্টপেজ চলে এসেছে ।
আমি নেমে পড়বো !
সাহেদ প্রায় বলেই ফেলেছিল যে
তোমার বাসাতো মোহাম্মাদ পুর !
এখনও তো আসে নাই কিন্তু শেষ
মুহুর্তে নিজেকে আটকে নিল ! -আচ্ছা
এই বলে ফোন টা রেখে দিল !
তাকিয়ে
দেখলো সামনের বসা মিমি বাসের
সামনের গেট দিয়ে নেমে পড়লো ।
সাহেদ নেমে পড়লো এরেকটু পরেই ।
তাকিয়ে দেখে মিমি ততক্ষনে পনের
নাম্বারের গলির দিকে হাটা শুরু
করেছে ।
কি ব্যাপার মিমি আজকে এখানে
নামলো কেন ?
আর ওকে মিথ্যাই বা বলল কেন ?
সাহেদ অনিশ্চিত পায়ে মিমির পেছন
পেছন হাটতে লাগলো ! মিমির সাথে
সপ্তাহ খানেক আগে বিয়ে হয়েছে ।
ঠিক
ধুমধাম করে বিয়ে না । কেবল কলমা
পড়িয়ে রাখা হয়েছে । আরও কিছু দিন
পরে উঠিয়ে আনা হবে ! কিন্তু এই
কদিনেই মিমির উপর একটা
অদ্ভুদ মায়া জন্মে গেছে । বাসররাতে
যখন মিমি ওর পাশে ঘুমাচ্ছিল অদ্ভুদ
একটা বুক ধড়ফড়ানী কাজ করছিল ওর
ভেতর । রাতের ডিম লাইট জ্বালানো
ছিল । উঠে গিয়ে মেয়েটার দিকে
তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় ।
আশ্চার্য হয়ে গেল এইটা দেখে যে
মেয়েটাকে সপ্তাহে খানেক আগে
ঠিক
মত চিনতোও না । আজকে মনে হচ্ছে
যেন কত দিনের চেনা !
তারপর গত কয়েক দিন থেকে সাহেদ
একটা অদ্ভুদ কাজ করা শুরু করেছে ।
অফিস ছুটির পরেই মিমির অফিসের
সামনে চলে যায় । সেখানে ওর জন্য
অপেক্ষা করে । তারপর মিমি যখন বের
হয় ওর পিছ নেয় । কেন ও নিজেই জানে
না । সামনে হেটে যাওয়া মেয়েটি
ওর
নিজের বউ অথচ ও ওকে ডাকতে পারে
না । কেবল পেছন পেছন ওর বাড়ি পর্যন্ত
আছে । তারপর চলে যায় ! মাঝে মাঝে
পথেই মাঝেই ওকে ফোন দেয় । অল্প
কয়েকটা কথা বলে ফোন রেখে দেয় !
আরও কথা বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু
একটু সংকোচ হয় ! ও আবার কি না কি
ভেবে বসবে ! আজকেও তেমন টাই পিছু
নিয়েছিল । অফিসে পর ও যেই বাসে
উঠেছিল সেই বাসের পেছনের দরজা
দিয়ে ও উঠে পেছনের দিকে বসে
ওকে দেখছিল !
কিন্তু আজকে মেয়েটা এতো
তাড়াতাড়ি
নেমে গেল কেন ?
কোন বন্ধুর বাসায় যাবে ?
হয়তো ?
সাহেদ হাটতে লাগলো ! মিমি
সামনের
একটা গলির ভেতরে আড়ালো হয়ে
গেল
আবার ! সাহেদ আরও দ্রুত পা
বাড়ালো ! ঠিক যখন গলির মাথায়
পৌছে ঢুকতে যাবে ঠিক তখনই ওকে
অবাক করে দিয়ে মিমি বেরিয়ে এল ।
একেবারে ওর মুখোমুখি !
সাহেদ কি বলবে বুঝতে পারলো না ।
কেবল অপ্রস্তুতের মত তাকিয়ে রইলো
মিমির দিকে !
-আপনি আমাকে ফলো করছেন কেন ?
-না মানে.... সাহেদ কি বলবে ঠিক
খুজে পেল না ।
কিছু বলার মত কোন কথা নেইও ওর
সাথে । ওর পিছু পিছু আসতে যে ওর
ভাল
লাগার অনুভুতিটা সেটা সে কোন
ভাবেই
মিমিকে বোঝাতে পারবে না !
মিমি বলল -আপনি কালকেও
এসেছিলেন ! তাই না ?
-হুম !
-কেন ?
-জানি না ! কেবল তোমাকে দেখতে
ইচ্ছে হল তাই !
-তা আমাকে বলা যেত না ? সরাসরি
আমাকে ফোন করলে কি সমস্যা ছিল
শুনি ?
সাহেদ কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো
না !
মিমি বলল
-আজকে যে বাসে দৌড়ে উঠতে
গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়েছেন
সেটা যদি বড়
কিছু হত তখন ?
সাহেদ অবাক হয়ে গেল । মিমি
তাহলে
তাকে ভাল করেই দেখেছে !
-তুমি দেখেছো ?
-নিজেকে কি মনে করেন ? সিআইএর
এজেন্ট ? হ্যাবলার মত ফলো করলে
মানুষ তো দেখে ফেলবেই !
সাহেদ আবারও বোকার মত তাকিয়ে
রইলো মিমির দিকে । ধরা পরে ওর
মোটেই খারাপ লাগছে না । বরং
খানিকটা ভালই লাগছে ।
মিমি খানিকটা রাগ দেখিয়ে বলল
-এর পর থেকে আমাকে সরাসরি ফোন
দিবে ! বাসে পিছনে না
পাশাপাশি বসে
যাবো ঠিক আছে !
-আচ্ছা !
-আচ্ছা এখন চল আমাকে বাসায় পৌছে
দাও ! তোমার সাথে রিক্সা করে
যাবো
বলে একটু আগেই নেমে পড়েছি ।
সাহেদ লক্ষ্য করলো মিমি ওকে তুমি
করে বলা শুরু করেছে । যখন ওদের
রিক্সা চলতে শুরু করলো মিমি যেন
একটা ওয়াকিং রেডিও হয়ে গেল ! কত
কথা ননস্টপ বলে চলেছে । সাহেদ কেবল
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ! ওর সারা
মন জুড়ে একটা অদ্ভুদ ভাল লাগা কাজ
করছিল !
-আওয়াজ কিসের ?
সাহেদ কিছুক্ষন কি বলবে কিছু বুঝতে
পারলো না । চারিদিকে এতো
আওয়াজ
। তার উপর পাশের জন্যও ফোনে কার
সাথে যেন কথা বলছে । কিন্তু এতো
জোরে বলছে সাহেদের ইচ্ছে হল বলে
ভাই ফোন ব্যবহার করার কি দরকার
আপনি এতো জোরে বলছেন জানলা
দিয়ে মুখ বের করে বলেন ওপাশ থেকে
এমনিতেই শুনতে পাবে !
সাহেদ ফোনের কাছে একটা হাত
নিয়ে
যথা সম্ভব মুখ ঢেকে বলল
এই তো বাইরে আছি তো তাই !
-ও আচ্ছা অফিস থেকে বাসায় যাচ্ছেন
বুঝি !
-তুমিও তো যাচ্ছো, তাই না ? -
কিভাবে বুঝলেন ?
এই প্রশ্নের চট করে উত্তর সাহেদ
দিতে পারলো না ! কেবল বাসের
মহিলা
সিটের একেবারে কোনায় বসা ফোন
কানে মেয়েটার দিকে আরেকবার
তাকালো । সাহেদ এমন জায়গায়
বসেছে
যেখান থেকে মেয়েটাকে পরিস্কার
দেখা যায় কিন্তু মেয়েটা চট করেই
চাইলেই
তাকে দেখতে পারবে না !
সাহেদ তবুও একটু আমতা আমতা করে
বলল
-না মানে এখন তো তোমার অফিস
থেকে বাসায় যাওয়ার সময় তাই না ? -
হুম ! ঠিক ধরেছেন ! কোথায় আছে
এখন ?
-এখন .....উমমম ! এখন .......
-বুঝতে পারছেন না এখন কোথায়
আছেন ?
-এই কাটাবনের কাছে । -কাটাবন ?
আপনি না খিলগাওয়ের
দিকে থাকেন !
-ও হ্যা ! কাটাবন না ! কাকরাইল !
-তাই !!
সাহেদের নিজে কে একটা চড় মারতে
ইচ্ছে হল । ঠিক মত একটা মিথ্যা
কথাও বলতে পারে না !
সাহেদ আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো
তখনই বাস টা ব্রেক করলো ! ফোনের
ওপাশ থেকে মিমি বলল -আচ্ছা আমার
স্টপেজ চলে এসেছে ।
আমি নেমে পড়বো !
সাহেদ প্রায় বলেই ফেলেছিল যে
তোমার বাসাতো মোহাম্মাদ পুর !
এখনও তো আসে নাই কিন্তু শেষ
মুহুর্তে নিজেকে আটকে নিল ! -আচ্ছা
এই বলে ফোন টা রেখে দিল !
তাকিয়ে
দেখলো সামনের বসা মিমি বাসের
সামনের গেট দিয়ে নেমে পড়লো ।
সাহেদ নেমে পড়লো এরেকটু পরেই ।
তাকিয়ে দেখে মিমি ততক্ষনে পনের
নাম্বারের গলির দিকে হাটা শুরু
করেছে ।
কি ব্যাপার মিমি আজকে এখানে
নামলো কেন ?
আর ওকে মিথ্যাই বা বলল কেন ?
সাহেদ অনিশ্চিত পায়ে মিমির পেছন
পেছন হাটতে লাগলো ! মিমির সাথে
সপ্তাহ খানেক আগে বিয়ে হয়েছে ।
ঠিক
ধুমধাম করে বিয়ে না । কেবল কলমা
পড়িয়ে রাখা হয়েছে । আরও কিছু দিন
পরে উঠিয়ে আনা হবে ! কিন্তু এই
কদিনেই মিমির উপর একটা
অদ্ভুদ মায়া জন্মে গেছে । বাসররাতে
যখন মিমি ওর পাশে ঘুমাচ্ছিল অদ্ভুদ
একটা বুক ধড়ফড়ানী কাজ করছিল ওর
ভেতর । রাতের ডিম লাইট জ্বালানো
ছিল । উঠে গিয়ে মেয়েটার দিকে
তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় ।
আশ্চার্য হয়ে গেল এইটা দেখে যে
মেয়েটাকে সপ্তাহে খানেক আগে
ঠিক
মত চিনতোও না । আজকে মনে হচ্ছে
যেন কত দিনের চেনা !
তারপর গত কয়েক দিন থেকে সাহেদ
একটা অদ্ভুদ কাজ করা শুরু করেছে ।
অফিস ছুটির পরেই মিমির অফিসের
সামনে চলে যায় । সেখানে ওর জন্য
অপেক্ষা করে । তারপর মিমি যখন বের
হয় ওর পিছ নেয় । কেন ও নিজেই জানে
না । সামনে হেটে যাওয়া মেয়েটি
ওর
নিজের বউ অথচ ও ওকে ডাকতে পারে
না । কেবল পেছন পেছন ওর বাড়ি পর্যন্ত
আছে । তারপর চলে যায় ! মাঝে মাঝে
পথেই মাঝেই ওকে ফোন দেয় । অল্প
কয়েকটা কথা বলে ফোন রেখে দেয় !
আরও কথা বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু
একটু সংকোচ হয় ! ও আবার কি না কি
ভেবে বসবে ! আজকেও তেমন টাই পিছু
নিয়েছিল । অফিসে পর ও যেই বাসে
উঠেছিল সেই বাসের পেছনের দরজা
দিয়ে ও উঠে পেছনের দিকে বসে
ওকে দেখছিল !
কিন্তু আজকে মেয়েটা এতো
তাড়াতাড়ি
নেমে গেল কেন ?
কোন বন্ধুর বাসায় যাবে ?
হয়তো ?
সাহেদ হাটতে লাগলো ! মিমি
সামনের
একটা গলির ভেতরে আড়ালো হয়ে
গেল
আবার ! সাহেদ আরও দ্রুত পা
বাড়ালো ! ঠিক যখন গলির মাথায়
পৌছে ঢুকতে যাবে ঠিক তখনই ওকে
অবাক করে দিয়ে মিমি বেরিয়ে এল ।
একেবারে ওর মুখোমুখি !
সাহেদ কি বলবে বুঝতে পারলো না ।
কেবল অপ্রস্তুতের মত তাকিয়ে রইলো
মিমির দিকে !
-আপনি আমাকে ফলো করছেন কেন ?
-না মানে.... সাহেদ কি বলবে ঠিক
খুজে পেল না ।
কিছু বলার মত কোন কথা নেইও ওর
সাথে । ওর পিছু পিছু আসতে যে ওর
ভাল
লাগার অনুভুতিটা সেটা সে কোন
ভাবেই
মিমিকে বোঝাতে পারবে না !
মিমি বলল -আপনি কালকেও
এসেছিলেন ! তাই না ?
-হুম !
-কেন ?
-জানি না ! কেবল তোমাকে দেখতে
ইচ্ছে হল তাই !
-তা আমাকে বলা যেত না ? সরাসরি
আমাকে ফোন করলে কি সমস্যা ছিল
শুনি ?
সাহেদ কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো
না !
মিমি বলল
-আজকে যে বাসে দৌড়ে উঠতে
গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়েছেন
সেটা যদি বড়
কিছু হত তখন ?
সাহেদ অবাক হয়ে গেল । মিমি
তাহলে
তাকে ভাল করেই দেখেছে !
-তুমি দেখেছো ?
-নিজেকে কি মনে করেন ? সিআইএর
এজেন্ট ? হ্যাবলার মত ফলো করলে
মানুষ তো দেখে ফেলবেই !
সাহেদ আবারও বোকার মত তাকিয়ে
রইলো মিমির দিকে । ধরা পরে ওর
মোটেই খারাপ লাগছে না । বরং
খানিকটা ভালই লাগছে ।
মিমি খানিকটা রাগ দেখিয়ে বলল
-এর পর থেকে আমাকে সরাসরি ফোন
দিবে ! বাসে পিছনে না
পাশাপাশি বসে
যাবো ঠিক আছে !
-আচ্ছা !
-আচ্ছা এখন চল আমাকে বাসায় পৌছে
দাও ! তোমার সাথে রিক্সা করে
যাবো
বলে একটু আগেই নেমে পড়েছি ।
সাহেদ লক্ষ্য করলো মিমি ওকে তুমি
করে বলা শুরু করেছে । যখন ওদের
রিক্সা চলতে শুরু করলো মিমি যেন
একটা ওয়াকিং রেডিও হয়ে গেল ! কত
কথা ননস্টপ বলে চলেছে । সাহেদ কেবল
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ! ওর সারা
মন জুড়ে একটা অদ্ভুদ ভাল লাগা কাজ
করছিল !