মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৪৮- বিয়েবাড়িতে জামাই

পাগলাগারদে সব পাগল নাচানাচি করছিল। শুধু একজন বসে ছিল চুপ করে। অন্য পাগলেরা জিগ্যেস করল, ‘কী হে, তুমি বসে আছ কেন?’
সে উত্তর দিল, ‘দূর ব্যাটা, বিয়েবাড়িতে জামাই কখনো নাচে?’
-----------------------

মাইকেল কথায় কথায় রেগে যায়। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। একদিন মাইকেলের সঙ্গে দেখা করতে গেল তার বন্ধু জনি।
জনি: কেমন আছো, মাইকেল?
মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!
নাহ, মাইকেলের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ভেবে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল তাকে দেখতে।
জনি: এখন তোমার শরীরটা কেমন মাইকেল?
মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা।
আবার মন খারাপ করে ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল মাইকেলকে দেখতে। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এখন কেমন বোধ করছ মাইকেল?’
মাইকেল জবাব দিল, ‘ভালো।’
উচ্ছ্বসিত হয়ে জনি গেল ডাক্তারের কাছে। বলল, ‘বাহ, আপনারা তো ওকে সুস্থ করে ফেলেছেন! কীভাবে করলেন?’
ডাক্তার: এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!
-------------------------------

মানসিক হাসপাতালের চিকিত্সক প্রতিদিনের মতো সকালে গিয়েছেন রোগীদের খোঁজখবর নিতে। এক নম্বর কক্ষে ঢুকে দেখেন, একজন মাটিতে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা কাটছে। আরেকজন উল্টো হয়ে ছাদের একটা কাঠে পা বেঁধে ঝুলে আছে! চিকিত্সক প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলেন, কী করছেন আপনি?
কেন দেখতে পারছেন না, আমি একটা কাঠ কাটছি!
ও আচ্ছা, কাঠ কাটছেন, ভালো কথা। ছাদের জনকে দেখিয়ে বললেন, কিন্তু উনি ছাদে এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে কী করছেন?
কী আর করবে, সে আসলে নিজেকে একটা বাল্ব ভাবছে।
চিকিত্সক চিন্তিত মুখে বললেন, কিন্তু তার সব রক্ত তো মাথায় চলে এসেছে, ভয়ানক ব্যাপার এটা! আপনি তার বন্ধু হয়েও এটা দেখছেন! তাকে নামানোর চেষ্টা করছেন না কেন? তা শুনে প্রথমজন দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে, আরে ধুর, ওরে নামাইলে তো সব অন্ধকার হয়ে যাবে! তখন আমি কাজ করব ক্যামনে?