তিন বন্ধু ছুটি কাটাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল প্লেনে করে। হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাদের প্লেনটা ক্র্যাশ করল। জ্ঞান ফেরার পর তারা আবিষ্কার করল, তিনজনই অল্পবিস্তর আহত। তারা পড়ে আছে একটা অচেনা সৈকতে। তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠল গল্প-সিনেমায় পাওয়া প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার দৃশ্যগুলো। তিন বন্ধু ঠিক করল, তারাও একইভাবে টিকে থাকবে। হেরে যাবে না!
শুরু হলো তাদের বেঁচে থাকার লড়াই। গাছের লতা-পাতা, পোকামাকড়, সমুদ্রের নোনা পানি—এসব খেয়ে তাদের দিন কাটতে লাগল।
পাশেই একটা পাঁচতারকা হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তিন বন্ধুর কাণ্ড দেখছিলেন পর্যটকেরা। এমন আজব দৃশ্য তাঁরা কখনো দেখেননি!
----------------------------------------
ছুটিতে আমেরিকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন জলিল। ফিরে আসার পর বন্ধু শফিক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিরে, আমেরিকানদের কথা বুঝতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?’
জলিল: আমার কোনো সমস্যা হয়নি। সমস্যা যা হওয়ার ওদের হয়েছে!
--------------------------------------
আফ্রিকার জঙ্গলে বেড়াতে গেছেন এক পর্যটক। বনের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে গাইডের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
পর্যটক: এখানে কোনো মানুষখেকো জংলি নেই তো?
গাইড: নাহ্। নেই।
পর্যটক: আপনি নিশ্চিত?
গাইড: অবশ্যই। কারণ শেষ যে মানুষখেকোটা ছিল, ওটাকে আমরা গত পরশু খেয়ে ফেলেছি!
--------------------------------------
ছুটি কাটাতে মিসর গেছেন হরিপদ। সেখানে পিরামিড দেখে ফেরার পর হরিপদর এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, ‘কিরে, কেমন দেখলি পিরামিড?’
হরিপদ: দূর! বড় বড় ত্রিভুজের জ্বালায় তো কিছু দেখাই যায় না!
---------------------------------
পর্যটক: আচ্ছা, এই পাহাড় থেকে লোকজন প্রায়ই পড়ে যায় না তো?
গাইড: না, একবার পড়লেই হয়।
------------------------------
ছুটিতে ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন এক আমেরিকান। ঢাকার ট্যাক্সিতে উঠে তিনি খুবই বিরক্ত।
আমেরিকান: আপনাদের এখানে ট্যাক্সি এত ধীরগতিতে চলে! রাস্তাগুলোও ভীষণ খারাপ। আমাদের ওখানে সাঁই সাঁই করে ট্যাক্সি চলে।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর মিটার দেখে আমেরিকানের চক্ষু চড়কগাছ! বললেন, ‘সে কি! মিটারে এত টাকা উঠল কী করে?’
ট্যাক্সি ড্রাইভার: আমার কী দোষ, স্যার? রাস্তা আমার দেশের হলে কী হবে, মিটার তো আপনার দেশের!