মৌলভীবাজারের রাজনগর
উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের পশ্চিমখাস,ইন্দানগর চা বাগান ও
পানিশাইল এই ৩টি গ্রামের গত বছর ঘটে গেলো এক অদ্ভুদ
ঘটনা। যার ফলে এই এলাকার মানুষ রাত
হলে ভুগে এক অজানা আতঙ্কে।
আর এই আতঙ্কে বাচ্চাদের নিয়ে রাত জেগে থাকতে হয়েছে তাদের
অভিবাবকদের। ঘটনার সুত্রপাত গত বছর ২৯ জুন রাতে থেকে।
ঐ এলাকার উত্তরভাগ ইউনিয়নের পশ্চিম খাস
এলাকার বাসিন্দা শরীফ মিয়ার রাতে ভাত
খেয়ে তার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।হঠাত্ গভীর
রাতে অদ্ভুদ এক আওয়াজ শুনে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
তিনি খেয়াল করলেন তার ঘরের ভেতর কেও
যেন হাটাচলা করছে।আর অদ্ভুদ এক আওয়াজ
করে যাচ্ছে।এমন আওয়াজ তিনি আগে কখনো শুনেন নি। তিনি তখন ঘুম থেকে উঠে দূত ঘরের বাতি জ্বালালেন। বাতি জ্বালিয়ে দেখে তার ঘরের সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি ভাবলেন তার ঘরে হয়তো চোর ঢুকে ছিলো।
কিন্তু অবাক কান্ড একটা জিনিস ও চুরি হয়নি।
তাছাড়া ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ
ছিলো। এই ঘটনার কয়দিন পর
ওই গ্রামের নয়ন,আজমল ও মিছির আলীর ঘরে একই ঘটনা ঘটে।
তাদের ঘরে ও নাকি অদ্ভুদ সেই আওয়াজ
শুনা গেলো।একি সাথে ঘরের ভেতর কে যেন
হাটাহাটি করতে লাগে।তারা যখন ঘুম
থেকে জেগে উঠে তখন ঘরের ভেতর কাউ
কে দেখতে পেলেন না। কিন্তু ঘরের সমস্থ জিনিস
এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিলো। এর পর থেকে ঐ তিন গ্রামে একেক দিন
একেক জনের ঘরে এ রকম অদ্ভুদ ঘটনা ঘটতে থাকে।অথাত্ কারো ঘর
থেকে কিছু চুরি না হলে ও কে যেন সমস্থ কিছু এলোমেলো করে চলে যায়।
এক সময় এলাকায় এসকল খবর প্রচার
হয়ে দিগবিদিগ ছড়িয়ে পড়ে।এতে ওই এলাকাসহ
পুরো উত্তরভাগ ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে আরো আতঙ্ক বিরাজ করে। পশ্চিমখাস
এর ময়না মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া জানান, গত ২৯ জুন
মধ্যরাতে অদ্ভুদ এক আওয়াজ শুনে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো, তার পর কত গুলো লোকের
পায়ের আওয়াজ শুনতে পান তিনি।কিন্তু ঘুম
থেকে উঠে কাওকে দেখতে পেলেন না। তিনি আরো জানান,একি ঘটনা পাশ্ববর্তী নয়ন,আজমল ও মিছির আলীর ঘরে ঘটায় আতঙ্ক
বেড়ে গেছে। পশ্চিমখাস এলাকার তওরিদুল ইসলাম
জানান, এখবর শুনে আমরা কয়েকটি রাত যার যার ঘর
পাহারা দিয়েছি, কিন্তু কিছুই পেলামনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রকিব আলী জানান, এসব
অজানা আতঙ্কের সংবাদ ভূয়া।কেউ পরিকল্পিত ভাবে এসোব আতঙ্ক চড়াচ্ছে।
শ্রীঘয় এর ক্লু বের করা হবে। তবে সত্যি বলতে কি আজ পর্যন্ত এসব ঘটনার
সঠিক কোন কারণ কেউ বের করতে পারেনি।