বাহিরে ঝুম বৃষ্টিতে বর্ষাস্নাত
সবকিছু। ছাতা নিয়ে বের হলেও
ভিজে যাবে সব কিছু। ভাগ্যটা
ভালো যে অফিসগামী ব্যাগটা
ওয়াটার প্রুফ।
এই প্রবল ঝুম বৃষ্টিতেও বের হয়ে
যেতে হবে একটা ছাতা নিয়ে।
সময় বেশি বাকি নেই অফিসের
পথে। এখনই না বের হলে দেরি
হয়ে যাবে।
চা টুকু শেষ করতে দ্রুত
পেয়ালাতে ঘন ঘন চুমুক দিচ্ছে
শুভ্র। কোমল একজোড়া হাত
চিরুনি দিয়ে মাথার চুল গুলো এক
সাইডে সড়িয়ে দিচ্ছিলো শুভ্রর।
হাত জোড়া তার প্রেয়সি
অরুনার।
চা টা শেষ করে বাসা থেকে
বের হয়ে গিয়েছে শুভ্র। ছাতা
টাকে সঙ্গী করে বেশ
খানিকটা পথ হেটে চলে
এসেছে। এই বৃষ্টিতে রিকশা
পাবার কোন আশা নেই তাই
হাটা শুরু করেছে।
ঝুম বৃষ্টিতে ছাতাটা উল্টে
যাচ্ছিলো। বাতাসের বেগ ও
প্রচন্ড বেশি। রীতিমতো যুদ্ধ
করে বাতাসের বিপক্ষে একটু
এএকটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলো
শুভ্র।
পেছন থেকে পরিচিত এক কন্ঠস্বর
তার কানে ভেসে এলো।
পেছনে তাকিয়ে দেখে
বৃষ্টিতে বৃষ্টিস্নাত হয়ে আমার
অরুনা একটা শুকনো টাওয়াল
নিয়ে আসছে।
টাওয়াল টা বৃষ্টির পানিতে
ভিজে যাবে সেজন্য
পলিব্যাগে বন্ধ করে টাওয়াল
পা নিয়ে এসেছে। এদিকে
নিজের সর্বাঙ্গ ভিঁজে একাকার
সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ
নেই অরুনার।
শুভ্র অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
ছিলো অরুনার দিকে। তার এমন
আরক্ত চাহুনি অরুনাকে বিব্রত
করে ফেলেছিলো। নিজেকে
সামলে নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন
করলো অরুনা।
ভেজা বৃষ্টির ফোঁটা সব টুকু
সড়িয়ে সজীবতায় ভরিয়ে
দিয়েছে। চোখ দুটো শীতল হবার
উপক্রম। বেশিক্ষন তাকানোর
সাহস পায় না শুভ্র। তার প্রচন্ড ভয়
লাগে।
আজকাল ভয় লাগার কারণ টাও
দুষ্কর। সবটুকু উজাড় করে তার সব আজ
আমার এবং আমার সব আজ তার। তবু
মনের মধ্যে অজানা এক সংশয়ে
সারাক্ষন বুদ হয়ে থাকে শুভ্র। মনে
মনে ভাববে সেটাই হয়তো
ভালোবাসার কিয়দংশ।
বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা টুকু
লাল হয়ে গেছে অরুনার।
খানিকটা পথ দৌড়ে এসেছে
তাই জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস
নিচ্ছে সে। নাক দিয়ে মৃদু গরম
বাতাস বের হচ্ছে যেন।
জড়তার বাঁধা ভেঙে ভেঁজা
কাঁপা কাঁপা লজ্জিত কন্ঠে
অরুনা বলেছিলো :
- শুকনো টাওয়াল টা নিয়ে যাও,
অফিসে গিয়ে মাথা ভালো মত
মুছে নিয়ো। ঠান্ডা লাগলে
ঘরে কিন্তু জায়গা নেই।
চৌকাঠে শুইতে হবে রাতে।
- ঠান্ডা লাগবে না। বৃষ্টিতে
যদি ভিজতাম তবে তা ভিন্ন
কথা। বৃষ্টিতে ভিজলা তুমি আর
ঠান্ডা লাগার ভয় আমার?
লজ্জায় নিজেকে সামলে
নিয়ে অধিকার খাটিয়ে অরুনা
বলেছিলো :
- অতকিছু বুঝি না শুভ্র। এটা নিয়ে
যাও। টাওয়াল টা যেন না
ভিজে। মাথা মুছতে ভুল ককরো
না। অফিসে পৌঁছে সাথে
সাথে ফোন দিও। বাসে
সাবধানে উঠবে আর কোন
মেয়ের দিকে তাকাবে না।
রাস্তা পার হবার সময় ছাতাটা
বন্ধ করে পার হবে। আর রাস্তা
পার হবার সময় কেউ ফোন দিলে
রিসিভ করবে না। আমি ফোন
দিলেও না।
এক নিশ্বাসে এত গুলো কথা
বলেছিলো অরুনা।
শুভ্র আরক্ত নয়নে অরুনার দিকে
তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলেছিলো :
- আচ্ছা।
একটু ধমকের স্বরে ভেঁজা গলায়
অরুনা বলেছিলো :
- আর দাড়িয়ে আছো কেন?
তারাতারি যাও। সময় বেশি
বাকি নেই।
শুভ্র ছাতাটা মাটিতে ফেলে
দিলো। বৃষ্টিতে ভিজে গেল
সর্বাঙ্গ। অরুনাকে কোলে করে
বাসার দিকে হাটা শুরু করলো
শুভ্র।
রাস্তাটা নির্জন আর বৃষ্টির
কারনে সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য।
বৃষ্টিতে অরুনার গলার ভাজ টায়
পানি জমে ছিলো। বৃষ্টির বর্ণ
কিরুপ তা জানা ছিলো না
শুভ্রের কাছে তবে আজ তা যেন
অরুনার গাত্র বর্ণ ধারন করেছে।
মনে মনে শুভ্র ভাবলো দু-একদিন
অফিস কামাই দিলে তেমন কিছু
হয় না। আপাদত শুভ্রের গহীন
বাসনা অরুনাকে নিয়ে ছাদের
মাঝখানে বৃষ্টির দিকে মুখ করে
দাড়িয়ে থাকা।
(২)
প্রচন্ড বৃষ্টি।
৫ তলা ছাদের উপর দুজন আদি মানব
মানবী হাত ধরে বৃষ্টির দিকে মুখ
করে চোখ বন্ধ করে আছে।
ছাদের ধারের রেলিং এর
পাশে ভেঁজা শিক্ত দুটো কাক
ভিঁজে জবুথবু হয়ে আছে।
আমাদের দেখে কাক দুটো গা
ঝাড়া দিয়ে ওঠলো।
তারপর একটি আরেকটির
সংস্পর্শের প্রবল বৃষ্টিতেও
উষ্ণতার সন্ধানে মেতে
থাকলো।
~ বেঁচে থাকুক খুনসুটি ময়
ভালোবাসা গুলো চিরকাল।
ভালো থাকুক ভালোবাসার
মানুষ গুলো। ভালো থাকুক
ভালোবাসা গুলো।
ভালোবাসা গুলো পবিত্র সম্পর্ক
চিনে নেক সেই প্রত্যাশা।
লিখা : - Muhammad Rafi Hayder ( চন্দ্রবিন্দু)
সবকিছু। ছাতা নিয়ে বের হলেও
ভিজে যাবে সব কিছু। ভাগ্যটা
ভালো যে অফিসগামী ব্যাগটা
ওয়াটার প্রুফ।
এই প্রবল ঝুম বৃষ্টিতেও বের হয়ে
যেতে হবে একটা ছাতা নিয়ে।
সময় বেশি বাকি নেই অফিসের
পথে। এখনই না বের হলে দেরি
হয়ে যাবে।
চা টুকু শেষ করতে দ্রুত
পেয়ালাতে ঘন ঘন চুমুক দিচ্ছে
শুভ্র। কোমল একজোড়া হাত
চিরুনি দিয়ে মাথার চুল গুলো এক
সাইডে সড়িয়ে দিচ্ছিলো শুভ্রর।
হাত জোড়া তার প্রেয়সি
অরুনার।
চা টা শেষ করে বাসা থেকে
বের হয়ে গিয়েছে শুভ্র। ছাতা
টাকে সঙ্গী করে বেশ
খানিকটা পথ হেটে চলে
এসেছে। এই বৃষ্টিতে রিকশা
পাবার কোন আশা নেই তাই
হাটা শুরু করেছে।
ঝুম বৃষ্টিতে ছাতাটা উল্টে
যাচ্ছিলো। বাতাসের বেগ ও
প্রচন্ড বেশি। রীতিমতো যুদ্ধ
করে বাতাসের বিপক্ষে একটু
এএকটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলো
শুভ্র।
পেছন থেকে পরিচিত এক কন্ঠস্বর
তার কানে ভেসে এলো।
পেছনে তাকিয়ে দেখে
বৃষ্টিতে বৃষ্টিস্নাত হয়ে আমার
অরুনা একটা শুকনো টাওয়াল
নিয়ে আসছে।
টাওয়াল টা বৃষ্টির পানিতে
ভিজে যাবে সেজন্য
পলিব্যাগে বন্ধ করে টাওয়াল
পা নিয়ে এসেছে। এদিকে
নিজের সর্বাঙ্গ ভিঁজে একাকার
সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ
নেই অরুনার।
শুভ্র অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
ছিলো অরুনার দিকে। তার এমন
আরক্ত চাহুনি অরুনাকে বিব্রত
করে ফেলেছিলো। নিজেকে
সামলে নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন
করলো অরুনা।
ভেজা বৃষ্টির ফোঁটা সব টুকু
সড়িয়ে সজীবতায় ভরিয়ে
দিয়েছে। চোখ দুটো শীতল হবার
উপক্রম। বেশিক্ষন তাকানোর
সাহস পায় না শুভ্র। তার প্রচন্ড ভয়
লাগে।
আজকাল ভয় লাগার কারণ টাও
দুষ্কর। সবটুকু উজাড় করে তার সব আজ
আমার এবং আমার সব আজ তার। তবু
মনের মধ্যে অজানা এক সংশয়ে
সারাক্ষন বুদ হয়ে থাকে শুভ্র। মনে
মনে ভাববে সেটাই হয়তো
ভালোবাসার কিয়দংশ।
বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা টুকু
লাল হয়ে গেছে অরুনার।
খানিকটা পথ দৌড়ে এসেছে
তাই জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস
নিচ্ছে সে। নাক দিয়ে মৃদু গরম
বাতাস বের হচ্ছে যেন।
জড়তার বাঁধা ভেঙে ভেঁজা
কাঁপা কাঁপা লজ্জিত কন্ঠে
অরুনা বলেছিলো :
- শুকনো টাওয়াল টা নিয়ে যাও,
অফিসে গিয়ে মাথা ভালো মত
মুছে নিয়ো। ঠান্ডা লাগলে
ঘরে কিন্তু জায়গা নেই।
চৌকাঠে শুইতে হবে রাতে।
- ঠান্ডা লাগবে না। বৃষ্টিতে
যদি ভিজতাম তবে তা ভিন্ন
কথা। বৃষ্টিতে ভিজলা তুমি আর
ঠান্ডা লাগার ভয় আমার?
লজ্জায় নিজেকে সামলে
নিয়ে অধিকার খাটিয়ে অরুনা
বলেছিলো :
- অতকিছু বুঝি না শুভ্র। এটা নিয়ে
যাও। টাওয়াল টা যেন না
ভিজে। মাথা মুছতে ভুল ককরো
না। অফিসে পৌঁছে সাথে
সাথে ফোন দিও। বাসে
সাবধানে উঠবে আর কোন
মেয়ের দিকে তাকাবে না।
রাস্তা পার হবার সময় ছাতাটা
বন্ধ করে পার হবে। আর রাস্তা
পার হবার সময় কেউ ফোন দিলে
রিসিভ করবে না। আমি ফোন
দিলেও না।
এক নিশ্বাসে এত গুলো কথা
বলেছিলো অরুনা।
শুভ্র আরক্ত নয়নে অরুনার দিকে
তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলেছিলো :
- আচ্ছা।
একটু ধমকের স্বরে ভেঁজা গলায়
অরুনা বলেছিলো :
- আর দাড়িয়ে আছো কেন?
তারাতারি যাও। সময় বেশি
বাকি নেই।
শুভ্র ছাতাটা মাটিতে ফেলে
দিলো। বৃষ্টিতে ভিজে গেল
সর্বাঙ্গ। অরুনাকে কোলে করে
বাসার দিকে হাটা শুরু করলো
শুভ্র।
রাস্তাটা নির্জন আর বৃষ্টির
কারনে সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য।
বৃষ্টিতে অরুনার গলার ভাজ টায়
পানি জমে ছিলো। বৃষ্টির বর্ণ
কিরুপ তা জানা ছিলো না
শুভ্রের কাছে তবে আজ তা যেন
অরুনার গাত্র বর্ণ ধারন করেছে।
মনে মনে শুভ্র ভাবলো দু-একদিন
অফিস কামাই দিলে তেমন কিছু
হয় না। আপাদত শুভ্রের গহীন
বাসনা অরুনাকে নিয়ে ছাদের
মাঝখানে বৃষ্টির দিকে মুখ করে
দাড়িয়ে থাকা।
(২)
প্রচন্ড বৃষ্টি।
৫ তলা ছাদের উপর দুজন আদি মানব
মানবী হাত ধরে বৃষ্টির দিকে মুখ
করে চোখ বন্ধ করে আছে।
ছাদের ধারের রেলিং এর
পাশে ভেঁজা শিক্ত দুটো কাক
ভিঁজে জবুথবু হয়ে আছে।
আমাদের দেখে কাক দুটো গা
ঝাড়া দিয়ে ওঠলো।
তারপর একটি আরেকটির
সংস্পর্শের প্রবল বৃষ্টিতেও
উষ্ণতার সন্ধানে মেতে
থাকলো।
~ বেঁচে থাকুক খুনসুটি ময়
ভালোবাসা গুলো চিরকাল।
ভালো থাকুক ভালোবাসার
মানুষ গুলো। ভালো থাকুক
ভালোবাসা গুলো।
ভালোবাসা গুলো পবিত্র সম্পর্ক
চিনে নেক সেই প্রত্যাশা।
লিখা : - Muhammad Rafi Hayder ( চন্দ্রবিন্দু)