ঘটনাটি প্রায় ১৬ বছর আগের , আমি তখন নোয়াখালী জেলার ডমুরুয়া নামক ১ গ্রামে আমার বড় কাকার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করি , বড় কাকা ঢাকাতে Job করতেন , আর প্রতি মাসের ৫ কি ৬ তারিকে বেতন টা পেলেই বাড়িতে আসতেন , আর বড় কাকা সব সময় রাতের গাড়িতে টিকিট কাটতেন , যেহতু তখন মোবাইল ফোনের ব্যাবহার সচর আচর ছিলনা তাই বাসে চরার আগে Land phoner মাধ্যমে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিতেন যে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন , সারারাত বাসে চড়ার পর ভোর ৪ টা ৫টা নাগাদ বাড়ি এসে পৌছতেন , আর বাড়ি এসে চাচিকে পুরো মাসের চাল বাজার ইত্যাদি সাংসারিক জাবতীয় জিনীস কেনাকাটা করে দিয়ে ২, ৩, দিন থেকেই আবার ঢাকা চলে যেতেন, তো তেমনি ১ রাতে বড় কাকা বাড়িতে ফোন করে জানালেন যে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন , ভোর ৪ টা কি ৫টা নাগাদ বাড়ি পৌছে যাবেন , আর ভোর ৪ টা নাগাদ যখন বাস এসে পৌছতো আর যাত্রি নামাতো তখন খুব জোরে ১ টি হর্ণ বাজাতো ।
আর গ্রাম অঞ্চলে এতো রাতে সেই হর্ণের শব্দ বহূদুর থেকেও শোনা যেত ,আর আমাদের বাড়ি থেকে Main road যেহেতু মাত্র ১০০০ মিঃ দূরে তাই সেই হর্ণের শব্দেই বাড়ির সবার ঘুম ভেঙ্গে যেত , আমরা হর্ণ শুনেই বুঝতে পারতাম ঐ কাকা এসে গেছে , আর কাকা গাড়ি থেকে নামা মাত্রই তার বড় ছেলে রিপনের নাম ধরে জোর গলায় কয়েক বার ডাক দিতেন , আর আমরাও হারিকেন হাতে নিয়ে দৌরে বের হোতাম কাকা কে এগিয়ে আনার জন্য , কারন তখন আমাদের গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছায়নি , আর বাসটা যেখানে এসে নামিয়ে দিত সেখানে পাশা পাশি ২ টি পূরানো কবর স্থান ছিল । যদিও মুসলমানদের কবর স্থানে ভয়ের কিছু নেই কিন্তু আমাদের বাড়ির দিকে যে আঁকা বাঁকা কাচা রাস্তাটা গ্যাছে তার ২ পাশেই ঘন জঙ্গল আর বিশাল এলাকা নিয়ে ধান খেত , আর আমাদের বাড়িটাও তেমন সুবিদার ছিলনা , ৪ পাশে ঘন জঙ্গল আর বাড়ির পেছনে ১ টি খাল , যেগুলো মোটেও ভাল জায়গা ছিলনা , অনেকে নাকি রাতে Toilet করার জন্য বের হলে অনেক ভয়ানক চেহারার অচেনা কিছু লোক কে বাড়ির চারিদিকে ঘোরাগুরি করতে দেখতে পেত ,
তাদের উচ্চতা নাকি প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফিটের মত । যাই হোক মূল গল্পে আসি , সে রাতে ভোর ৪ টা নাগাদ চাচী বড় কাকার ডাক শুনতে পেলেন , আর শুধু ১ বার রিপন ভাইকে ডেকে বললেন রিপন উঠ চল তোর আব্বু আসছে , এ কথা বলে চাচী একাই হারিকেন টি হাতে নিয়ে ঘড় থেকে বেড়িয়ে গেলেন কাকা কে এগিয়ে আনবে বলে, এমনিতেই শিতের রাত , চারদিকে ঘন কুয়াসা , হারিকেনের আলোতে বেশী দূর পর্যন্ত দেখা যায়না , খানিকটা দূর যেতেই চাচী কোন সারা শব্দ না পেয়ে রিপনের আব্বু ও রিপনের আব্বু বলে ২. থেকে ৩ বার ডাক দিলেন , কিন্তু ও পাশ থেকে কোন উওর নেই , চাচী র একটু সন্দেহ হোল , আর মনে নানান ধরনের প্রশ্ন জাগতে লাগল . কি ব্যাপার তিনি আসলে তো এমন ২, ১, টা ডাক দিয়ে চুপ করে থাকেন না , আর আজতো কোন বাসের হর্ণ ও শুনতে পেলাম না , তাহলে কে ডাকলো আমার নাম ধরে ? আর আমি আজ একা এতদুর অবদি চলে এলাম অথচ এখনো আর কারো ঘুম ভাঙ্গার নাম নেই , কেন ? চাচী আর কিছু না ভেবেই সজোরে বাড়ির দিকে হাটা দিলেন । বাড়ির উঠন অবদি যেতেই কিছু একটা চাচীর পথ আগলে দাঁড়াল ,
সে কি বিশাল আকৃতির এক লোক উঠনের ২ পেশে ২ নারকেল গাছে ২ পা রেখে উল্টো হয়ে জূলছে , আয় অদ্ভুদ ১ অট্ট হাসি দিয়ে বলছে আমার ২ পায়ের চ্যাগের নিচ দিয়ে ঘড়ে যা . চাচী বুঝতে পারলেন ওটা ১ টা বদ জ্বীন , ওর ২ পায়ের পায়ের মাঝ দিয়ে গেলে হয়তো ও আজ আমার ঘাড় মটকাবে নয়তো বাকি জীবনের জন্য ও আমার ওপর ভঢ করবে , চিত্কার করবে But লাব কি ঘড়ে আমরা ৪ জন না বালক ছেলে মাত্র ঘড় থেকে বেরিয়ে এসে ওটাকে দেখলে হয়তো ভয়েই মারা যাব , আর দাদী সেতো বৃদ্ধ অসুস্থ মানুষ তাকে নিয়ে আরো ভয় , তাই চাচী সিদ্ধান্ত নিল ফজরের আজান না দেয়া পর্যন্ত হারিকেন হাতে এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে , কিন্তু হারিকেন তো প্রায় নিবু নিবু করছে, এত সময় পর্যন্ত জ্বলবে না , উপায় কি হবে আজ ? তাই মনে মনে মনে সূরা কেরাত পাঠ করতে লাগলেন , আর ঐ দিকে বদজ্বীন টা তখন বলছে যা আমার ২ পায়ের নিচ দিয়ে ঘড়ে যা আমি কিছু করবো না যা হা হা হা ,
চাচী বললেন আপনি কেন আমার পথ আগলে দাঁড়িয়েছেন ? আমি আপনার কি খতি করেছি ? আমাকে যেতে দিন , হারামজাদা লুচ্চার পুত বদজ্বীনটা এবার বলেকি তোর প্রতি আমার অনেক দিন থেকে নজর ছিল আজ তোকে পাইছি , এই বলে বদজ্বীনটা চাচীর দিকে ওর বিশাল বড় বড় নখ ওয়ালা হাত গুলো বাড়িয়ে দিতে লগলো , এবার আর চাচী ঠিক থাকতে পারলেন না , ১ চিত্কার দিয়ে মাটিতে গড়িয়ে পরলেন । তার চিত্কার শুনে দাদী সহ আমরা সবাই হারিকেন হাতে নিয়ে ঘড় থেকে দৌড়ে বের হই , তারপর চাচীকে অচেতন অবসথায় ঘড়ে তুলে নিয়ে আসি , দুপুর নাগাদ চাচীর হুঁশ ফেরে আর সব ঘটনা খুলে বলেন ।