লিখা :- অর্থহীন অমিত
[ ১ ]
- এই যে শুনছো ??
তূর্য শুনেও না শুনার ভান
করে হেটে চলে যাচ্ছে, আর শুনবেই
বা কেনো গত কয়েকদিন আগে এই
মেয়েটার জন্য তাকে ডিপার্টমেন্টের
সবার সামনে অপদস্থ হতে হয়েছে।
সে ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসে স্যারের
লেকচার বুঝতে পারেনা, ঠিক
যেনো এলিয়েনের মতো কথার
ফুলঝুরি ছুটান কিন্তু তূর্য ঐ সব জটিল জটিল
সার্কিটের ভিতর ঢুকতে পারেনা। তাই
সচরাচর ক্লাসটা করা হয়না তার কিন্তু
ইনকোর্সের রেজাল্ট খারাপ
হওয়াতে ইদানীং স্যার বড্ড
কড়াকড়ি করে ক্লাস নিচ্ছেন। স্যার
ক্লাসের কয়েকজন কে দায়িত্ব
দিয়েছেন সবাইকে জানানোর যেন
ক্লাসটা কেউ মিস না করে। নিধিও
সেই দায়িত্ব পাওয়া এক জন সেও
তূর্যকে ক্লাসে আসতে বলেছিলো কিন্তু
ঐ যে, সে এই স্যারের লেকচার
বুঝতে পারেনা তাই কোয়ান্টামের
ক্লাসটা করে চলে গিয়েছিলো সেই
দিন। আর
নিধি স্যারকে বলে দিয়েছে যে,
কে কে আগের ক্লাসে ছিলো তাই
পরেদিন স্যার
তাকে ডিপার্টমেন্টে পেয়ে ইচ্ছেমতো ঝাড়ি দিয়েছেন,
তাও জুনিয়রদের সামনে।
জুনিয়াররা হা করে দেখছিলো তখন।
তূর্যে হনহন করে হেটে চলেছে আর পিছু
পিছু নিধি।
" আজবতো মেয়েটা!!
দেখছে আমি কথা বলতে চাচ্ছিনা অথছ
আমার দিকে আসছে, নির্লজ্জ"।
মনে মনে বলে উঠলো তূর্য
ওদিকে নিধি তার পিছু পিছু
ছুটে চলেছে। তাদের ক্যাম্পাসটা বেশ
সুন্দর, ডিপার্টমেন্ট ছাড়িয়ে বিশাল
বিশাল
গাছগুলো মাথা তুলে নিজেদের
অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে আর সামনের
দীঘিতে টলমল
করা পানিতে ফুটে থাকা পদ্ম
যেনো সমস্ত ক্যাম্পাসটার সৌন্দর্যের
প্রতিক হয়ে উঠেছে।
নিধি অনেকটা হাপাতে হাপাতে অবশেষে তূর্যের
নাগাল পেলো।
-- কি ব্যাপার, এতো ডাকছি তাও
শুনছো না কেনো??
- এমনেই
-- দেখো আমি ঐ
ব্যাপারটা নিয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আমি আগেও
সরি বলেছি আজো সরি বলছি।
- আর কিছু বলার আছে??
-- কেনো!!!!
- আমার কিছু কাজ আছে।
-- বড় এক ভাইয়ের বাসায়
ক্ল্যাসিকালটা শুরু
করতে যাচ্ছি আমরা কয়েকজন, ভাবলাম
তোমাকে জানাই।
- হুম, পরে জানাবো।
তূর্য আর দেরী করলোনা,
সোজা হাটতে লাগলো। এটা তাদের
থার্ড ইয়ার কিন্তু মাত্র কয়েজন জন
ছাড়া কারো সাথেই তূর্যের তুমির
সম্পর্কটা এখনো গড়ে উঠেনি তার।
সে সবার সাথে তেমন
একটা মিশেনা তাছাড়া খুব
বেশি একটা ক্লাস না করাও হয়তো এর
কারনের মধ্যে পড়ে।
[ ২ ]
-- দোস্ত তুই কই??
- লাত্তি খাবি শালা,
এতো রাতে মানুষ কই থাকে??
-- ফেবুতে ঢুক জলদি
- কেন!!
-- আমাদের ভার্সিটির একটা ক্রাশ এন্ড
কনফেশন পেইজ আছেনা, ঐ টাতে দেখ
তোর নামে কি লিখছে!!!.
- কি লিখছে??
-- তুই দেখ
অনিচ্ছা সত্ত্বেও তূর্য ফেবুতে ঢুকলো।
" পদার্থ বিজ্ঞানের ৩য় বর্ষের মিস্টার
তূর্য, এতো কিউট কেনো আপনি????
আপনি অত্যাধিক লাজুক সেটা দূর
থেকে দেখলেই বুঝা যায়। আপনার
চোখের চমশাটা চেইঞ্জ করবেন, ঐ
টা পুরনো হয়ে গেছে। সেইভ করবেন না,
কারন খোঁচা খোঁচা দাড়িতেই জোশ
লাগে আপনাকে।
আরেকটা কথা, কেউ একজন
আপনাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসে।
আর সেটা হয়তো আমি না হয় আমার
ভেতরের কেউ। আপনি এই
পোষ্টটা দেখার পর আমাকে খোঁজার
বৃতা চেষ্টা করবেন না।
অনেক ভালো থাকবেন। "
বেশ বড় একটা ধাক্কা খেলো তূর্য, কারন
তার মতো একটা একগুয়ে টাইপ
মানুষকে নিয়ে এই ভাবে কেউ ক্রাশের
পোষ্ট দিতে পারে সে কল্পনাও
করেনি। এর পর থেকে বেচারার ঘুম
হারাম, ক্যাম্পাসে যাকেই
দেখে তাকেই ভাবে ঐ মেয়ে। তার
ইয়ারের মোটামুটি সবার
কানে পৌছে যায় কথাটা।
চার-পাঁচ দিন পরে,
"
কি রে চশমা দেখি সত্যি সত্যি বদলে দিলি!!
"
অয়নের কথায় তূর্য ইতস্তত বোধ করলো আর
বললো,
"চশমাটা বেশ
পুরনো হয়ে গিয়েছিলো তাই...
মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অয়ন বললো,
" হুম বুঝিতো আমি সব বুঝি "
গতকাল বিকেলে যখন
চশমাটা সে কিনছিলো তখনই
সে আন্দাজ করতে পারছিলো যে এটার
জন্য প্যারায় পড়তে হবে আর তা আজ
হাতে নাতে স্পষ্ট। অথছ সে যে ঐ
মেয়ের কথায় এটা নিচ্ছে এমন কিন্তু নয়,
কিন্তু কাকতালীয়
ভাবে সে মেয়েটা বলার
পরে কিনলো।
[ ৩ ]
"এই মেয়ে আমাদের গ্রুপে কেনো? "
কথাটা ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস
করলো তূর্য। কিন্তু অয়নের কাছ
থেকে যে জবাবটা পেলো সেটার জন্য
সে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।
দেশে নানা ঝামেলা থাকায় এইবার
ব্যবহারিক ক্লাসটা একটু দেরীতে শুরু
হয়েছে আর গ্রুপ যে দিন করা হয় সেই দিন
তূর্য ডিপার্টমেন্টে ছিলো না তাই
লাস্ট দুই ইয়ারে এই বার প্রথম কোন
মেয়ে তাদের ব্যবহারিক
গ্রুপে ঢুকেছে তাও আবার স্যার গ্রুপ
করে দিয়েছেন। আসলে মেয়েদের
সাথে কাজ করাটা তূর্য
এলার্জি ভাবে।
" তোর উপরে ক্রাশ খাইছেরে, তুই কিছু
একটা কর " অয়নের কথা শুনে তার
দিকে তূর্য লাল
চোখে করে তাকালো বললো,
" তোর শখ থাকলে তুই মর "
এই মেয়ে তার উপর কেনো অযথা ক্রাশ
খাবে, যত্ত সব গাঁজাখুরি ভাবনা। এই সব
উদ্ভট চিন্তা বাদ দিয়ে তূর্য
ইলেকট্রনিক্স এর এক্সপেরিমেন্ট
গুলোতে চোখ বুলাতে লাগলো। স্যার
এক্সপেরিমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয়
ইন্সট্রুমেন্ট গুলোর নাম বলে যাচ্ছেন আর
সবাই নোট করছে।
"
চশমা দেখি সত্যি সত্যি বদলে নিয়েছো!!
"
হঠাৎ করেই নিধিত এই রকম কথায়
কিছুটা ইতস্তত বোধ করে তূর্য, নিরব
থেকে সে যে এটা নিয়ে কথা বলতে চায়
না সেটা জানান দেয়। নিধি আবার
জিজ্ঞেস করে,
" কোন জায়গা থেকে নিয়েছো এই
ফ্রেমটা? তোমার সাথে ভীষন
মানিয়ে গেছে এটা "
উত্তরে জিন্দাবাজার আর ধন্যবাদ
দিয়ে ফর্মালিটি সারে তূর্য। সকাল
সকাল গ্রুপে এই মেয়েকে দেখে তার
মেজাজ বিগড়ে আছে আবার এখন
কথা বলতে হচ্ছে তার সাথে। শুধু আজ নয়,
এখন থেকে প্রায় প্রতিদিনই
অনিচ্ছা সত্ত্বেও কথা বলতে হবে।
[ ৪ ]
ঝুম বৃষ্টি, ভার্সিটিতে যাওয়া খুব দরকার
তাই রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে তূর্য।
বেশ কিছুটা সময় কিন্তু রিক্সা দূরে থাক
একটা সিএনজিও নেই। একটা দোকানের
বারান্দায়
দাড়িয়ে দাড়িয়ে বৃষ্টি কমার
অপেক্ষা করছে তূর্য হঠাৎ করেই পরিচিত
একটা গলা,
" এই যে চশমিস, আমি কি হেল্প
করতে পারি ? "
তাকাতেই দেখলো নিধিকে,
ছাতা নিয়ে ঠিক তার
পিছনে দাড়িয়ে।
" না থাক, বৃষ্টি একটু পর কমে যাবে"
" আমিও ভার্সিটিতে যাচ্ছি ,
তাছাড়া কোয়ান্টাম ক্লাসটা কিন্তু
ইম্পর্টেন্ট "
তূর্য আর সাত পাঁচ কিছু ভাবলো না,
সোজা নিধির ছাতার নিচে। ঝুম
বৃষ্টি আর এক ছাতার নিচে দুই জন। তূর্য
কল্পনাও করেনি কখনো যে এই মেয়ের
সাথে তাকে এই অবস্থায় চলতে হবে।
ডিপার্টমেন্টে ঢুকে একটা ধন্যবাদের পর
সোজা ক্লাসরুমে চলে গেলো তূর্য। সেই
থেকে একটু আধটু কথা বলা, গ্রুপ
স্টাডি ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে নিধির
সাথে তূর্যের কথা হতো। পড়া লেখাই
তূর্যের ধ্যান জ্ঞান ছিলো তবে নিধির
কেয়ারিং স্বভাবটা আস্তে আস্তে তূর্যকে আকৃষ্ট
করতে থাকে।
একটা পর্যায়ে সে বুঝতে পারে নিধিকে তার
খুব প্রয়োজন। কিন্তু নিজের অস্তিত্বের
বা পরিবেশের কথা চিন্তা করে আগায়
না সে। আবেগের অসুখটা শুরু হয় ঠিক তখন
থেকেই। নিধিকে দেখলেই তার
হৃদপ্রকোষ্ঠের বাড়াবাড়ি কয়েকগুণ
বেড়ে যেতো, কোন এক রঙীন
স্বপ্নে শঙ্খনগর বুনতো সে কিন্তু কিসের
জানি একটা ভয় ছিলো তার, তাই
আবেগের অসুখটাকে পাত্তা দিতো না,
এড়িয়ে যেতো।
[ ৫ ]
-- কি জনাব, কোথায় ছিলেন??
এতো ফোন দিচ্ছি তাও ধরার নাম নেই
কেন ?
- এমনেই
-- এমনেই মানে??
- ছাদে আমি আকাশ দেখি।
-- এই শুরু হয়ে গেলো জনাবের কবিতা।
কি করা হচ্ছে আপনার??
- দুই আঙুলের মাথায় আগুন নিয়ে স্বপ্ন
পোড়াই। একটা স্বপ্ন দুইটা স্বপ্ন
-- মানে কি?!! আবার সিগারেট
খাওয়া হচ্ছে ???
- হুম
-- ফেলো এখনি ফেলো বলছি,
না হলে ছাদ
থেকে ধাক্কা দিয়ে এখনি ফেল
দিবো কিন্তু।
- তবে বেঁচে যাবো আমি।
-- ধুর, ফাইজালামির একটা লিমিট
আছে।
- কেনো ফোন করেছো ঐ টা বল?
-- হ্যাঁ আমিতো কেউ না, দরকার
ছাড়া ফোন দেইনা। রাখলাম,
ভালো থাকো।
নিধি ফোন রেখে দিলো, তূর্য আকাশ
দেখছে। চাঁদের সাথে মেঘের
লুকোচুরি চলছে। চলছে তূর্যের আবেগ
লুকানোর নির্মম চেষ্টা। ঠিক গলার
কাছাকাছি কিন্তু
মুখে আসছেনা কথা গুলো। এটা অসম্ভব, হয়
না। তবুও নিধিকে ফোন দেয় তূর্য,
- ফেলে দিলাম
-- আর কখনো খাবেনা।
- চেষ্টা করবো।
-- না মানে না, এখন রুমে যাও। ঘুমাও,
রাত কয়টা বাজে খেয়াল আছে?
- কয়টা?
-- দেড়টা
- মাত্র!!
-- ফাইজলামি না, যাও রুমে।
- একটা স্মাইল হবে?
-- হাঁদারাম একটা
ফিক করে হেসেদিলো নিধি,
যেনো শীতল একটা পবন
ছুঁয়ে গেলো তূর্যকে। আজ সারা দিন মন
খারাপ
করে রাখাটা যে বোকামি ছিলো সেটা মনে হচ্ছে এখন,
তবে মন খারাপের প্রাপ্তি যদি এটাই
হয় তবে ক্ষতি কি। অবশ্য বেশ কয়েকবার
ফোন হাতে নিয়ে নিধিকে কল করার
চেষ্টা করেছিলো সে কিন্তু
কেনো জানি হয়ে উঠেনি।
[ ৬ ]
তূর্য এক দিন নিধিকে অবাক
করে দিয়ে তার জন্ম দিনে ২২ টা কদম ফুল
নিয়ে হাজির হলো সে নিধির বাসায়।
ড্রয়িংরুমে কথা হচ্ছে তাদের,
" শুভ জন্মদিন"
নিধি অবাক হলে বললো " মনে আছে??
আর না জানিয়ে হঠাৎ বাসায়। একটা কল
দিতে কি হতো" তূর্য
একটা হাসি দিয়ে তারিখটা তার
জানা ছিলো সেটাই প্রকাশ করলো আর
বললো, " তবে কি সারপ্রাইজ থাকতো,
বলো? "
নিধি অভিমান
ছুড়ে দিয়ে জানতে চাইলো," এই
তোমাকে কদম ফুল আনতে বলতে কে আর
কার্ডের রঙ হলুদ কেনো ??"
" তোমার বায়োতে লিখা আছে,
প্রিয় ঋতু :- বর্ষা। তাই ভাবলাম, যার
প্রিয় ঋতু বর্ষা তার প্রিয় ফুল কদম হওয়ার
সম্ভাবনা একটু বেশি। তাছাড়া হিমু
টিমু একটু বেশি পড়া হয় তোমার,
ভাবলাম হলুদ কালার তোমার খুব পছন্দ
হবে তাই। "
হাসতে হাসতে নিধি বললো,
" তোমার মাথা, আমার প্রিয় ফুল
শিউলী। আর হলুদ হচ্ছে গু কালার, আমার
পছন্দ নীল "
মাথা চুলকাতে চুলকাতে তূর্য
নিধিকে জিজ্ঞেস করলো ,"
আচ্ছা তুমি বল, এই ঘোর
বর্ষাকালে শিউলী পাবো কোথায়!!?? "
চোখ নামিয়ে নিধি বললো,"
হাদাঁরাম, থাক আর লাগবে না। অন্য
কাউকে দিও। "
" না তোমাকেই দিবো "
চমকে উঠলো নিধি," মানে!! "
" মানে আবার কি?? তোমার পছন্দের ফুল,
তোমাকে দিবো না তো কাকে দিবো??
"
অভিমান নিয়ে নিধি বললো,
" পৃথিবীর সব পছন্দের জিনিস
পাওয়া যায় না। এই যেমন আমার প্রিয়
ফুল শিউলী কিন্তু এই
বর্ষা কালে পাওয়া যায় না। ঠিক
তেমন কিছু কিছু মানুষের কল্পনা আর
চাহিদা কখনোই পূর্ণ হয় না। "
" কে বলছে? ঠিক মতো চাইলে সব
পাওয়া যায়"
" তাই!! "
" হুম "
নিধি আস্তে আস্তে বললো,
" আমার চাওয়া একটাই, আর সেটা তূর্য "
তূর্য অবাক হয়ে বললো,
" তার মানে ঐ ক্রাশের পোষ্ট তোমার
ছিলো!!!?"
" হাঁদারাম কোথাকার "
তূর্য হাসলো, বললো,
" বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, ছাদে যাবে? "
" কেনো??"
" আমার না খুব ইচ্ছে, প্রেয়সীর
হাতে হাত রেখে বৃষ্টিবিলাস করবো।
আমার হাতটা ছাড়বেনাতো তুমি ?? "
ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ত প্রতিটি মানুষ। শত
কর্মব্যস্ততার মাঝেও আজ
তারা নিজেদের দৃশ্যপটে ক্ষণিকের জন্য
হলেও প্রথম বর্ষার ছবিটা এঁকে নিচ্ছে।
ভিজছে ধূসরিত
মাটি ঘুলঘুলিতে থাকা চড়ুইজোড়া,
রাস্তায় কয়েকটা ছোট্ট ছেলে , দূরের
নিঃসঙ্গ নাম না জানা একটা গাছ আর
নিকুঞ্জ বিহার নামক একটা বাড়ির দু-
তালার ছাদে ভিজছে এক
জোড়া কপোত-কপোতী। মাথার
উপরে যে অনন্ত আকাশ,
সেটা কারো নিজস্ব ছিলো এতোদিন
তবে আজ থেকে আকাশটা যৌথ।
হাতে হাতের স্পর্শ আর
কাঁধে মাথা রেখে সুখ খুঁজছে এক রমণী।
এই প্রেমিক যুগলমূর্তি হাজার বছর
ধরে তৃষ্ণার্ত ছিলো এই রকম
একটা বারিধারার জন্য। আজ তারা সেই
তৃষ্ণা মিটাতে বড়ই ব্যাকুল। নিজেদের
সত্ত্বায় গেঁথে নিচ্ছে ঈশ্বরের
দেয়া প্রতিটি আর্শিবাদ আর
হারাচ্ছে নিজেদের নিমিত্তে।