মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজিলার একটি গ্রামের ঘটনা। সেই গ্রামের তৈয়ব মাষ্টারের বড় মেয়েকে গ্রামের কিছু বখাটে ছেলে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। এব্যাপারে গ্রাম্য সালিশে কয়েকবার আলোচনা হয় কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বখাটেদের উৎপাত বেড়ে যায় এবং মেয়েটি ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। (ঘটনাটি দৈনিক প্রথম আলোতে এসেছিলো)।
এই ঘটনার ২ মাস পর থেকে সেই গ্রামে সন্ধ্যার পরে মানুষ এক আজব আকৃতির ছায়ামূর্তি দেখতে শুরু করলো। ছায়ামূর্তিটি একই সাথে কয়েক জায়গায় দেখা যেতে লাগলো।
যারা খুব সাহসী তারা কয়েকজন পদক্ষেপ নেন বিষয়টা চেক করে দেখার। একদল যুবক মিলে একদিন সেই ছায়ামূর্তিটিকেদূর থেকে ফলো করে। তাদের সবার চোখের সামনে ছায়ামূর্তিটি ভাসতে ভাসতে সেই মেয়ের কবরের উপর গিয়ে মিশে যায়।
আকাশে পরিষ্কার জোছনা ছিল। তাই এক সাথে এতো মানুষের চোখের ভুল হবার কথা না।
এরপরের ঘটনা আরো রোমহর্ষক। মেয়েটিকে যারা উত্ত্যক্ত করতো তাদের মাঝে ২ জনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো। দুর্ঘটনা গুলো খুব অদ্ভুত।
একজন মারা গেলো গাছের ডাল ভেঙ্গে মাথায় পরে।
আরেকজন মারা গেলো রাতে কে বা কারা তাকে মেরে গলা কেটে শুধু লাশটা রেখে চলে যায়। মাথাটা খুঁজে পাওয়া যায় না।