মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৭২- ট্যুরিষ্ট পাওয়া যায় না

জয়নাল সাহেব কানে কম শোনেন। হেয়ারিং এইড কিনতে তিনি গেলেন দোকানে।
জয়নাল: ভাই, হেয়ারিং এইডের দাম কত?
দোকানদার: পাঁচ টাকা দামের আছে, পাঁচ হাজার টাকা দামেরও আছে।
জয়নাল: আমাকে পাঁচ টাকারটাই দেখান।
দোকানদার জয়নালের কানে একটা প্লাস্টিকের খেলনা হেয়ারিং এইড গুঁজে দিলেন। জয়নাল আশ্চর্য হয়ে বললেন, এটার ভেতর তো কোনো যন্ত্রপাতিই নেই। এটা কাজ করে কীভাবে?
দোকানদার: সত্যি বলতে, এটা কোনো কাজ করে না। তবে আপনার কানে এই জিনিস দেখলে লোকজন এমনিতেই আপনার সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে উঁচু গলায় কথা বলবে!
------------------------------

মফস্বল শহরে বেড়াতে এসে একজন ট্যুরিষ্ট একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকল। ঢুকে সে দুটো সিদ্ধ ডিম আর চায়ের অর্ডার দিল। খাওয়া শেষে তাকে বলা হল বিল পঁচিশ টাকা।
ট্যুরিষ্ট বলল, এত দাম ডিমের? তোমাদের এখানে কি ডিম পাওয়া যায় না?
ওয়েটার বলল, ডিম পাওয়া যায়, কিন্তু ট্যুরিষ্ট পাওয়া যায় না।
------------------------------

হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন এক রোগী। দরজার সামনে তার পথ রোধ করলেন হাসপাতালের দারোয়ান।
দারোয়ান: কী হলো? কোথায় যাচ্ছেন?
রোগী: আর বলবেন না! নার্স বলছিল, ‘ভয় পাবেন না। এটা খুবই সাধারণ একটা অপারেশন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ে যাবে।’
দারোয়ান: হ্যাঁ, সে তো ভালো কথাই বলেছে। নার্স আপনাকে সাহস দিচ্ছিল।
রোগী: আরে বুদ্ধু, সে আমার সঙ্গে নয়, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিল!
--------------------------------

ডাক্তারের কাছে গিয়ে শফিক দেখল, চেম্বারের দরজায় বড় করে লেখা আছে, ‘প্রথমবার ৫০০ টাকা, এরপর ৩০০ টাকা।’ ২০০ টাকা বাঁচাতে সে মনে মনে একটা বুদ্ধি আঁটল।
ডাক্তারের রুমে ঢুকেই বলল, ‘ডাক্তার সাহেব, আবার এলাম। আমার অসুখ তো ভালো হলো না।’
ডাক্তার ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন। তারপর বললেন, ‘আগে যে ওষুধগুলো দিয়েছিলাম, সেগুলোই চলবে। এবার ঝটপট ৩০০ টাকা দিন।’
-------------------------------

জগাই একবার খবর পেল, শহরে এমন একজন ডাক্তার এসেছেন, যিনি সব রকমের রোগ সারিয়ে দিতে পারেন। জগাই মনে মনে বলল, ব্যাটা নির্ঘাত একটা ঠকবাজ। আজই তাঁর জারিজুরি খতম করতে হবে।

সে গেল ডাক্তারের কাছে।
জগাই: ডাক্তার সাহেব, আমি কোনো কিছুরই স্বাদ পাই না। এখন আপনি কী ব্যবস্থা নেবেন বলুন।
ডাক্তার: হুম্। তোমাকে ৪৩ নম্বর বোতলের ওষুধটা খাওয়াতে হবে।
জগাইকে ওষুধ দেওয়া হলো। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে উঠল সে, ‘ইয়াক! এটা তো গোবর।’
ডাক্তার বললেন, ‘হুম্, তুমি তাহলে স্বাদ বুঝতে পারছ।’
পরদিন রেগেমেগে আবার সেই ডাক্তারের কাছে গেল জগাই।

জগাই: ডাক্তার, আমার কিছুই মনে থাকে না। এমনকি গতকাল কী ঘটেছিল, তাও মনে নেই। কী ওষুধ দেবেন আপনি?
ডাক্তার: হুম্, ৪৩ নম্বর বোতলের ওষুধ…
জগাই: মনে পড়েছে, মনে পড়েছে! আমার ওষুধ লাগবে না!
বলেই দৌড়ে পালাল সে!