কথায় আছে মামা ভাগনে যেখানে আপদ নাই
সেখানে। কথাটি যে কি পরিমান সত্য
তা এই গল্প না পড়লে বুঝবেন না । অনিক
ও টমাস দুজন মামা ভাগনে। তাদের
বয়সের ফারাক মাত্র ৬ বছর।
এখানে অনিক হলো মামা এবং টমাস
ভাগিনা, তাদের নিজেদের
মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুর মতো। তারা একবার
এক বিয়ে বাড়ির গায়ে হলুদের
অনুষ্ঠানে বেড়াতে গিয়েছিলো।
বিয়েটি ছিলো একটি মেয়ের
সে হলো টমাসের বান্ধবী।
বিয়ে বাড়িতে গেলে যা হয় আর
কি ছেলে মেয়েদের মনটা রোমান্টিক হয়ে যায়।
তেমনি একটি ঘটনা তুলে ধরবো আজ
আপনাদের সাথে।
টমাসঃ মামা দেখো পুরাই আগুন।
অনিকঃ কই রে কি মামা?
টমাসঃ ঐযে সবুজ ড্রেস
পরা মেয়েটা দেখেছো ওর কথা বলছি।
অনিকঃ আরে হ্যা সানগ্লাসটা দেতো নাইলে আমার
চোখ ঝলসে যাবে। আরে এতো আগুন
না পুরাই সূর্য।
টমাসঃ দেখো মামা আমি আগে দেখছি এ
কিন্তু আমার।
অনিকঃ না দেখ...
টমাসঃ তুমি না আমার মামা হও । প্লিজ
মামা আমার জন্য এটুকু সেক্রিফাইস করো।
অনিকঃ পাইছো তো ডাইলগ
একটা আমি তোমার মামা হই। আচ্ছা যা,
যা পারিস কর। দুর্বল যায়গায় আঘাত
করেছিস কি আর বলবো।
টমাসঃ তুমি আমার সুইট মামা,
আসো তোমাকে একটা কামড় দিই।
অনিকঃ না বাবা এই
সেক্রিফাইসটা আর করতে পারলাম না।
তোমার কামড়
খেতে খেতে তো আমি অস্থির। মাফ
করো প্লিজ।
টমাসঃ থ্যাংকু থাংকু।
এবার টমাস তার বিভিন্ন প্রকার
অঙ্গভঙ্গী সহ অনেক প্রকার ট্রিক্স
খাটাচ্ছে মেয়েটিকে পটানোর জন্য।
কিন্তু মেয়েটি বারবার লাজুক
হাসি দিয়ে টমাসকে এভোয়েড
করতে লাগলো।এদিকে অনিক
বুঝতে পারলো মেয়েটির
হাসি দেখে মনে হয় টমাসের
ট্রিক্সে কাজ করছে। অনিক এ
ব্যাপারটি খেয়াল
করে আনমনা ভাবে হাসতে হাসতে হেটে বেড়াচ্ছে।
হাসতে হাসতে একটি মেয়ের
সাথে ধাক্কা খেলো। ধাক্কা লাগার
পর
দেখলো মেয়েটি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।
মেয়েটি দেখতে পুরাই সূর্য না ভুল
বললাম বৃহস্পতি গ্রহ
থেকে সূর্যকে দেখতে যেমন
মনে হবে ঠিক তেমন।
অনিকঃ সরি আপু! (হাতটা বাড়িয়ে)
আফিয়াঃ সরি কি ব্যাথার বড়ি?
সরি বললে কি ব্যাথা মরে যায় নাকি?
অনিকঃ আসলে আমি খেয়াল করিনাই
তাই সরি বললাম। এর থেকে বেশি কিছু
তো বলতে পারবোনা বা করতেও
পারবোনা।
আফিয়াঃ স্টুপিড কোথাকার!
অনিকঃ আরে আজিব! স্টুপিড বলছেন
কেন? আমিতো বল্লাম
যে আমি না দেখে ধাক্কা মেরেছি।
আচ্ছা আমার কথা বাদ দিলাম
আপনি কি দেখিন নি নাকি?
নাকি ছেলে দেখলেই
ধাক্কা দিতে ইচ্ছা করে?
আফিয়াঃ কি??
আমি ধাক্কা দিয়েছি?
অনিকঃ না আমি দিয়েছি। আপনি চুপ
করে এক কোনায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আর
আমি লং জাম্প দেওয়ার মতো আপনার
গায়ের উপরে লাফ মেরেছি।
আফিয়াঃ ধুর আপনার
সাথে আসলে কথা বলাটাই ভুল। রাবিস
কোথাকার।
বলে হন হন করে হাটা শুরু করলো আগুনের
ফুলকি আফিয়া।
অনিকঃ এইযে শুনুন কি ব্যাপার
দাড়ান.....................
টমাসঃ কি মামা কাকে দাড়াতে বলো।
অনিকঃ আর বলিস না এক
মাইয়া আমারে ইচ্ছা মতো গালাইয়া গেলো।
তার গায়ে একটু
ধাক্কা লাগাতে সে আমারে এমন
গালাগালি করেছে যে মেজাজটাই
হ্যাং হয়ে গেলো।
আচ্ছা দেখতো আমার গায়ের কোথাও
পুড়ে টুড়ে গেছে কিনা?
টমাসঃ কেন হাতে আগুন টাগুন
ছিলো নাকি? নাকি মাইয়াডা আবার
সিগারেট খাই?
অনিকঃ না মামা মাইয়াডাই পুরাই
আগুন।
টমাসঃ তাই নাকি?
তাহলেতো মাইয়াডারে তোমার পছন্দ
হইছে?
অনিকঃ পছন্দ তো হইছে কিন্তু ঐ
ঝালমুখো মাইয়া সাথে কি কথা বলা যায়
নাকি?
টমাসঃ মামা মেয়েরা এমনি।
প্রথমে এমন ঝাল ঝাল ভাব দেখায় কিন্তু
পরবর্তীতে মিষ্টি হয়ে যায়।
দেখছোনা ঐ চাদনী এখন কেমন
হাসি দিচ্ছে?
অনিকঃ বাহ মাইয়ার নামটাও
জানা হয়ে গেছে?
টমাসঃ আমার বান্ধবীর
কাছে শুনে আসলাম। আচ্ছা কোন
মাইয়াটা তোমারে গালাগালি দিয়েছে?
অনিকঃ ঐযে তোর চাদনীর পাশে নীল
কালারের ড্রেস পরা মাইয়াটা।
টমাসঃ মামা আসলেই ত পুরাই সূর্য
অনিকঃ আচ্ছা মামা শোন যতটুকু
মনে হচ্ছে আমার আর তোর শশুর
বাড়ি কাছাকাছি হবে। এখন
আমরা একটা ভাব ধরবো ।
ভাবটা হলো আমরা ইমোশনাল ভাব্
নিয়ে শুধু তাদের
দিকে তাকিয়ে থাকবো আর কিচ্ছু না।
কোন কথা বলবোনা কিচ্ছু করবোনা শুধু
তাকিয়ে থাকবো। এর অর্থ
বুঝাবে মেয়ে দুটিকে আমাদের খুব পছন্দ
হয়েছে।
টমাসঃ এভাবে প্রেম হয় নাকি?
অনিকঃ প্রেম হয় কি না হয় শুধু একবার
দেখ। মনে কর যদি কেও আমাদের
ডাকে তবুও তাদের
দিকে তাকিয়ে আনমনা হয়ে অন্য
মানুষের সাথে কথা বলবো।
টমাসঃ আচ্ছা দেখি কি হয়।
অনিকঃ যা ঐখান থেকে দুইটা চেয়ার
নিয়ে আয়।
এরপর অনিক ও টমাস চেয়ারের
উপরে বসে মেয়ে দুটির
দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের
তাকিয়ে থাকার স্থাহিত্য কাল ছিল ৩
ঘন্টা। এর মাঝে গান বাজনা সব চলছে।
মাঝে একবার তাদের কে যেন
মুড়ি খেতে দিয়েছিলো সেই
মুড়ি খাওয়ার স্টাইল টা ছিলো আবার
অন্য রকম। টমাস ইচ্ছা করে তাদের
দিকে তাকিয়ে থেকে মুড়ি মুখের
দিকে নিক্ষেপ করে কিন্তু সেই
মুড়ি মুখের ভেতর
না যেয়ে পড়ে মাটিতে। এই
অবস্থা দেখে টমাসের
চাদনী মানে টমাসের আগুন এমন
ভাবে হাসা শুরু করলো যে তার দাত
পড়ে যাবার মতো অবস্থা।
এভাবে করতে করতে অনিক
উঠে মেয়েগুলির দিকে এগুচ্ছে। টমাস
তার মামাকে উঠে তদের
দিকে যাওয়া দেখে সেও তার মামার
পিছন পিছন আগাচ্ছে।
অনিকঃ এক্সকিউজ মি আপু আমাদের একটু
পানি দেওয়া যাবে?
মুড়ি খেয়ে গলাটা পুরাই
শুখিয়ে গেছে।
আফিয়াঃ নানী ইনাদের একটু
পানি দাও তো।
নাণীঃ ধুর নাতিন আমি একটু ব্যাস্ত তুই
দে।
অনিকঃ so, please (একটু মুচকি হেসে)
আফিয়াঃ যাচ্ছি।
টমাসঃ আমাকে আর
কে পানি খাওয়াবে?আমার
তো পানি খাওয়ানোর মতো কেও নাই।
আপু তুমি একটু পানি খাওয়াবা?
চাদনীঃ দিচ্ছি।
এরপর পানি নিয়ে আসলো দুজন।কিন্তু
পানি চাদনী অনিককে দিচ্ছে আর
টমাসকে পানি দিচ্ছে আফিয়া।
এমতাবস্তায়।
টমাসঃ আন্টি মনে হয় ভুল করছেন
পানি আমি চাদনীর
কাছে চেয়েছিলাম।
আফিয়াঃ তৃষ্ণা লেগেছে পানি খাও
কে দিচ্ছে ওটা দেখলে তো হবেনা।
টমাসঃ আন্টি আপনার
পানি খেয়ে আমি মজা পাবোনা।
আমার মামাকে দেন।
মামা বলেছে আপনার হাতের
পানি নাকি মামার কাছে শরবতের
মতো লাগবে।
আফিয়াঃ তোমার কাছেও
লাগবে খাও।
এরপর দুজন কোনকিছু
না বলে পানি খেতে লাগলো।
অনিকঃ আফিয়া শুনুন।
আফিয়াঃ আপনি আমার নাম
কিভাবে জানলেন?
অনিকঃ চাদনী আপনার নাম বলেছে।
আফিয়াঃ জ্বি বলুন।
অনিকঃ আসলে আমি পানি আপনার
কাছে খেতে চেয়েছিলাম।
আপনি যদি আমাকে একটু পানি দিতেন
আমি খুব খুশি হতাম।
আফিয়াঃ এতক্ষন যে পানি খেলেন
তাতে হয় নাই?
অনিকঃ না আমার আপনার হাতের
পানি না খেলে তৃষ্ণা মিটবে না।
আফিয়াঃ কেন?
অনিকঃ কারন আমার মনের
ভেতরে ইচ্ছা ছিলো যে আপনার
হাতে পানি খাবো। তাই এই
পানিগুলা তেমন গুরুত্ব দিয়ে খাই নাই।
যে কারনে আমার তৃষ্ণা মেটেনি।
আফিয়াঃ আচ্ছা নিন।
এরপর আফিয়ার হাতের এক জগ
পানি খেয়ে ফেলেছে অনিক। তারপরও
অনিক আফিয়ার কাছে আবার
পানি আবেদন করলো।
এরপর
আফিয়া বুঝতে পারলো যে ব্যাপারটি বেশি সিরিয়াস
হয়ে যাচ্ছে। এরপরও
যদি পানি অনিককে দেই
তাহলে সমস্যা হতে পারে তাই
সে কোন কথা না বাড়িয়ে জগ
নিয়ে চলে গেলো।
টমাসঃ মামা তুমি এইডা কি করলা?
অনিকঃ কি?
টমাসঃ মামা তুমি এতগুলি পানি রাখলা কই?
অনিকঃ আর বলিস না ও
আমাকে যতো পানি দিচ্ছিলো পানি পেটে যাওয়ার
আগে ওর সূর্যের
ঝলকানিতে শুখিয়ে যাচ্ছিলো।
টমাসঃ কি বলো মামা?
অনিকঃ হ্যা সত্যি মামা।
এরপর থেকে টমাস ও অনিক ওদের দুজনের
কাছাকাছি থাকছিলো। এক
পর্যায়ে মেয়েদুটি এমন একটা ভাব
দেখাচ্ছিলো যে ওদের মন
ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হয়ে পড়লো।
অবশেষে অনিক ও টমাস রাগ
করে চলে যাওয়ার প্ল্যান করলো। তারপর
টমাস তার বান্ধবীর কাছে বিদায়
নিতে গেলো সাথে তার
মামাকে নিয়ে।
যেয়ে দেখে মেয়েদুটি তার বান্ধবীর
সাথে এক সাইডে বসে গল্প করছে।
টমাসঃ দোস্ত চলে যাচ্ছি।(রাগান্বিত
ভঙ্গিতে)
বান্ধবীঃ কেন চলে যাবি কেন?
এখনো রাত ৩ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে।
টমাসঃ দোস্ত ভালো লাগছেনারে।
চলে যাচ্ছি
বান্ধবীঃ কি হইছে কোন সমস্যা?
টমাসঃ না দোস্ত কোন সমস্যা নাই।
তোদের এলাকার মানুষের ভাব বেশি।
মানুষকে মানুষ বলে মনেই করেনা।
কথাটা বলেই হাটা শুরু করলো।
তাদের
এভাবে চলে যাওয়া দেখে আফিয়া ও
চাদনী টমাসের
বান্ধবীকে ফুসলিয়ে আবার ডাক
দিলো।
বান্ধবীঃ টমাস শোন।
টমাসঃ কি?
বান্ধবীঃ আমাকে বল কি হইছে?
টমাসঃ কিছুনা যা বললাম
বুঝতে পারলে বোঝ নাইলে আর কিছু
বলতে পারবোনা।
বান্ধবীঃ এদের সাথে কিছু হইছে?
টমাসঃ এদের সাথে কি হবে ?
এরাতো অনেক ভালো। মানুষের
পানি খেতে দেই। ভালোতো।
বান্ধবীঃ তাইলে কি হইছে?
টমাসঃ কিচ্ছুনা দোস্ত থাক
চলে গেলাম।
বান্ধবীঃ মামা আমাকে বলেনতো কি হইছে?
অনিকঃ মানুষ তখনি কষ্ট পায় যখন তাদের
কেও মানুষ বলে মনে করেনা।
আফিয়াঃ আন্টি তুই চুপ কর আমি বলি।
আমরা কি আপনাদের সাথে তেমন কিছু
করেছি?
অনিকঃ না আপনারা আমাদের কিছু
মনেই করছেন না তাই বললাম। আপনাদের
দিকে আমরা দুজন প্রায় ৩
ঘন্টা ধরে অপলক দৃষ্টিতে কেন
তাকিয়ে আছি আপনাদের নিশ্চই
বোঝার কথা। কারন আপনাদের এখন
বোঝার বয়স হয়েছে। আর সব
কথা যদি মুখে বলে দিতে হবে তাহলে আল্লাহ
কেন আমাদের চোখ দিয়েছে? চোখের
ভাসা কি বোঝেন না?
এরপর আফিয়া আর কোন কথা বল্ল না শুধু
এটুকুই বল্ল প্লিজ যেইয়েন না।কিন্তু
অনিক ও টমাস কোন
কথা না বাড়িয়ে আবার হাটা শুরু
করলো।এরপর আফিয়া ও চাদনী প্ল্যান
করে তাদের হাতে থাকা রঙ অনিক ও
টমাদের গায়ে লাগিয়ে দিলো। অনিক
ও টমাস প্রায় বাসার গেটের
বাহিরে চলে গেছে এমতাবস্তায়
ওরা এই কাজ করেছে। এরপর অনিক ও
টমাসের আবার শুরু
হয়ে গেলো তাফালিং। এবার টমাস ও
অনিক দুজনেই ওদের হাতের থেকে রঙ
কেড়ে নিয়ে চাদনী ও
আফিয়াকে লাগিয়ে দিলো। এই রঙ
মাখামাখি দিয়ে শুরু
হয়ে গেলো তাদের মাঝে বন্ধুত্ব পূর্ণ
সম্পর্ক। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত তারা ঐ
বাড়ি হই হুল্লোড় করে কাটিয়ে দিলো।
মাঝে অনিক ও আফিয়া এবং টমাস ও
চাদনী দুইটা রোমান্টিক গানে ডুয়েট
ড্যান্স করেছিলো।
পরের দিনঃ
রাত্রে বাড়ি ফিরেই অনিক ও টমাস
দুইটা চিরকুট লিখেছিলো। অনিক তার
চিরকুটে X-Factor 2 নাটকের ডায়লগ
কপি করে এডিট করে দিয়েছিলো।তার
চিরকুটটির নমুনাঃ
তুমি জানো যে তুমি ডিরেক্ট
দোজকে যাবা?
যদি প্রশ্ন করো কেন? তাহলে আমি উত্তর
দিবো
একটা মানুষের কিন্তু এতো সুন্দর হওয়ার
কোন
দরকার নাই। এটা কিন্তু অন্যায়। আর
তুমি এই
অন্যায়টা সব সময় করো So, তোমারতো
দোজক ছাড়া গতি নাই।
যদি বলো কেন এই কামনা?
তাহলে আমি বলবো তোমাকে আমার খুব
ভালো লেগেছে
মনে হয় তোমার প্রতিটি নিশ্বাস আমার
দরকার।
তোমাকে দেখার পর থেকে আমার ঘুম
হারাম হয়ে গিয়েছে
বিশ্বাস করবে কি জানিনা আজ
সারারাত আমি ঘুমাতে
পারি নাই। যখনি চোখ
বুঝেছি তখনি তোমার রুপের
সূর্যের ঝলকানি আমার ঘুম
ভাঙ্গিয়ে দিয়েছে।
সব শেষ তোমাকে এটুকু বলতে চায়
আমি তোমার হাত ধরে
সুরযদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে চায়
সারাজীবন।
তুমি কি চাও?
যদি চাও প্লিজ আমাকে ফোন
করো ০১২৩৪৫৬৭৮৯ এই নম্বরে।
এভাবে দুজন চিরকুটের
সাথে কয়েকটি ক্যাটবেরি চকলেট সহ
তাদের এলাকায় উপস্থিত হলো।
যেয়ে টমাসের অন্য একটি বান্ধবীর
হেল্প নিয়ে ওদের
কাছে জিনিসগুলি পৌছুলো। টমাস ও
অনিক দূর থেকে জিনিসটি ফলো করলো।
চাদনী কোন কথা না বলে চিরকুট
ছিড়ে টুকরো টুকরো করে চকলেট
নিয়ে চলে গেলো।
এবং আফিয়া ছেড়ার অভিনয়
করে হাতের মধ্যে রেখে চলে গেলো।
এরপর টমাস ও অনিক মন খারাপ
করে বিয়ের
খানা খেয়ে বাড়ি ফিরলো।
বিকেলের দিকে হঠাত অনিকের
নাম্বারে একটা আননোন নাম্বার
থেকে কল আসলো। অনিক সাধারনত
আননোন নাম্বারের ফোন রিসিফড
করেনা। কিন্তু সেদিন
আফিয়াকে নাম্বার
দিয়ে আসাতে ফোন রিসিভড করলো।
অনিকঃ হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম
আফিয়াঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।
আমাকে চিনতে পেরেছেন?
অনিকঃ আরে আফিয়া? আমি তোমার
ফোনের অপেক্ষায় করছিলাম সেই
বাসায় আসার পর থেকে। এত
দেরি করলা কেন?
আফিয়াঃ সবাইকে বিদায় দিতে,
কাজ টাজ
সারতে সারতে দেরি হয়ে গেলো।
অনিকঃ So, বলো।
আফিয়াঃ কি বলবো (লাজুক
হাসি মিশিয়ে)
অনিকঃ কি বলবা মানে ?
তোমাকে চিরকুটে কি বললাম?
আফিয়াঃ আপনিই তো বলেছেন সব
কথা যদি মুখে বলে দিতে হয়
তাহলে আল্লাহ আমাদের চোখ কেন
দিয়েছেন? আপনি কি আমার চোখ
দেখে কিছু বোঝেন নি?
অনিকঃ That means u also Love me?
আফিয়াঃ হ্যা বলেই
ফোনটা কেটে দিলো।
অনিক এতো জোরে ইয়েস বলে সাউট
করেছে যে পাশের রুম থেকে টমাস
দৌড়িয়ে এসে বল্ল মামা কি হয়েছে?
অনিকঃ মামা কাজ হইছেরে?
টমাসঃ কি কাজ?
অনিকঃ আফিয়া আমার
প্রেমে পড়ে গেছে।
টমাসঃ তাই নাকি? Congratulation !
অনিকঃ thanks!!!
টমাসঃ মামা আমাকে তো চাদনী ফোন
দিলো না।
অনিকঃ ফোন দিবে কিভাবে ? ও
তো তোর নাম্বার ছিড়ে ফেলেছে।
টমাসঃ মামা প্লিজ
আফিয়া মামীকে দিয়ে আমার
লাইনটা সেটআপ করে দাও।
অনিকঃ আচ্ছা বাবা ঠিকাছে। ধৈর্য
হারিওনা আমি বিষয়টা দেখছি।
পরে ফোন দিলে তোমার
ব্যাপারটা দেখছি।
এরপর অনিকের সাথে এভাবেই
মাঝে মাঝে ফোনে কথা হতে থাকলো আফিয়ার।
অনিক টমাস ও চাদনীর বিষয়টাও
ফাইনাল করে দিয়েছে। এখন তাদের এই
দুই জুটি চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছে।
তারা মামা ভাগনে একসাথে ডেটিঙ্গেও
যাচ্ছে। একদিন অনিক পুরা খরচ হ্যান্ডেল
করে তো অন্যদিন টমাস।
বর্তমানে তাদের প্রেম খুব সুন্দর
ভাবে চলছে। তদের
কখনোবা দেখা যায় সুন্দর স্নিগ্ধ ধান
ক্ষেতের পাশে। কখনোবা দেখা যায়
বড় বীলটির পাশে। আবার
কখনোবা দেখা যায় পার্কে। বেশ
ভালোই জমে উঠেছে তাদের প্রেম।
দোয়া কইরেন তাদের জন্য তাদের
প্রেমের জীবন যেন সুন্দর ভাবে কাটে।
লেখা - Ashik Jaki