সেই । মেয়েদের আকৃষ্ট করার মতো । ছোট
বেলা থেকেই সে অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির ।
মেয়েদের দেখলে দশ হাত
দূরে চলে যাওয়া ছিল তার স্বভাব ।
সে এতটাই লাজুক যে কোনো ছেলের
সঙ্গে কথা বলতেও লজ্জা পায় ।
কিন্তু সময়ের
সাথে সাথে মানুষের মন-
মানষিকতারও পরিবর্তন হয় । যার প্রভাব
ছেলেটার উপরও পড়েছিল । ওহ্ ছেলেটার
নামই তো বলা হয়নি । ওর নাম অর্ক ।
ক্লাস নাইনে উত্তীর্ণ হবার পর অর্ক গ্রপ
হিসেবে চয়েজ করে সাইন্স । তো গ্রপ
সাবজেক্ট পড়ার জন্য সে এলাকার একজন
ভালো টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়া শুরু
করে ।
সেখানে ছেলে শিক্ষার্থীর তুলনায়
মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি । আগেই
বলেছি সে অনেক লাজুক প্রকৃতির ছেলে ।
তাই প্রাইভেটে কারোর সাথে বেশি একটা কথা বলতো না । বিশেষ
করে মেয়েদের সাথে । শুধু যায় আর আসে ।
মজার ব্যাপার হলো সে কখনও প্রাইভেটে টাইমলি যেতে পারতো না ।
তাই সবাই মিলে তার নাম দেয় লেটুস।
অর্কের লাজুক স্বভাবটা ঐ প্রাইভেট
পড়ুয়া মেয়েগুলোর কাছে ভালো লাগে ।
তারা অর্কর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় ।
এবং হয়েও যায় তাদের বন্ধুত্ব । তাদেরই
মধ্যে একজন হয়ে ওঠে বেষ্ট ফ্রেন্ড । নাম আঁখি ।
এভাবেই অর্কের মাঝে পরিবর্তন আসতে শুরু
করে । লাজুক প্রকৃতির ছেলেটার এখন অনেক
মেয়ে বন্ধু । ওহ্ আরেকটা কথা অর্ক বয়েজ
স্কুলে পড়ালেখা করে । কিন্তু তারপরও তার
অন্যদের তুলনায় মেয়ে বন্ধু বেশি ছিল ।
অর্কের জীবনের প্রথম ভালোবাসার নাম
কান্তা আর মেয়েটা ঐ প্রাইভেটেই পড়তো ।
কিছুদিন তাদের প্রেম চলে তারপর কথা নেই
বার্তা নেই হঠাৎ ব্রেক আপ । হয়তো সবই আবেগ ছিল ।
এসব কথা জানার পরও
অর্ককে চুমকি নামে এক
মেয়ে ভালোবেসে প্রোপোজ করে ।
অর্ক
ভাবে টাইম পাসের জন্য করাই যায় ।
একদিন চুমকি তার এক বন্ধুর
সঙ্গে অর্ককে পরিচয় করিয়ে দেয় ।
অর্ক প্রথম দেখাতেই মেয়েটার
প্রেমে পড়ে যায় । নাম অরিত্রি ।
তেমন সুন্দর না । কিন্তু চোখযুগল
ছিল নজরকাড়া । অরিত্রি তাদের
সম্পর্কটাকে বন্ধুত্বের চোখেই দেখতো । আর
এ কথাটা অর্ক জানতো । তাই সে শত
চেষ্টা করেও অরিত্রিকে তার মনের
কথাটা বলতে পারছিল না ।
কিন্তু কীভাবে যেন কথাটা অর্কের বন্ধু
মহলে জানা জানি হয়ে যায় এবং এক
পর্যায়ে অরিত্রি ও চুমকি উভয়ই
কথাটা জেনে যায় । অরিত্রি কথাটা জানার পর খুব রাগ করে ।
আর তাকে বলে দেয় তাদের বন্ধুত্ব শেষ ।
চুমকিও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
অর্ক বুঝতে পারছিল না তার কি করা উচিত।
এই করতে করতে তার
এস.এস.সি পরীক্ষার সময়
ঘনিয়ে আসে । এদিকে তার পরীক্ষার
প্রস্তুতি আশাবন্ঞ্চক নয় । খুব চিন্তায় পড়ে যায় অর্ক ।
কোনোভাবে পরীক্ষাটা দেয় সে ।
যথাসময়ে পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়। তার
কাছের বন্ধু যারা ছিল সবাই খুব ভালো রেজাল্ট করে কিন্তু
সে পারে না ভালো রেজাল্ট করতে ।
এতে অর্ককে অনেক হেনস্তার স্বীকার
হতে হয় । সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয় । এইচ.এস.সি তে তাকে ভালো রেজাল্ট
করতেই হবে ।
অর্ক যে কলেজে ভর্তি হয় সেখানে ছেলে,মেয়ে একসাথে ।
সে হিসেবে তার অনেক মেয়ের সাথে পরিচয় হয় । বন্ধুত্ব হয় । ওই
কলেজেরই তৃষা নামের এক
মেয়ে তাকে ফেইসবুকে প্রোপোজ করে ।
কিন্তু অর্ক তা রিজেক্ট করে । সে আর
এসবে যেতে চায় না । তৃষা পরদিন
তার সাথে মিট করে অনেক কাঁন্না-
কাটি করে । অর্ক অনেক বোঝানোর পর
তৃষাকে রাজি করায় যে তারা শুধুই বন্ধু
হয়ে থাকবে । আঁখির মতো তৃষাও তার খুব
ভালো বন্ধু হয়ে যায় ।
সেকেন্ড ইয়ারে ওঠার পর অর্ক লক্ষ্য
করে তার ক্লাশেরই ঝিলিক নামে এক মেয়ে তার দিকে ডেব ডেব
করে তাকিয়ে থাকে । একটু মোটা কিন্তু
অসম্ভব মায়াবী চেহারা । ব্যাপারটা বিরক্তিকর হলেও অর্ক
এতে আনন্দ পায় । কেন ? সে নিজেও জানে না ।
এভাবেই চলছিল অর্কের দিনগুলো । অর্ক চাইছিল না কোন রিলেশানে যেতে ।
দেখতে দেখতে কলেজ লাইফও শেষ
হয়ে গেল।
বিদায় অনুষ্ঠানের দিনটি হয়তো অর্কের
কাছে সবচেয়ে স্মরণীয় দিনের মধ্যে একটি ।
কারন ঐ দিনই ঝিলিক তাকে ছেলেদের মতো হাটুগেড়ে প্রোপোজ করেছিল।
এই করতে করতে তার
এস.এস.সি পরীক্ষার সময়
ঘনিয়ে আসে । এদিকে তার পরীক্ষার
প্রস্তুতি আশাবন্ঞ্চক নয় । খুব চিন্তায় পড়ে যায় অর্ক ।
কোনোভাবে পরীক্ষাটা দেয় সে ।
যথাসময়ে পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়। তার
কাছের বন্ধু যারা ছিল সবাই খুব ভালো রেজাল্ট করে কিন্তু
সে পারে না ভালো রেজাল্ট করতে ।
এতে অর্ককে অনেক হেনস্তার স্বীকার
হতে হয় । সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয় । এইচ.এস.সি তে তাকে ভালো রেজাল্ট
করতেই হবে ।
অর্ক যে কলেজে ভর্তি হয় সেখানে ছেলে,মেয়ে একসাথে ।
সে হিসেবে তার অনেক মেয়ের সাথে পরিচয় হয় । বন্ধুত্ব হয় । ওই
কলেজেরই তৃষা নামের এক
মেয়ে তাকে ফেইসবুকে প্রোপোজ করে ।
কিন্তু অর্ক তা রিজেক্ট করে । সে আর
এসবে যেতে চায় না । তৃষা পরদিন
তার সাথে মিট করে অনেক কাঁন্না-
কাটি করে । অর্ক অনেক বোঝানোর পর
তৃষাকে রাজি করায় যে তারা শুধুই বন্ধু
হয়ে থাকবে । আঁখির মতো তৃষাও তার খুব
ভালো বন্ধু হয়ে যায় ।
সেকেন্ড ইয়ারে ওঠার পর অর্ক লক্ষ্য
করে তার ক্লাশেরই ঝিলিক নামে এক মেয়ে তার দিকে ডেব ডেব
করে তাকিয়ে থাকে । একটু মোটা কিন্তু
অসম্ভব মায়াবী চেহারা । ব্যাপারটা বিরক্তিকর হলেও অর্ক
এতে আনন্দ পায় । কেন ? সে নিজেও জানে না ।
এভাবেই চলছিল অর্কের দিনগুলো । অর্ক চাইছিল না কোন রিলেশানে যেতে ।
দেখতে দেখতে কলেজ লাইফও শেষ
হয়ে গেল।
বিদায় অনুষ্ঠানের দিনটি হয়তো অর্কের
কাছে সবচেয়ে স্মরণীয় দিনের মধ্যে একটি ।
কারন ঐ দিনই ঝিলিক তাকে ছেলেদের মতো হাটুগেড়ে প্রোপোজ করেছিল।
সবার সামনে । অর্কের উত্তরটা ঐদিন
হ্যাঁ ই ছিল ।
আর সবশেষে...
তারা দুজনই এইচ.এস.সি তে ভালো রেজাল্ট
করে ভালো একটা ভার্সিটিতে পড়ালেখা করছে আর প্রেমও চলছে ।
হ্যাঁ ই ছিল ।
আর সবশেষে...
তারা দুজনই এইচ.এস.সি তে ভালো রেজাল্ট
করে ভালো একটা ভার্সিটিতে পড়ালেখা করছে আর প্রেমও চলছে ।