তখন ছেলেটা ক্লাস
থ্রী কি ফোরে পড়ত . . . .
.
দুরন্ত আর উদ্দীপনায় দিন যেত তার,কখনো ক্লাস ফাকি দিয়ে,কখন-
বা সিগ্রেটের টোঙ্গা দিয়ে তাস খেলে;আবার কখনো বা দুষ্টুমির
শিরোমণি সেজে . . . . . .
তবে যতৈ ফাকি আর দুশটুমি করুকনা কেন বরাবরের সব পরীক্ষায় প্রথম
শ্রেণীতে উত্তির্ণ হত . . . .
পঞ্চম শ্রেণীতে স্কলারশীপ পায়
ছেলেটা . . . . .
খুব কচি বয়স তখন তার . . . . .
তখন বুঝতনা সে প্রেম- ভালবাসা কাকে কিন্তু ভাললাগার অনুভুতিটা অনুভুত হত তার মাঝে . . . . .
তবে জখন প্রাথমিক স্তর পার
হয়ে মাধ্যমিক স্তরে গেল তখন-ই সে বুঝল
ইটস called . . . . .
বাট নিড a ম্যান ফর . . . .
হ্যা . . . . ছেলেটা পেয়ে যায় তার
ভালবাসার
পাখিটা,তবে সেটা পেয়েছিল ক্লাস
থ্রী থাকতেই . . . . .
কিন্তু তখন বুঝতনা ইটস called love . . . .
মাধ্যমিক স্তরে বেশিরভাগ সময় ফার্সট
বয় হয়েই থেকে ছিল . . . . .
বিপরীতে থাকা ফার্সট গার্লটাই ছিল
ছেলেটা ভালবাসা . . . . .
এত কিছু বুঝতনা ছেলেটা,সহজ-সরল্
মনা ছিল . . . . .
ক্লাসের সব মেয়ের সাথে তার বন্ধুত্ত
পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে বাট ফার্সট
গার্লটা ছাড়া . . . .
.
ফার্সট গার্লটার
ব্যাপারে ছেলেটা খুব-ই নার্ভাস
ছিল . . . . .
লাজ মুখে মেয়েটার
দিকে ছেলেটা তাকাত আর কিছু
মুহুর্তের জন্য হারিয়ে যেত ভালবাসার
রংীন ঘুড়ির দেশে . . . .
তবে ক্লাসের স্যার কিংবা কারো ধাক্কায় ফিরতো সেই
রংীন দেশটি থেকে . . . . .
.
ছেলেটা তখন অষ্টম শ্রেণীতে . . . .
ভালবাসার ফুটন্ত পাপড়িটা যেন আর
গুজে থাকতে চায়না;ডিসিশন
নেয়,মেয়েটাকে জানাবে . . . .
সেদিন স্কুল ছুটির পর ছেলেটা তার সব
থেকে ভাল বান্ধবীর সাথে সব
কথা শেয়ার করে,আর জিগেস
কিভাবে সে এগুবে মেয়েটার
দিকে;বান্ধবীর নাম ছিল রিয়া . . . . . . .
ছেলেটার নাম ছিল রাতুল . . . আর ওয়
মেয়েটার নাম ছিল মীম(রাতুলের
ভালবাসা) . . . . .
মীম নামের সাথে চেহারার অসম্ভব
মিল . . . .
যেন নায়িকা কোয়েল মল্লিকের অপূর্ব
চেহারাটা . . . .
রিয়া যখন রাতুলের কাছ থেকে মীমের
কথা গুলো শুনছিল তখন রিয়ার
মনটা খারাপ হয়ে গেল;কারণ তাদের
অতি ঘনিষ্ট বন্ধুত্তটা আস্তে-
আস্তে প্রেমে রূপ নিচ্ছিল রিয়ার
মধ্যে . . . . .
বাট রাতুল বুঝতে পারেনি এ
বিষয়টা . . . .
বড়ৈ দোটানায় পড়ে যায়
রিয়া;কি নিজের
প্রেমকে ধরে রাখবে নাকি অন্যের
প্রেমকে জোড়া লাগাবে . . . .
রাতে রাতুল রিয়াকে ফোন
করে কথা বলতে বাট
রিয়া পারছেনা কথা না বলতে,পারছেনা তার
কথা ফেলতে . . . . .
ফোনের ওপাশ রাতুল শুধু বলে যায় আর
রিয়া কথা গুলো শোনার সময়
মনে হচ্ছিল বজ্রপাত বয়ে যাচ্ছিল তার
মাথায় . . . . .
কারণ আজ রিয়া-ও
রাতুলকে ভালবেসে ফেলে . . . .
রিয়া,অনেকদিন
ভেবে চিন্তে ডিসিশন নেয়
মীমকে রাতুলের কথা বলবে . . . .
রাতুলকে সেদিন
স্কুলে আসতে বলে রিয়া . . . .
দুপুরে টিফিন সময় যাচ্ছিল তখন . . . .
মীমকে ডেকে নিয়ে রিয়া আলাদা জায়গায়
চলে যায় . . .
মীমকে সব জানায় রিয়া কিন্তু মিম
জাস্ট এক-উত্তরেই ফিরিয়ে দিল
রিয়াকে . . .
ইট ওয়ায "sorry,riya!!"
কারণ মীম নাকি অন্যয়েকটা ছেলের
সাথে রিলেশনে ইনভলব ছিল . . . .
রিয়া,শুনেতো পুরাই টাশকিত . . . !!
দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রিয়া রাতুলকে জানায় বাট
রাতুল মোটেই ভেঙ্গে পড়েনি . . . . . কারণ সে নিজেই
দোষী কেননা মীমের সাথে আগ বাড়িয়ে কোনোদিন কথা বলেনি আর
রাতুল হয়তো অনেক দেরী করে ফেলেছে . . . . . . তাই তার
প্রপোজ রিজেক্ট করল মীম . . . . .
দেখতে দেখতে দুটি বছর পার হয়ে আজ
রাতুল দশম শ্রেণীতে . . . .
আজ তারা স্কুল থেকে বিদায়
নিবে;বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টানে সবাই
এসেছিল . . . . .
সবার মন উৎফুল্লতা আর আনন্দে ভরপুর . . . .
একমাত্র রিয়া ছাড়া কারণ আজকের পর
থেকে আর
কারো সাথে দেখা হবেনা এমনকি রাতুলের
সাথেও নয় . . . . . .
রিয়ার মুখে বিষন্নতার ছাপ;
সে জানেনা আজকের পর
কি হবে কিংবা এখান থেকে গিয়েই
কি হবে . . . .
এক পলকে তাকিয়ে আছে রাতুলের
দিকে;রাতুলের কাছে গেল . . . .
বিদায় সংবর্ধনার ফুলের তোড়াটা রাতুলকে দিয়ে বলল,"মিস,করব
তোমাকে খুব,এতগুলো দিন এক সাথে ছিলাম কিন্তু আজকের পর আর
হবেন (কান্না চোখে) . . . .
এই বলে রিয়া রাতুলকে জড়িয়ে কান্না শুরু
করে দিল . . . .
রাতুল কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছেনা . . . .
হ্যাং,হয়ে আছে সে . . . .
রাতুল সেদিন-ই
বুঝতে পারে রিয়া তাকে ভালবাসে . . . .
কিন্তু রাতুল আগ বাড়িয়ে আর কিছু বলেনি সেদিন কারণ সে রিয়াকে ভাল বন্ধু
হিসেবে জানে . . . . .
আর রিয়াও তার মনের কথা জানায়নি কারণ
রাতুলতো মীমকে ভালবাসে . . . . . .
সেদিনের ১বছর পর . . . .
এর মধ্যে রাতুল-রিয়ার মাঝে ফোনে কথা হত বাট রাতুলের
বিদায় অনুষ্টানের মুহুর্তগুলো খুব মনে পড়ত বিশেষ করে রিয়ার কান্নার
মুহুর্তটা বেশি তাগ লাগায় তার মনে . . . .
হঠাৎ একদিন রাতুল তার বন্ধুর ভাইয়ের
বিয়ের ইনভাইটে যায় কিন্তু
সেখানে প্রায় দেড় বছর পর রিয়ার
সাথে দেখা . . . .
রিয়াকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিল
রাতুল; রিয়াতো খুব খুশি,আজ . . . .
সেদিন অনেক্ষণ কথা হয় তাদের মাঝে . . . .
রাতুল শেষে জিগেস করল . . . .
--তোমার বর্তমান রিলেশনশীপ
স্ট্যাটাস কি রকম?
--সিঙ্গেল . . . . কেনো,রাতুল?
--না,এম্নি . . . কেউ নেই কেন?
--আছে বাট বলিনি . . . .
--কোথায় সে এখন?
--আছে,এই বিয়ে বাড়িতেই আছে . . . .
[মুচকি মুখে]
--কে সে আমায়,বল।
আমি জানাব,তাকে (অবাক হয়ে)
--না,সে তার মতৈ থাক,তাই এতদিন
জানায়নি,তাকে . . .
--প্লিজ . . . আজকের পর আমাদের আর
দেখা না-ও হতে পারে,প্লিজ আমায় বল . . . . .
রিয়া এবার নার্ভাস কিছুটা . . . .
বলতেও চাই আবার বলতেও চায়না . . .
রাতুল খুব মিনতি করতেছে কারণ
সে নিজেই জানে দিস ম্যান ইয he
(রাতুল) . . . . আর রাতুল-ও চায়
কোনো মেয়ে ফার্সট প্রপোজ করুক . . .
মাথা নিচু করে ছিল রিয়া . . . .
মাথা তুলল রিয়া ; অবশেষে মুখ-ও খুলল
রিয়ার . . . .
--রাতুল,আমি যাকে চাই
সেটা যদি তুমি হও,তবে?
--নেভার be to me . . . fun বাদ
দিয়ে রিয়েলি কে বল সে . . . . .
(ফাজিল মুডে)
--না,রিয়েলি রাতুল i"ve falled in ur love
ফ্রম স্কুল লাইফ . . . .(নিচের দিকে কথাগুলো বলছি,রিয়া)
--রাতুল হাসছে আর হাসছে . . . .
কারণ সে আজ মীমকে ভুলে গেছে কেননা নিজের
ভালবাসাকে পাইনি তাই নিজে অন্যের
ভালবাসা হয়ে নিজেকে কখনো তার কাছ থেকে হারাতে দেবেনা . . .
অতঃপর সেখানেই ট্রাইঙ্গেল প্রেমের সমাপ্তি ঘটে রচিত হলো একটি "সরল
রেখাময় প্রেম" . . .