১.হযরত খাব্বাব রাঃ প্রথম পাঁচ ছয়জনের পরেই ইসলাম গ্রহন করেন ।
২.হযরত খাব্বাব রাঃ এর উপর নির্যাতনের হুকুমদানকারী ছিলো একজন মহিলা, যে খাব্বাব রাঃ এর মনিবছিলো । তার নাম ছিলো উম্মু আন্মার ।
৩.তাঁকে লৌহবর্ম পরিধান করে রোদে শুইয়ে রাখা হত। ফলে তাঁর শরীর হতে ঘাম বইতে থাকত।অধিকাংশ সময় তাঁকে খালি দেহে উত্তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রাখা হত, ফলে তাঁর কোমরের মাংস গলেপড়ে গিয়েছিল। তার মনিব তাকে লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দিত।
৪.হযরত ওমর (রাঃ) এর খিলাফতের সময় তিনি তাঁর কাছে তাঁর নির্যাতনের বিস্তারিত জানতে চাইলেহযরত খাব্বাব (রাঃ) বলেন, "আমার কোমরের প্রতি লক্ষ্য করুন।" হযরত ওমর (রাঃ) তাঁর কোমর দেখেবলেন,"হায় একি অবস্থা!" তখন খাব্বাব (রাঃ) বলেন,"আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে ধরে রাখাহত, ফলে আমার চর্বি এবং রক্ত প্রবাহিত হয়ে আগুন নিভে যেত ।" এ নির্মম শাস্তি ভোগ করা সত্বেওইসলামের যখন শক্তি বৃদ্ধি হল তখন তিনি রোদন করে বলতেন , "আল্লাহ না করুন! আমার কষ্টেরপ্রতিদান যেন দুনিয়াতেই লাভ না হয় ।"
৫.মাত্র ৩৬ বছর বয়সে হযরত খাব্বাব (রাঃ) এর মৃত্যু হয় এবং সাহাবাদের মধ্যে সর্বপ্রথম তিনিই কুফায়কবরস্থ হন। তাঁর মৃত্যুর পর হযরত আলী (রাঃ) তাঁর কবরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বলেন, " আল্লাহখাব্বাবের উপর রহমত করুন। তিনি নিজের ইচ্ছায় মুসলমান হয়েছিলেন, হিযরত করেছিলেন । সমস্তজিহাদে অংশ গ্রহণ করে অশেষ নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। এ ব্যক্তির প্রতি মোবারকবাদ , যে আখিরাতকেস্মরন করেন এবং শেষ হিসেবের জন্য তৈরী হন, যিনি জীবন যাপনের উপযোগী সামান্যতম সম্পদ নিয়েসন্তুষ্ট থেকে নিজের প্রভূ কে রাজী রাখার চেষ্টা করেন ।"