মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৩২৬- অামার সেই ভালবাসা

Writing :Rahadul Hasan Tamim

-অাজ অামার অার জেনিয়ার তৃতীয়
বিবাহ বার্ষিকী! শুধু তাই নই অাজ
অামাদের বাবুটার বয়স এক বছর পূৃর্ন্য
হলো! অামরা এক সুন্দর হাঁসি খুশি
ফ্যামিলি! তবুও মনের মধ্যে একটু কষ্ট!
কারণ জেনিয়া কথা বলতে পারেনা!
তবুও অামি অনেক খুশি জেনিয়ার
মতো স্ত্রী পেয়ে!
-খুব ভালো ও খুব লক্ষী জেনিয়া!
অামার জীবনে অাসার পর অামার
জীবনটাই পাল্টে যাই,,!
.
কয়েক বছর অাগের ঘটনা
.
তখন অামি উত্তরাতে একটি
কোম্পানিতে চাকরী করি! অর্নাস
শেষ ও মার্স্টাস শেষ করে বেকার
দিন কাটাচ্ছিলাম কোন চাকরী
ছিলোনা! চাকরী অনেক খুজেছি
কিন্তু পাইনি!
কিন্তু একদিন অামার মেজু মামা
ঢাকা উত্তরাতেই যেখানে থাকি
সেখানে একটা চাকরীর ব্যবস্থা করে
দেই! কোম্পানিটা ভালো ছিলো
তাই করতাম!
-কোম্পানিটা অামার বাসা থেকে
খুব বেশি দূর ছিলোনা!
-মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা হেঁটে
গেলে! তাই সবসময় হেঁটেই যেতাম!
-অামার বাসা থেকে কিছু দূর যেতেই
প্রায় দেখতাম একটি মেয়ে সবসময়
বেলকোনিতে বসে থাকতো!
-কখনো চুলে তেল দিতো, কখনো চুল
অাচরাতো!
কখনো ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে
দুষ্টুমি করতো! অামি প্রায়ই দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে দেখতাম!
-অাসলে অামি মেয়েটার দুষ্টুমি
দেখতাম নাহ, মেয়েটাকে দেখতাম!
অসম্ভব মায়াবি চেহারা তার!
হাঁসিটা ছিলো অদ্ভুদ, হাঁসলে
দুগালে টুল পরতো!
এক কথাই ডানা কাটা পরি! -অামার
অফিসটা ছিলো ১০টা থেকে! কিন্তু
অামি ৯:১৫ হলেই চলে অাসতাম
মেয়েটাকে দেখার জন্য!
তাদের বাসার ঠিক সামনে ছোট
একটা চায়ের দোকান ছিলো! অামি
সেখানে বসে ৩০ মিনিটের বিতর
৪/৫ টা চেয়ে খেয়ে নিতাম! অার
সেই সাথে মেয়েটাকে দেখতাম!
-অাস্তে অাস্তে মেয়েটাকে
ভালোবেসে ফেলি! যতক্ষণ চায়ের
দোকানে থাকতাম ঠিক ততক্ষণ
অামার দৃষ্টি থাকতো ঐ মেয়েটার
দিকে!
-কিছুদিন যাবার পর দেখি মেয়েটাও
থাকিয়ে থাকে! মাঝে মাঝে
চোখা চোখি হতো! অার মেয়েটা
ঠুট বাকা করে একটা হাঁসি দিতো!
-এভাবে প্রাই অনেক দিন কেটে
যাই,, অামি শুধু দেখেই চলছি!
-কিন্তু অাজকাল মনটা অনেক ব্যাকুল
হয়ে যাচ্ছে ঐ মেয়েটার সাথে কথা
বলার জন্য! এখন যে খুব ভালবেসে
ফেলিছি ঐ মেয়েটাকে!
-প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর অাগে
ভাবি কেমনে মেয়েটার সাথে কথা
বলবো!
ঘুমাতে গিয়ে দেখি স্বপ্নে তার
সাথে কথা বলছি! তখন মনটা খুব
ভালো থাকে! কিন্তু যখনি ঘুম
ভেঙ্গে যাই ঠিক তখনি মনটা খারাপ
হয়ে যাই! কারণ অাজও সরাসরি
মেয়েটার সাথে কথা বলতে পারলাম
নাহ!
-এভাবে অারো প্রাই একমাস চলে
যাই! মেয়েটাকে ঐ চায়ের
দোকানে বসেই দেখে যাচ্ছি! মনে
হয় তার সাথে যেন চোখে চোখে
কথা বলি!
এভাবেই কাটতেছে অামার দিন
মেয়েটার কথা ভেবে ভেবে!
-হঠাৎ একদিন দেখলাম মেয়েটা উপর
থেকে নিচে এসে দাঁড়িয়ে অাছে!
সাথে অারেকটি ছোট মেয়ে মনে হয়
বোন হবে!
ভাবছি কথা বলবো সেটা যেমনেই
হউক নাহ কেনো!
-অাগে চায়ের দোকানে গেলাম
প্রতিতিনের মতো নাহ অাজ মাত্র
একটা চা খেলাম! অার দেখছি
মেয়েটা যেন নাহ চলে যাই!
-নাহ যাইনি এখনেই কথা বলবো
মেয়েটার সাথে!
অাস্তে অাস্তে দীর ঘতিতে এগুচ্ছি
মেয়েটার সামনে!
-সামনে গেলাম, হ্যালো একটা কথা
বলবো! (মেয়েটা চুপচাপ)
অাবারো এইযে একটা কথা বলবো
শুনবেন (অাবারো চুপচাপ)
অাবার হ্যালো একটা কথা ছিলো!
(অাবারো একই রকম)
-অাচ্ছা অাপনি বুবা নাকি কথা
বলছি কোন কথা বলেন নাহ!
-এই কথা বলার সাথে সাথে ছোট
মেয়েটা অামার দিকে একটা খাম
তুলে ধরলো! অার ছোট মেয়েটা
বললো ভাইয়া খামটা বাসায় গিয়ে
খুলবেন!
-অামি চলে অাসলাম ছোট
মেয়েটার কথা শুনে! পরে অার
কোম্পানিতে নাহ গিয়ে বাসায়
চলে অাসলাম!
-বাসাতে এসে খামটা খুললাম,
দেখলাম বাজ করা একটা চিঠি!
চিঠিটা খুললাম! পড়তে শুরু করবো
কিন্তু পড়তে পারছিনা! কারণ চিঠির
প্রথম দুই লাইন পড়ে! চিঠির ভাষা
ছিলো ঠিক এই রকম!
-অাসসালামু অালাইকুম! অাশা করছি
ভালো অাছেন! অামিও ভালো
অাছি! কিছু কথা বলছি, হ্যা অাসলেই
অামি বুবা! কথা বলার মতো শক্তি
অামার নেই! কথা বলার মতো শক্তি
অামি অারও পাঁচ বছর অাগেই
হারিয়ে ফেলেছি! তখন অামি দশম
শ্রেনীতে পড়তাম! স্কুল হতে
বনভোজনের অায়োজন করা হয়!
বান্ধবিদের অনুরোধে অামিও
বনভোজনে যাই! কিন্তু অাসার পথে
অামাদের বাসটা পথে এক্সিসেন্ড
করে! সেই এক্সিডেন্ডে অামার
গলাতে প্রচুর অাঘাত পাই! অার সেই
অাঘাতের পর ডাক্তার বলেছে
অামি অার কথা বলতে পারবোনা!
কথা বলার শক্তি অামি হারিয়ে
ফেলেছি! অামি জানি অাপনে
অামাকে ভালবাসেন! যদি ভালো
নাই বাসতেন তাহলে প্রতিদিন
অামাদের বাসার নিচে চায়ের
দোকানে বসে অামাকে দেখতেন
নাহ!
জানেন প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগতো
কিন্তু অাস্তে অাস্তে অামিও
অাপনাকে ভালোবেসে ফেলি!
কিন্তু অামি অার পারছিনা, তাই
অাপনার জন্য অামার এই চিঠি!
অাপনে অামাকে ভুলে যান! অার
অামিও ভুলে যাবো! কারণ অামার এই
বুবা জীবনের সাথে অাপনার জীবন
জরানোর কোন মানেই অাসেনা!
অাপনে অাপনার সুন্দর জীবনে
ভালো একটা মানুষ খুজে নিবেন! বাই
ভালো থাকবেন!
এই কথা গুলো পড়ার পড় দেখছি অামার
চোখ হতে পানি ঝরছে! হয়তো এটাই
ভালোবাসা!
এইদিন সারাদিন ভাবলাম কি করবো!
তারপর একটা সিদ্বান্ত রাতে নিয়েই
নিলাম এই মেয়েকেই অামি বিয়ে
করবো! কারণ অামি থাকে খুব
ভালবাসি!অার ভালবাসার কাছে
এটা কোন বড় বিষয় নাহ!
পরের দিন মা বাবাকে বুঝিয়ে
বিয়ের প্রস্তাব পাটালাম তাদের
বাড়ি!
অতঃপর দুই পরিবার, অামার এবং
জেনিয়ার সম্মতিতে বিয়ে হয়
অামরা দুজনের! অবশ্য প্রথমে জেনিয়া
রাজি ছিলোনা কারণ সে বুবা!
তারপর অামিও একটা চিঠি দিয়ে
তাকে বুঝায় এবং সে রাজি হয়!
অামরা এখন অনেক সুখি এখন অার
লেখে বুঝাতে হয় নাহ! সবকিছু
এমনিতেই বুঝে যাই কখন কি লাগবে
অামার! অনেক ভালবাসি
জেনিয়াকে অার জেনিয়াও অনেক
ভালবাসে অামাকে! অার অামরা
দুজন ভালবাসি অামাদের ঐ ছোট
বাবুটাকে! সবমিলিয়ে অনেক
ভালোই অাছি অামি অামার
জেনিয়া ও বাবুটাকে নিয়ে,,,
দোয়া করবেন সবাই,,