লেখা - অস্পষ্ট আমি (আপন)
-এক্সকিউজমি মিস্টার, আপনি একটু
এপাশের সিট টা তে বসবেন প্লীজ। গাড়িতে বসে বসে ফেসবুকিং করছিলাম। হঠাৎ করেই এমন কথাটা শুনেই
পাশে তাকালাম। দেখলাম একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে বসার জন্য।
আমি মেয়েটার চেহারার দিকে না তাকিয়েই প্রশ্ন করলাম:-
আমি: আপনার সিট কোনটা?
মেয়েটা : আসলে ভাইয়া এইটাই আমার
সিট। কিন্তু আমার জানালার
পাশে ছারা বসতে ভালো লাগে না। যদি.....
আমি : যদি যদি বলে লাভ নেই।
আমি সরে বসতে পারি। কিন্তু
আমি গাড়িতে উঠলে বমি করার অভ্যাস
আছে। আপনার উপর
দিয়ে করলে যদি প্রব্লেম.....
(কথাটা এমনি মজা করে বলেছিলাম)
পুরো কথাটা শেষ করার আগেই ধপাস
করে নিজের সিটে বসে পরে মেয়েটা। রাগে পুরো চেহারার লাল হয়ে আছে।
এতখনে লক্ষ করলাম মেয়েটারর দিকে। অসম্ভব রুপবতি একটা মেয়ে।
মুখে রাগি রাগি ভাবটা যেন ওর সৌন্দর্য আরো বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঠিক স্বর্গের অপ্সরীর মতই লাগছে। যাচ্ছিলাম চট্রগ্রাম ফুফুর বাসায়।
ঢাকা টু চট্রগ্রাম, হানিফ এক্সপ্রেসে (নন এসি). সেই ছোট বেলায় একবার
গিয়েছিলাম যখন ফুফুর একটা সুন্দর ফুটফুটে মেয়ে হয়েছিলো। আমি, বাবা,
আর দাদু মিলে গিয়েছিলাম ফুফুর মেয়েটা কে দেখতে। তখন আমার বয়েস
ছিলো ২ বছর। এখন বয়স ২২। সেই ২০ বছর আগে গিয়েছিলাম। তার দুই বছর পর ফুফু এসেছিলো আমাদের বাসায়। তখন মেয়েটা এসেছিলো সাথে। তারপর থেকে ফুফু যতবারই এসেছে ফুফুর মেয়েকে দেখি নি। ও এখন
নাকি ঢাকায় থেকেই পড়াশুনা করে। আমাদের বাসায়ও
নাকি মাঝে মাঝে আসে। কিন্তু আমি কখনই দেখি নি। আমি হলে থেকে পড়াশুনা করি। তাই কখনও দেখা হয় নি। কিন্তু দাদু মারা যাবার আগে বলে গিয়েছিলেন
যে ফুফুর মেয়ের সাথেই নাকি আমার বিয়ে দিবে। কিন্তু আমি তাতে কোন
গুরুত্ব দেই নি। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই ফুফু কিছুটা অসুস্থ হয়ে যায়। সবাই
গিয়েছিলো দেখতে। কিন্তু আমার পরিক্ষা ছিলো তাই তখন
যেতে পারি নি। আজ যাচ্ছি ফুফুকে দেখতে। মনে মনে ভেবেছিলাম আমার
পাশে যেন একজন আলাপ প্রিয় মানুষ বসতে পারে। যেন সারাটা পথ
কথা বলতে বলতে যাওয়া যায়। এতোবড়
জার্নি তে চুপচাপ বসে থাকলে অনেক বোরিং লাগে। কিন্তু এমন একজন
কে চাই নি যার ভাবটা খুব বেশি হবে। অনেকটা পথ চলে এসেছি কিন্তু কোন
কথাই হলো না। ইভেন ও আমার দিকে তাকালেও কেমন একটা রাগ রাগ
ভাব নিয়ে তাকায়। আমি এতখন নিজের মত করেই ফেসবুকিং করছিলাম। কিন্তু
আর চুপ করে থাকতে ইচ্ছে করছে না। তাই হালকা একটা কাশি দিয়ে গলাটা ঝেরে বললাম:-
আমি : আপনি চাইলে এই সিটটা তে এসে বসতে পারেন। আজ মনে হয় আমার আর বমি আসবে না।
মেয়েটা : ওহ থ্যাঙ্কস (মুখে হালকা হাসি দিয়ে) এইবার মেয়েটার হাসি দেখে আমি আরো মুগ্ধ হলাম। এতো সুন্দর করে কেও হাসতে পারে এর আগে আমার জানা ছিলো না।
মেয়েটা হাসলে গালের দুই পাশে টোল পরে। যেটা মেয়েটার হাসিটা কে আরো সুন্দর করে তুলেছে। কিছু না বলে চুপ করে রইলাম। এবার আমাকে আর কিছু বলতে হলো না।
মেয়েটা নিজেই আমাকে বললো :-
মেয়েটা : হায় আমি ইশিতা। ( এতখনে জানতে পারলাম মেয়েটার নাম)
আমি : হ্যালো, আমি নিলয়।(অন্য একটা নাম বানিয়ে বলে দিলাম)
ইশিতা : আপনা কে কিছুটা চেনা চেনা লাগছে। কোথায় দেখেছি বলুন তো?
আমি : আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি ঢাকায় থাকেন। আর আমিও ঢাকায় থাকি।
একটা শহরেই যেহেতু দুজন থাকি তাই কোথাও না কোথাও দেখা হতেই পারে।
ইশিতা : হুম তা ঠিকই বলেছেন। কিন্তু তবুও আমার মনে হচ্ছে আপনাকে আমি চিনি।
আমি : চিনতেই পারেন। হতে পারি আপনার কোন ফ্রেন্ডের ভাই। অথবা আপনা ভাইয়ের ফ্রেন্ড।
ইশিতা : আমার কোন ভাই নেই। আর আমার সব ফ্রেন্ডের ভাইদের কিছুটা হলেও আমি চিনি। বাই দ্যা ওয়ে, কোথায় যাবেন আপনি? আমি: আমি যাবো চিটাগাং এর পাহাড়তলি তে। আপনি?
ইশিতা : আমি এর আশে পাশেই যাবো। আচ্ছা পাহাড়তলি তে আপনার বাড়ি?
আমি : না। আসলে পাহাড়তলি আমার ফুফু থাকেন। অনেক ছোট বেলায় একবার
গিয়েছিলাম সেখানে। তারপর আর কখনও যাওয়া হয় নি। শুনলাম কিছুদিন ধরে ফুফু অসুস্থ। আমারও ভার্সিটি কিছুদিন বন্ধ। তাই ফুফু কে দেখতে যাচ্ছি। সাথে এলাকাটা ও ঘুরে দেখা হবে।
ইশিতা : আপনার ফুফু পাহাড়তলি কোথায় থাকেন? আর ওনার নাম? ইশিতার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পর দেখলাম ইশিতার মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। এতখন আমার সাথে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলছিলো। কিন্তু এখন কেমন যেন একটু
অস্বাভাবিক আচরন করছে। কোন কিছু জিঞ্জেস করলেই হু, হা, বলেই উত্তর দিচ্ছে। ভেবে পেলাম না হঠাৎ কি হলো মেয়েটার। আমিও আর বেশি কিছু জিঞ্জেস না করে চুপচাপ
রইলাম। আমাদের গাড়ি এখন কুমিল্লার বিশ্বড়োডে একটা রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষনের
জন্য যাত্রা বিরতি দিয়েছে। সকালে তারাহুরো করে কিছু খেয়ে বের হই নি। তাই আমার ক্ষুদাও লেগেছে। ভাবলাম রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু খাই। ভদ্রতার
খাতিরে ইশিতাকে ও জিঞ্জেস করলাম কিছু খাবে কি না। কিন্তু মেয়েটা আমার কথার উত্তর না দিয়েই গাড়ি থেকে নেমে একটা নির্জন যায়গায় গিয়ে দাড়ালো। আমি ভাবছিলাম হঠাৎ করে ইশিতা এমন আচরন করছে কেনো আমার সাথে? আমি কি ভূল কিছু করলাম? আমিও আর কিছু না বলে রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া সেরে এসে গাড়িতে বসলাম। আবার গাড়ি চলতে শুরু করলো। আমাদের গাড়ি তখন ফেনি এসে পৌঁছেছে।
কিন্তু কুমিল্লা থেকে এতোটা পথ এসেছি একবারও আমার সাথে কোন কথা বলে নি ইশিতা। একটু পর পর আমার দিকে কেমন যেন রাগি রাগি ভাব নিয়ে তাকায়। কিছুটা অপরাধবোধ থেকেই আমি প্রশ্ন করলাম ইশিতা কে।
আমি : বেশ অনেকটা রাস্তাই তো চলে এলাম। কিন্তু আপনি একটা কথাও বললেন না। হঠাৎ এতোটা চুপচাপ হয়ে গেলেন কেনো? ইশিতা তো আমার প্রশ্নের কোন জবাব
দিলই না। বরং আমাকে অবাক করে দিয়ে কনট্রাকটর কে ডেকে অন্য।
একটা সিটে গিয়ে বসলো। এদিকে বাসের সবাই আমার দিকে এমন
ভাবে তাকাচ্ছে যেন আমি মেয়েটা কে কিছু বলেছি। আমি বিব্রত বোধ করলাম আর চুপচাপ বসে রইলাম। আমরা পাহাড়তলি স্টেশনে পৌঁছোতে পৌঁছোতে প্রায়
রাত আট টা বেজে গেলো। আমি গাড়ী থেকে নামলাম। বাস
থেকে নামে দেখি ইশিতা আমার অনেক আগেই নেমে গিয়েছে।
নেমে cng. র জন্য দাড়িয়ে আছে। আমিও ওর থেকে একটু দূরে গিয়ে দাড়ালাম।
এমনি শীতের রাত। তার উপরে আটটা বাজে। স্টেশনে লোক সংখ্যা কম। দেখে মনে হচ্ছে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। বাস চলে গিয়েছে। একটু দূরে কুয়াশার আবাছায় দেখা যাচ্ছে ইশিতাও আমার মত দাড়িয়ে আছে। আমি হেটে ইশিতার কাছে গেলাম।
আমি : আপনাকে কি কোন রকম সাহায্য করতে পারি?(যদিও আমার নিজেরই এখন
অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন তবুও জিঞ্জেস করলাম)
কিন্তু ইশিতা উত্তর না দিয়ে বিড়বিড় করে কি যেন বললো। তার কিছুক্ষন পর দেখতে পেলাম একটা cng এসে আমাদের সামনে দাড়িয়েছে। ইশিতা কে cng ওয়ালা cng তে তুলে নিলো। কিন্তু আমি অসহায়ের মত দাড়িয়ে আছি দেখে ইশিতা আমাকে বললো:-
ইশিতা : আপনি যেখানে যাবে আমিও সেখানেই যাচ্ছি। এখন মনে হয় এখান
থেকে কোন cng বা অটো পাবেন না। ইচ্ছে করলে আমার সাথে আসতে পারেন।
(কথা গুলো শুনেই মনে হচ্ছে কিছুটা বাধ্য হয়েই বলছিলো ইশিতা।
মনে হচ্ছে আমি না করে দিলেই মনে হয় ও খুশি হবে। তাই আমিও না করে দিলাম)
অনেক্ষন হলো একা একা দাড়িয়ে আছি। কয়েকটা কুকুর ছারা আর কিছুই
দেখতে পাচ্ছি না। রাত প্রায় ১০ টা বাজতে চললো। একটু সামনে গিয়েও
দেখে আসলাম কিছুই পেলাম না। আমি ঠিক করে চিনিও
না যে হেটে চলে যাবো। ভাবছি এখন কি করা যায়। এমন সময় হঠাৎ
দেখি একটা cng আমার দিকেই আসছে। কাছে আসার পর বুঝতে পারলাম এটা ঐ
cng টা যেটা দিয়ে ইশিতা গিয়েছিলো। ড্রাইভার এসে আমকে বললো :
ড্রাইভার : -ভাইজান, আপামনি আপনারে নিয়া যাইতে কইছে।
আমি: কোন আপামনি?(একটু অবাক হয়ে জিঞ্জেস করলাম)
ড্রাইভার : ঐ যে একটু আগে আমার গাড়ি দিয়া গেলো সেই আপামনি।
এতখনে যা বুঝার বুঝে গেলাম। বাড়ি থেকে আসার সময়
শুনে এসেছিলাম ফুফুর মেয়ে নাকি আজ ঢাকা থেকে বাড়ি আসবে। কিন্তু
আমি যতদূর জানি ওর নাম ইরা। আর এই মেয়ে তো বলেছে ওর নাম ইশিতা।
বেশি কিছু না ভেবে উঠে পরলা cng তে। কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম
ফুফুর বাড়িতে। ফুফু তো আমাকে দেখে মহা খুশি।
( দূর্ভাগ্যশত ফুফুর স্বামি ইরা জন্মের কিছুদিন পরেই মারা যান)। ছোট বেলায়
যখন গিয়েছিলাম তখন ফুফুর বাড়িটা ঠিক এমনি ছিলো। কিছুই
বদলায় নি বাড়িটার। আসতে আসতে অনেক রাত
হয়ে গিয়েছে তাই ফুফু বললেন যেন খাওয়াদাওয়া করেই শুয়ে পরি।
সকালে কথা হবে। ওনি ও অফিস করে ক্লান্ত হয়ে আছেন। তাই
আমি আচক্সহা বলেই খাওয়াদাওয়া শেষ করে রুমে গেলাম। কিন্তু রুমে আমার মন
বসছিলো না। কারণ আমার আবার একটা বদভ্যাস আছে। রাতে একবার ছাদে না গেলে আমার ঘুম হয় না। তাই কাওকে কিছু না বলেই ছাদে চলে গেলাম। জোঁছনা রাত ছিলো তাই লাইট নিয়ে যাই নি। কিন্তু ছাদে গিয়ে তো আমি অবাক। চাঁদের
আলোয় এই পাহাড়তলির পাহাড় গুলো অনেক সুন্দর লাগছে। একটু
এগিয়ে ছাদের রেলিং এর কাছে গিয়ে আমি একটু ভরকে গেলাম।
দেখলাম সেখানে খুলা চুলে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। আমি কিছুটা ভয় পেলাম।
এতো রাতে ছাদে কে থাকতে পারে? আমি ভুতে বিশ্বাসী ছিলাম না। তাই
একটু সামনে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে আমি আরো অবাক হলাম যখন
দেখলাম মেয়েটা আর কেও নয়। আমার পাশে বসা সেই মেয়েটি ইশিতা।
আমি মনের মাঝে দ্বিধা নিয়েই পাশে গিয়ে দাড়ালাম। শান্ত গলায়
জিঞ্জেস করলাম:-
আমি : ইশিতা তুমি এখানে?
ইশিতা :............... (চুপ)
আমি : ইশিতা রাত অনেক হয়েছে। এমন সময় ছাদে এসেছো কেনো?
ইশিতা :......... (এবার ও চুপ। মনে হয়ে মেয়েটা কাঁদছে।)
আমি : কি হলো ইশিতা কাঁদছো কেনো?
ইশিতা : আপনি এতদিন আমার সাথে দেখা করেন নি কেনো?
(আসলে এতদিন আমি ইচ্ছে করেই ইশিতার সাথে দেখা করি নি।)
আমি : আসলে......(আমাক ে থামিয়ে দিলো ইশিতা)
ইশিতা : তুমি জানো তোমার সাথে একটি বার দেখা করার জন্য এমন
কতটা বেকুল হয়ে থাকতো? তোমাকে একটি নজর দেখার এই দুচোখ
কতটা পিপার্সীত ছিলো? তোমার একটু ভালোবাসা পাবার জন্য আমার
বুকটা খা খা করতো।
আমি : কিন্তু আমাদের দেখা করার কি আবশ্যক ছিলো। আর আমার ছবিতো তুমি দেখেছই।
ইশিতা : হ্যা ছবি দেখেছি কিন্তু
সেটা ১০ বছর আগের। দাদু যখন আমাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলো তখনের।
পরে তোমার আম্মুর কাছেও তোমার ছবি চেয়েছি। কিন্তু
তুমি নাকি আমাকে দিতে না করেছো। এতদিন কেনো আমার সাথে দেখা করো নি?
আমি : ইশিতা আমি চেয়েছিলাম তুমি আমাকে না দেখেই ভালোবাস।
যে ভালোবাসায় কোন খাদ থাকবে না। আর আমার মনে হয় আমার
চাওয়া টা পুরোন হয়েছে। কিন্তু তুমি বাসে আমাকে চিনতে পেরেও
পরিচয় কেনো দাও নি?
ইশিতা : তোমার উপর খুব রাগ হচ্ছিলো তখন। আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে চিনেছ কিন্তু পরিচয় দাও নি। কিন্তু পরে বুঝলাম তুমিও আমাকে চিনতে পার নি। আচ্ছা আমাকে তোমার দেখতে ইচ্ছে হয় নি?
আমি : ইশিতা আমিও চেয়েছিলাম তোমাকে না দেখেই ভালোবাসবো। তাই করেছি। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি ইশিতা। আই লাভ ইউ।
ইশিতা : ভালোবাস না ছাই। এতদিন একবারও দেখা দাও নি। এ কেমন
ভালোবাসা? কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আই লাভ ইউ টু।
বলেই ইশিতা ঝাপিয়ে পরলো আমার বুকে। অঝর ধারায়
কেঁদে চলেছে মেয়েটা। আমার চোখের কোনেও দুফোটা পানি এসে জমেছে। দুজন
দুজনকে জরিয়ে ধরে কাঁদছি। আর ঐ দুর আকাশের চাঁদটা স্বার্থপরের মত
মিটিমিটি হাসছে।
বি.দ্র. গল্পটা সম্পূর্ণই কাল্পনিক। এর মাঝে বাস্তবের কোন ছোঁয়া নেই।