-- আহ !!!
ছাড় না। লাগছে তো। হঠাৎ করেই পেছন থেকে কেউ একজন
জয়ের কানে চিমটি কাটাতে তার আর
বুঝতে বাকি রয়লোনা ভার্সিটিতে সাদিয়ার উপিস্থিতি।
পেছন ফিরে চোখ রাঙ্গাতেই
সাদিয়া পালানোর বৃথা চেষ্টা করে।
কারণ জয়ের হাত থেকে তার
লম্বা রশমি কালো চুলের রেহায় নেয়।
-- প্লিজ ছাড়, আর ভুল হবেনা।
-- উহু। এই পর্যন্ত এই ডায়লগ কয়বার রিপিট
করেছিস একবার বলতো।
-- ওকে, যা.....
তোর পাশে আসলেই তো তোর কানের
লম্বা তুলতুলে লতি দেখলে আমার হাত কচলাই।
তার চেয়ে বরং তোর পাশে না আসায় বেটার, তাই না ???
সাদিয়ার মাঝে অভিমানী চাপ স্পষ্ট লক্ষ করা যাচ্ছে।
আর কথা না বাড়িয়ে সে ক্যাম্পাসের
মেইন গেইটের দিকে হাঁটা স্টার্ট করে। আজ তার একটা ক্লাস
না হওয়াতে ভেবেছিল জয়ের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিবে, কিন্তু
তা আর হলো কই?? সাদিয়ার এই বিষয়টা নিয়ে জয় মুটেও
চিন্তিত নয়। কাড়োণ সাদিয়ার এই মিষ্টি অভিমান
ভাঙ্গানোর প্রকৃত ঔষধ তার কাছে আছে। তাই সে দেরি না করে,
একটা রিক্সা ডেকে সাদিয়ার আগেই
ক্যাম্পাসের মেইন গেইটে উপস্থিত হলো।
সাদিয়াকে পাস করে যাওয়ার সময়
বুঝা যাচ্ছিল মোটা কাঁচের ফ্রেমের ফাঁক দিয়ে সে আড়
চোখে জয়কে দেখছে। মিটমিটে হাসি দিয়ে জয় ওর
দিকে তাকাতেই সে ফুহ দিয়ে চোখের
সামনের চুল গুলো উড়িয়ে দিল।
অবশ্য রাগ করার সময় মেয়েদের
চেহারার সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ
বেড়ে যায় বাচ্চা টাইপের এইসব আচরণ করলে।
আর জয় সবসময় সাদিয়ার সেই রাগান্বিত
কিউট চেহারাটি খুব উপভোগ করে।
আরেকটু আগালে সামনে একটা ভাল রেস্টুরেন্ট পরে।
সেখান থেকে কিছু চকলেট আর
আইস্ক্রিম নিয়ে সাদিয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
হাতে কিছু ফুল থাকলে অবশ্য আরো ভাল হত।
কিন্তু না, সামনেই তো ১৪ঈ ফেব্রুআরি আর কিছুদিন
তো অপেক্ষা করা যেতেই পারে। সাদিয়া রিক্সার
জন্যে অপেক্ষা করছিল। হাতে চকলেট গুলো তুলে দিতেই
চোখে মুখে একটুকরো আলোর ঝলক খেলে গেল।
তার সবচাইতে ফেভারিট চকলেট
গুলো এখন তার হাতে, খুশি না হয়ে যাবে কই ???
অবশ্য এটাই সেই পদ্ধতি, যেটা দিয়ে জয় তার রাগ ভাঙ্গায়।
একটু পর সাদিয়াকে রিক্সায় তুলে দিয়ে সেদিকে এখনো অপলক
চোখে তাকিয়ে আছে, আর সাদিয়া বার বার পেছন
ফিরে তাকাচ্ছিল বাম হাতে চোখের
ওপর আসা চুল গুলো সরিয়ে নিচ্ছিল।
সাদিয়াকে নিয়ে জয়ের হাজারও স্বপ্ন যেন রিক্সার পেছন পেছন
উঁকি মেরে যাচ্ছে। এই তো আর কটা দিন।