মেনু

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

সংকলন ৫১- আপনজন

আলোকচিত্র সাংবাদিক হরিপদ মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, পথিমধ্যে এক জায়গায় ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গেল, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। করিৎকর্মা হরিপদ ভাবলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে চটজলদি কিছু ছবি না তুললেই নয়।
ক্যামেরা হাতে এগিয়ে গেলেন তিনি। এদিকে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। হরিপদ ছবি তুলবেন কি, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাওয়াই দায়।
ফন্দি আঁটলেন হরিপদ। উঁচু গলায় বলতে শুরু করলেন, ‘দেখি ভাই, আমাকে একটু সামনে যেতে দেন। যিনি মারা গেছেন, তিনি আমার অত্যন্ত আপনজন…একটু সামনে যেতে দিন।’
হরিপদকে জায়গা করে দিল লোকজন। হরিপদ সামনে গিয়ে দেখলেন, দুটো ছাগল মরে পড়ে আছে!
---------------------------------------

জলিল সাহেব আর তাঁর স্ত্রী ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। বাড়ির দোরগোড়ায় ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। ট্যাক্সিতে ওঠার আগ মুহূর্তে জলিল সাহেবের স্ত্রী বললেন, ‘তুমি এক মিনিট অপেক্ষা করো। বাড়িতে তো বিল্লু একাই থাকবে, আমি ওকে ওর খাবারটা দিয়ে আসি।’
ট্যাক্সি ড্রাইভার জলিল সাহেবকে বললেন, ‘কিছু মনে করবেন না স্যার, বিল্লু কে?’
জলিল সাহেব ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। বিল্লু জলিল সাহেবের বিড়ালের নাম। কিন্তু বিল্লু কে, তা জানতে ড্রাইভার ব্যাটার এত আগ্রহ কেন? এমনিতেই দিনকাল খারাপ, ব্যাটার অন্য কোনো মতলব নেই তো…! বাড়িতে কে একা থাকছে, ভালো করে জেনে নিয়ে পরে আবার… নাহ্, হাবভাব ভালো ঠেকছে না। বুদ্ধি করে বললেন জলিল, ‘ওহ্ বিল্লু? ও হচ্ছে আমার ছোট ভাই, পুলিশে চাকরি করে। খুবই বুদ্ধিমান আর সাহসী ছেলে। বেশ ভালো কারাতেও জানে। একাই দু-চারজনকে পিটিয়ে কাবু করতে পারে!’
কিছুক্ষণ পরই ফিরলেন জলিল সাহেবের স্ত্রী। জলিল বললেন, ‘কী, খাবার দিয়েছ ঠিকমতো?’
স্ত্রী: ‘আর বোলো না, আমার ডাক শুনেই ভয় পেয়ে খাটের নিচে গিয়ে ঢুকেছে পাজিটা। এত করে ডাকলাম, বেরই হলো না!’
-------------------------------------

এক শিকারি বন্ধুদের আড্ডায় বসে বলছে, ‘জানিস, সেবার আফ্রিকার জঙ্গলে গিয়ে আমি কতগুলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার মেরেছি?’
বন্ধুরা ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘আফ্রিকার জঙ্গলে তো রয়েল বেঙ্গল টাইগারই নেই! তুই মারবি কোথা থেকে?’
শিকারি: আহ্! সব যদি আমি মেরেই ফেলি, তাহলে থাকবে কোথা থেকে?!