৯০ দশকে, ট্রান্সফর্মার চোরদেরকে রীতিমতো বিজ্ঞানীর সাথে তুলনা করা যেত
...রাতের আঁধারে, চলমান হাই-ভোল্টেজ ট্রান্সফর্মার খুলে ফেলা চাট্টিখানি কথা না
চোর সমাজে, তাদের বেশশ কদর ছিলো
রীতিমতো কাজের ফাঁকে ফাঁকে, পড়াশোনাও করা লাগত তাদের...
কিন্তু এখন!!
... সেদিন দেখলাম এক ছিঁচকে ট্রান্সফর্মার চোর, তার ঠেলাগাড়ি এখনও নিচে এসে পৌঁছায়নি দেখে সে ২০ ফিট উপরের ট্রান্সফর্মারের উপরে বসে বিঁড়ি ফুঁকছে;
“ওই মিয়া নিচে নামো... মরবা তো”
‘নিচে লু-হাওয়া আছে... উপ্রে ঠাণ্ডা বাতাস... বরং, নিচে নামলেই মরমু’
“কারেন্ট শক খাবি তো... যে কোনও সময় কারেন্ট এসে পড়বে”
‘কি আইবো ???? বাংলাদেশে নতুন আইসেন? কুন দেশে ছিলেন? কুইত? আবুধাবি?’
... যে ১০ হাজার মেগাওয়াট আসার পরেও, প্রফেশনাল ট্রান্সফর্মার চোরের থেকে ছিঁচকে চোরের সংখ্যা বাড়ে ... যে ১০ হাজার মেগাওয়াট আসার পরেও, রাতে হা করে পেট্টা ভাসায়ে ঘুম দিতে পারি না; রাত বিরাতে, গরমে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে লাফ দিয়ে উঠতে হয়
সেই ১০ হাজার মেগাওয়াট নিয়ে আমরা কি করিবো?
... ২০ ফিট উচ্চতায় উঠে ট্রান্সফর্মারের উপরে বসে, লু-হাওয়া তাড়াবো?