-এই হারামজাদা এখনো ঘুমোচ্ছিস।ওঠ ওঠ।
-আজ শুক্রবার তাই একটু ঘুমোচ্ছিলাম।রোজ
কি গালি দিয়েই তুলবে?
-তুমিকি নবাবজাদা যে সোহাগ করে তুলবো?
-মা তুমি আর বাবা আমার সংগে এমন
কেনো করো রোজ, বলতে পারো?
কি অপরাধ আমার বল?
-ছোট থেকে আমাদেরতো তুমি অনেক
কিছু দিয়েছ তাই তোমাকে বকি এতো। তুমি বোঝনা বাবা?
-কি করেছি আমি?
-আরে আমার সোনা ছেলে।
জানোনা কি করেছ?
-লিখাপড়ার জন্য
কি আমাকে সারাজীবন এভাবেই
অপমান করবে তোমরা?
-হুম করবো।
-দেখো মা লিখাপড়া ছাড়াও
আরো অনেক কিছু আছে।আমি সেগুল
অনেকটাতো পারিই।তবুও।।
-হয়েছে আর তর্ক করবেনা।যাও নবাব
খেয়ে আমাকে উদ্ধার করো বাবা। কলেজে তো যাবেইনা।
-খাবোনা।
-যা ইচ্ছে কর যা।
রাহিক ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্র।
লিখাপড়ায় তার মনোযগ কিছুটা কম।
ছাত্র হিসেবে সে খারাপ নয়
জে.এস.সি. আর এস.এস.সি.
তে জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে সে।তার
বাবা আর মায়ের তার থেকে কিছু
পাওয়ার ইচ্ছেটা অতিমাত্রায় বেশি।
যা রাহিক কে রোজ ভাবিয়ে তুলছে।
বাসার ভেতর মানসিক ভাবে প্রতিদিন
আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে সে।মনোবল নামক
জিনিসটা আর তার শক্তিটা তার
মধ্যে যেন আর একেবারেই নেই।কোন এক
অন্ধকারে হারিয়ে গেছে তা আর দিন
দিন যেনো তা আরো দুরেই চলে যাচ্ছে!
রাহিক মনোখুন্ন হয়ে পরছে রোজ একটু একটু
করে।খুব খারাপ লাগছে আজ তার।
নিজের বাবা- মা তাকে যে একেবারেই বোঝেনা।
লিখাপড়া কম হলেও করে সে।আর
খারাপ তো সে করেনা।তবুও কেন
বাবা মা তাকে অবজ্ঞা করে যাচ্ছে রোজ! ভাল করলেও
প্রশংসা পায়নি সে কখনো।
বাবা মা তাকে সর্বদাই অপমান অপমান
আর অপমান করে গেছেন।
কখনো বা স্কুলে সবার সামনে আবার
কখনো বা প্রাইভেটে টিচারের
সামনে আবার কখন নিজের
আত্নীয়োদের সামনে।সবার কাছেই
যেন আজ রাহিক অবজ্ঞার এক কাঠের
পুতুল যার অস্তিত্ত্ব মেলাই ভার।এসব
ভাবতে ভাবতে সে ফেসবুকে লগইন করে।বন্ধুদের সংগে আলাপ
করতে থাকে।ভাবে যদি মনটা একটু
হলেও ভাল হয়ে যায়।তার বন্ধু শাহির কে নক দেয় সে।
-কি করস ভাউ?
-ভাউ আর কইস না!
আম্মা পড়া লয়া জালায়ফেল্লোরে।তর
কি হাল!
-ডেইলি মা গালি দিয়াইতো ঘুম
থেকে জাগায়।আজকেও তার গালির আওয়াজে আমার কানটা মুখরিতোরে ভাউ।
-বাবা মা যে কবে বুঝবোরে ভাউ।
-কি বুঝবো?উনারা বুঝতে চাইবেননা।
আর বোঝাত দুরের কথা।
-ঠিক বলছস ভাউ।পড়তে আবি?
-নারে আজকে আর আমুনা।তোরা যা।
-আমিও যামুনা।
-আচ্ছা চল যামু।
-আচ্ছা চল তাইলে।বের হয়ে কল দে।
-আচ্ছা ভাউ। রাহিক আর শাহির বেষ্ট
ফ্রেন্ড৷তারা ইংলিশ স্যারের কাছে যাচ্ছে এক সংগেই৷
তাদের ইংলিশ স্যার অনেক ভালো মানুষ।পড়তে গেলে রোজ
রাহিক আর শাহির মন মরা হয়ে থাকতো।
তবে আজ যেন কিছুটা বেশি মন খারাপ
তাদের।পড়া শেষে স্যার তাকে আর
শাহিরকে থাকতে বলে।তাদের
সংগে কিছু কথা বলবেন আজ উনি।
-কি হয়েছে তোদের দুজনের?
-কিছুনা স্যার! আপনিতো জানেনই
আমার মা বাবা কেমন।রোজ তাদের এক
কথাই।পড়া লেখা কিছুই করিনা।
-তোরা ছাত্র খারাপ নোস।আমি পড়াই
তাই আমি বুঝি।উনারা তোদের ভালোর জন্যই বলেরে।
-কিসের ভালো স্যার?নিজের
ছেলেকে মানোসিক চাপ
দেয়া কিভাবে ভাল
হতে পারে বলুনতো।
-তোর কথাটা ঠিক।তোর বাবা মা কিছুটা আলাদা তা আমিও জানি৷
-তো আমি কি করবো এখন স্যার!কিছু
করে নিজেকে যদি প্রমাণ
কর্তে পার্তাম তাদের কাছে...
-আচ্ছা তোর ভাল লাগে কি কি করতে বলতো আমায়?
-খেলাধুলা,লিখা,অভিনয়।।
-যেহেতু তোর
বাবা মা লিখাপড়াটা বেশি চান
তবে একটি কাজ তুই করতেই পারিস!
-সেটা কি?
-তুই লিখতে শুরু করে দে।
দেখবি ভালো ফলাফল পাবি।আর
আজকাল ফেসবুকে লিখালিখির অনেক কদর।
-কি লখবো আমি?
-গল্প লিখবি।তোর জীবনের
গল্প,আশেপাশের গল্প লিখ।এমন কিছু লিখ
যাতে মানুষ উপকৃত হয়।
-বুঝেছি স্যার!
-আজ থেকেই তোরা শুরু করে দে।যেদিন
সফলতা পাবি দেখিস তোদের বাবা মা নিজে তোদের প্রসংশা করবেন।
শাহির আর রাহিক বের হয়ে আসে।
রাহিকের মনে হচ্ছে স্যার ঠিক বলেছেন।লিখবে সে ভাবছে।লিখার
মাধ্যমেই সে নিজেকে প্রমাণ করবে সে নিজের বাবা মায়ের কাছে।
শাহিরের দিকে তাকায়...
-ভাউ স্যার কিন্তু ঠিক বলেছেন!
-দেখ ভাউ আমার
দ্বারা এটা হবেনারে।আমি পারিনা।
তুই লিখ।
-ভাউ চেষ্টা...।
-নারে ভাউ হবেই না।তুই লিখ।সফল হ।
-ঠিকাছে।
-আজ শুক্রবার তাই একটু ঘুমোচ্ছিলাম।রোজ
কি গালি দিয়েই তুলবে?
-তুমিকি নবাবজাদা যে সোহাগ করে তুলবো?
-মা তুমি আর বাবা আমার সংগে এমন
কেনো করো রোজ, বলতে পারো?
কি অপরাধ আমার বল?
-ছোট থেকে আমাদেরতো তুমি অনেক
কিছু দিয়েছ তাই তোমাকে বকি এতো। তুমি বোঝনা বাবা?
-কি করেছি আমি?
-আরে আমার সোনা ছেলে।
জানোনা কি করেছ?
-লিখাপড়ার জন্য
কি আমাকে সারাজীবন এভাবেই
অপমান করবে তোমরা?
-হুম করবো।
-দেখো মা লিখাপড়া ছাড়াও
আরো অনেক কিছু আছে।আমি সেগুল
অনেকটাতো পারিই।তবুও।।
-হয়েছে আর তর্ক করবেনা।যাও নবাব
খেয়ে আমাকে উদ্ধার করো বাবা। কলেজে তো যাবেইনা।
-খাবোনা।
-যা ইচ্ছে কর যা।
রাহিক ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্র।
লিখাপড়ায় তার মনোযগ কিছুটা কম।
ছাত্র হিসেবে সে খারাপ নয়
জে.এস.সি. আর এস.এস.সি.
তে জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে সে।তার
বাবা আর মায়ের তার থেকে কিছু
পাওয়ার ইচ্ছেটা অতিমাত্রায় বেশি।
যা রাহিক কে রোজ ভাবিয়ে তুলছে।
বাসার ভেতর মানসিক ভাবে প্রতিদিন
আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে সে।মনোবল নামক
জিনিসটা আর তার শক্তিটা তার
মধ্যে যেন আর একেবারেই নেই।কোন এক
অন্ধকারে হারিয়ে গেছে তা আর দিন
দিন যেনো তা আরো দুরেই চলে যাচ্ছে!
রাহিক মনোখুন্ন হয়ে পরছে রোজ একটু একটু
করে।খুব খারাপ লাগছে আজ তার।
নিজের বাবা- মা তাকে যে একেবারেই বোঝেনা।
লিখাপড়া কম হলেও করে সে।আর
খারাপ তো সে করেনা।তবুও কেন
বাবা মা তাকে অবজ্ঞা করে যাচ্ছে রোজ! ভাল করলেও
প্রশংসা পায়নি সে কখনো।
বাবা মা তাকে সর্বদাই অপমান অপমান
আর অপমান করে গেছেন।
কখনো বা স্কুলে সবার সামনে আবার
কখনো বা প্রাইভেটে টিচারের
সামনে আবার কখন নিজের
আত্নীয়োদের সামনে।সবার কাছেই
যেন আজ রাহিক অবজ্ঞার এক কাঠের
পুতুল যার অস্তিত্ত্ব মেলাই ভার।এসব
ভাবতে ভাবতে সে ফেসবুকে লগইন করে।বন্ধুদের সংগে আলাপ
করতে থাকে।ভাবে যদি মনটা একটু
হলেও ভাল হয়ে যায়।তার বন্ধু শাহির কে নক দেয় সে।
-কি করস ভাউ?
-ভাউ আর কইস না!
আম্মা পড়া লয়া জালায়ফেল্লোরে।তর
কি হাল!
-ডেইলি মা গালি দিয়াইতো ঘুম
থেকে জাগায়।আজকেও তার গালির আওয়াজে আমার কানটা মুখরিতোরে ভাউ।
-বাবা মা যে কবে বুঝবোরে ভাউ।
-কি বুঝবো?উনারা বুঝতে চাইবেননা।
আর বোঝাত দুরের কথা।
-ঠিক বলছস ভাউ।পড়তে আবি?
-নারে আজকে আর আমুনা।তোরা যা।
-আমিও যামুনা।
-আচ্ছা চল যামু।
-আচ্ছা চল তাইলে।বের হয়ে কল দে।
-আচ্ছা ভাউ। রাহিক আর শাহির বেষ্ট
ফ্রেন্ড৷তারা ইংলিশ স্যারের কাছে যাচ্ছে এক সংগেই৷
তাদের ইংলিশ স্যার অনেক ভালো মানুষ।পড়তে গেলে রোজ
রাহিক আর শাহির মন মরা হয়ে থাকতো।
তবে আজ যেন কিছুটা বেশি মন খারাপ
তাদের।পড়া শেষে স্যার তাকে আর
শাহিরকে থাকতে বলে।তাদের
সংগে কিছু কথা বলবেন আজ উনি।
-কি হয়েছে তোদের দুজনের?
-কিছুনা স্যার! আপনিতো জানেনই
আমার মা বাবা কেমন।রোজ তাদের এক
কথাই।পড়া লেখা কিছুই করিনা।
-তোরা ছাত্র খারাপ নোস।আমি পড়াই
তাই আমি বুঝি।উনারা তোদের ভালোর জন্যই বলেরে।
-কিসের ভালো স্যার?নিজের
ছেলেকে মানোসিক চাপ
দেয়া কিভাবে ভাল
হতে পারে বলুনতো।
-তোর কথাটা ঠিক।তোর বাবা মা কিছুটা আলাদা তা আমিও জানি৷
-তো আমি কি করবো এখন স্যার!কিছু
করে নিজেকে যদি প্রমাণ
কর্তে পার্তাম তাদের কাছে...
-আচ্ছা তোর ভাল লাগে কি কি করতে বলতো আমায়?
-খেলাধুলা,লিখা,অভিনয়।।
-যেহেতু তোর
বাবা মা লিখাপড়াটা বেশি চান
তবে একটি কাজ তুই করতেই পারিস!
-সেটা কি?
-তুই লিখতে শুরু করে দে।
দেখবি ভালো ফলাফল পাবি।আর
আজকাল ফেসবুকে লিখালিখির অনেক কদর।
-কি লখবো আমি?
-গল্প লিখবি।তোর জীবনের
গল্প,আশেপাশের গল্প লিখ।এমন কিছু লিখ
যাতে মানুষ উপকৃত হয়।
-বুঝেছি স্যার!
-আজ থেকেই তোরা শুরু করে দে।যেদিন
সফলতা পাবি দেখিস তোদের বাবা মা নিজে তোদের প্রসংশা করবেন।
শাহির আর রাহিক বের হয়ে আসে।
রাহিকের মনে হচ্ছে স্যার ঠিক বলেছেন।লিখবে সে ভাবছে।লিখার
মাধ্যমেই সে নিজেকে প্রমাণ করবে সে নিজের বাবা মায়ের কাছে।
শাহিরের দিকে তাকায়...
-ভাউ স্যার কিন্তু ঠিক বলেছেন!
-দেখ ভাউ আমার
দ্বারা এটা হবেনারে।আমি পারিনা।
তুই লিখ।
-ভাউ চেষ্টা...।
-নারে ভাউ হবেই না।তুই লিখ।সফল হ।
-ঠিকাছে।
এরপর শাহির আর রাহিকের
রাস্তা আলাদা হয়ে যায়।রাহিক লিখা নিয়ে ভাবতে থাকে।
কি লিখবে সে!এগুল ভাবতে ভাবতেই শুরু করে একদিন লিখা।তার
বাবা মা রাহিকের মধ্যে পরিবর্তন দেখেন হঠাৎ।রাহিক আজকাল পড়ার
টেবিল ছেড়ে যেন উঠছেইনা।ডাকলেও আসেছেনা সে।তার
বাবা মা কিছুতা খুশি হতে থাকেন মনে মনে।এদিকে রাহিক
লিখালিখি তার নেশা হিসেবে নিয়ে নেয়।লিখার
ক্ষমতা তার চরমে পৌঁছে যায়। কলেজে তার বাংলায় সর্বোচ্চ নম্বর
এসেছে এবার। বাবা মা তো একেবারে অবাক।
****
আজ একটি বিশেষ দিন রাহিকের কাছে।আজ ফেসবুকের গল্প
নিয়ে প্রকাশিত হওয়া বই পাবে রাহিক যর মধ্যে একমাত্র রাহিকেরই লিখা ৭ টি গল্প আছে।বাবা মা কে কিছু জানায়নি সে আগে।বই
পেয়ে গেলে তা নিয়ে দেখাবে ভেবেছে৷
-মা?আসবো?
-আয়।কিছু বলবি?
-হুম বলবো।
-এই বইটা নাও।
-কি আছে এতে?
-পড়ে দেখো কি আছে।
রাস্তা আলাদা হয়ে যায়।রাহিক লিখা নিয়ে ভাবতে থাকে।
কি লিখবে সে!এগুল ভাবতে ভাবতেই শুরু করে একদিন লিখা।তার
বাবা মা রাহিকের মধ্যে পরিবর্তন দেখেন হঠাৎ।রাহিক আজকাল পড়ার
টেবিল ছেড়ে যেন উঠছেইনা।ডাকলেও আসেছেনা সে।তার
বাবা মা কিছুতা খুশি হতে থাকেন মনে মনে।এদিকে রাহিক
লিখালিখি তার নেশা হিসেবে নিয়ে নেয়।লিখার
ক্ষমতা তার চরমে পৌঁছে যায়। কলেজে তার বাংলায় সর্বোচ্চ নম্বর
এসেছে এবার। বাবা মা তো একেবারে অবাক।
****
আজ একটি বিশেষ দিন রাহিকের কাছে।আজ ফেসবুকের গল্প
নিয়ে প্রকাশিত হওয়া বই পাবে রাহিক যর মধ্যে একমাত্র রাহিকেরই লিখা ৭ টি গল্প আছে।বাবা মা কে কিছু জানায়নি সে আগে।বই
পেয়ে গেলে তা নিয়ে দেখাবে ভেবেছে৷
-মা?আসবো?
-আয়।কিছু বলবি?
-হুম বলবো।
-এই বইটা নাও।
-কি আছে এতে?
-পড়ে দেখো কি আছে।
রাহিকের মা একেবারে অবাক হয়ে যান গল্পগুলি পরে।
উনি এগুলো পেপারে কিশোর পাতায় পরেছেন।কিন্তু লেখক "কাব্যের
কাব্যিক" ছদ্মনাম দিয়েছিল। তিনি অনেক প্রশংসা করেছিলেন
লিখাগুলির।আজ লিখাগুলি এই বইতে পড়ে অবাক হচ্ছেন তিনি।কিন্তু
সবচেয়ে বেশি অবাক হলেন নিচে লেখকের নাম দেখে।লেখকের
নাম জোবায়ের আদনান রাহিক। রিতিমতো নির্বাক হয়ে যান
রাহিকের মা।রাহিকের লিখা দেখে তিনি অবাক হয়ে যান।
তার ছেলের এ লিখার ক্ষমতা যেন তার বিশ্বাশই হচ্ছে না।রাহিককে ডাকেন তিনি!
-বলো মা!
-কবে থেকে লিখিস?
-এক বছর!
-বলিসনি কেন?
-নিজেকে প্রমাণ করতে।
-পেরেছিস?
-তা তুমি জান!
-পেরেছিস তুই।আজ গর্ব হচ্ছে আমার তোর
মা হতে পেরে।তুই দেশের ১০জন কিশোর লেখকের মাঝে একজন।এটা আমার
কাছে কম গৌরবের নয়রে বাবা। রাহিকের মার চোখে পানি৷আজ
রাহিক তার মায়ের মুখে এসব শুনে চোখের জল আটকাতে পারেনি।
যে মা রোজ তাকে অপমান করতেন আজ তিনি রাহিকের জন্যই গর্বিত।
আসলে মা-বাবারা ভুলে যান
লিখাপড়াই দুনিয়ায় সব কিছু নয়। আরো অনেক কিছুই
আছে নিজেকে রাহিকদের মত প্রমাণ করতে। ছেলে লিখাপরা কম পারে জন্য
অবজ্ঞা করা কি ঠিক?আপনারাই বলুন। আমরা কি রাহিকের
দিকে তাকিয়ে একটিবার বলতে পারিনা চলো পাল্টাই?
উনি এগুলো পেপারে কিশোর পাতায় পরেছেন।কিন্তু লেখক "কাব্যের
কাব্যিক" ছদ্মনাম দিয়েছিল। তিনি অনেক প্রশংসা করেছিলেন
লিখাগুলির।আজ লিখাগুলি এই বইতে পড়ে অবাক হচ্ছেন তিনি।কিন্তু
সবচেয়ে বেশি অবাক হলেন নিচে লেখকের নাম দেখে।লেখকের
নাম জোবায়ের আদনান রাহিক। রিতিমতো নির্বাক হয়ে যান
রাহিকের মা।রাহিকের লিখা দেখে তিনি অবাক হয়ে যান।
তার ছেলের এ লিখার ক্ষমতা যেন তার বিশ্বাশই হচ্ছে না।রাহিককে ডাকেন তিনি!
-বলো মা!
-কবে থেকে লিখিস?
-এক বছর!
-বলিসনি কেন?
-নিজেকে প্রমাণ করতে।
-পেরেছিস?
-তা তুমি জান!
-পেরেছিস তুই।আজ গর্ব হচ্ছে আমার তোর
মা হতে পেরে।তুই দেশের ১০জন কিশোর লেখকের মাঝে একজন।এটা আমার
কাছে কম গৌরবের নয়রে বাবা। রাহিকের মার চোখে পানি৷আজ
রাহিক তার মায়ের মুখে এসব শুনে চোখের জল আটকাতে পারেনি।
যে মা রোজ তাকে অপমান করতেন আজ তিনি রাহিকের জন্যই গর্বিত।
আসলে মা-বাবারা ভুলে যান
লিখাপড়াই দুনিয়ায় সব কিছু নয়। আরো অনেক কিছুই
আছে নিজেকে রাহিকদের মত প্রমাণ করতে। ছেলে লিখাপরা কম পারে জন্য
অবজ্ঞা করা কি ঠিক?আপনারাই বলুন। আমরা কি রাহিকের
দিকে তাকিয়ে একটিবার বলতে পারিনা চলো পাল্টাই?