তখন খুব
রাত্রি জেগে পড়াশোনা করতাম,
কারণটা ছিল তখন আমার এইচ.এস.সি.
পরিক্ষা চলছিল । প্রতিদিন রাত
জেগে পড়াশোনার পর যখন বিছানায়
যেতাম, তখন রাত প্রায় ২
টা বেজে যেত । একদিন
রাতে পড়া শেষ করে যখন দাত ব্রাশ
করতে বাথরুমে গেলাম, একটা বন্ধু ডাকল-
দোস তোর ফোন ।
আমি ভাবলাম এত রাতে কে ফোন
করতে পারে ? ফোনের কাছে যেতেই
মিস হয়ে গেল । গিয়ে দেখলাম
অপরিচিত একটা নাম্বার
থেকে একটা ফোন আসছিল ।
অনেকক্ষণ চিন্তা করলাম
কে হতে পারে ? কিন্তু আমার
বেলেন্সও ছিলনা ফোন করার মত ।
সকালে উঠে সোজা লোডের
দোকানে গেলাম ! রিচার্জ করেই ফোন
লাগালাম, কিন্তু মনটা খারাপ
হয়ে গেল নাম্বারটা বন্ধ । সেদিন
সারাদিন ট্রাই করলাম নাম্বারটা আর
অন করেনি । মনের মধ্যে একটা সংকোচ
নিয়েই দিনটা পার করলাম । তারপর
থেকে প্রতিদিন একটা কল দিতাম
নাম্বাটায়, কিন্তু ফোনটা আর
বেঁজে উঠতোনা ।
একদিন সকালবেলা একটা ফোন দেই,
কিন্তু আজ ফোনটা বেজে উঠলো ! মনের
মাঝে একটা কৌতুহল জেগে উঠলো,
কে সেই অজ্ঞাতকুলশীল
ব্যাক্তি জানা যাবে । ফোনটাও
রিসিভ হলো, কিন্তু অপর প্রান্ত
থেকে কোনো সাড়া নেই । তাই
অবশেষে আমিই কন্ঠ খুললাম ;
-হ্যালো....
~এতদিন পরে ফোনটা ব্যাক করলেন ?
(একটা অনেক মিস্টি কন্ঠ থেকে এই
আওয়াজটা ভেসে আসল)
-আপনার নাম্বারটাতো এরপর থেকে আর
কোনদিন অন পায়নি ।
~ভালভাবে ট্রাই
করলে পেয়ে যেতেন !
-মানে কি ? আমি তো রোজই ফোন
দিতাম,এই নাম্বারটা সব-সময় অফ
থাকতো ।
~প্রতিদিন একটা সময় খোলা থাকত !
-কখন ?
~একদম সকালবেলা ।
-এর কারণটা জানতে পারি ? আর
আপনিতো যখন আমাকে ফোন
দিয়েছিলেন তখন তো সেটা ছিল রাত
দুইটার পর !
~আমার কোন পারসোনাল ফোন
নেই,কিন্তু একটা সীম আছে,
যেটা দিয়ে আপনার সাথে কথা বলছি ।
বাবা যখন ঘুমিয়ে পড়ত তখন ফোনটা তার
রুম থেকে এনে আমার সীমটা অন করতাম !
আর অপেক্ষা করতাম ফোনটা ব্যাক
হওয়ার জন্য । আর একটু পরেই আবার
ফোনটা লুকিয়ে বাবার বালিশের
নিচে রেখে আসতাম !
-কিন্তু আপনিতো আরেকটা মিসকলও
দিতে পারতেন ?(কেন জানি একজন
অপরিচিত কন্ঠটাকে অতি পরিচিত
করে নিলাম)
~একবার যাকে চাও , সে যদি তোমার
ভাগ্যে না থাকে তবে বার-বার
চেয়েও কোন লাভ নেই ।
~কিন্তু সেটা কি চাওয়া ?
-অবশ্যই চাওয়া ! আপনার সাথে প্রথম
যেদিন দেখা হয়, সেদিন আমার হৃদয়
কোনে আপনাকে পাওয়ার জন্য
একটা ব্যাকুলতা জন্মে, তারপর আপনার
একজন বন্ধুর কাছ থেকে আপনার
নাম্বারটা নেই !............আর কোন
আওয়াজ নেই !
হঠাত্ করেই ফোনটা অফ ! কিছুই
বুঝে উঠতে পারলাম না !
তাড়াতাড়ি করে আবার ফোনটা ব্যাক
করলাম, কিন্তু নাম্বারটা আর
খোলা পেলাম না !
অপেক্ষা করতে লাগলাম, ফোনটা কখন
অন হবে ? যাক একটা সময়তো জানা গেল,
কখন সে ফোনটা অন করে । সারাদিন
মনের মাঝে একটা অদৃশ্য অনুভূতি এসে ভর
করে থাকল ! জীবনে কোনদিন
প্রেমে পড়া হয়ে উঠেনি, কিন্তু
সে কেমন হবে, কে হতে পারে এই
চিন্তাটা মোটেও মাথায় কাজ
করছিলনা । শুধু ভাবনায় এলো, একজন
আমার প্রেমে পড়েছে, সে আমার
হতে চায়, আমি তার
প্রেমে পড়ে গেলাম ।
পরেরদিন,
সকালে উঠে আবারও ফোন দিলাম,
কিন্তু তখনও ফোনটা অফ ।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম ! এটা কি হল ?
আমার স্বপ্নটার কি এখানেই পরি-
সমাপ্তি ঘটবে ! মনে মনে আক্ষেপও
করতে লাগলাম,
এতগুলো কথা না বলে কেন তার
পরিচয়টা নিলাম না ? তাহলে তো আজ
আমিই তাকে খোঁজে বেড়
করতে পারতাম !
এই আক্ষেপের মাঝেই আমার দিন
অতিবাহিত হতে লাগল ! প্রতিদিন তার
দেওয়া সময়টায় দুইটা করে কল দিতাম,
কিন্তু আর কখনো ফোনটা বাজতো না !
হঠাত্ একদিন সকালে ব্রাশ
করতে গেলাম, বাথরুম থেকে ফ্রেশ
হয়ে ফোনটা তুলে নিলাম, ফোনের
স্কিনটায় সেই কাঙ্খিত
নাম্বারটা থেকে একটা মেসেজ ! মনের
মাঝে একটা অদ্ভুদ প্রশান্তি এসে ভিড়
করলো, আবার বুঝি ফিরে পেলাম আমার
স্বপ্ন-আমার ভালবাসা । অনেক
আবেগের
সাথে মেসেজটা পড়তে লাগলাম ।
প্রিয়, কেমন আছ ? জানি ভাল । আমার
কথা ভেবনা । সামনে তোমার পরিক্ষা ,
তুমি ভালকরে পড়াশুনাটা চালিয়ে যাও
। আর তোমার জন্য রইল শুভ কামনা ।
ইতি,
তোমার একজন হিতাকাঙ্খি ।
মেসেজটা পড়ে মনটা চটপট করতে লাগল !
এবার তার
প্রতি ভালবাসাটা আরো বেড়ে গেল,
সাথে সাথে একটা কল লাগালাম,
কিন্তু আবারও ফোনটা অফ !
এটা মেনে নিতে আমার খুব কষ্ট হল !
সারাটা দিন তাকে নিয়ে ভাবলাম !
একটা মেসেজও তাকে দিয়ে রাখলাম,
কে তুমি, আজ তোমাকে দেখার খুব
ইচ্ছে করছে ! এভাবে দূর থেকে তোমার
কথাগুলো মনে পড়লে আমার খুব কষ্ট হয় !
প্লিজ একবার ফোনটা অন করলে,
আমাকে একটা মিস দিও !
প্লিজ ।
এভাবে অনেকদিন চলতে লাগল,
প্রতিদিন মেজেসটার রিপোর্ট চেক
করতাম, কিন্তু সেটা আর ডেলিবারিড
হয়না ।
এদিকে আমার পরিক্ষা শুরু হয়ে গেল !
প্রথম পরিক্ষার দিন, গোসল
করে এসে দেখলাম,
মেসেজটা ডেলিবারি হল,
এবং আরেকটা মেসেজও এসেছে,
অনেক দোয়া রইল, আমার হৃদয়ের
অন্তঃস্থল থেকে, তোমায়
পরিক্ষাটা যেন ভাল হয় ।
আশাকরি আমার জন্য চিন্তা করবেনা,
প্লিজ পড়াটায় মন দাও।
আর পরিক্ষাটা ভাল করে শেষ কর !
আমাদের দেখা হবে ।
তারপর , আর রিপ্লাই দেওয়ার
চেষ্টা করলাম না ।
অনেকদিন কষ্ট
করে অবশেষে পরিক্ষা শেষ করলাম ।
পরের দিন, যেইনা চিন্তা করলাম
তাকে কল দিব, সেই
মুহুর্তে একটা মেসেজ আসল, আজ বিকেল
৪টায় ঝিলের পাড়ে আমাদের
দেখা হবে, আমি অপেক্ষায় থাকবো...
আমি বিকেলে রেডি হয়ে গেলাম
ঝিলের পাড়ে । মনের মাঝে মৌন
আনন্দও বিরাজ করছিল, আজ আমার
হিতাকাঙ্খীর সাথে দেখা হবে..
সে দেখতে কেমন হবে ? না সবটাই চিট ?
মনকে প্রশ্ন করতে-করতে
একটা বেঞ্চে বসলাম, দূরে ঝিলের
পরিবেশটা তার উপস্থিতির জানান
দিতে লাগল !
পেছন ফিরে তাকালাম, একটা উদ্ভুদ
মুগ্ধতা ভিড় করল চোখের কোনে !
সে এসেছে একটা নীল জামা পড়ে, এ
যেন অপ্সরার আগমন ! তার
চুলগুলো বাতাসে উড়তে লাগল !
একজোড়া মায়াবী চোখ আমার
দিকে তাকিয়ে আছে !
মুখে একটা তৃপ্তির হাসি !
সমস্ত পরিবেশ
তাহা আগমনে বদলে যেতে লাগল ! যেন
কোন প্রেমময়ী উপন্যাসের কল্পিত
দৃশ্যের মতো । অপ্সরা আমার
পাশে এসে বসল, আমি হারিয়ে গেলাম
এক স্নিগ্ধময় বিকেলের স্বর্গীয় ভূবনে,
অপ্সরাতে হাতে হাত রেখে ।
রাত্রি জেগে পড়াশোনা করতাম,
কারণটা ছিল তখন আমার এইচ.এস.সি.
পরিক্ষা চলছিল । প্রতিদিন রাত
জেগে পড়াশোনার পর যখন বিছানায়
যেতাম, তখন রাত প্রায় ২
টা বেজে যেত । একদিন
রাতে পড়া শেষ করে যখন দাত ব্রাশ
করতে বাথরুমে গেলাম, একটা বন্ধু ডাকল-
দোস তোর ফোন ।
আমি ভাবলাম এত রাতে কে ফোন
করতে পারে ? ফোনের কাছে যেতেই
মিস হয়ে গেল । গিয়ে দেখলাম
অপরিচিত একটা নাম্বার
থেকে একটা ফোন আসছিল ।
অনেকক্ষণ চিন্তা করলাম
কে হতে পারে ? কিন্তু আমার
বেলেন্সও ছিলনা ফোন করার মত ।
সকালে উঠে সোজা লোডের
দোকানে গেলাম ! রিচার্জ করেই ফোন
লাগালাম, কিন্তু মনটা খারাপ
হয়ে গেল নাম্বারটা বন্ধ । সেদিন
সারাদিন ট্রাই করলাম নাম্বারটা আর
অন করেনি । মনের মধ্যে একটা সংকোচ
নিয়েই দিনটা পার করলাম । তারপর
থেকে প্রতিদিন একটা কল দিতাম
নাম্বাটায়, কিন্তু ফোনটা আর
বেঁজে উঠতোনা ।
একদিন সকালবেলা একটা ফোন দেই,
কিন্তু আজ ফোনটা বেজে উঠলো ! মনের
মাঝে একটা কৌতুহল জেগে উঠলো,
কে সেই অজ্ঞাতকুলশীল
ব্যাক্তি জানা যাবে । ফোনটাও
রিসিভ হলো, কিন্তু অপর প্রান্ত
থেকে কোনো সাড়া নেই । তাই
অবশেষে আমিই কন্ঠ খুললাম ;
-হ্যালো....
~এতদিন পরে ফোনটা ব্যাক করলেন ?
(একটা অনেক মিস্টি কন্ঠ থেকে এই
আওয়াজটা ভেসে আসল)
-আপনার নাম্বারটাতো এরপর থেকে আর
কোনদিন অন পায়নি ।
~ভালভাবে ট্রাই
করলে পেয়ে যেতেন !
-মানে কি ? আমি তো রোজই ফোন
দিতাম,এই নাম্বারটা সব-সময় অফ
থাকতো ।
~প্রতিদিন একটা সময় খোলা থাকত !
-কখন ?
~একদম সকালবেলা ।
-এর কারণটা জানতে পারি ? আর
আপনিতো যখন আমাকে ফোন
দিয়েছিলেন তখন তো সেটা ছিল রাত
দুইটার পর !
~আমার কোন পারসোনাল ফোন
নেই,কিন্তু একটা সীম আছে,
যেটা দিয়ে আপনার সাথে কথা বলছি ।
বাবা যখন ঘুমিয়ে পড়ত তখন ফোনটা তার
রুম থেকে এনে আমার সীমটা অন করতাম !
আর অপেক্ষা করতাম ফোনটা ব্যাক
হওয়ার জন্য । আর একটু পরেই আবার
ফোনটা লুকিয়ে বাবার বালিশের
নিচে রেখে আসতাম !
-কিন্তু আপনিতো আরেকটা মিসকলও
দিতে পারতেন ?(কেন জানি একজন
অপরিচিত কন্ঠটাকে অতি পরিচিত
করে নিলাম)
~একবার যাকে চাও , সে যদি তোমার
ভাগ্যে না থাকে তবে বার-বার
চেয়েও কোন লাভ নেই ।
~কিন্তু সেটা কি চাওয়া ?
-অবশ্যই চাওয়া ! আপনার সাথে প্রথম
যেদিন দেখা হয়, সেদিন আমার হৃদয়
কোনে আপনাকে পাওয়ার জন্য
একটা ব্যাকুলতা জন্মে, তারপর আপনার
একজন বন্ধুর কাছ থেকে আপনার
নাম্বারটা নেই !............আর কোন
আওয়াজ নেই !
হঠাত্ করেই ফোনটা অফ ! কিছুই
বুঝে উঠতে পারলাম না !
তাড়াতাড়ি করে আবার ফোনটা ব্যাক
করলাম, কিন্তু নাম্বারটা আর
খোলা পেলাম না !
অপেক্ষা করতে লাগলাম, ফোনটা কখন
অন হবে ? যাক একটা সময়তো জানা গেল,
কখন সে ফোনটা অন করে । সারাদিন
মনের মাঝে একটা অদৃশ্য অনুভূতি এসে ভর
করে থাকল ! জীবনে কোনদিন
প্রেমে পড়া হয়ে উঠেনি, কিন্তু
সে কেমন হবে, কে হতে পারে এই
চিন্তাটা মোটেও মাথায় কাজ
করছিলনা । শুধু ভাবনায় এলো, একজন
আমার প্রেমে পড়েছে, সে আমার
হতে চায়, আমি তার
প্রেমে পড়ে গেলাম ।
পরেরদিন,
সকালে উঠে আবারও ফোন দিলাম,
কিন্তু তখনও ফোনটা অফ ।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম ! এটা কি হল ?
আমার স্বপ্নটার কি এখানেই পরি-
সমাপ্তি ঘটবে ! মনে মনে আক্ষেপও
করতে লাগলাম,
এতগুলো কথা না বলে কেন তার
পরিচয়টা নিলাম না ? তাহলে তো আজ
আমিই তাকে খোঁজে বেড়
করতে পারতাম !
এই আক্ষেপের মাঝেই আমার দিন
অতিবাহিত হতে লাগল ! প্রতিদিন তার
দেওয়া সময়টায় দুইটা করে কল দিতাম,
কিন্তু আর কখনো ফোনটা বাজতো না !
হঠাত্ একদিন সকালে ব্রাশ
করতে গেলাম, বাথরুম থেকে ফ্রেশ
হয়ে ফোনটা তুলে নিলাম, ফোনের
স্কিনটায় সেই কাঙ্খিত
নাম্বারটা থেকে একটা মেসেজ ! মনের
মাঝে একটা অদ্ভুদ প্রশান্তি এসে ভিড়
করলো, আবার বুঝি ফিরে পেলাম আমার
স্বপ্ন-আমার ভালবাসা । অনেক
আবেগের
সাথে মেসেজটা পড়তে লাগলাম ।
প্রিয়, কেমন আছ ? জানি ভাল । আমার
কথা ভেবনা । সামনে তোমার পরিক্ষা ,
তুমি ভালকরে পড়াশুনাটা চালিয়ে যাও
। আর তোমার জন্য রইল শুভ কামনা ।
ইতি,
তোমার একজন হিতাকাঙ্খি ।
মেসেজটা পড়ে মনটা চটপট করতে লাগল !
এবার তার
প্রতি ভালবাসাটা আরো বেড়ে গেল,
সাথে সাথে একটা কল লাগালাম,
কিন্তু আবারও ফোনটা অফ !
এটা মেনে নিতে আমার খুব কষ্ট হল !
সারাটা দিন তাকে নিয়ে ভাবলাম !
একটা মেসেজও তাকে দিয়ে রাখলাম,
কে তুমি, আজ তোমাকে দেখার খুব
ইচ্ছে করছে ! এভাবে দূর থেকে তোমার
কথাগুলো মনে পড়লে আমার খুব কষ্ট হয় !
প্লিজ একবার ফোনটা অন করলে,
আমাকে একটা মিস দিও !
প্লিজ ।
এভাবে অনেকদিন চলতে লাগল,
প্রতিদিন মেজেসটার রিপোর্ট চেক
করতাম, কিন্তু সেটা আর ডেলিবারিড
হয়না ।
এদিকে আমার পরিক্ষা শুরু হয়ে গেল !
প্রথম পরিক্ষার দিন, গোসল
করে এসে দেখলাম,
মেসেজটা ডেলিবারি হল,
এবং আরেকটা মেসেজও এসেছে,
অনেক দোয়া রইল, আমার হৃদয়ের
অন্তঃস্থল থেকে, তোমায়
পরিক্ষাটা যেন ভাল হয় ।
আশাকরি আমার জন্য চিন্তা করবেনা,
প্লিজ পড়াটায় মন দাও।
আর পরিক্ষাটা ভাল করে শেষ কর !
আমাদের দেখা হবে ।
তারপর , আর রিপ্লাই দেওয়ার
চেষ্টা করলাম না ।
অনেকদিন কষ্ট
করে অবশেষে পরিক্ষা শেষ করলাম ।
পরের দিন, যেইনা চিন্তা করলাম
তাকে কল দিব, সেই
মুহুর্তে একটা মেসেজ আসল, আজ বিকেল
৪টায় ঝিলের পাড়ে আমাদের
দেখা হবে, আমি অপেক্ষায় থাকবো...
আমি বিকেলে রেডি হয়ে গেলাম
ঝিলের পাড়ে । মনের মাঝে মৌন
আনন্দও বিরাজ করছিল, আজ আমার
হিতাকাঙ্খীর সাথে দেখা হবে..
সে দেখতে কেমন হবে ? না সবটাই চিট ?
মনকে প্রশ্ন করতে-করতে
একটা বেঞ্চে বসলাম, দূরে ঝিলের
পরিবেশটা তার উপস্থিতির জানান
দিতে লাগল !
পেছন ফিরে তাকালাম, একটা উদ্ভুদ
মুগ্ধতা ভিড় করল চোখের কোনে !
সে এসেছে একটা নীল জামা পড়ে, এ
যেন অপ্সরার আগমন ! তার
চুলগুলো বাতাসে উড়তে লাগল !
একজোড়া মায়াবী চোখ আমার
দিকে তাকিয়ে আছে !
মুখে একটা তৃপ্তির হাসি !
সমস্ত পরিবেশ
তাহা আগমনে বদলে যেতে লাগল ! যেন
কোন প্রেমময়ী উপন্যাসের কল্পিত
দৃশ্যের মতো । অপ্সরা আমার
পাশে এসে বসল, আমি হারিয়ে গেলাম
এক স্নিগ্ধময় বিকেলের স্বর্গীয় ভূবনে,
অপ্সরাতে হাতে হাত রেখে ।