--লক্ষ্মীসোনা তোমার হাতটা একটু ধরি?
--এই না তোমার হাতে এলার্জি।
--ছিঃ ছিঃ কি বলো কত ফর্সা ক্লিন হাত।
--কি আমার হিরোরে ঢং।
--এই তোমাকে আজ অনেক কিউট লাগতেছে।
--মেকাপ করেছি তাই।
--চোখ দুটি যেন জলে ভাসা পদ্ম।
--কাজল একটু বেশী হয়ে গেছে।
--মুখটা যেন পূর্নিমা শশি।
--দামি ব্রান্ডের পাউডার
দিয়েছি তো কিছুক্ষণ পর বাসি লাগবে।
--ঠোঁটতো গোলাপের পাপড়ি।
--এই জন্য লিপস্টিক দিতে চাইনা আজ যে কেন
দিলাম।
-- চুল গুলো কি সিল্কি শুধু ধরতে ইচ্ছে করে।
--দামী কন্ডিশনার,শ্যাম্পু, জেল দিলে বস্তির
মেয়ে সখিনার চুল এর চেয়ে সিল্কি হবে।
--তুমি যেন যশোরের বনলতা আমার
লেখা কবিতা।
--এই তোমার কবিতার মান
ভালোনা তারমানে আমি খুব পচা।
--এমন কেন করো জান কত ভালবাসি তোমায়।
--হুম কিছুটা জানি।
--তোমার ব্যাগটা খুব সুন্দর।
--হুম এইতো লাইনে এসেছে বাবুটা কিন্তু আজ
তেমন টাকা নেই ব্যাগে।
--কি সর্বনাশ আমি ভুলে মানিব্যাগ আনিনি।
--অসুবিধা নাই বাদাম খাবো।
--আমার খুব ক্ষুধা লাগছে।
--মুড়ি খাও বেশী করে।
--আরে না আমি জানি তোমার একটা জাদুর
কার্ড আছে যা দিয়ে অনেক
টাকা তুলতে পারবে।
--আচ্ছা তুমি শেষ কবে মানিব্যাগ
এনেছো মনে আছে?
--আসলে আমি টাকা খরচ
করে তোমাকে লজ্জা দিতে চাইনা।
আমি চাই গিনিস বুকে নাম তুমি লেখাও।
--কিভাবে?
--পৃথিবীতে তুমিই একমাত্র গার্লফ্রেন্ড
যে ডেটিংয়ে এসে টাকা খরচ করে তার
বয়ফ্রেন্ডকে গিফট কিনে দেয়।
--হুম ঢং।
--আচ্ছা হুম শব্দটা কোন শালায় আবিষ্কার
করেছে জান?
--কেন?
--এই শব্দটা বিরক্তিকর লাগে অবশ্য তোমার
মুখে শুনতে অনেক সুইট।
--তার মানে তুমি অন্যকোন মেয়ের
সাথে ফার্ল্টিং করো!!!!
--আরে তুমি হচ্ছো স্যামসাং এস ফাইভ আর
ওরা নোকিয়া এগার শ মডেলের মোবাইল এই
জাস্ট কথা বলার জন্য।
--কি কি বললা তুমি তুমি এগার শ নিয়ে থাক
এস ফাইভ টার্চও করতে পারবেনা।
--আরে আমি জাস্ট ফান করলাম তুমিতো ডুয়েল
সিমের মোবাইল অন্যটা আর দরকার কি?
--অসভ্য জানোয়ারঅতঃপর কিল ঘুষি শুরু।
--এভাবে আর কতকাল ধনী প্রেমিকার
হাতে মার খাবে দূর্বল দরিদ্র প্রেমিক।
--হালকা লুচ্চা হলে খেতে হয়।
--আচ্ছা ক্ষুধা লাগছে জান।
--কেন?
--সত্যিই সকাল থেকে কিছু খাইনি টিউশনির
বেতন দেয়নি এখনো জানোইতো নিম্ন
মধ্যেবিত্ত পরিবারের ছেলেদের
বেঁচে থাকাই অপরাধ সবসময় ক্ষুধা নিয়ে পথ
চলতে হয়।
--স্টুপিড, ইডিয়ট, অসভ্য, জানোয়ার, এতক্ষণ কিছু
খাওনি আমায় বলোনি কেন?ও কেন
বলবা আমি তোমার কে?এই কথা বলে অন্তুর
বুকে মাথা গুজে হু হু করে কাঁদতে থাকে বর্নী।
--এই বোকা কাঁদছো কেন আমি ফান
করেছি সকালে খেয়েছি সত্যিই খেয়েছি।
--হয়েছে আর
মিথ্যে বলতে হবে না চলো এবার আর একটু
স্যানমার শপিং মলে যাবো।
--কেন?
--তোমার জন্য কিছু জামাকাপড় কিনতে
--করুনা করছো?
আবার কান্না শুরু করলো বর্নী অল্পতে কান্নার
স্বভাব তার আর গেলোনা অন্তু চায়
বর্নী সারাজীবন বুকে জড়িয়ে রাখতে হয়ত
তার সামর্থ্য তার এই স্বপ্নে বারবার ফাটল
ধরায় তবুও সে স্বপ্ন
দেখে বর্নীলাকে সুখে নীড় সাজানোর
স্বপ্ন।।