কোন এক অজানা কারনে সে আমাকে খুব পছন্দ করে।আমি পড়াতে যাওয়ার ঠিক কয়েক মিনিট পরই সে হাজির হয়ে যায় আমার সামনে।তারপর মাথা নাড়াতে নাড়াতে জিজ্ঞেস করে,আমি অনেক কিউট তাই না?
"হ্যা তুমি অনেক কিউট"
"আমি অনেক ভালো মেয়ে তাই না?"
"হ্যা নিমিশা তুমি অনেক ভালো মেয়ে"
"তুমি আমাকে পছন্দ করো?"
"হ্যা করি"
"তুমি আমাকে বিয়ে করবে?"
"হ্যা করবো"
"তাহলে একটা মজার গল্প শোনাও"
আমার আর কি করা?স্টুডেন্টকে ম্যাথ করতে দিয়ে অতি উত্সাহে মজার গল্প শোনাই আমার হবু পিচ্চি বউকে।
এভাবে প্রতিদিনই সে আসতো মজার গল্প শোনার জন্য।কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সে কেন জানি আসছিল না।গতকালকে স্টুডেন্টকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম,নিমিশার জ্বর।তাই আসে না।
আমি আর থাকতে পারি নি।আসছি বলে তখনই নিমিশাকে দেখতে গেলাম।
গিয়ে দেখি আংকেল আন্টি কি বিষয় নিয়ে যেন নিমিশার সাথে জোরাজুরি করছে।আমাকে দেখেই আন্টি বললেন,দেখো তো বাবা মেয়েটার জ্বর।অথচ কোন মতই ঔষধ খেতে চাচ্ছে না।তুমি চেষ্টা করে দেখো তো।
আমি নিমিশার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,কি ঔষধ খাও না কেন?
"তেতো ঔষধ,আমি খাবো না" জিহ্বা বের করে বলল নিমিশা।
"কিন্তু ঔষধ না খেলে যে তুমি ভালো হবা না"
"না হই।তবুও তেতো ঔষধ খাবো না"
বুঝলাম অন্য পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।নিমিশার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম,ঔষধ না খেলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো না কিন্তু।
আমার ফিসফিস করে বলা দেখে সেও ফিসফিস করে বলল,তাহলে কি গল্পও শোনাবে না?
"না শোনাবো না"
"কেন নতুন কাউকে পাইছ তাই না?ওকে যাও আমি তোমার গল্প শুনবো না।তবুও তেতো ঔষধ খাবো না"
বুঝলাম মেয়ে কিউট হলেও ভয়ংকর।হাল ছেড়ে দিয়ে চলে আসছি আমি।
আজকে পড়াতে গিয়ে জানতে পারলাম,পুরো সিরাপের বোতল সাবাড় করে ফেলেছে নিমিশা