সকালে শুভ শুয়ে আছে। গভীর ঘুমে আছে।
হঠাৎ লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠল।
"আরে একি আমার শরিরটা ভেজা কেন?
নিশ্চয় আমার গায়ে কেউ
পানি ঢেলেছে।
আর এই মহৎ কাজটি এই বাড়িতে মাত্র
একজনই করবে।
আর তিনি হলেন তার একমাত্র ছোট বোন
ফারিয়া।"
-কিরে ভাইয়া ভার্সিটিতে যাবিনা।
-যান।তুই আমার
গায়ে পানি দিলি কেন।
-পানি দিব নাতো কি করব সেই সকাল
থেকে ডাকছি আর মহারাজ নাক
ডেকে ঘুমাচ্ছে।
-আচ্ছা যা তুই আমি আসছি।
ফারিয়া চলে গেলা।শুভ ফ্রেশ
হয়ে ভার্সিটিতে রওনা দিল।
ভার্সিটিতে ঢুকতে শুভ একটা মেয়ের
সাথে ধাক্কা খেল।
-সরি
-ইটস ওকে।
শুভ মেয়েটির
দিকে না তাকিয়ে মাথানিচু
করে চলে গেলা।
মেঘলা খুব আশ্চর্য হলো। ছেলেটা আমার
দিকে ফিরেও তাকালোনা।
ও হ্যাঁ মেয়েটির নাম মেঘলা।
তারা একি ডিপার্টমেন্ট
ভর্তি হয়েছে। কিন্তু কেউ
কারো সাথে পরিচয় হয়নি।
ক্লাস শুরু হলো। মেঘলার ঠিক পাশের
টেবিলে শুভ বসে আছে।
কিন্তু শুভ মেঘলার সাথে কোন
কথা বলছেনা।
মেঘলা একটু চঞ্জল তাই সে আগ
বাড়িয়ে কথা বলা শুরু করল।
-এইযে শুনছেন।
-জি আমাকে বলছেন।
-হ্যাঁ আপনাকে বলছি।
-আপনি এতো ভাব দেখান কেন।
-আমি আপনার সাথে কি ভাব
দেখালাম।
-এইতো গেটে আমার
সাথে ধাক্কা লাগলো।আপনি শুধু
সরি বলে চলে গেলেন অথচ আমার
দিকে ফিরেও তাকাননি।
-আমাকে এখন কি করতে হবে আপনার
কাছে মাপ চাইতে হবে।
-না আপনি আমার কাছে মাপ চাইবেন
কেন।
-তা হলে কি করব।
-আপনি আমার সাথে পরিচিত হবেন।
-আমি শুভ আপনি।
-আমি মেঘলা।
আমাকে আপনি তুমি করে বলবেন প্লিজ।
-আপনিও আমাকে তুমি করে বলবেন।
-আচ্ছা।
ক্লাস শেষে শুভ ভার্সিটির
ক্যাম্পাসে বসে আছে একা একা।
হঠাৎ মেঘলার আগমন।
-তুমি এখানে এখানে একা বসে আছো কেন।
-এমনি।
-মন খারাপ নাকি। গার্লফ্রেন্ডের
সাথে ঝগড়া হয়েছে নাকি।
-না।আসলে আমার কোন গার্লফ্রেন্ড
নাই।
-কি বলো তোমার গার্লফ্রেন্ড নেই।
তোমার মতো ছেলেদের দুই
তিনটা গার্লফ্রেন্ড থাকে।
কথাটা বলে মেঘলা হাসতে থাকে।
শুভ তাকিয়ে থাকে মেয়েটার দিকে।
মেয়েটির চোখে মুখে সরলতার ভাব।
ভার্সিটি থেকে বাড়িতে ফিরে দুজন।
রাত্রে শুভ চেয়ারে বসে বসে মেঘলার
কথা চিন্তা করতে থাকে।
মেয়েটা সত্যি অন্যরকম।
আস্তে আস্তে তাদের সর্ম্পক
তুমি থেকে তুই এ এসে পরে।আর
মেঘলা শুভকে ভালবাসতে শুরু করে।
যদিও শুভ মেঘলাকে পছন্দ করে কিন্তু
বলেনা বন্ধুত্ব হারাবার ভয়ে।
শুভর সকালে ঘুম ভাঙে মেঘলার ফোনে।
-হ্যালো
-ঐ কুত্তা এখনো ঘুমাচ্ছিস।
-না পুকুরে সাতাঁর কাটছি।
-ঐ আমার
সাথে ফাযলামি করবিনা একদম
বলে দিলাম।
-আচ্ছা মহারানী বলেন কি জন্য ফোন
করছেন।
-তুই এখনি পার্কে চলে আয়।
-কেন
-তোকে আসতে বলছি আয়।
-আচ্ছা আসছি।
শুভ
তৈরি হয়ে সোজা পার্কে চলে যায়।
দুজন বসে আছে। কার মুখে কোন
কথা নাই।
তাই শুভ প্রথমেই বলা শুরু করল।
-কি হলো ফোন দিয়ে এনে কিছু
বলছিসনা।
-শুভ আমি তোকে একটা কথা বলব
জানিনা তুই কিভাবে নিবি।
-বল কি বলবি।
-শুভ আই লাভ ইয়ু।
সত্যি আমি তোকে অনেক ভালবাসি।
-সরি। আমি একজনকে ভালবাসি।
কথাটা শুনে মেঘলার
চোখে পানি টলমল করে।
মেঘলা বলে
-ও আচ্ছা। আমি আসছি।
কথাটা বলে মেঘলা চলে যেতে চাইলে পেছন
থেকে কেউ মেঘলার হাতটা ধরে।
শুভ :কিরে কাকে ভালবাসি সেইটা না শুনেই
চলে যাচ্ছিস।
আমার সেই ভালবাসা হলি তুই গাদি।
কুত্তা বাদর
তাহলে কথা গুলি আগে বললিনা কেন
বলেই শুভকে জরিয়ে ধরে মেঘলা। আর শুভ
তার বুকে কোমল হাতের কয়েকটা মৃদু
কিল অনুভব করে।