লেখা:মাহমুদ হাসান
মধ্যরাত ফ্যানের শব্দের পাশাপাশি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক
শোনা যাচ্ছে।আবার মাঝেমাঝে দুর থেকে নিশাচর
পাখির ডাক ভেসে আসছে।ঘুমহীন চোখে বিছানায় শুয়ে
আছে চমক।কখনো চোখ খোলা কখনো চোখ বন্ধ।
রাত জাগাটা এখন চমকের জন্য নিয়মিত হয়ে পড়েছে।
শত চেষ্টা করেও সহজে ঘুমের দেশে হারিয়ে যেতে
পারে না।কিছুদিন আগেও সব ঠিকঠাক ছিল।অধিকাংশ
মানুষের নির্ঘুম রাত যাপন করার পেছনে মুখ্য ভূমিকা
পালন করে দুঃচিন্তা কিন্তু চমকের রাত জাগাটা
দুঃচিন্তার কারনে নয় আবার সুচিন্তাও নয়!
ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্ন ঘুম থেকে উঠার পরে
চমকের মনে থাকে না তাই জেগে জেগেই সপ্ন দেখে।
কল্পনায় হারিয়ে যায়,কল্পনায় অনেককিছু
পরিকল্পনাও করে যদিও সেগুলো সকাল হলেই পালিয়ে
যায় ভীরুতার দরুনে।চমক এত ভীরু নয় শুধু স্নেহার
সামনে গেলেই ভয়টা চলে আসে বুকে টিপটিপানি সৃষ্টি
হয়,ভূমিকম্প না এসেও হাত পা কাঁপা শুরু করে দেয়।
এইতো সেদিন বন্ধু মহলের প্রবল চাপে,ভীরু,কাপুরুষ
ট্যাগ পেয়ে অবশেষে স্নেহাকে মনের কথা বলে দেয়ার
এক দৃঢ় অঙ্গীকার করে।কিন্তু ওর সামনে দাড়াতেই
সারা রাতের সাজানো সব কথা যেন বারমুডার
ট্রায়াঙ্গলে একনিমিষেই গায়েব হয়ে
যায়।'ভালবাসি'কথাটি খুব ছোট ও খুব সহজ হলেও এর
ব্যপ্তি অনেক,মনে হয় শব্দ ভান্ডারে সবচেয়ে
রহস্যতম শব্দ হল ভালবাসা,ভালবাসি।আসলে এক
দূর্ভেদ্য রহস্য এই শব্দটাকে জড়িয়ে ধরে তাই এরকম
হয়।ভালবাসা একটি মনঃস্তাত্তিক ও রহস্যময়
ব্যাপার।কখন,কিভাবে,কে,কাকে ভালবেসে ফেলে হয়ত
এ জন্যই জানা যায় না।চোরাবালিতে পা রাখার পরেই
যেমন বুঝতে পারে তেমনি কাউকে ভালবাসার পরেই
বুঝতে পারে সে fall in love.তখন আর পিছু ফিরাবার
উপায় থাকেনা,কোনভাবেই পিছু ফিরে আসা যায় না।
চমক রহস্যেঘেরা চোরাবালিতে ডুবতে চায়না,সে
ভালবাসতে চায়,ভালবাসা পেতে চায়।ভালবাসা চাইলেই
পাওয়া যায় না ভালবেসেই ভালবাসা পেতে হয়।
সাহসের জোরে না হোক ভালবাসার জোরে স্নেহাকে
মনের কথা জানাতে হবে।শংকা কাজ করছে চমকের
মনে স্নেহা যদি তাকে ভাল না বাসে!তবুও বলতে
হবে,যেভাবেই হোক বলতে হবে...
-স্নেহা কেমন আছো?
-ভাল,আপনি?
-হুম ভাল।তোমার সাথে কিছু কথা ছিল!
-বলেন।
-আসলে কি ভাবে বলব বুঝতেছি না,আবার বলার মত
কিছু দেখতেছিও না।
-একবার বলতেছেন কিছু বলবেন,আবার বলতেছেন
বলার কিছু নাই!সমস্যা কি আপনার?
-সমস্যা কিছু নাই।আর আমি যে তোমাকে ভালবাসি
সেটাতো তুমি জানোই,এই কথাটা ঘটা করে বলার
দরকার কি?তাইনা!
-জানি মানে!আপনি কাকে ভালবাসেন না বাসেন আমি
কি করে জানবো?
-এখন তো জানাইলাম।
-মানে কি!!
রাগে গজগজ করছে স্নেহা,বেশি রাগলে সে কথা
বলতে পারে না।কেউ কোনদিন কাউকে এইভাবে
প্রপোস করেছে কিনা স্নেহা তাই ভাবছে।সে ও
ভালবাসে চমককে অনেকদিন থেকেই কিন্তু তাই বলে
এভাবে কেউ কাউকে প্রপোস করে!অবশ্য ওর মত
একটা হাঁদারামের কাছ থেকে এর বেশি আশা করাও
যায় না।অনেকদিন অপেক্ষায় ছিল স্নেহা কিন্তু চমক
বলেনি অবশেষে স্নেহা সিন্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিল সে
নিজেই আগে চমক জানাবে তার ভালবাসার কথা।
চমক নিজে নিজেই হাসতেছে এই ভেবে যে,অবশেষে
নিজের মনের কথাটা সে বলতে পেরেছে খুব সহজেই।
এতটা সহজে বলতে পারবে নিজেই চিন্তা করতে
পারেনি।কথাটা বলার পর থেকেই নিজেকে অনেক
হালকা লাগছে চমকের।মনে হচ্ছে শরীর-মন থেকে
হাজার মন ওজনের পাথরের ভার নেমে গেছে।আর এই
সহজ কথাটা বলতেই কয়েক বছর লেগে গেল!
হাসছে স্নেহাও।কখনো মনে মনে,কখনো
আনমনে,কখনো মুখ ফুটে।চুপিসারে ভালবেসে যাওয়া
মানুষটির কাছ থেকে ভালবাসার কথা শুনতে
পাওয়া,জানতে পারা যে কতটা আনন্দের সেটা স্নেহা
জানে,যারা শুনতে পেয়েছে তারাই জানে।ভালবাসায়
গড়া মাটির ঘরেও যেমন অনেক সুখি থাকা যায় তেমনি
যেমন করে হোক,যেভাবেই হোক প্রথম ভালবাসার
কথা শুনতে পারার মাঝেও অনেক কিছু পাওয়া যায়।
চমককে শুধুই ভালবাসা যায়।কপট রাগ বা কোনভাবেই
বেশিসময় ধরে অভিমান করেও থাকতে পারে না স্নেহা।
মায়াময় চেহারা,নিঃস্পাপ হাসি,অনেকখানি
সরলতা,অনেকখানি ভালবাসতে পারার ক্ষমতা,খুব
সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারা,নিজের সুখ
গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া,দুঃখ গুলোকে একাকি
আপন করে নেয়া,অন্যের দুঃখে দুঃখি হওয়া এরকম
হাজারো কারন আছে চমককে ভালবাসতে।কিন্তু
স্নেহা কোন কারন ছাড়াই তাকে ভালবাসে,কেন
ভালবাসে তা জানেনা শুধু জানে ভালবাসে।যাকে
ভালবাসা যায় তাকে কষ্ট দিয়ে,দূরে সরিয়ে রেখে
নিজের দঃখের বোঝা স্নেহা বাড়াতে চায়না।হাতে
আছে কলম আর এক টুকরো কাগজ লিখে ফেলছে
মনের মাঝে জমানো কথা।
কত রাত কত ভোর
ছিলেম আশায় তোর
আসবি কাছে বলবি হেসে
ভালবাসি সখি তোরে
ভালবাসি,ভালবাসি,শুধুই ভালবাসি।
মধ্যরাত ফ্যানের শব্দের পাশাপাশি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক
শোনা যাচ্ছে।আবার মাঝেমাঝে দুর থেকে নিশাচর
পাখির ডাক ভেসে আসছে।ঘুমহীন চোখে বিছানায় শুয়ে
আছে চমক।কখনো চোখ খোলা কখনো চোখ বন্ধ।
রাত জাগাটা এখন চমকের জন্য নিয়মিত হয়ে পড়েছে।
শত চেষ্টা করেও সহজে ঘুমের দেশে হারিয়ে যেতে
পারে না।কিছুদিন আগেও সব ঠিকঠাক ছিল।অধিকাংশ
মানুষের নির্ঘুম রাত যাপন করার পেছনে মুখ্য ভূমিকা
পালন করে দুঃচিন্তা কিন্তু চমকের রাত জাগাটা
দুঃচিন্তার কারনে নয় আবার সুচিন্তাও নয়!
ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্ন ঘুম থেকে উঠার পরে
চমকের মনে থাকে না তাই জেগে জেগেই সপ্ন দেখে।
কল্পনায় হারিয়ে যায়,কল্পনায় অনেককিছু
পরিকল্পনাও করে যদিও সেগুলো সকাল হলেই পালিয়ে
যায় ভীরুতার দরুনে।চমক এত ভীরু নয় শুধু স্নেহার
সামনে গেলেই ভয়টা চলে আসে বুকে টিপটিপানি সৃষ্টি
হয়,ভূমিকম্প না এসেও হাত পা কাঁপা শুরু করে দেয়।
এইতো সেদিন বন্ধু মহলের প্রবল চাপে,ভীরু,কাপুরুষ
ট্যাগ পেয়ে অবশেষে স্নেহাকে মনের কথা বলে দেয়ার
এক দৃঢ় অঙ্গীকার করে।কিন্তু ওর সামনে দাড়াতেই
সারা রাতের সাজানো সব কথা যেন বারমুডার
ট্রায়াঙ্গলে একনিমিষেই গায়েব হয়ে
যায়।'ভালবাসি'কথাটি খুব ছোট ও খুব সহজ হলেও এর
ব্যপ্তি অনেক,মনে হয় শব্দ ভান্ডারে সবচেয়ে
রহস্যতম শব্দ হল ভালবাসা,ভালবাসি।আসলে এক
দূর্ভেদ্য রহস্য এই শব্দটাকে জড়িয়ে ধরে তাই এরকম
হয়।ভালবাসা একটি মনঃস্তাত্তিক ও রহস্যময়
ব্যাপার।কখন,কিভাবে,কে,কাকে ভালবেসে ফেলে হয়ত
এ জন্যই জানা যায় না।চোরাবালিতে পা রাখার পরেই
যেমন বুঝতে পারে তেমনি কাউকে ভালবাসার পরেই
বুঝতে পারে সে fall in love.তখন আর পিছু ফিরাবার
উপায় থাকেনা,কোনভাবেই পিছু ফিরে আসা যায় না।
চমক রহস্যেঘেরা চোরাবালিতে ডুবতে চায়না,সে
ভালবাসতে চায়,ভালবাসা পেতে চায়।ভালবাসা চাইলেই
পাওয়া যায় না ভালবেসেই ভালবাসা পেতে হয়।
সাহসের জোরে না হোক ভালবাসার জোরে স্নেহাকে
মনের কথা জানাতে হবে।শংকা কাজ করছে চমকের
মনে স্নেহা যদি তাকে ভাল না বাসে!তবুও বলতে
হবে,যেভাবেই হোক বলতে হবে...
-স্নেহা কেমন আছো?
-ভাল,আপনি?
-হুম ভাল।তোমার সাথে কিছু কথা ছিল!
-বলেন।
-আসলে কি ভাবে বলব বুঝতেছি না,আবার বলার মত
কিছু দেখতেছিও না।
-একবার বলতেছেন কিছু বলবেন,আবার বলতেছেন
বলার কিছু নাই!সমস্যা কি আপনার?
-সমস্যা কিছু নাই।আর আমি যে তোমাকে ভালবাসি
সেটাতো তুমি জানোই,এই কথাটা ঘটা করে বলার
দরকার কি?তাইনা!
-জানি মানে!আপনি কাকে ভালবাসেন না বাসেন আমি
কি করে জানবো?
-এখন তো জানাইলাম।
-মানে কি!!
রাগে গজগজ করছে স্নেহা,বেশি রাগলে সে কথা
বলতে পারে না।কেউ কোনদিন কাউকে এইভাবে
প্রপোস করেছে কিনা স্নেহা তাই ভাবছে।সে ও
ভালবাসে চমককে অনেকদিন থেকেই কিন্তু তাই বলে
এভাবে কেউ কাউকে প্রপোস করে!অবশ্য ওর মত
একটা হাঁদারামের কাছ থেকে এর বেশি আশা করাও
যায় না।অনেকদিন অপেক্ষায় ছিল স্নেহা কিন্তু চমক
বলেনি অবশেষে স্নেহা সিন্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিল সে
নিজেই আগে চমক জানাবে তার ভালবাসার কথা।
চমক নিজে নিজেই হাসতেছে এই ভেবে যে,অবশেষে
নিজের মনের কথাটা সে বলতে পেরেছে খুব সহজেই।
এতটা সহজে বলতে পারবে নিজেই চিন্তা করতে
পারেনি।কথাটা বলার পর থেকেই নিজেকে অনেক
হালকা লাগছে চমকের।মনে হচ্ছে শরীর-মন থেকে
হাজার মন ওজনের পাথরের ভার নেমে গেছে।আর এই
সহজ কথাটা বলতেই কয়েক বছর লেগে গেল!
হাসছে স্নেহাও।কখনো মনে মনে,কখনো
আনমনে,কখনো মুখ ফুটে।চুপিসারে ভালবেসে যাওয়া
মানুষটির কাছ থেকে ভালবাসার কথা শুনতে
পাওয়া,জানতে পারা যে কতটা আনন্দের সেটা স্নেহা
জানে,যারা শুনতে পেয়েছে তারাই জানে।ভালবাসায়
গড়া মাটির ঘরেও যেমন অনেক সুখি থাকা যায় তেমনি
যেমন করে হোক,যেভাবেই হোক প্রথম ভালবাসার
কথা শুনতে পারার মাঝেও অনেক কিছু পাওয়া যায়।
চমককে শুধুই ভালবাসা যায়।কপট রাগ বা কোনভাবেই
বেশিসময় ধরে অভিমান করেও থাকতে পারে না স্নেহা।
মায়াময় চেহারা,নিঃস্পাপ হাসি,অনেকখানি
সরলতা,অনেকখানি ভালবাসতে পারার ক্ষমতা,খুব
সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারা,নিজের সুখ
গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া,দুঃখ গুলোকে একাকি
আপন করে নেয়া,অন্যের দুঃখে দুঃখি হওয়া এরকম
হাজারো কারন আছে চমককে ভালবাসতে।কিন্তু
স্নেহা কোন কারন ছাড়াই তাকে ভালবাসে,কেন
ভালবাসে তা জানেনা শুধু জানে ভালবাসে।যাকে
ভালবাসা যায় তাকে কষ্ট দিয়ে,দূরে সরিয়ে রেখে
নিজের দঃখের বোঝা স্নেহা বাড়াতে চায়না।হাতে
আছে কলম আর এক টুকরো কাগজ লিখে ফেলছে
মনের মাঝে জমানো কথা।
কত রাত কত ভোর
ছিলেম আশায় তোর
আসবি কাছে বলবি হেসে
ভালবাসি সখি তোরে
ভালবাসি,ভালবাসি,শুধুই ভালবাসি।