মূসাকে হিব্রু ভাষায় 'মুশেহ' বলা হয়... মূসা বলা হয় না। এই মুশেহ এর প্রথমাংশ ‘মু’ এর অর্থ হল আরবী ‘মা’(=পানি) এর মত। মূসা অর্থ পানি, আর এক্ষেত্রে ইহুদিরা বলে মূসা শব্দটি হিব্রু।
আমি বলি মূসা শব্দটি হিব্রু নয়। এটা হিব্রু শব্দ হতে পারে না। অথচ ইহুদিরা এটাকে হিব্রুই বলে। আমি বলিঃ
<> বলুন তিনি কোথায় জন্মগ্রহন করেছিলেন?
- মিশরে।
<> তিনি কোথায় বড় হয়েছিলেন?
- ফিরাউনের প্রাসাদে।
<> তাঁর দায়িত্বে কে ছিল?
- ফিরাউন।
<> তাহলে একজন নতুন শিশুকে কে নামকরণ করবে? যে দায়িত্বে আছে সে নাকি চাকর-বাকরেরা?
- অবশ্যই দায়িত্বরত ব্যক্তি।
<> তাহলে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা কার ভাষায় নামরকণ করবে প্রভূর ভাষায় নাকি চাকরদের ভাষায়?
- অবশ্যই প্রভূদের ভাষায়। আর প্রভূদের ভাষা ছিল মিশরীয়, হিব্রু নয় ((ফিরাউনের রাজ্য মিশর, আর তার ভাষা মিশরীয়)।
কিন্তু সমস্যাটা কোথায় জানেন? রাসূল (সাঃ) এর জন্মের ৩০০০ বছর পূর্বে মিশরীয় ভাষা বিলুপ্ত হয়েছিল। কেউ মিশরীয় ভাষা জানত না। সুতরাং রাসূল (সাঃ) এর সময়ে কেউ যদি জিজ্ঞেস করত ‘মূসা’ অর্থ কী? কেউ বলতে পারত না। (আমরা না হয় আধুনিক যুগে বাস করি এবং এজিপ্টলজি বা মিশরীয় হায়ারুগ্লিফিক্স আবিষ্কারের কারণে এখন অর্থ বের করতে পারব, কিন্তু রাসূল সা এর সময়ে এটা জানা অসম্ভব ছিল)।
মূসা এর অর্থ কী এটা জানার আগে চলুন দেখি কুর'আন কী বলে। সূরা কাসাস এর ৯নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,
০ لَا تَقْتُلُوهُ عَسَى أَن يَنفَعَنَا أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
অর্থঃ "...তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে নতুন পুত্র হিসেবে গ্রহন করে নিতে পারি।"
‘মূসা’ শব্দটি মিশরীয় ভাষায় বলা হয় ‘নতুন জন্মপ্রাপ্ত’। তার মানে লক্ষ্য করেছেন? নিশ্চয় আল্লাহ কুর'আনে ‘মূসা’ শব্দের অনুবাদ করেছেন ‘وَلَدًا’ বা ‘নতুন জন্মপ্রাপ্ত শিশু’ হিসেবে অর্থাৎ 'মূসা = নতুন জন্মপ্রাপ্ত শিশু’, অথচ রাসূল (সাঃ) এর সময় মিশরীয় ভাষা ছিল মৃত।
কিন্তু কুর'আন (আল্লাহর কুদরত) ঠিকই জানে কী এর অর্থ এবং ঠিক মিশরীয় শব্দের আরবী অনুবাদ আল্লাহ ব্যবহার করেছেন একজন নিরক্ষর ব্যক্তির মাধ্যমে অথচ সেই ভাষা তখন কেউই জানত না !!!
আসিয়া তাকে মূসা নামে ডেকেছিলেন তাঁকে আর কুর'আন সেই নামের অর্থেই ডেকেছে আরবীতে অথচ তখন ঐ ভাষা ছিল মৃত। কী সুন্দরভাবেই না আল্লাহ তাঁর বাণীর অলৌকিকতা প্রকাশ করেন !!!
সুবহানআল্লাহ।