ছাগলের যখন শরীর চুলকায়, তখন কি করে দেখেছেন?
দেয়ালে যেয়ে শরীর ঘষে
... আচ্ছা, সে এটা শিখলো কোথায়?
তার মা নিশ্চয়ই কানে কানে বলে দেয়নি, ‘এক হাতে কাঁঠালপাতা থাকলেও অপর হাতে ছুরি ধরা কাউকে দেখলেই খিচ্চা দৌড় দিবা, তারা আসলে ভালা মানুষ না কসাই... আর চুলকানি আসলে, ঠিক এমনটি করিবে’
তাহলে সে শিখলো কোথায়?
আবার এটাও বিশ্বাস করি না যে সে আশেপাশে দেখে, এটা শিখেছে
যদি আশেপাশে থেকে সে সহজেই ক্যাচ করতে পারত, তাহলে কোরবানি ঈদের দিন যখন গরু জবাই চলে, তখন সে হাসিহাসি মুখ করে পাতা খেত না
দঁড়ি ছিড়ে, লাফাতে লাফাতে পালিয়ে যেত
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে; তার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক, আশেপাশে থেকে ডিটেইল কিছু ক্যাচ করতে শিখায়নি
তাহলে দেয়ালে শরীর ঘষে চুলকানিটা শিখলো কিভাবে????
সে, আসলে শিখেনি ... সে এটা নিজে নিজে এক্সপ্লোর করেছে
কোনদিন হয়ত দেয়ালে ঘষা মেরে দেখে, ‘ওইত্তেরি চুলকানি দেখি গন’
একটা ছাগল যদি এক্সপ্লোর করে এতকিছু বের করে ফেলতে পারলে, আমরা কেনও চোখ ছোট করে রাস্তাঘাটে হাঁটি?
চোখ বড় করেন... দেখবেন, আশেপাশে অনেক মজার মজার জিনিস চোখে পড়ছে
যে পিজ্জা, আগে আপনার কাছে পিজ্জার চেয়ে বেশি কিছু লাগত না, আজ হয়ত লক্ষ্য করবেন যে, এটা এমন এক জিনিস যেটা আসে চারকোণা বক্সে, এটা দেখতে গোল... আর এটা আবার আমরা খাই তিনকোণা করে
কি মজা... আমি এক্সপ্লোর করা শিখে গেছি
জাপানীরা এই ‘চোখ খোলার’ নাম দিয়েছে কাইজান (Kaizen)
বিশাল এক কোর্স... তারা এখন ইউরোপিয়ানদেরও এই কাইজান শিখায়
আমিও মুখ চোখা করে এই কোর্স করেছি .. তেমন কোনও রকেটসাইন্স না এটা
“আপনার রান্না ঘরে পাতিল অনেক উচুতে থাকে, তাই সব সময় রান্নাঘরে একটা টুল রাখুন”
... এর নামই কাইজান
তাদের এই কাইজান পদ্ধতি আজ বিশ্বে সমাদৃত
যেটা, বেসিক্যালি খুব সহজ একটা বিষয়... আর বিষয়টা হলো; আশেপাশে তাকাও ... এক্সপ্লোর করো
আমরা জাতি, যে পরিমান বেলাইনে এক্সপ্লোর করি tongue emoticon সেই পরিমান যদি একটু লাইন মত করতাম, আমি শিওর অনেক পজিটিভ কিছু বের করে নিয়ে আসতে পারতাম
“আমি শিওর, ‘বাঙ্গালী ভাইজানদের’ মেধার কাছে, এই ‘জাপানী কাইজান’, কিছুই না”
... কিন্তু আফসোস, তারা আগে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে
আর আমরা... দিনকেদিন আমাদের নিজেদের ছাগলদের থেকেও পিছিয়ে পড়ছি