মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ২৮৪- অপেক্ষা

লেখা> মোঃ জাহিদুল হক সুবন।
.
চারপাশে কাশঁফুলের বাগান। মাঝখান
দিয়ে একটা সৌড় রাস্তা। আর সেই
রাস্তার পাশে সবুজ ঘাসের উপর বসে
আছি। সময় সকাল ৯.৪০ । এতো সকালে
এখানে বসে থাকার কোন মানে হয়
না। অবশ্য বসে থাকার একটা কারন
আছে। লামিয়ার সাথে আজ প্রথম
দেখা হবে। প্রথম দেখা হবে এই কথাটা
বললে অবশ্য ভুল হবে। ওর সাথে
প্রতিদিনি দেখা হয় শুত্রুবার ছাড়া।
কিন্তু এই ভাবে দেখা করবো আমি
কখনো কল্পনাও করতে পারি নি।
.
গতকাল রাতে মোবাইলটা বেজেই
যাচ্ছিল। লামিয়া ফোন করেছিল।
বিশ্বাস হচ্ছিল না লামিয়া আমাকে
ফোন করবে। কেননা ওকে অনেক বড়
একটা কথা বলছি। আমি ধরবো না ধরবো
না বলে ফোনটা রিসিভ করলাম।
ভাবলাম আমাকে খুব কড়া কথা
শোনাবে। ভয়ে ভয়ে বললাম....
"হ্যালো
.
যা ভাবছি তাই হলো হ্যালো বলতে
না বলতেই খুব রাগান্বিত কণ্ঠে
বললো....
.
" এই ছেলে ফোন রিসিভ করতে এতো
সময় লাগে কেন হুহ....?
.
আমি কি বলবো? আমি কাপঁতে
লাগলাম। চুপ করে থাকলে চলবে না।
আর না হলে আরো বড় কিছু শোনার
সম্ভাবনা আছে।
.
" না মানে ইয়ে...
.
" এতো আমতা আমতা করছো কেন?
.
কথাটা একটু ধমকের মতো শোনা গেল।
আমি ভয়ে ডুগ গিললাম। আর মনে মনে
দোয়া ইউনুছ পড়তে থাকলাম। ইস কেন
যে বললাম এই কথাটা। আর না বলেই
তো থাকতে পারছিলাম না।
.
" কি হলো চুপ করে আছ কেন?
.
" না মানে আমার মোবাইলটা
সাইলেন্ট ছিল তো তাই খেয়াল করি
নি।
.
"হুম কি করছো এখন? ভাত খেয়েছো?
.
এবার একটু মিষ্টি করেই কথাটা বললো।
এই কথাটা শোনে মনে শান্তি
পেলাম। কিভাবে এতো সুন্দর করে কথা
বলে মেয়েটা। তবে চিন্তিত হলাম
কি ব্যাপার এইভাবে আমার সাথে
সুরেলা কণ্ঠে কথা বলছে কেন? যে
কথাটা আমি ওকে বলেছি তারপরও
আমার সাথে এইভাবে কথা বলছে।
আবার জিজ্ঞেসও করেছে ভাত
খেয়েছি কিনা?
.
" না এখনো খাই নি।
.
"খাও নি কেন? রাত কটা বাজে
খেয়াল আছে তোমার? একটু পরে
খেয়ে ঘুমাবা বুঝছো?
.
এমনভাবে কথাটা বললো মনে হচ্ছে ও
আমার বউ। ওকে বাবু তোমার কথা কি
আমি ফেলতে পারি। এই কথাটা বলার
খুব ইচ্ছে হলো কিন্তু বললাম না।
.
"আচ্ছা একটু পরে খেয়ে নিব। তুমি
খেয়েছো?
.
" আমি খেয়েছি কি খাই নি সেটা
জানা তোমার ইম্পরটেন্ট না বুঝছো।
তুমি এখন ভাত খাবা সেটা ইম্পরটেন্ট।
তোমাকে যে কথাটার জন্য ফোন
করেছি সেই কথাটা হলো কাল সকাল
দশটায় আমার সাথে দেখা করবা। মনে
থাকবে তো?
.
" কেন?
.
"এতো কেন কেন করবা না। আমি দেখা
করতে বলেছি দেখা করবা। আর না
হলে শরীর থেকে মাংস আলাদা করে
ফেলব।
.
" ঠিক আছে।
.
" আমি কি পড়ে আসবো?
.
হঠাত্ এই কথা জিজ্ঞেস করলো কেন
বুঝলাম না। ওর কথা গুলা কখনো তিতা
কখনো মিষ্টির মতো লাগছে। ও যেটা
পড়ে সেটাই ওকে মানায়। অবশ্য ওকে
কখনো শাড়ি পড়া অবস্হায় দেখিনি।
আমি কি বলবো শাড়ি পড়ে আসতে?
.
" শাড়ি....মুখ ফুসকে কথাটা বের হয়ে
গেল।
.
" আমি শাড়ি পড়তে পারি না তুমি
জানো না হুহ....
.
" আচ্ছা তোমার যেটা পছন্দ সেটা
পড়ে এসো।
.
"হুম।শুধু কাল দেখবা তোমার কি অবস্হা
করি। ও হ্যাঁ এক্ষনি ভাত খেতে যাও।
হি হি হি।
.
কাল কি করবে আমার? এই কথাটা
শোনে মনের ভয়টা আবার নাড়া দিয়ে
দিল। কিন্তু এই হি হি হি করে হাসি
দেওয়ার মানে কি? সত্যি মেয়েদের
মন বুঝা কঠিন।
.
কপালে কি আছে বা সামনে কি ঘটবে
তাও জানি না। ঘটলে ঘটুক।
.
লামিয়াকে আমি গতপর্শু আমার মনের
কথাটা বলেছিলাম। তাও কলেজে
সবার সামনে। শুধু এটুকুই বলেছিলাম
.
"ভালোবাসি তোমাকে"।
.
এই কথাটা শোনার পর পুরো ক্লাস নিরব
হয়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল সবার
মুখের জবান আমি কেড়ে নিয়েছি।
অবশ্য কেড়ে নিবারি কথা। লামিয়া
ছিল ক্লাসের সবচেয়ে রাগী মেয়ে।
বেশি সুন্দর তা নয় তবে চেহাড়ায়
মায়া মায়া ভাব আছে। ওর চোখের
দিকে একটানা তাকিয়ে থাকলে যে
কেউ অজ্ঞান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওর
ঠোটের কোনায় একটা তিল আছে।
যেটা মানুষকে মুগ্ধ করে দিতে পারে।
যখন আমি ভালোবাসি কথাটা
বলেছিলাম ভেবেছিলাম দুইগালে
দুইটা থাপ্পর দিবে আর সবার সামনে
অপমান করবে। বলবে এই ছেলে নিজের
চেহাড়া কখনো আয়নায় দেখছো?
জংলি কোথাকার। ভালবাসতে
আসছে।
.
ওর সাথে প্রেম করার জন্য অনেকেই
ওকে প্রপোজ করেছিল কিন্তু ও রাজি
হয় নি বরং যারা প্রপোজ করেছিল
তাদেরকে অনেক অপমানিত হতে
হয়েছে। এতো রাগী কেন মেয়েটা?
সুন্দরী মেয়েদের এতো রাগ ভালো
না। কি বলবো অনার্সের এক বড় ভাই
লামিয়াকে একটা গোলাপ ফুল
দিয়েছিল। আর লামিয়াও একটা হাসি
দিয়ে ফুলটা গ্রহন করলো। আমার বুকের
বাম পাশে তখন চিন চিনে ব্যাথা শুরু
হলো। আমার চোখে কান্না আসার
অবস্হা প্রায়। কিন্তু যখন দেখলাম
লামিয়া ফুলটা পায়ের নিচে ফেলে
পিষতে লাগলো আর চর মারতে
চেয়েছিল ছেলেটাকে আমার চোখ
দিয়ে টুপ করে এক ফোটা জল পড়লো। এই
জল খুশির জল। মনে মনে বললাম...বেটার
সাহস কত আমার বউ রে ফুল দিতে
আসছে। একদুম ঠিক করছো জানু। এই না
হলে আমার বউ। উম্মা। আমি হাসতে
লাগলাম। আর সিদ্ধান্ত নিলাম আর
দেরি করা যাবে না আমার মনের
কথাটা বলতে হবে। অন্য কেউ প্রপোজ
করবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই।
আমার চোখের সামনে ও অন্য কারো
সাথে প্রেম করবে তা সহ্য হবে না।
আবার ভয় হচ্ছিল যদি আমাকেও অপমান
করে। করলে করুক তারপরও মনকে সায়
দিতে পারব অন্তত মনের কথাটা তো
বলছি। তাও বলবো বলবো করতে করতে
পাচঁ মাস পর কথাটা বললাম।
.
কিন্তু ও তো কিছুই বলছে না আমাকে।
না অপমান করছে না আমার কথায়
রাজি হচ্ছে? শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে
ছিল। আমিও ওর দিকে তাকিয়ে
ছিলাম। তবে বেশিক্ষন তাকাতে
পারি নি। কারন ওর চোখে জাদু আছে।
এই চোখের দিকে বেশিক্ষন তাকালে
অজ্ঞান হয়ে যেতে পারি। ক্লাসের
সবাই হয়তো ভেবেছিল সুবন তুই এবার
ভোল্ট আউট হবি। পালা পালা।
.
সবার নিরবতা দেখে আমি চলে
আসলাম। সবাই আমাকে এমন ভাবে
দেখছিল মনে হচ্ছে আমাকে কোন দিন
দেখে নি। আমি কি বিয়ে করতে
আসছি নাকি? আমার লজ্জা লাগছিল।
রুমালও নেই যে রুমাল দিয়ে দুলার মত মুখ
ঢাকব। লজ্জা পেলে হবে না। বুকের
সিনা উচু করে টান ভাব নিয়ে বাসায়
আসলাম। কিন্তু মনে ভয় হচ্ছিল।
.
ভয়ে আমি প্রচণ্ড ভাবে ঘামছি। কাল
দেখবা তোমার কি অবস্হা করি।
ভয়ানক এক বানী দিয়েছে। এই মেয়ের
মতিগতি কিছুই বুঝা যাচ্ছে না।
.
লামিয়ার এখনো আসার নাম নেই।
দশটায় আসার কথা আর এখন ১০.১৫।
কাল সারারাত ঘুমাই নি। শুধু ওর কথা
ভেবেছি। বার বার ওর তিতা মিষ্টি
সেই সুরেলা কণ্ঠটা। বিশেষ করে সেই
কথাটা কাল দেখবা তোমার কি
অবস্হা করি।
.
কে যেন বলেছিল মেয়েদের মিষ্টি
কথায় সায় দিও না। কথাটা কতটা সঠিক
আমার জানা নেই।
তবে খুব ভয় হচ্ছে, হতে ও তো পারে
আমাকে মিষ্টি মিষ্টি কথায় এখানে
নিয়ে এসে পিটুনি দেয়। কেন বললাম
ভালোবাসি।
.
লামিয়ার সাথে আমার পরিচয়
কলেজে। আমার এখনো মনে আছে
সেদিন অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে প্রথম
ক্লাস। আমায় হঠাত্ একটা মেয়ে
জিজ্ঞেস করলো...
.
" ভাইয়া অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের
একাউন্ট ডিপার্টমেন্টের ক্লাস
কোনটা?
.
আমি একটু হাসলাম। আমাকে কি বড়
ভাইয়ের মত লাগে? মেয়েটার চোখের
দিকে তাকাতেই অদ্ভুত ভালো লাগা
একটা কাজ শুরু করলো। মেয়েটার
চোখের মাঝে নিজেকে হারিয়ে
ফেললাম। ভাবলাম আমিও তো একাউন্ট
ডিপার্টমেন্টের আমরা একই ক্লাসের
একটু ফাইযলামি করি।
.
" আপনি বাম দিকে যাবেন এর উওর
পাশে যে ভবনটা আছে ওটা একাউন্ট
ডিপার্টমেন্টের ভবন।
.
" ধন্যবাদ আপনাকে।
..
মেয়েটাকে আমি ভুল ভবন দেখিয়ে
দেই। ওদিকে আমার ক্লাস শুরু হয়ে
গেছে। প্রথম দিন স্যার সবার সাথে
পরিচয় হচ্ছিল এর ২০ মিনিট পর ওই
মেয়েটা দরজার সামনে এসে বললো...
.
" মে আই কাম ইন স্যার?
" হ্যাঁ আসো। তা মেডাম প্রথম দিনেই
বিশ মিনিট লেইট।
.
ওকে খুব রাগী দেখাচ্ছিল। আমি বুঝতে
পারলাম আমিই এর জন্য দায়ী। ভাবলাম
ক্লাস শেষে মেয়েটার কাছে ক্ষমা
চেয়ে নিব। কিন্তু ওর চোখ মুখের যে
অবস্হা দেখলাম সেই মুহুর্তে ওর কাছে
যাওয়া সম্ভব না।
.
এর পরের দিন।
"আসলে কাজটা আমার ঠিক হয় নি।
আমরা তো একই ক্লাসের তাই ভাবলাম
একটু মজা করি।
স্যরি।
"তোমাদের মতো ছেলেদের থাপ্পর
মারা উচিত্। লজ্জা লাগে না একটা
মেয়েকে এইভাবে হয়রানি করতে।
আমি কি তোমার গার্লফ্রেন্ড? আমার
সাথে মজা করেছো। আবার আসছে
স্যরি বলতে। যত্তসব।
.
সেদিনই একজন থেকে জিজ্ঞেস করে
জানতে পারলাম ওর নাম লামিয়া।
.
আমি সবার সাথে কথা বললেও
সেদিনের পর থেকে লামিয়ার সাথে
আর কথা বলে নি। দিনগুলো কিভাবে
যেন কেটে যাচ্ছে। কিন্তূ পুরো ক্লাস
জুড়ে লামিয়ার দিকে তাকিয়ে
থাকতাম।
যখনি চোখে চোখ পড়তো আমি চোখ
সরিয়ে ফেলতাম। ও যতই রাগি হোক এই
মেয়েটাকেই কেন জানি ভালো
লাগতো।
.
এভাবেই কয়েক মাস কেটে গেল।
একদিন ক্লাসে স্যার একটা থিউরি
বুঝাচ্ছিল।
"কি সুবন থিউরিটা বুঝছো?
" জ্বি স্যার বুঝছি।
.
আসলে ঘোড়ার ডিম বুঝছি। আমি তো
লামিয়ার দিকে ধ্যান মগ্ন হয়ে
তাকিয়েছিলাম।
ক্লাস শেষে একা একা হাটছি হঠাত্...
.
" সুবন শোনো....
.
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি
লামিয়া। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। এই
মেয়ে আমাকে ডাক দিয়েছে।
.
"হুম বলো।
" আচ্ছা আজকে স্যার যে থিউরিটা
বুঝিয়েছে ওটা আমি বুঝি নি আমাকে
একটু বুঝিয়ে দিবে?
.
আমি কোন কথা খুজেঁ পাচ্ছি না?
থিউরিটা তো আমিও বুঝি নি।
.
"আচ্ছা পরে বুঝিয়ে দিব। আমি এখন খুব
টায়ার্ড
"আচ্ছা।
.
দুজনেই চুপচাপ হাটতে লাগলাম।
লামিয়া পরে যে প্রশ্নটা করেছিল
সেটার জন্য একদুমি প্রস্তুম ছিলাম না।
.
" আচ্ছা সুবন তুমি আমাকে এড়িয়ে চলো
কেন?
" কই নাতো। এড়িয়ে চলবো কেন?...
কথাটা নিচের দিকে তাকিয়ে
বললাম কেননা আগেই বলেছি ওর
চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বললে
অজ্ঞান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
" তোমার আচার আচারণে বুঝা যায়
সুবন।
"আমি কি তোমার সাথে কখনো
খারাপ ব্যবহার করেছি? ঐ ঘটনাটা
ছাড়া।
"না। তবে বুঝা যায় সুবন। তুমি সবার
সাথে কথা বললেও আমার সাথে কথা
বলো না এটা কেন করো তুমি? আমি
কি দেখতে খারাপ?
.
আমি শুধু হাসলাম। এই মেয়ে কি বলে।
.
"আমি কি কখনো বলছি? তাছাড়া তুমি
দেখতে খারাপ কেন হবে।
" আচ্ছা ক্লাসে তুমি এই ভাবে আমার
দিকে তাকিয়ে থাকো কেন?
.
তার মানে ও সব কিছু খেয়াল করেছে।
আমি কিছু বললাম না। বলার কি বা
দরকার।
তারপর ওর সাথে আমার একটা ভাল
বন্ধুত্ব তৈরি হলো। লামিয়া নিজ
থেকেই কথা বলতো। আর এই বন্ধুত্বটা যে
অন্য দিকে অগ্রসর হবে আমি কখনো
ভাবিনি। আর ঠিক পাচঁমাস পর বললাম
ভালোবাসি তোমাকে। এই কথাটা
বলার সাহস কিভাবে পেলাম জানি
না।
.
নীল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে আমার
দিকে আসছে। খুব চেনা চেনা
লাগছে। আরে এ যে লামিয়া। একটা
নীল অপ্সরি আমার দিকে আসছে। সত্যি
ওকে শাড়ি পড়া অবস্হায় এতো সুন্দর
লাগবে আমি কল্পনা করতে পারছি না।
কিন্তু ও তো বলেছে শাড়ি পড়তে
পারে না। তাহলে কি আমার কথা
রাখার জন্য শাড়ি পড়ে আসছে? হতেও
পারে।
.
"স্যরি সুবন একটু দেরি হয়ে গিয়েছে।
তুমি রাগ করেছো?
"না রাগ করবো কেন?
"আচ্ছা আমাকে কেমন লাগছে? এই প্রথম
আমি শাড়ি পড়লাম। বড় আপুর কাছ
থেকে কাল রাতে শাড়ি পড়া
শিখেছি।
.
এই মেয়ে কি বলছে এসব আমার বিশ্বাস
হচ্ছে না। কোথায় আমি ভেবেছি
আমায় খুব অপমান করবে কিন্তু ও তা না
করে আমার সাথে কি সুন্দর ভাবেই না
কথা বলছে। ওর কথায় বুঝতে পারলাম
শাড়িটা আমার জন্যই পড়েছে। আমি
কিছুই না বলে ওর দিকে হা করে
তাকিয়ে থাকলাম। এই প্রথম ওর চোখে
চোখ রেখে আমি তাকিয়ে আছি।
কিছুতেই চোখ সড়াতে ইচ্ছে করছে না।
.
"এই কি দেখছো এমন করে?
"একটা পরীকে দেখছি। যে পরীটা
রোজ আমার স্বপ্নে আসে। যাকে
নিয়ে আমি সারাটাক্ষন চিন্তা
ভাবনা করি।
.
লামিয়া একটু লজ্জা পেল। আর লজ্জা
পাওয়ারি কথা।
.
"হি হি হি। আচ্ছা সত্যি তুমি আমাকে
ভালোবাসো?
.
আমি ওর ডায়ালগটা একটু ঘুড়িয়ে
বললাম। আমি তোমায় ভালোবাসি
সেটা জানা ইম্পরটেন্ট না তুমি আমায়
ভালোবাস কিনা সেটা জানা
ইম্পরটেন্ট।
.
"হি হি হি তুমি আসলে একটা ফাযিল।
.
দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছি।
চোখে চোখে কথা হচ্ছে। এমন সময় ওর
হাতটা ধরলাম। ও কিছুই বলে নি। এবার
একটু সাহস পেয়ে হাতটা আরো শক্ত
করে ধরি। তারপর ওকে বুকে জড়িয়ে
নেই।
.
"সুবন ঠিক এমনি ভাবে সারাটা জীবন
আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে রেখো। কি
রাখবা তো?
.
আমি কিছুই বলিনি শুধু ওর কপালে একটা
চুমু খেলাম। কি দরকার বলার, শুধু এটুকু
জানি ভালোবাসি তাই
ভালোবেসে যাই। যাকে খুব
ভালোবাসা যায় তাকে কিছু বলতে
হয় না ভালোবাসায় সব কিছু প্রকাশ
পায়।