লেখাঃ জনাব কাল্পনিক।
সচরাচর যা হয় আরকি, আমি ফেবু এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দৌড়ে বেড়াচ্ছি।
কখনো যাচ্ছি কলকাতায় আবার কখনো যাচ্ছি টেকনাফ
কিংবা তেতুলিয়া। যাই হোক, হঠাত্ ফেনীর এক জানু পথ
আগলে ধরল। কি ব্যাপার? এখানে তো ভিসা কিংবা পাসপোর্ট
কিছুই লাগে না। হ্যাঁ তবে পাসওয়ার্ড ঠিকই লাগে।
বাস্তবে পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশ থেকে কিক খেয়ে দেশে আসতে হয় আর ফেবু
থেকে কিক করে বাস্তবে আসতে হয়। সে দেশ
হোক কিংবা বিদেশ। তো যাই হোক
দাঁড়ালাম..... জানু - Oi
আমি - কি?
-ke kris?
-সাইবেরীয়াতে আছি।
শুনছি এখানে নাকি অনেক বরফ পড়ে। কিন্তু এখানে যে পরিমান গরম তাতে তো বরফ হই
যাইতেছিরে।
-Moja loos?
-আমি তো বাংলাদেশে নাই
যে মজা নিব।
-accha shun na...,.amr na mon onek onek
khrp..
-তো?
-dhur......asholei mon ta onk khrp.
-সাইবেরীয়াতে আসবি?
-harami...,
-তোর আব্বার সবচাইতে বড় ভুল
কি জানস?
-?
-তুই।
-Dekh mojar mood nai kintu
-হা হা হা। Just kidding.....,..
....কি হইছে?
-Ammu onk kharap
-কেন?
-Ammu asholei onek kharap. janos kal raat e
o ammu kechu khai nai
-আম্মু কিছু খাই নাই?
এখানে খারাপের কি আছে? খেতে ইচ্ছে করে নাই
নতুবা পেটে সমস্যা ছিল তাই। খুব সিম্পল একটা ব্যাপার।
-Simple na. ashol kmne bole? tre tho shob e
bole.
tai e ta o bola jai. ashol e kal rice chelo na.
ammu
amader k khawai neje khai nai.
এত ক্ষন পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু
মেয়েটার সর্বশেষ মেসেজটা আমায় ফেবু থেকে পাসওয়াড়ের কারনে কিক
না করলেও আমার বিবেক আমায় ঠিকই কিক দিল।
-ওই তুই রাখ। কাল কথা বলব।
-Koi jacchis?
-কাল কথা হবে।
নিজেকে আর নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি নাই।
আমি তো ব্যাপারটা এভাবে কখনোই
দেখিনি। আম্মুরা খারাপ হয়। আমি ও তো অনেকবার এই
বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু ভাবি নি তো এভাবে।
সাথে সথেই গেলাম আম্মুর ঘরে।
-আম্মু
-কি? কিছু বলবি?
-কি কর?
-টিভি দেখি।
আম্মুর কোলে মাথাটা রাখলাম।
এটা আমি প্রায়ই
করে থাকি।
-কি রে? কিছু বলবি?
-আম্মু আজ তোমার হাতে খাব।
-ঠিকাছে।
-রাতে তোমার সাথে ঘুমাব।
-কি হয়েছে বলতো?
মাথা ঠিকাছে তোর?
-তারপর তুমি সারা রাত আমার
মাথায় হাত
বুলিয়ে দিবে যতক্ষন পর্যন্ত
আমি না ঘুমাই। তারপর
আমাকে গান শুনাবা।
-কি?
-এই আম্মু তোমার
মনে আছে আমি একটা এক
টাকা পেলে ছেলে বেলায়
কি খুশি হতাম।
-মনে থাকবে না আবার।
আর এভাবেই বাড়তে থাকে রাত আর চলতে থাকে এই সংলাপ। থাক না, এই
একটা ভ্যালেন্টাইন না হয় বাদ যাক প্রেম করা থেকে।
প্রেমিকাকে তো ভালবাসা যাবে। কিন্তু আম্মুকে আজ এই ভ্যালেন্টাইন
টা দিলে নিশ্চই কোন প্রেমিকা রাগ করবে না। আজ অন্য
কিছুর জন্য না হোক ঐ এক টাকা পাওয়া ছেলেটার
মুখে সেই ছোট বেলার কথা গুলো শুনতে পৃথিবীর কোন আম্মুই বিরক্ত হবে না।