ধুম ধুম করে দরজায় কে যেন আঘাত করলো… এতে রাহাতের ঘুম
ভেঙ্গে যায় আর কি হয়েছে বুঝার চেষ্টা করে, তখনি আবার দরজায়
আঘাতের শব্দ শুনা যায়। রাহাত কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও সাহস হারায়
না। সে প্রশ্ন করে, কে? কিন্তু কোন উত্তর পাওয়া যায়না তার বদলে আবার দরজায় জোরে আঘাত করার শব্দ হয়… রাহাত সবে মাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছে, সে গ্রাম থেকে এসে শহরে আরেক ফ্রেন্ডের সাথে একটা রুম ভাড়া নিয়ে থাকে ওখানে… ওর ফ্রেন্ড
আজকে গ্রামে গেছে তাই রাহাত আজ রুমে একা আর এই মাঝরাতে দরজায় শব্দ
সে কি করবে কিছুই ভেবে পায় না… আবার শব্দ শুনে সে রুমের
বাতি জ্বালায় আর দরজার কাছে যায় এবং দরজা খুলে দেখে কেউ নেই!
তাই উঠে পরে, কিছুক্ষণ পর ঘরের ভেতর অন্য কারো উপস্থিতি তার
কাছে অনুভব হতে লাগলো… দরজার পিছনে কাপড় ঝোলানোর
স্ট্যান্ডে কি যেন একটা ঝুলে ছিল রাহাত তাকানোর সাথে সাথে গায়েব হয়ে গেল, এতে রাহাতে গা ছম ছম ভাব বেড়ে গেল আর সে শুধু ঘরের একোণ ওকোণ দেখতে লাগলো কিছু দেখার জন্যে কিন্তু সে ওইধরনের কিছু দেখতে চায় না… এইবার বাথরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ হল, রাহাত কোনমতে, কে ওখানে বলল।
আর তখন বাথরুমে দরজা একটু ফাঁক হল আর রাহাত নড়ার
শক্তি হারিয়ে ফেললো… বাতি জ্বালানোর কথা ভেবে সে বিছানা থেকে উঠার জন্য প্রস্তুত হয় আর তখনি বাথরুমের দরজা পুরো খুলে যায় আর রাহাত দেখে যে কেউ একজন
তার দিয়ে হেটে আসছে… এমনিতে ভীত তার উপর
ওটা দেখে রাহাতের ভয়ে ভয়ে সে আবার বাথরুমের দিকে তাকাতে যায় আর চোখ পরে ঐ
চেহারার উপর যা সে কখনো দুঃস্বপ্নেও দেখেনি… বাথরুমের দরজা জুড়ে দাড়িয়ে আছে পচা বীভৎস একটা লাশ যার গা থেকে মাংস ঝড়ে ঝড়ে পড়ছে আর
ওটা সোজা ওর দিকে তাকিয়ে ক্রুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাসছে, সেই অশুদ্ধ
চাহনিতে আছে অতল শ্ল্ষ, অঘাত গৃনা আর আর অদমনীয় ভয়ংকরত্ব,
যা দেখে সইতে না পেরে রাহাত একটা চিৎকার দিয়ে নিসাড়, নিথর,
নিশ্চুপ হয়ে যায়… পরের দিন রাহাতের ফ্রেন্ড বাড়ি থেকে ফিরে এসে দেখে রাহাত
বিছানায় মৃত পড়ে আছে আর তার মুখ খিচে দাঁত দিয়ে জ্বিব কামড়ে টুকরো করে ফেলেছে, আর চোখ দুটো আতংকে কোটর থেকে অর্ধেক বের হয়ে রয়েছে এবং চোখের
দৃষ্টি বাথরুমের দিকে…!