[ ১ ]
লেকের পাড়ে চুপচাপ উদাস ভঙ্গিতে প্রতিদিন
বিকেলে বসে থাকে ছেলেটা। বাসায় ফেরার
পথে বেপারটা প্রতিদিনই চোখে পড়ে ইরিনার। কেমন যেন অদ্ভুত
অনুভূতি কাজ করে ওর ছেলেটার প্রতি। ছেলেটা ওদের ভার্সিটিরই অথচ
কখনো কথা হয়নি অনেকবার দেখা হলেও।
একদিন নিজেই ছেলেটারসাথে কথা বলতে ওর
কাছে গেল ইরিনা।
লেকের পাড়ে চুপচাপ উদাস ভঙ্গিতে প্রতিদিন
বিকেলে বসে থাকে ছেলেটা। বাসায় ফেরার
পথে বেপারটা প্রতিদিনই চোখে পড়ে ইরিনার। কেমন যেন অদ্ভুত
অনুভূতি কাজ করে ওর ছেলেটার প্রতি। ছেলেটা ওদের ভার্সিটিরই অথচ
কখনো কথা হয়নি অনেকবার দেখা হলেও।
একদিন নিজেই ছেলেটারসাথে কথা বলতে ওর
কাছে গেল ইরিনা।
--- এইযে শুনছেন? ইরিনার ডাকে পেছন ফিরে তাকাল তৃপ্ত।
>> জ্বী আমাকে বলছেন?
-- হ্যাঁ,আপনাকেই । এখানে অন্যকেউতো নেই
>> ওহ।খেয়াল করিনি।জ্বী বলুন।
-- আচ্ছা,আপনার এতো ইগো কেন বলেন তো।
ভার্সিটিতে কারো সাথে তেমন কথাই বলেন না।
>> নাহ,আসলে তা নয়।এমনিই প্রয়োজন ছাড়া কথা বলিনা।আপনি বোধহয়
আমাদেরই ভার্সিটির
-- হুম।বুঝতে পেরেছেন তাহলে। আচ্ছা,একটা প্রশ্ন করি? মাইন্ড করবেন নাতো?
>>যার মনই নেই সে আবার কি মাইন্ড করবে। বলুন।
--নিজেকে এত কষ্ট দিচ্ছেন কেন? এভাবে সবকিছু হতে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন কেন?
>>কে বলেছে আপনাকে আমি নিজেকে কষ্ট দেই?
--
তাহলে এভাবে বিষন্নভাবে প্রতিদিন বসে থাকেন কেন?
কারো সাথে মেশেন না কেন?
>>ইচ্ছা হয় তাই। কেন বসা যাবেনা? সমস্যা আছে কোন?
-- হ্যাঁ।আছে সমস্যা,,কপট রাগ নিয়ে বলল ইরিনা।এভাবে থাকবেন না। কাল এসব
বাদ দিয়ে একটু ভালভাবে আসবেন
এখানটায়। আমি সকাল ৯টায় অপেক্ষা করব আপনার জন্য।
বলেই হনহন করে চলে গেল মেয়েটা তৃপ্তকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে।
[ ২ ]
মেয়েটার মধ্যে কেমন যেন অদ্ভুত এক মায়া আছে।মেয়েটার
কথা মাথা থেকে যতই ঝেড়ে ফেলতে চেষ্টা করছে,
পারছে না তৃপ্ত। বারবার খালি ওর কথাই মনে পড়ছে। কেন এমন হচ্ছে ওর সাথে সে নিজেও ঠিক
বুঝতে পারছেনা। পরদিন অনেকটা ঘোরের মধ্যেই ঠিক
সময়ে চলে গেল তৃপ্ত সেই লেকের ধারে। ইরিনা একটু আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল।
ইরিনাকে আজ একটু বেশিই ভাল লাগছে।ঘন মেঘের মত কালো চুল তার পিঠ
বেয়ে নীচে নেমে গেছে,বড় বড় টানা চোখ ,,
লম্বা চোখের পল্লব আর ঠোটের কোণায় ছোট্ট একটা তিল। ইরিনা আজ
এসেছে কালো শাড়ি পড়ে, তৃপ্তর পছন্দের
রঙও কালো। কিভাবে বেপারটা মিলে গেল বুঝতে পারছে না তৃপ্ত। ইরিনার ডাকে ঘোর ভাঙল তৃপ্তর।
-- কি দেখছেন,এভাবে?
~~ না মানে কিছু না। আচ্ছা,চলুন । একটা রিক্সা ডেকে দুজন উঠল।
-- কি হল? চুপ করেই থাকবেন?
~~ না মানে কি বলব ঠিক
বুঝতে পারছিনা।
-- থাক কিছু বলতে হবে না। রিক্সা থেকে নেমে দুজন আস্তে আস্তে পার্কে হাটতে হাটতে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসল।
কিছুক্ষণ পর ইরিনাই নিরবতা ভেঙ্গে তার মনের ভালবাসার কথাটি তৃপ্তকে বলেই ফেলল।
-- আমি কি তোমার বাকি জীবনের পথ চলার
সাথী হতে পারি না?? হঠাত খুবই অপ্রস্তুত অবস্থায় পরে গেল তৃপ্ত।
~~ না! এটা সম্ভব নয়।আমি অন্য কাউকে ভালবাসি।।
কথাটা বলেই অন্যদিকে ঘুরে চলে যেতে লাগল
তৃপ্ত,, ইরিনার উত্তরের অপেক্ষা না করে। কেননা, তা না হলে ওর চোখের জল যে ইরিনা দেখে ফেলবে। ইরিনার ঐ
মুখের দিকে তাকিয়ে সে আর হয়ত ঠিক থাকতে পারবে না।
এই নষ্ট জীবন যার কোন ভবিষ্যত নেই ,,যে কোন সময় মরণঘাতি ব্রেন
টিউমারের সাথে লড়াই করে হয়তবা কিছুদিন
পর শেষ হয়ে যেতে পারে , সে জীবনে সে আর কাউকে জড়াতে চায় না।
এই ভালবাসার মর্যাদা তৃপ্ত রাখতে পারবে না,
তাই ভালবাসার মানুষটিকে সে স্বপ্ন দেখিয়ে তা ভাঙ্গতে চায়না।
ভালবাসার সেই স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট যে তৃপ্তর সহ্য করার ক্ষমতা নেই।
চোখদুটো আজ ওর বাধা মানছে না,,আকাশের
সাদাকালো মেঘগুলোও বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে তৃপ্তর চোখের জল যেন
আড়াল করছে। তৃপ্তও চাইলে ভেতরের সমস্ত কষ্টটুকু চোখের জলে বের
করে দিতে,কিন্তু পারছেনা। তৃপ্ত হেটে চলেছে এক
অজানা গন্তব্যে একা একা,অতৃপ্ত ভালবাসার অস্ফুট আবেগকে সঙ্গী করে।
>> জ্বী আমাকে বলছেন?
-- হ্যাঁ,আপনাকেই । এখানে অন্যকেউতো নেই
>> ওহ।খেয়াল করিনি।জ্বী বলুন।
-- আচ্ছা,আপনার এতো ইগো কেন বলেন তো।
ভার্সিটিতে কারো সাথে তেমন কথাই বলেন না।
>> নাহ,আসলে তা নয়।এমনিই প্রয়োজন ছাড়া কথা বলিনা।আপনি বোধহয়
আমাদেরই ভার্সিটির
-- হুম।বুঝতে পেরেছেন তাহলে। আচ্ছা,একটা প্রশ্ন করি? মাইন্ড করবেন নাতো?
>>যার মনই নেই সে আবার কি মাইন্ড করবে। বলুন।
--নিজেকে এত কষ্ট দিচ্ছেন কেন? এভাবে সবকিছু হতে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন কেন?
>>কে বলেছে আপনাকে আমি নিজেকে কষ্ট দেই?
--
তাহলে এভাবে বিষন্নভাবে প্রতিদিন বসে থাকেন কেন?
কারো সাথে মেশেন না কেন?
>>ইচ্ছা হয় তাই। কেন বসা যাবেনা? সমস্যা আছে কোন?
-- হ্যাঁ।আছে সমস্যা,,কপট রাগ নিয়ে বলল ইরিনা।এভাবে থাকবেন না। কাল এসব
বাদ দিয়ে একটু ভালভাবে আসবেন
এখানটায়। আমি সকাল ৯টায় অপেক্ষা করব আপনার জন্য।
বলেই হনহন করে চলে গেল মেয়েটা তৃপ্তকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে।
[ ২ ]
মেয়েটার মধ্যে কেমন যেন অদ্ভুত এক মায়া আছে।মেয়েটার
কথা মাথা থেকে যতই ঝেড়ে ফেলতে চেষ্টা করছে,
পারছে না তৃপ্ত। বারবার খালি ওর কথাই মনে পড়ছে। কেন এমন হচ্ছে ওর সাথে সে নিজেও ঠিক
বুঝতে পারছেনা। পরদিন অনেকটা ঘোরের মধ্যেই ঠিক
সময়ে চলে গেল তৃপ্ত সেই লেকের ধারে। ইরিনা একটু আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল।
ইরিনাকে আজ একটু বেশিই ভাল লাগছে।ঘন মেঘের মত কালো চুল তার পিঠ
বেয়ে নীচে নেমে গেছে,বড় বড় টানা চোখ ,,
লম্বা চোখের পল্লব আর ঠোটের কোণায় ছোট্ট একটা তিল। ইরিনা আজ
এসেছে কালো শাড়ি পড়ে, তৃপ্তর পছন্দের
রঙও কালো। কিভাবে বেপারটা মিলে গেল বুঝতে পারছে না তৃপ্ত। ইরিনার ডাকে ঘোর ভাঙল তৃপ্তর।
-- কি দেখছেন,এভাবে?
~~ না মানে কিছু না। আচ্ছা,চলুন । একটা রিক্সা ডেকে দুজন উঠল।
-- কি হল? চুপ করেই থাকবেন?
~~ না মানে কি বলব ঠিক
বুঝতে পারছিনা।
-- থাক কিছু বলতে হবে না। রিক্সা থেকে নেমে দুজন আস্তে আস্তে পার্কে হাটতে হাটতে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসল।
কিছুক্ষণ পর ইরিনাই নিরবতা ভেঙ্গে তার মনের ভালবাসার কথাটি তৃপ্তকে বলেই ফেলল।
-- আমি কি তোমার বাকি জীবনের পথ চলার
সাথী হতে পারি না?? হঠাত খুবই অপ্রস্তুত অবস্থায় পরে গেল তৃপ্ত।
~~ না! এটা সম্ভব নয়।আমি অন্য কাউকে ভালবাসি।।
কথাটা বলেই অন্যদিকে ঘুরে চলে যেতে লাগল
তৃপ্ত,, ইরিনার উত্তরের অপেক্ষা না করে। কেননা, তা না হলে ওর চোখের জল যে ইরিনা দেখে ফেলবে। ইরিনার ঐ
মুখের দিকে তাকিয়ে সে আর হয়ত ঠিক থাকতে পারবে না।
এই নষ্ট জীবন যার কোন ভবিষ্যত নেই ,,যে কোন সময় মরণঘাতি ব্রেন
টিউমারের সাথে লড়াই করে হয়তবা কিছুদিন
পর শেষ হয়ে যেতে পারে , সে জীবনে সে আর কাউকে জড়াতে চায় না।
এই ভালবাসার মর্যাদা তৃপ্ত রাখতে পারবে না,
তাই ভালবাসার মানুষটিকে সে স্বপ্ন দেখিয়ে তা ভাঙ্গতে চায়না।
ভালবাসার সেই স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট যে তৃপ্তর সহ্য করার ক্ষমতা নেই।
চোখদুটো আজ ওর বাধা মানছে না,,আকাশের
সাদাকালো মেঘগুলোও বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে তৃপ্তর চোখের জল যেন
আড়াল করছে। তৃপ্তও চাইলে ভেতরের সমস্ত কষ্টটুকু চোখের জলে বের
করে দিতে,কিন্তু পারছেনা। তৃপ্ত হেটে চলেছে এক
অজানা গন্তব্যে একা একা,অতৃপ্ত ভালবাসার অস্ফুট আবেগকে সঙ্গী করে।